প্রতিনিধি মোহনপুর:-বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশের উদ্যোগে ঝাড়খন্ড প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা হয় সিমনা বিধানসভার ব্রহ্মকুন্ডু এলাকায়। শুক্রবার প্রদীপ প্রজননের মধ্য দিয়ে এর সূচনা করেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী, কেন্দ্র প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এবং অন্যান্যরা।
রীতিমতো স্থানীয় মানুষদের তাক লাগিয়ে ব্যাপক সংখ্যক জনগণের উপস্থিতিতে ঝাড়খন্ড প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করল বিজেপি। জেলার সমস্ত চা বাগান থেকে চা শ্রমিকদের পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ মানুষরাও অংশ নেয় এই কর্মসূচিতে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির এসটি মোর্চার কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব উড়াং বলেন দেশের কংগ্রেস সরকার দীর্ঘ বছর যাবত ঝাড়খণ্ডী মানুষদের যোগ্য সম্মান দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। দীর্ঘ বছরের ঝাড়খন্ডী মানুষের যে দাবি ছিল পৃথক রাজ্য গঠন করার তা বাস্তবায়িত করেছে ২০০০ সালে বিজেপি সরকার। যার মধ্য দিয়ে ঝাড়খণ্ডের মানুষ তাঁদের নিজেদের অধিকার স্থাপিত করতে পেরেছে। এদিকে বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর আহবানে এই ঝাড়খন্ড প্রতিষ্ঠা দিবস কর্মসূচি রাজ্যে উদযাপিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের যে ডাক দিয়েছেন তাকে কেন্দ্র করেই এই রাজ্যে ঝাড়খন্ড থেকে আসা জনগোষ্ঠীকে এবং ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসকে সম্মান জানাতে এই আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের সরকার এবং রাজ্য সরকার রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষের উন্নয়নের পাশাপাশি বিশেষ করে চা বাগানের শ্রমিকদের জীবনের মান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। শ্রী ভট্টাচার্য বলেন এই রাজ্যে সমস্ত চা বাগানে যাদের পূর্বপুরুষেরা ঝাড়খন্ড থেকে এসে বসতি স্থাপন করেছিল বর্তমানে উনাদের উত্তরশুরিরা কাজ করছেন। এই রাজ্যের মানুষ উনাদের আপন করে নিয়েছে। এবং ঝাড়খন থেকে আসা মানুষরাও এই রাজ্যকে আপন করে নিয়েছে। কোনভাবেই এই রাজ্যে নিজেদের দুর্বল না ভাবার আহ্বান করলেন রাজীব ভট্টাচার্যী। তিনি শ্রমিক দের বলেন বর্তমানে চা শ্রমিকরা যে পরিশ্রম করছে সেই পরিশ্রমকে আরো বাড়িয়ে ত্রিপুরা চায়ের একটি বিশেষ পরিচিতি তৈরি করতে হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন এ রাজ্যের ঝাড়খণ্ডিরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। শত শত বছর যাবত যে জনগোষ্ঠীর মানুষ এ রাজ্যে বসবাস করছে তাদের গৃহ নির্মাণের জন্য একটু জমি পর্যন্ত ছিল না। বর্তমান রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত করে চা বাগানে বসবাসকারী শ্রমিকদের জন্য দুই গন্ডা করে জমি প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছেন। যার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর প্রদান করা হচ্ছে । এই জমি প্রদানের মধ্য দিয়ে এই রাজ্যে ঝাড়খন্ড থেকে আসা মানুষরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন বলে দাবি করলেন প্রতিমা ভৌমিক। পক্ষান্তরে সিপিআইএম দীর্ঘ বছর যাবত চা বাগানের এই শ্রমিকদের শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ আনলেন তিনি। কিন্তু বর্তমান সরকার তাদের মানুষ হিসেবে বাঁচার ঠিকানাটুকু করে দিতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করলেন মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এদিনের এই কর্মসূচিতে চা বাগানে শ্রমিক রা যে সম্মান পেয়েছেন তাকে ঘিরে আপ্লুত শ্রমিকরা। এইদিন ঝাড়খন্ডী মানুষদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন হয় এই মঞ্চে। অনুষ্ঠানের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সহ-সভাপতি অশোকস সিনহা, সহ-সভানেত্রী পাতাল কন্যা জমা দিয়া, টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহস সহ অন্যান্যরা।
ঝাড়খন্ড প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা হয় ব্রহ্মকুন্ডুতে
116
previous post