প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।৩রা মে।বিজেপি যূবমোর্চা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে তেলিয়ামুড়া মণ্ডল এবং তেলিয়ামুড়া যুবমোর্চার যৌথ উদ্যোগে সাপ্তাহ ব্যাপী একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়, এরই অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার বৃক্ষরোপণ ও পথচারীদের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয় তেলিয়ামুড়ায় । এদিন প্রথমে তেলিয়ামুড়া বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ করাহয়। এবং এর পর তেলিয়ামুড়া বাজারের পথ চলতি সাধারণ মানুষ এবং ছোট বড় ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাট করতে আসা মানুষের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় বিতরণ করা হয়। এই দুটি সামাজিক কাজে উপিস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি তথা রাজ্য বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত দেব তেলিয়ামুড়া যবমোর্চার মন্ডল সভাপতি কিংকর দেবনাথ, তেলিয়ামুড়া মন্ডল সহ-সভাপতি নীতিন কুমার সাহা, বিজেপি মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক নন্দন রায় গোপাল ব্রহ্ম, প্রজেশ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য মন্ডল এবং যুব মোর্চার নেতৃবৃন্দরা । এদিনের এই দুইটি কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন, বিজেপি দল এবং যুব মোর্চা অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা যুব সংঘটনের চেয়ে আলাদা নিতি আদর্শে বিশ্বাসী। মানুষের সেবা করাই এই সংঘটনের মূল লক্ষ। মানুষের সুখে দুঃখের সাথি হয়ে কাজ করে এই সংঘটন। তিব্র গরমে সাধারণ মানুষকে একটু শস্তি দিতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আজকের এই কর্মসূচী। এধরণের কাজে সমাজের সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এদিনের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যুব মোর্চার কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-গ্রীষ্মের এই তাপদাহের অসহ্য গরমে তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে ভারতের জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের নিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়।এই গ্ৰীষ্মে অসহ্য তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে । পথ চলতি মানুষ তৃষ্ণার্ত। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির আর কে পুর বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের নিয়ে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় জলছত্রের আয়োজন করেছেন। বুধবার গোমতী জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন টেপানিয়া রাস্তার মাথায় যাত্রী বিশ্রামাগারে স্থানীয় বুথ কমিটি গুলি, পঞ্চায়েত এবং জেলা আই টি সেলকে নিয়ে এক জলছত্রের আয়োজন করা হয়। অর্থমন্ত্রী নিজেএই জলছত্রে উপস্থিত থেকে বাসযাত্রী, পথচারী এবং অপেক্ষমান যাত্রীদের হাতে পানীয় এবং ফল তুলে দিয়ে তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। পাশাপাশি যতদিন এই তাপপ্রবাহ চলবে ততদিন এই বিধানসভা কেন্দ্রের সর্বত্র এই ধরনের জলছত্র চালিয়ে যেতে কার্যকর্তাদের নির্দেশ দেন।এই জলসত্রে মাননীয় মন্ত্রী শ্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় মহাশয়ের সঙ্গে গোমতী জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রী দেবল দেবরায়, টেপানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন শ্রীমতি ঝর্ণা দাস, জেলা আই টি সেলের আহ্বায়ক শ্রী গোবিন্দ ব্রহ্ম, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানগণ, বুথ সভাপতিগণ সহ স্থানীয় কার্যকর্তাগণ উপস্থিত থেকে পথচলতি মানুষের হাতে জল ও কাটা ফল তুলে দেন।
অসহিষ্ণ গরম যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে খানিকটা স্বস্তি দিতে পথে নামলো যুব মোর্চার এবং বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির নেতৃত্বেগণ।
সংস্কৃতির শহর খোয়াই এর নৃপেন চক্রবর্তী এভিনিউ এলাকায় সোমবার দুপুর ১ ঘটিকায় যুব মোর্চার খোয়াই শহরের কিছু উদ্যমী যুবকদের উদ্যোগে পথচারীদের তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তি দিতে যুব মোর্চা ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেবের অনুপ্রেরণায় আয়োজিত হয় এক জলছত্র কর্মসূচি। এদিনের এই জলছত্র কর্মসূচি খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ায় পথচারীদের অনেকটাই স্বস্তি মিলে। সেখানে ঠান্ডা পানিও হিসেবে শরবত ও তরমুজ বিতরণ করা হয়। এদিনের এই জলছত্র অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা যুব মোর্চা । তাদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়ান ভারতীয় জনতা পার্টি খোয়াই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস, খোয়াই মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ নাগ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ পরিমল দেবনাথ । এদিন খোয়াই জেলা সাধারণ সম্পাদক বলেন গ্রীষ্মের প্রখর দাবদহ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে যুব মোর্চার ছেলেদের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। পথ চলতি মানুষ, গাড়ির চালক, রিকশাচালক, পায়ে হাটা পথচারী, বিভিন্ন দূরপাল্লার গাড়ি , লরিচালক তারা সাদরে এসে এই ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ করে, তাতে করে তারা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় । তিনি আরো বলেন শুধুমাত্র যুব মোর্চা নয় এই গ্রীষ্মে র প্রখর দাবদাহ থেকে মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে যাতে অন্যান্য সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও যেন এগিয়ে আসে। এদিনের এই যুব মোর্চার সামাজিক কর্মসূচিকে ঘিরে কার্যকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিনিধি কমলাসাগর :-প্রতিনিয়ত রাজ্যের মধ্যে তাপমাত্রা বেরিয়ে চলেছে, গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। সকাল থেকে রাত অব্দি গরমে রাজ্যের জনগণ নাজেহাল অবস্থা তারমধ্যে অনেক মানুষ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছে তা একমাত্র দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে চত্বরে। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। এই গরম থেকে পথ চলতি মানুষদের তৃষ্ণা মেটাতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যুব মোর্চার উদ্যোগে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার এই অঙ্গ হিসেবে
কমলাসাগর যুব মোর্চার উদ্যোগে মধুপুর বাজারে পথ চলতি মানুষদের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় জল ও শরবত বিতরণ করেন। প্রখর রৌদ্র ও দাবদাহ গরমের মধ্যে পথ চলতি মানুষ সহ সাধারণ মানুষ যখন গরমে অতিষ্ঠ। তারই মধ্যে কমলাসাগর যুব মোর্চার কার্যকর্তাগণ পথ চলতি মানুষদের শরবত ও ঠান্ডা পানীয় জল পান করার মধ্যে দিয়ে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। পখর গরমে কাজের সন্ধানে ও নিত্যদিনের কাজকর্ম করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গন্তব্যস্থলে আসা যাওয়া করছে। দাবদহ গরম কেও উপেক্ষা করে মানুষ নিজেদের নিত্যদিনের কাজকর্ম অব্যাহত রাখছে। তাই কমলাসাগর যুব মোর্চা পথ চলতি মানুষদের শরবত ও ঠান্ডা পানীয় জলের গরম থেকে মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা। পানীয় জল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহী জেলার জেলা যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা উপস্থিত ছিলেন কমলাসাগর মন্ডল যুব মোর্চার সদস্য বিজয় দাস ও বাপন পাল, সহ কমলাসাগর যুব মোর্চার কার্যকরতাগণ।
লোকসভার দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজাতি সংরক্ষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ভোট গ্রহণ পর্ব।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পন্ন হল অষ্টাদশ লোকসভার দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজাতি সংরক্ষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ভোট গ্রহণ পর্ব। এই দিন উৎসবের মেজাজে খোয়াই জেলার ৩০৭ টি ভোটকেন্দ্রে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন গণদেবতারা। নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে সকাল থেকে অধিকাংশ বুথে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। ভোট কেন্দ্র গুলিতে ছিল কঠুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শাসকদল এবং বিরোধী দলের সমর্থকরা একই চায়ের দোকানে বসে হাসি ঠাট্টা করতে দেখা যায় এই দিন । ২৫ খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের ২১ নং বুথে ভোটদানের মাধ্যমে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন সিপিআইএম বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস। ২৫ এর ২৮ নং বুথে ভোট দান করেন বিজেপি খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার। ৪২ নং বুথে ভোট দান করেন বিজেপি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস। ৩৭নং বুথে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন খোয়াই এর বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক এবং অনিমেষ নাগ। রাজ্য সরকারের বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা আশারাম বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তুলা শিখর জামটিলা উচ্চতর বিদ্যালয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা বেলছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে ভোট দান করেন। তবে ভোটের দিন সাত সকালে দুন্দুমার কান্ড ঘটে যায় ২৫ খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের ১৪ নং পোলিং স্টেশনে। ভোট দান করতে গিয়ে ভীমরুলের আক্রমনে গুরুতরভাবে আহত হন বেশ কিছু ভোটার। এদের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করে খোয়াই দমকল বাহিনীর কর্মীরা নিয়ে আসে খোয়াই জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন খোয়াই জেলা হাসপাতালে। উক্ত ঘটনা ব্যতীত খোয়াই জেলার সার্বিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। তবে দুপুরের পর তীব্র দাবদাহের ফলে ভোট কেন্দ্র গুলিতে ভোটারদের লাইনে খানিকটা ভাটার টান পড়ে। অবশ্য রৌদ্রের কিরন খানিকটা কমতেই ভোটারদের ভিড় পুনরায় পরিলক্ষিত হয়। ভোটকে কেন্দ্র করে কোথাও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। জেলার ভোটারগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটদানে অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন খোয়াই জেলাশাসক তথা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক চাঁদনী চন্দ্রন। এই দিন ২৪ রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৭৩.১৪ শতাংশ। ২৫ খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮৫. ৫২ শতাংশ এবং 26 আশারাম বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার ৭২. ১৩ শতাংশ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-বুধবার বিকেল পাঁচটায় গোমতী জেলা বিজেপি অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সবিতা নাগ ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম দে সহ- প্রমুখ । সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার বলেন , সর্বভারতীয় কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে দলীয়ভাবে ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন । সেই ইস্তেহারে দেশের মানুষের সম্পত্তির উপর নজর দিয়েছে কংগ্রেস এই অভিযোগ করেন তিনি । তিনি বলেন , কংগ্রেস তুষ্টির ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে চাইছে । দেশ ও রাজ্যবাসীর কাছে কার কত টাকা এবং অর্থ রয়েছে সেই সাথে কতটুকু স্বর্ণ মহিলারা ব্যবহার করেন তার তথ্য তদন্ত হিসেবে বের করা হবে। এই ধরনের সিদ্ধান্তকে বিজেপি তীব্র ভাবে নিন্দা জানাই বলে সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার । এদিন একের পর এক আক্রমণের নিশানায় নেন কংগ্রেসকে । তিনি বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কাজ করেছে দেশের কল্যাণে তা দেশবাসীর প্রতি মুহূর্তে তার সুফল ভোগ করেছে। আগামী দিনে আরও বৃহত্তর ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে জেতানোর আহ্বান জানান তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ।
মন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক প্রচারের শেষ লগ্নে জোলাই বাড়িতে গেরুয়া ঝড়ে কম্পিত জনপদ।
প্রতিনিধি শান্তির বাজার : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃতি সিং দেব বর্মনের সমর্থনে সড়ক প্রচারে শেষ দিনে বিজেপি জোলাই বাড়ি মন্ডলের উদ্যোগ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে জোলাই বাড়ি বাজারে মন্ত্রীর নেতৃত্বে মহা মিছিল সংঘটিত হয়। বিজেপি আইপিএফটি তিপ্রা মথা্র মাথার মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেব বর্মনের সমর্থনে এই মহা মিছিল জোলাই বাড়ি বিজেপি মন্ডল কার্যালয় থেকে শুরু হয় বাজারের বিভিন্ন জনপদ পরিক্রমণ করে অবশেষে বাজার সভায় মিলিত হয়। এই মহা মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে কর্মীদের সঙ্গে পায়ে পা মেলালেন জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়কথা মন্ত্রী শুক্লাচরণ চরণ নোয়াতিয়া, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, বিজেপি জোলাইবাড়ি মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং, দক্ষিণ জেলা কৃষাণ মোর্চার সভাপতি সত্যব্রত সাহা জোলাই বাড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দত্ত সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া আলোচনা করতে গিয়ে বলেন পাহাড় সমতলে এখন চলছে মোদী হাওয়া । এই নরেন্দ্র মোদি হাওয়াতে লোকসভা নির্বাচনের পরে বিরোধীদের দূরবীন দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না বাম এবং কংগ্রেসকে। পাশাপাশি শ্রী মন্ত্রী আরো বলেন কথা দিয়েছি উন্নয়নের কথা রাখবো জনগণের জোলাই বাড়ি বাসির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত দাবি পূরণ করবে বিজেপি আইপিএফটি এবং তিপ্রা মথার্ এই জোট সরকার। বিজেপি সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত বলেন পাহাড় এবং সমতলের সমপরিমাণে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি উন্নয়নের গ্যারান্টিকে বাস্তবায়ন করতে আমরা এই রাজ্য থেকে দুটি পদ্মফুল উপহার দেব কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে আগামী ২৬ শে এপ্রিল পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন কৃতি সিং দেববর্মাকে এই আশা রাখছি গণদেবতাদের কাছে। জোলাই বাড়িতে বিধানসভা কেন্দ্রে আজকের এই নির্বাচনী মহা মিছিল কে কেন্দ্র করে বিজেপি আইপিএফটি কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রতিটি মন্ডল এর সাথে সাথে কৈলাসহরেও যোগদান পর্ব অব্যাহত রয়েছে।প্রতিদিন বামগ্রেস ছেড়ে শয়ে শয়ে লোক যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ যে ধারায় চলছে তার প্রতি আকর্ষিত হয় বিরোধী সমর্থকরা শাসক শিবিরে ভিড়ছেন।তার পাশাপাশি সিপিএম এবং কংগ্রেসের আদর্শহীন মিতালী মেনে নিতে পারছেন না নিচু তলার সমর্থকরা।আজ বিকেলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী কৃতি দেবী দেববর্মণের সমর্থনে কৈলাসহর বিধানসভার শ্রীনাথপুরে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সভায় শ্রীনাথপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম দলের দুজন পঞ্চায়েত সদস্য তোয়াকুল আলী এবং সুফিয়া বেগমের নেতৃত্বে ১০৮ পরিবারের ২৬১ জন ভোটার সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে সামিল হয়েছেন।এই যোগদান সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায়,সংখ্যালঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া,ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবশ্বর আলী,জেলা সম্পাদক অরুণ সাহা।উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কৈলাসহর মন্ডল সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত।
ধর্মনগর প্রতিনিধি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী মহারানী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে বাকপাসা মন্ডল কিষান মোর্চার আহবানে টঙ্গী বাড়িতে এক নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন কিষাণ মোর্চা প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ বরন রায়, মোর্চা প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস বিজেপি বাগপাশা মন্ডল সহ-সভাপতি প্রান্তুস সেন মন্ডল সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ কনক নাথ ইকবাল আহমেদ প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন কিষান মোর্চা বাগপাসা মণ্ডল সভাপতি নিত্যানন্দ দাস মহাশয়। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রান্তুষ সেন ইকবাল আহমেদ বিশ্বজিৎ কনক নাথ বীরেন্দ্র দাস প্রমূখ প্রধান অতিথির ভাষনে প্রদেশ কিষাণ মোর্চার সভাপতি মোদিজীর শাসনকালে ভারতের উন্নতির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি বিশেষ করে কৃষক সমাজের যে সুযোগ সুবিধা হয়েছে তার বিস্তৃত আলোচনা করেন। তিনি বলেন মোদিজীর শাসনকালে ভারতের 11.8 কোটি কৃষক বৎসরে 6000 টাকা হিসেবে সরাসরি সুবিধার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত 2.8 লক্ষ কোটি টাকা কিষান সম্মান নিধি বাবদ পেয়েছেন আমাদের এই রাজ্যে গত 6 বছরে ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে ত্রিপুরা 2 লক্ষ 49 হাজার 3 শত 39 জন কৃষক এখন পর্যন্ত 16 টি কিস্তির মাধ্যমে 684 কোটি 84 লক্ষ টাকা পেয়েছেন যা কংগ্রেস ও সিপিএমের শাসনকালে কৃষককে একটি পয়সাও দেওয়া হয়নি। ফসল বীমা যোজনা বাবদ ভারতের 48 কোটি কৃষক এখন পর্যন্ত 1.4 লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছেন। ফসল বীমা যোজনায় ত্রিপুরার 1লক্ষ 13 হাজার 547 জন কৃষক ক্ষতিপূরণ বাবদ 9 কোটি 42 লক্ষ 75 হাজার টাকা পেয়েছেন। 2014 পূর্বে ভারতের কৃষি বাজেট ছিল 27,049 কোটি টাকা যা 2023-24 এ মোদি সরকারের আমলে বেড়ে হয়েছ 1,25,036কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত বিজেপি সরকারের আমলে ত্রিপুরার1 লক্ষ 3323 জন কৃষকের নিকট হইতে সহায়ক মূল্যে 1 লক্ষ 92হাজার 50 মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে এ বাবদ আমাদের রাজ্যের কৃষক এর একাউন্টে সরাসরি 371 কোটি 39 লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি সভায় উপস্থিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কৃষক গণের উদ্দেশ্য বলেন মোদিজীর শাসন কালে ভারতে একটি ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার খবর নেই। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সবাই মোদিজির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ অধিক মাত্রায় পদ্মচিহ্নে ছাপ দেবেন। সভায় সংখ্যালঘুদের উপস্থিত ছিল লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে । ত্রিপুরার একটি আসনে ভোট শেষ হতে না হতেই আগামী ২৬ শে এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা আসনে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা ভোট । তার আগেই দলীয়ভাবে শাসক দল বিজেপি প্রচারে কোন অংশেই খামতি রাখতে নারাজ । পূর্ব ত্রিপুরার লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত ও তিপ্রা মথা, আইপিএফটি সমর্থিত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মনের সমর্থনে রবিবার দুপুরে ৪২ অমরপুর বিধানসভার ২১ নং বুথে দলীয় কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে এক জন সম্পর্ক অভিযান করেন ভারতীয় জনতা পার্টির গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় । এদিন বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযান করেন জেলা সভাপতি । জন সম্পর্ক অভিযানে চলার পথে ছোট ছোট আকারে সভা করে নেন তিনি । পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা সভাপতি বলেন , ২০২৩ সালের পর হিংসা মুক্ত নির্বাচন করে আরেকটি ইতিহাস তৈরি করেছে ত্রিপুরা । কিভাবে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা যায় সেটা এই সরকার করে দেখিয়েছে । কমিউনিস্ট – কংগ্রেসের কুশাসন রাজনৈতিক হিংসা এবং নির্বাচনোওর সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হয়ে এখন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরাবাসী । এর ফলে উন্নত হচ্ছে জনজাতিদের জীবনমান । সুশাসনের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে মোদি সরকারের একমাত্র ভরসা । লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে অমরপুরে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানে গিয়ে বললেন অভিষেক । এদিন দিনভর প্রচার করেন দলীয় কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে। যেভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী থেকে শুরু করে নেতৃত্ব প্রচার শুরু করেছে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের জন্য তাতে করে বিরোধীরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে শাসকের কাছ থেকে । এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।