Home » বর্ডার লিংক রোড নির্মাণে পূর্ত দপ্তরের তালবাহানা, দুর্ভোগের শিকার সীমান্তবাসি।

বর্ডার লিংক রোড নির্মাণে পূর্ত দপ্তরের তালবাহানা, দুর্ভোগের শিকার সীমান্তবাসি।

by admin

বর্ডার লিংক রোড নির্মাণে পূর্ত দপ্তরের তালবাহানা, দুর্ভোগের শিকার সীমান্তবাসি। ধলাই জেলার দুর্গম মহকুমা হিসেবে পরিচিত গন্ডাছড়া। এই মহকুমা এলাকার প্রায় ৬০ কিলোমিটার জোরে আছে ভারত-বাংলা সীমান্ত। সীমান্ত গ্রাম থেকে বর্ডার পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য বেশ কিছু লিংক রোড নির্মাণ করা হয়। এমনই একটি রোড রতননগর টু এস.কে পাড়া। ২০১৬ সালে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বর্ডার লিংক রোড নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়। প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উক্ত রাস্তাটি নির্মাণে বেশ কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রথম দিকে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করে। দেখা গেছে কয়েক মাসের মধ্যেই ঠিকাদার বাবু উঁচু টিলা কেটে রাস্তা তৈরি করে ফেলে। এমনকি রাস্তার বেশ কিছু অংশে মেটেলিং পর্যন্ত করা হয়। এরপর কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখে ঠিকাদারবাবু কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেখান থেকে হাত পা গুটিয়ে নেয়। প্রায় ১০ বছর যাবত একই অবস্থায় রাস্তাটি পরে আছে। পূর্ত দপ্তর কর্তৃক এই বেহাল রাস্তাটি মেরামতের কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বর্তমানে এই রাস্তা ধরে যানবাহন চলাচল একপ্রকার বিপদজনক। যদিও প্রায় সময়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। এই বেহাল রাস্তা ধরে বিশেষ করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গন্ডাছড়া বাজার থেকে তাদের রেশন সামগ্রী নিয়ে যেতে ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। শুধু তাই নয় বর্ডার ফেন্সিং কাজের নির্মান সামগ্ৰি নিয়ে যেতেও দারুন অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, গর্ভবতী মহিলা, বয়স্কদের যাতায়াতেরও ভীষণ অসুবিধা। এরপরও এই রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামতে পূর্ত দপ্তরের কোন হেলদুল নেই। এতে করে এলাকাবাসীদের মনে অনেক কিছুই সন্দেহ হচ্ছে। তবে যাই হোক কি কারণে মাঝপথে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে আছে এর সঠিক তদন্ত দরকার। এদিকে বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবিতে এলাকার জনজাতিরা বেশ কয়েকবার গন্ডাছড়া-রইস্যাবাড়ি মূল সড়ক অবরোধ করে। বারবারই পূর্ত বাবুরা অবরোধকারীদের আশ্বাস দেন খুব শীঘ্রই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন হয়নি। পূর্ত বাবুদের কথা শুধু কথাই। আজ পর্যন্ত দপ্তর রাস্তা মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি। এনিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে প্রচন্ত ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। তাদের এই ক্ষোভ যে কোন সময় বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। এখন দেখার দপ্তর রাস্তা নির্মাণে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে কিনা তার দিকে তাকিয়ে আছেন সীমান্তবর্তী এস.কে পাড়ার শত শত জনজাতি।

You may also like

Leave a Comment