খোয়াই প্রতিনিধি:-
শাসক দলের রাজ্য স্তরীয় বুথ স্বশক্তি করন সাংগঠনিক কার্যক্রমকে সামনে রেখে আজ খোয়াই জেলা সফর করলেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এই দিন খোয়াই এর একটি বেসরকারি হোটেলে সভাপতির পুরোহিত্বে আয়োজিত হয় এক সাংগঠনিক বৈঠক। উক্ত সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার খোয়াই জেলা সভাপতি পিনাকী দাস চৌধুরী , মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার এবং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা খোয়াই জেলার বুথ সশক্তি করণ কার্যক্রমের কো কনভেনার সমীর কুমার দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
বেলা চারটায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে বৈঠকের উদ্বোধন করেন প্রদেশ সভাপতি, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই মন্ডল, জেলা এবং রাজ্য কমিটির সদস্য সদস্যরা , বিভিন্ন মোর্চা কমিটির সভাপতিগন, পূর্ণাঙ্গ মন্ডল কমিটি, শক্তি প্রমুখ এবং বুথ সভাপতি গন সহ খোয়াই বিধানসভার অন্তর্গত প্রধান উপ প্রধান এবং পৌর পরিষদের নির্বাচিত সদস্য সদস্যগণ। মোট ১৪৯ প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। গত নির্বাচনে পরাজয় বিশ্লেষণ সহ সাংগঠনিক অবস্থান এবং আগামী দিনের সংগঠন কিভাবে শ্রী বৃদ্ধি করা যায় সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রদেশ সভাপতি দলীয় কার্যকর্তাদের নির্দেশ দেন। খোয়াই মন্ডলের বুথ স্বশক্তি করনের জন্য প্রদেশ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত দীপক মজুমদার সমেত জেলা সভাপতি বিস্তৃত বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি মানুষের সাথে থেকে মানুষের সমস্যা সমাধানে এবং কেন্দ্রও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে যেন সুচারুভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যেও নেতৃত্বরা গুরুত্ব আরোপ করেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক পরিকাঠামো সাজিয়ে তোলা হবে বলে নেতৃত্বরা আলোচনায় মতামত ব্যক্ত করেন। আজকের এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার।
রাজনীতি
প্রতিনিধি মোহনপুর:-বিজেপি দলের বোথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিকে সফল রূপ দিতে বিজেপি বামুটিয়া মন্ডল কমিটির উদ্যোগে কামালঘাট স্হিত দলীয় কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় সোমবার। এই প্রস্তুতি সভাতে কর্মসূচিকে সফল রূপ দেওয়ার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়।
২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বামুটিয়া বিধানসভার দলের পরাজয়ের পর দলকে ঢেলে সজাতে উদ্যোগ নিয়েছে নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে বামুটিয়া বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য কমিটির সদস্য বলাই গোস্বামীকে। তিমি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর নিয়মিত বামুটিয়া বিধানসভা এলাকায় মন্ডল কমিটি এবং শাখা সংগঠনগুলোর সাথে সভা করছেন। সোমবার কামালঘাটের এই সভাতেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। মূলত আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিধানসভা এলাকায় পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বিজেপি দল। সোমবার কামালঘাট ছিল দলীয় কার্যালয় বোধ সবষ্স্বতীকরণ কর্মসূচিকে সফল রূপ দিতে সংগঠনের নেতৃত্বদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন বলাই গোস্বামী। এছাড়াও মন্ডল সভাপতি বিজু পাল সংগঠনকে আরো মজবুত করতে এবং বুধ স্বস্তিকরণ কর্মসূচি কে সফল করতে আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। তেইশের লড়াইয়ে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এবার চব্বিশের রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। ত্রিপুরার দু’টি আসনেই জয় সুনিশ্চিত করতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে বুথ স্বশক্তিকরণের কাজ। জেলা পর্যায়ে বৈঠক করে বুথের সংগঠন আরও মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুথ স্বশক্তিকরণের রনকৌশল ঠিক করতে রবিবার সিপাহীজলা (উত্তর) জেলার কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশালগড় স্থিত জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এছাড়া ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ছন্দা দেববর্মা, বিজিত প্রার্থী হিমানী দেববর্মা প্রমুখ। জেলা কমিটির কার্যকর্তা, মোর্চার সভাপতিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ভারতমাতা, পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার পর শুরু হয় বৈঠক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানুষের কল্যাণ এবং রাষ্ট্র নির্মাণে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে। তাই মানুষের আস্থা অর্জন সম্ভব হয়েছে। ত্রিপুরা সরকার গত পাঁচ বছর কাজের স্বীকৃতি সরূপ বিপুল জয় পেয়েছে। দল শক্তিশালী হয়েছে। একসময় যে কার্যকর্তাদের মানুষ চিনত না। আজ তারা সমাজে পরিচিতি পেয়েছে। আজ তারা মানুষের জন্য কাজ করছে। শুন্য থেকে শুরু করে দল আজ বিশাল শক্তিশালী হয়েছে। কার্যকর্তাদের কঠোর পরিশ্রমে তা সম্ভব হয়েছে। এবার বুথে বুথে মজবুত সংগঠন গড়তে হবে। বুথে নেতা তৈরি করতে হবে। যারা মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। ২০২৪ সালে দু’টি আসনেই জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে এখন থেকে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব আজ রোববার বিকেলে ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহরে এসে দলীয় অফিসে এক সাংগঠনিক বৈঠক করেন।এই সাংগঠনিক বৈঠকে বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি পবিত্র দেবনাথ,কৈলাসহরের মন্ডল সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত, ঊনকোটি জেলা পরিসদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,প্রাক্তন বিধায়ক মবস্বর আলী সহ অন্যান্যরা।সাংগঠনিক এই বৈঠকে ঊনকোটি জেলার অধীনে থাকা ৫টি বিধানসভার মন্ডল সভাপতি,বিভিন্ন মোরচার জেলা পদাধিকারী ও দলীয় কার্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কৈলাসহরের পাইতুরবাজার এলাকায় অবস্থিত বিজেপি ঊনকোটি জেলা কমিটির অফিসে বিপ্লব কুমার দেব প্রায় এক ঘন্টা সময় বৈঠক করে আগরতলায় চলে যান। বৈঠক শেষে সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে বিপ্লব কুমার দেব জানান যে, মূলত ২০২৩ সালে দ্বিতীয় বারের মতো বিজেপি দলের সরকার প্রতিষ্ঠার পর ঊনকোটি জেলার দলীয় কার্যকর্তাদের সাথে দেখা হয়নি এবং ঠিক ভাবে কথাও হয়নি।তাই দলীয় কার্যকর্তা দের সাথে সৌজন্যমুলক সাক্ষাৎ করতে আসেন। তাছাড়া আগামী দিনে প্রতিটি এলাকায় প্রতিটি সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ অভিযান করা হবে।সে বিষয়ে বিস্তৃত ভাবে আলোচনা করেন এবং আগামী দিনে দলের কি কি রূপরেখা তৈরি করা হবে তা নিয়েও দলীয় কার্যকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। তাছাড়া গতকাল রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ কৈলাসহরে ঊনকোটি জেলা কমিটির যুব মোর্চার সভাপতি অরুপ ধর কি কারনে আক্রান্ত হয়েছেন, সে বিষয়ে স্থানীয় সংবাদ প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করা হলে বিপ্লব কুমার দেব জানান যে,উনি জেলা কমিটির সভাপতি আক্রান্ত হয়েছেন সেব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে স্পষ্ট ভাবেই বলেন।তবে আজ বিপ্লব কুমার দেবের এই সফর আগামীদিনে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে বলেই আশাবাদী সকলে।
‘আপনার সাহসকে কুর্নিশ জানাই’! সিবিআই সমন পাওয়া সত্যপালের পাশে দাঁড়ালেন কেজরীওয়াল
পুলওয়ামাকাণ্ড নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করার পরেই সিবিআই নোটিস পেয়েছেন তিনি। মোদী জমানায় জম্মু ও কাশ্মীর-সহ একাধিক রাজ্যের রাজ্যপালের পদে থাকা সেই সত্যপাল মালিকের সমর্থনে এ বার সরব হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল।শুক্রবার কেজরী বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল দেশ জোড়া এই ভয়ের বাতাবরণে নজিরবিহীন সাহস দেখিয়েছেন। দেশ তাঁর পাশে আছে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘যারা সিবিআইয়ের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে, তারা আসলে কাপুরুষ। ওরা অশিক্ষিত, দুর্নীতিগ্রস্ত, বিশ্বাসঘাতক। ওরা আপনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে না। আপনি এগিয়ে যান।’’
মোদী জমানায় জম্মু-কাশ্মীর-সহ চারটি রাজ্যের রাজ্যপালের পদে থাকা বিজেপি নেতা সত্যপাল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ তুলেছেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে পুলওয়ামায় সিআরপি-র কনভয়ে জঙ্গি হানায় ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যুর পরে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন। কারণ, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গাফিলতি, নিরাপত্তায় ফাঁক থাকার ফলেই কনভয়ে হামলা হয়েছে। কিন্তু সত্যপালের দাবি, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছিলেন, এটা অন্য বিষয়। সত্যপাল যেন মুখ বন্ধ থাকেন।
ওই সাক্ষাৎকারেই সত্যপাল আভাস দিয়েছিলেন, পুলওয়ামায় জওয়ানদের মৃত্যুকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগানো হয়ে থাকতে পারে। ঘটনাচক্রে, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘প্রথম বারের ভোটারদের বলছি, আপনাদের প্রথম ভোট পুলওয়ামায় যে সব বীর শহিদ হয়েছেন, তাঁদের নামে সমর্পিত হতে পারে!’’
লোকসভার হাউজ়িং কমিটির নির্দেশ মেনে তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো ছাড়লেন রাহুল
মার্চ মাসে নিম্ন আদালতের রায়ের পরেই মালপত্র সরানো শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার গুজরাতের সুরাত দায়রা আদালত ‘মোদী’ পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে সাজা বহাল রাখার পরেই সাংসদ হিসাবে পাওয়া দিল্লির বাংলো ছেড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী।ত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর ঠিকানা ছিল লুটিয়েন্স দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো। শনিবার সেই বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন ওয়েনাড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ। আপাতত মা সনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোই তাঁর ঠিকানা। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে ওই বাংলোটি বরাদ্দ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার জন্য। লোকসভার হাউজ়িং কমিটি শনিবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল রাহুলকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলো ছেড়ে দিলেন তিনি।শনিবার সকালে রাহুলের বাংলোয় গিয়েছিলেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা। দুপুরে তিনি আবার যান ১২ তুঘলক রোডে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। সে সময় তাঁর জন্য ওই বাংলোটি বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউজ়িং কমিটি। পদ হারানোর পরেই তা ছেড়ে দিলেন তিনি। রাজ্যসভার মেয়াদ দু’বছর আগে ফুরোলেও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়া গুলাম নবি আজ়াদ অবশ্য এখনও সরকারি বাংলোতেই রয়েছেন!২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। ওই রায়ের ভিত্তিতেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাতের দায়রা আদালতে রাহুল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
দীর্ঘ ৩৫ বছরের ওপর মাতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বুড়া দিঘী পশ্চিমপাড় এলাকার রাস্তাটি ভগ্নদশাই পরিণত । এর ফলে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই রাতের অন্ধকারে প্রায়শই গ্রামবাসীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় নানা গর্তে পড়ে । এর ফলে আহত হন দিনরাত। এলাকার মুমূর্ষ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে গাড়ি পর্যন্ত এলাকায় আসতে চায় না । তার ফলে সমস্যায় করতে হয় গ্রামবাসীদের কে । গ্রামীণ এলাকার রাস্তার এই সমস্যার কথা জানতে পেরে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় এলাকা পরিদর্শনে যান । তার সাথে ছিলেন মাতারবাড়ি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন অধিকারীক ও পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সহ গ্রামের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা । এদিন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় গ্রামীন এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট ঘুরে দেখেন সেই সাথে পানীয় জল থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক আলো ও বিভিন্ন জায়গায় যে সকল রাস্তায় বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে সে সকল রাস্তা গুলিকে খুব তাড়াতাড়ি আগামী কিছুদিনের মধ্যে যাতে ঝা চকচকে নতুন গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করে দেওয়া যায় সেই জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন মাতারবাড়ি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে । বিধায়কের দিন গ্রামবাসীদের কে কথা দেন আগামী কিছুদিনের মধ্যে গ্রামীণ এই এলাকাগুলিতে নতুন ভাবে রাস্তা তৈরি করা হবে যাতে করে গ্রামের সাধারণ মানুষদেরকে কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় । তাই আগামী দিনে গ্রামের সাধারণ মানুষ নতুনভাবে পেয়ে যাবে ঝা চকচকে সড়ক পথ । রাজনৈতিক মহলের অভিমত যেভাবে অভিষেক সমতল থেকে পাহাড় ও পাহাড় থেকে গ্রাম সমান্তরালভাবে উন্নয়নের ধারাকে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা আগামী দিনে বিরোধীদের কাছে এই মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে কোন কথা বলার জায়গা থাকবে না। যদি এইভাবে উন্নয়নের কাজ ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে তাহলে মাতারবাড়ি গড়ে উঠবে এই রাজ্যের বুকে এক নতুন দিশা ।
খড়্গের মতো নেতারা চাইলেই সময় পাবেন না, সনিয়া ডাকলে তবেই সাড়়া দেবেন মমতা, বলছে দল
কংগ্রেসের ডাকা বিজেপি-বিরোধী কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া বা কথা বলার ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। সেই সঙ্গে এটাও ঠিক যে মল্লিকার্জুন খড়্গে অথবা কে সি বেণুগোপালের মতো নেতারা চাইলেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় পাবেন না। তৃণমূলের শীর্ষ পর্যায়ের সূত্রের মতে, মমতা তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে এ কথা জানিয়েছেন যে এই নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার প্রশ্নই উঠছে না। সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের পুরনো। সনিয়া নিজে মমতার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তখন ভিন্ন কথা। আপাতত দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে খড়্গেরা যে ভাবে যোগাযোগ রাখছেন সেটাই চালু থাকবে। দিল্লিতে বৈঠক ডাকা হলে দল কোন সাংসদকে পাঠাবে তা নিয়ে বিবেচনা হবে। তবে আপাতত মমতার দিল্লি আসার কোনও কর্মসূচি নেই। তিনি রাজ্যের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৪ এপ্রিল।। ইসলাম ধর্মালম্বীদের রমজান উপলক্ষে ইফতারের আয়োজন করে বিশালগড়ের রাউৎখলা যুব সংস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে উত্তর রাউৎখলা মসজিদে আয়োজিত ইফতারে স্থানীয় রোজাদার মুসলমানরা উপস্থিত ছিলেন। রাউৎখলা যুব সংস্থার সভাপতি অনুপ সাহা, সম্পাদক সৈকত সাহা সহ ক্লাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদক সৈকত সাহা জানান প্রতিবছর রাউৎখলা যুব সংস্থার উদ্যোগে রমজান মাসে ইফতারের আয়োজন করা হয়। এক আনন্দঘন মুহূর্তের সাক্ষী থাকে সবাই। এবছরেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এখানে হিন্দু মুসলমান সকলে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছে। উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে। ইফতারে অংশ নিয়ে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৪ এপ্রিল।। চৈত্রের শেষ দিনেও ছিল তীব্র দাবদাহ। কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে চৈত্র মাসের শেষ দিনে বিশালগড় বাজারে কেনাকাটার ধুম লাগে। কাপড়চোপড়, পূজার্চনার আয়োজন, ফল সবজি সহ সকল দোকানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। চৈত্রের দুপুরে প্রখর রৌদ্রতাপে হাসফাস অবস্থা। পথচারী থেকে শুরু করে ক্রেতা বিক্রেতার জলতেষ্টা মেটানোর ব্যবস্থা করে বিধায়ক সুশান্ত দেব। শুক্রবার বিশালগড় নিউমার্কেট, ব্রীজ চৌমুহনী এবং মোটর স্ট্যান্ডে তিনটি জলছত্র বসানো হয়। দলের কার্যকর্তারা লেবুর সরবত খাইয়ে ক্রেতা বিক্রেতা পথচারীদের তেষ্টা মেটানোর চেষ্টা করে। বিধায়ক সুশান্ত দেব উপস্থিত থেকে পানীয় জল এবং সরবত বিতরণ করেন।