ধর্মনগর প্রতিনিধি।
কিছুসংখ্যক সরকারি কর্মচারীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এমন ভাবে প্রবেশ করেছে যে যতই ঘষামাজা করা হোক না কেন তাদেরকে সঠিকভাবে কাজ করানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ২৫ বছরে দুর্নীতির চূড়ান্ত এবং শাসকদলকে চাঁদা দিয়ে হাতে রেখে দিনের পর দিন এদের শরীরের চর্বি এমন মোটা হয়ে গেছে যে শত চেষ্টা করেও এদেরকে উৎকোচ ছাড়া কাজ করানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে তহশিলদার এবং রেভিনিউ ইন্সপেক্টর। মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘরে ঘরে সুশাসন এর প্রথম পর্যায়ে সম্পন্ন হয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের ২.০ এখন চলছে। তাই গ্রাম গঞ্জের পাশাপাশি ধর্মনগর পুরো পরিষদ এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে এখন চারটি চারটি ওয়ার্ড নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিবিআই প্রাঙ্গনে বিশেষ ক্যাম্প করে 29 এবং ৩০ নভেম্বর এই ক্যাম্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একই ছাদের নিচে সব ধরনের সরকারি সুবিধা মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে সরকারি এই পদক্ষেপকে কিছু সংখ্যক লোভী সরকারি কর্মচারীর কারণে ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। বিশেষ করে যারা জায়গা জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র ঠিক করানোর জন্য এসেছিল তাদেরকে ঠিক না করিয়ে প্রথম দিন দুর্নীতিগ্রস্ত ধর্মনগরের কিছু সংখ্যক তহশীলদার এবং রেভিনিউ ইন্সপেক্টর ঘুরিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে সাধারণ মানুষ পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকারের শরণাপন্ন হয়। স্বচ্ছ ভাব মূর্তির এবং ডাইনামিক চেয়ারম্যান কোনমতেই সাধারণ মানুষের সরকারি কাজে এসে পরিষেবা না পেয়ে ঘুরে যাওয়া সহ্য করতে পারেননি। তাই ৩০ নভেম্বর চেয়ারম্যান যেসব তহশিলদার এবং রেভিনিউ ইন্সপেক্টর এর কারণে সরকারি পরিষেবা থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয়েছে তাদেরকে কঠোরভাবে বলে দেন যেন সাধারণ মানুষ পরিষেবা নিতে এসে ঘুরে না যাতে হয়। তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার থেকে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মচারীর কারণে রাজ্য সরকারের মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে বিশাল কার্যক্রম তা নষ্ট করে দেওয়া যাবে না। তিনি দিনের কাজ দিনে সম্পন্ন করে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য কর্মচারীদের বলে দেওয়ার পর স্তব্ধ হয়ে পড়া সাধারন মানুষের কাজ ত্বরান্বিত হতে শুরু করে। উল্লেখ্য জায়গা জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে দুর্নীতির ক্ষেত্রে উত্তর জেলা সদর ধর্মনগর ইতিমধ্যেই শীর্ষস্থান অধিকার করে রাজ্যকে কলঙ্কিত করতে উদগ্রীব হয়ে পড়েছে। এই দপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের ভাবে মনে হয় এরা সরকার থেকে কোন ধরনের বেতন গ্রহণ করেন না তাই মানুষকে ঠকিয়ে কখনো প্রত্যক্ষ কখনও পরোক্ষভাবে উৎকোচের মাধ্যমে একেক জন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। আর দালাল রাজ চলছে তাদেরকে ভিত্তি করে। দিনের পর দিন অফিসে গেলে পরিষেবা পাওয়া তো দূর অন্ত, দালাল ধরে বাড়িতে গেলে বাড়তি টাকার বিনিময়ে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। যে কাগজ বছরের পর বছর বের হয় না দালাল ধরে দপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের বাড়িতে গিয়ে টাকার বিনিময়ে সব হয়ে যায়। বাম আমলের ট্রেডিশন বজায় রেখে এখনো ধর্মনগরের তহশীলদার এবং রেভিনিউ ইন্সপেক্টররা সাধারণ মানুষকে পর্যদস্ত করে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির মালিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের অভিমত যদি তাদের বিরুদ্ধে ভিজি লেন্স লাগানো হয় এবং প্রকৃত তদন্ত হয় তাহলে প্রত্যেকে কারাগারের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবে।
কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর বদান্যতায় সরকারের উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলি মানুষের উপকারে আসছে না।
174