প্রতিনিধি, উদয়পুর :- দেবী সতীর ৫১ শক্তি পীঠ প্রতিটি তীর্থস্থান গুলিকে অবিকল প্রতিরূপ গোমতি জেলার মাতারবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত বনদোয়ারে ২১ স্থানের সবগুলো তীর্থক্ষেত্র গুলিকে প্রতিরূপ স্থাপন করা হবে । যার ফলে পর্যটকরা একই স্থানে এসে সতী মায়ের একান্ন শক্তি পিঠের প্রত্যেকটি তীর্থস্থানের দর্শন করার সৌভাগ্য হবে । বুধবার বনদোয়ারে ৫১ শক্তি পিঠের অবিকল প্রতিরূপ স্থাপনের প্রস্তাবিত জায়গাটি রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী গোমতী জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় ও মাথাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন শিল্পী দাস , জেলার সহ -সভাধিপতি সুজন কুমার সেন এবং দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সরজমিনে পরিদর্শন করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । এদিন মন্ত্রী ঘুরে দেখেন গোটা এলাকাটি । বিধায়ক অভিষেক দেবরায় জানান , তিনি আশাবাদী এই পর্যটন কেন্দ্রটি তৈরি হওয়ার ফলে গোটা রাজ্যসহ গোমতী জেলায় পর্যটনের এক নতুন ফলক যুক্ত হবে এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচুর কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে বলে তিনি জানিয়েছেন ।
বিনোদন
এবছরের ব্যাপক
উৎসাহ উদ্দীপনা ও বিশেষ করে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে মহকুমার, কাঞ্চনপুর, দশদা, আনন্দ বাজার,,লালজুড়ি, জয়শ্রী ও রবীন্দ্র নগর, এলাকায় শ্যামা পুজো শান্তি পূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে। মহকুমার উল্লেখ যোগ্য ভাবে এবছর বড় বাজেটের পুজো করেছে রবীন্দ্রনগর সার্বজনীন কালীপূজা কমিটি, কাঞ্চনপুর মিলন সংঘ,নেতাজি ক্রীড়া সংঘ ও দশদার প্রগতি সংঘ। এছাড়াও আরক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘরেও পূজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর মধ্যে লক্ষ্য নিয় হচ্ছে এবছরের কাঞ্চনপুর মহকুমায় দেখা গেছে কোথাও পূজা মান্ডপ উদ্বোধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের এড়িয়ে প্রবীণ ও নবীনের মেল বন্ধনে এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাক্তিত্ব বা সংস্থার প্রবীণ সদস্যদের দিয়ে পূজো মন্ডপ উদ্বোধন করা হয়েছে। বিশেষ করে কাঞ্চনপুর মহকুমার সব থেকে পুরানো ক্লাব মিলন সংঘ ও দশদা বাজারের প্রগতি সংঘের পূজো কে কেন্দ্র করে এধরনের উদ্যোগ আগামী দিনে মহকুমার নতুন তাৎপর্য বহন করবে বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য
কাঞ্চনপুর মিলন সংঘের এবারের কালীপূজার উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ক্লাবের প্রবীণ নবীন সদস্যদের মিলন মেলার রূপ নিয়েছিল পুজো চত্বর। ৯০ বৎসরের প্রবীণ সদস্য থেকে ২৩/২৪ বৎসরের সদস্য সদস্যাদের মিলন মেলা যা গোটা রাজ্যে একটা নজির ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে । ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কাঞ্চনপুর মিলন সংঘের এবারের ৭১তম পুজোর উদ্বোধন করেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রায় ৯০ ছুঁই ছুঁই বছরের ভারতচন্দ্র বড়ুয়া। ছিলেন বিশেষ অতিথি বাবুল বিকাশ বড়ুয়া, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও মিলন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুধাংশু রঞ্জন সেন, অজিত কুমার সাহা ক্লাবের বর্তমান সভাপতি তাপসেন্দু নাথ, সম্পাদক মনোজ বড়ুয়া, বিশ্বজিৎ সাহা, বিজিৎ শর্মা, সহ নবীন ও প্রবীণ প্রজন্মের সদস্যরা।একই ভাবে কাঞ্চনপুর মহকুমার দশদা প্রগতি সংঘের পূজো মন্ডপ উদ্বোধন করেন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এলাকার প্রবীণ নাগরিক এশিয়ার সর্ববৃহৎ বেসরকারি সংস্থা স্বস্থি সমবায় সমিতির দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনিন্দ্র চন্দ্র নাথ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক নিহারেন্দু বিকাশ বড়ুয়া , সংঘের প্রাক্তন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজেন্দ্র চন্দ্র নাথ,পরিমল পাল,ও সংঘের বর্তমান সভাপতি নিশেন্দু চন্দ্র নাথ প্রমুখ । প্রগতি সংঘের এবছরে পঁয়ত্রিশ তম কালি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। নানা অনুষ্ঠান নাটক,নাচ, গান ও ওপেন কুইজের মাধ্যমে পূজোর অনুষ্ঠান সম্পুর্ন হয়েছে। নেতাজি ক্রীড়া সংঘের পুজোর উদ্বোধন করেন মহকুমা পুলিশ অফিসার সৌরভ ঠাকুর ও নেতাজি ক্রীড়া সংঘের সভাপতি রনজিৎ কুমার নাথ ও অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নেতাজি ক্রীড়া সংঘ কাঞ্চনপুর মহকুমায় ব্যাপকভাবে বেড়ে চলা মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নিয়েছে। মহকুমা পুলিশ অফিসার এবং নেতাজি ক্রীড়া সংঘের সভাপতি রনজিৎ কুমার নাথ গোটা কাঞ্চনপুর জুড়ে যে ভাবে মাদকে ছেয়ে যাচ্ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রনজিৎ কুমার নাথ বলেন কেবল পূজো ভিত্তিক ক্লাব করলে হবে না। অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় পূজোকে কেন্দ্র করে শত শত ক্লাব গজিয়ে ওঠে। পূজোর সময় বিনোদন উপভোগ করে সারা বছর কোন সামাজিক কাজে এদের দেখা মেলে না। সমাজকে সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে সামাজিক সংস্থার দায়িত্ব অনেক। কাঞ্চনপুর মহকুমায় মাদক ও ড্রাগসের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে শ্রী নাথ বলেন মাদকের বানিজ্য করে কেউ কেউ দালান বাড়ি প্রভূত সম্পদ শালী হচ্ছে। অন্যদিকে কাঞ্চনপুরের যুব সমাজ ধংস হচ্ছে। শ্রী নাথ এই বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন। মহকুমা পুলিশ অফিসার শ্রী ঠাকুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়াও কাঞ্চনপুর মহকুমার
রবীন্দ্র নগর সার্বজনীন কালীপূজা কমিটির এবারের ১৫তম পুজো ছিল নজরকাড়া পুজো। পুজোর উদ্বোধন করেন পুরোহিত শান্তনু চক্রবর্তী। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে রবীন্দ্রনগরে শ্যামা পুজো সম্পন্ন হয়েছে। এবারের শ্যামা পুজো উপলক্ষে কাঞ্চনপুর আরক্ষা প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার ফলে কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে অনুষ্টান সম্পূর্ন হয়েছে । এবছরের উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমায় শ্যামা পুজোর দিন গুলিতে সকল জাতি ধর্ম নির্বিশেষে অংশ গ্ৰহনে অনুষ্টানের আলাদা তাৎপর্য বহন করেছে মহকুমা বাসীর অভিমত। জানা গেছে কাঞ্চনপুর মহকুমায় ক্লাব এবং বিভিন্ন বাড়ি ঘরের পুজা মিলে মোট ৩৬টি পুজো হয়েছে ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৩ নভেম্বর।। আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘ বিশালগড় উপভুক্তির দিদিদের উদ্যোগে ভাতৃদ্বিতীয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুলের জাগৃতি গৃহে নানা মাঙ্গলিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে ভাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রভাত সঙ্গীত, অখন্ড কীর্তন, মিলিত সাধনা, গুরু পূজা এবং আলোচনা চক্র শেষে শুরু হয় ভাতৃদ্বিতীয়া। প্রচারক সংঘের দিদিরা বিশ্ব ভাতৃত্বের আহবানে ভ্রাতা মে চিরায়ুর্ভবতু মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে উপস্থিত সকল ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দেন। স্কুলের শিক্ষক, এলাকার সজ্জন ব্যাক্তিবর্গ সহ বিশালগড়ের সাংবাদিকরা আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের দিদিদের হাতে ভাইফোঁটা নেন। স্কুলের চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথ, প্রিন্সিপাল প্রাণগোপাল আচার্য সহ প্রচারক সংঘের দাদারা এই উৎসবে অংশ নেন। ভাতৃদ্বিতীয়া উৎসবের আহবায়ক মিষ্ঠু দেবনাথ, অনামিকা পাল সহ উপভুক্তির সুষ্মিতা দেবনাথ এবং সকল দিদিরা উপস্থিত ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে মঙ্গল কামনা করেন। শেষে মিলিত ভোজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৯ অক্টোবর:- ত্রিপুরা নাথ যোগী ফোরাম ধলাই জেলা কমিটির উদ্যোগে সোমবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন কমলপুর মহকুমার পূর্ব ডলুছড়া অঙ্গনওয়ারী সেন্টারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মূলত রুদ্রজ ব্রাহ্মণ পুরোহিতের ধলাই জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ক আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা নাথ যোগী ফোরাম ধলাই জেলা কমিটির সভাপতি কুমুদ নাথ ভৌমিক, কোষাধ্যক্ষ নিখিল দেবনাথ, ফোরামের স্টেট অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য বিমল দেবনাথ, সদস্য অশোক দেবনাথ প্রমুখ। সেখানে রুদ্রজ ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১৭ নভেম্বর পূর্ব ডলুছড়া পঞ্চায়েত অফিস প্রাঙ্গনে একদিনের রুদ্রজ ব্রাহ্মণ পুরোহিতের ধলাই জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সম্মেলনকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় ফোরামের জেলা সভাপতি কুমুদ নাথ ভৌমিক এবং আহ্বায়ক করা হয়েছে রাকেশ দেবনাথ’কে। এদিন ত্রিপুরা নাথ যোগী ফোরাম ধলাই জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জেলার সমস্ত নাথ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আহ্বান রাখা হয়েছে সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সম্মেলনকে সর্বাত্মকভাবে সফল করার।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-১৯৪৪ সালের ২৫শে অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া কৈলাসহর থানা এবছর ৮০ তম বর্ষ উদযাপন করছে ।স্থাপিত কালী মন্দিরেই হবে শ্যামা পূজা।৮০ তম বর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে ২৭শে অক্টোবর বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও ২৮শে অক্টোবর রক্তদান শিবির এবং স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় প্রায় একশত ছাত্র ছাত্রী এবং রক্তদান শিবিরে ৩৭ জন রক্তদাতা রক্ত দান করেছেন।পূজোর দিন মহা প্রসাদ বিতরণ ছাড়াও রয়েছে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠান।
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার এক সাক্ষাৎকারে বলেন প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।যেখানে পুলিশ,টিএসআর,স্থানীয় জনসাধারণ কৈলাসহর প্রেস ক্লাব ও কৈলাসহর ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশন রক্তদানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।আলোর এই উৎসবে সকলের মঙ্গল কামনা করেন তিনি।৩০শে অক্টোবর থানা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে জুনিয়র এবং সিনিয়র গ্রুপের মধ্যে দাবা প্রতিযোগিতা।৩১শে অক্টোবর কালী পূজার রাতে শ্যামাসঙ্গীত এবং বাউল গানের অনুষ্ঠান থাকবে।১লা নভেম্বর যোগা,নাটক, নৃত্যানুষ্ঠান,পুরস্কার বিতরণী সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে থানা প্রাঙ্গনে।এছাড়াও কৈলাসহর পুরাতন কালিবাড়ি,নতুন কালিবাড়ি,পানিচৌকি বাজারের দুর্গা মন্ডপ, কালীশাসন ভবতারিণী মন্দির,ছিন্নমস্তা কালী বাড়ি সহ বিভিন্ন ছোট ছোট ক্লাব ও পূজা কমিটি গুলো কালী পূজার আয়োজন করেছে। সব মিলিয়ে কৈলাসহরে শ্যামা বন্দনার আয়োজন সবাইকেই কাছে টানবে। আজকের এই রক্তদান শিবির এবং স্বাস্থ্য শিবিরের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভি ডার্লং,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার, ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী এবং এসিডিয়ার উৎপলেন্দু দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৬ অক্টোবর :- প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আমবাসা পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত হয় শারদ সন্মান ২০২৪ । এই উপলক্ষে শুক্রবার আমবাসা কালীবাড়ি সংলগ্নে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, ধলাই জেলা শাসক, আমবাসা মহকুমা শাসক সঞ্জিত দেব্বর্মা, আমবাসা পৌর সভার চেয়ারপারসন গোপাল সূত্রধর, আমবাসা ব্লকের বিএসি চেয়ারম্যান হেমানি দেববার্মা। সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে রেবতী ত্রিপুরা পুজোয় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এলাকার সবকটি ক্লাব ও পূজা উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বরাবরই আমবাসা দুর্গাপূজায় শান্তি ও সম্প্রীতি এবং বিজয়া দশমীর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। এই ঐতিহ্য আগামীদিনেও বজায় থাকুক, আশা ব্যক্ত করেন তিনি। পৌরসভার চেয়ারপারসন গোপাল সূত্রধর পুর পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৮টি ক্লাবকেই ধন্যবাদ জানান। তিনি আমবাসার সব পূজা উদ্যোক্তাদের এলাকায় শান্তি, সম্প্রতি বজায় রাখতে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এবারের আমবাসা শারদ সম্মানে ৫’টি বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ধলাই জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ৩’টি বিভাগে জেলার তিনটি সংস্থা’কে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। নেশা মুক্ত অভিযান সচেতনতার জন্য আমবাসা পল্লীমঙ্গল ক্লাবকে বিশেষ পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় ক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে।
সামাজিক কার্যক্রম সচেতনতার জন্য পুরস্কৃত করা হয় আমবাসা নবতরুন সংঘ কে। এছাড়াও স্বচ্ছ ভারত মিশন এর জন্য পুরস্কৃত করা হয় গন্ডাছড়া থানা’কে।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ২২শে অক্টোবর।তেলিয়ামুড়া তুইচিন্দ্রাই বাজার উৎসব কমিটি ৮৮ প্রহর (১১ দিন ) ব্যাপী হরিনাম সংকীর্তনের প্রাক মুহর্তে আজ ২২শে অক্টোবর ২০২৪ইং মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এক ভাব গম্ভীর পরিবেশে “ধর্মসভা” অনুষ্ঠিত হয়। এই ধর্মসভার
উদ্ভোধন করেন শ্রীমৎ রামানন্দ গোস্বামী, শ্রীশ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য আশ্রম, তেলিয়ামুড়া।বেদ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের কর্তৃক বেদ পাঠের মাধ্যমে এবং অতিথিবর্গ কর্তৃক মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে শুভারম্ভ করাহয়।
ধর্মসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী রায়, মাননীয়া মুখ্য সচেতক, ত্রিপুরা বিধানসভা, ত্রিপুরা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী, ভোলাগিরি আশ্রম, কুঞ্জবন, আগরতলা। শ্রীমৎ শ্যাম সুন্দর দাস কাঠিয়াবাবা, বড়জলা কাঠিয়াবাবা আশ্রম, আগরতলা।
শ্রীমৎ সনাতনদাস গোস্বামী, মহা-নির্দেশক, ত্রিপুরা রাজ্য গৌড়ীয় বৈষ্ণব মহামন্ডলী। শ্রীমৎ শ্যাম সুন্দর ব্রহ্মচারী, (ভক্তি শাস্ত্রী কীৰ্ত্তন শিল্পী) জগন্নাথবাড়ী, আগরতলা।
শ্রীমৎ স্বামী সচ্চিদানন্দ পুরী, তপোবন আশ্রম, আগরতলা। শ্রীমৎ শশীকান্ত পান্ডে, সংগঠন মন্ত্রী, বিশ্বহিন্দু পরিষদ, ত্রিপুরা প্রান্ত।
সভাপতি: শ্রী মন্টু ভৌমিক, সভাপতি, উৎসব কমিটি। আজকের ধর্ম সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় বলেন, আজ বিভিন্ন জায়গাতেই সনাতনী ধর্মের উপর নানান ভাবে আঘাত আসছে। এই সংকট মুহূর্তে সমস্ত সনাতনীদের আরো বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সনাতনীদের আরো বেশি করে ঐক্যবদ্ধ করতে এ ধরনের ধর্ম সভার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আরো বেশি করে ধর্মসভা আয়োজন করার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ধর্মগুরুদের প্রতি আবেদন রাখেন শ্রীমতি কল্যানি সাহা রায়। আজকের ধর্ম সভায় বহুদূর দুরান্ত থেকেও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
- প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া : – বর্তমান ডিজিটাল যুগে বাহারি ইলেকট্রনিক্স লাইটের বাজারে মাটির তৈরি প্রদীপের আলো খানিকটা ফিকে পড়ে গেছে। বর্তমান সময়কালে আগের মতো সারা বছর আর তেমন চাহিদা নেই মাটির তৈরি প্রদীপের, তবুও মৃৎশিল্পী’রা বুকে একরাশ আশা নিয়ে আজও তৈরি করে চলছে মাটির প্রদীপ।
বছরের একটাই দিন আলোর উৎসব দীপাবলি।মৃৎশিল্পীরা ব্যাবসা ভালো হবে এই আশা নিয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যাস্ত। কিন্তু মন্দার বাজারে তাদের ব্যাবসা কতটুকু ভালো হবে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তেলিয়ামুড়ার পৌর পরিষদ এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া। পালপাড়া তে রয়েছে ৩২ টি পরিবার। প্রতিটি পরিবারই মাটির সামগ্রি তৈরি করেই জীবন জীবিকা চালায়। সারা বছরই এই পরিবার গুলি শুকনো মাছের হাড়ি পাতিল, দইয়ের পাতিল সহ মেলার জন্য মাটির খেলনা বানায়। আর কয়েকটি রাত পোহালেই আলোর উৎসব দীপাবলি।
আলোর উৎসব দীপাবলি কে সামনে রেখে করিলং পাল পাড়াতে মৃৎশিল্পীরা এখন ব্যস্ত দীপাবলির জন্য মাটির প্রদীপ তৈরিতে। মৃৎশিল্পী স্বপন রুদ্র পালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের অন্যান্যরাও
আপন মনে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যাস্ত।
কথা প্রসঙ্গে মৃৎশিল্পী স্বপন রুদ্রপাল জানিয়েছেন,,বর্তমানে চাইনিজ রং বাহারি লাইট, চাকচিক্য পূর্ণতার বাজারে আগের তুলনায় অনেকাংশই কমে গেছে মাটির তৈরি প্রদীপের চাহিদা। তাছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রদীপ তৈরির মূল উপকরণ মাটি সহ প্রদীপ তৈরির আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম। স্বপন রুদ্রপাল আরো জানান, প্রতিবছরই এই সময়টাতে মাটির প্রদীপ তেলিয়ামুড়া বাজার ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জায়গা তে ও সরবরাহ করেন। এবছরও অন্যান্য বছর তুলনায় একটু বেশি হবে বলেই আশা ব্যক্ত করেন।
তবে বর্তমান ডটকম যুগে বাহারি লাইট’কে সামনে থেকে টক্কর দিতে প্রস্তুত মাটির তৈরি প্রদীপ। মৃৎশিল্পীদের আশা মাটির প্রদীপের মসৃণ আলো আলোকিত করুক জগত সংসার, ঘুছে যাক সমস্ত দুঃখ কষ্টের গ্লানি।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- গোমতী জেলার সদর উদয়পুরের উপকণ্ঠে মাতাবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হবে আগামী ৩১ শে অক্টোবর থেকে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী দেওয়ালি উৎসব ও মেলা । মেলা চলবে ২ রা নভেম্বর পর্যন্ত । তিন দিন ব্যাপী এই উৎসবকে সার্বিক রূপ দিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা । মন্দিরের গায়ে নতুন করে রং লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে । গোটা মন্দির চত্বর রং করা হবে । জানা যায় , মন্দিরের গায়ে নতুন রং লাগানোর দায়িত্বে রয়েছে পিডব্লিউডি দপ্তর । স্থানীয় বিধায়ক তথা মাতাবাড়ি মন্দির ট্রাস্টের সদস্য অভিষেক দেবরায় প্রতিদিন মন্দিরের আশপাশ এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছেন কিভাবে মেলাকে সৌন্দর্য রূপ দেওয়া যায়। জানা যায় , এই বছর মন্দির চত্বরে আধুনিকভাবে নানা আলোকমালায় সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । তাছাড়া মাতাবাড়ি লোকনাথ আশ্রম থেকে সুদৃশ্য আলোকমালার গেইট দিয়ে শুরু হবে মন্দিরে রাস্তা মূল ফটকে থাকবে নানা আলোকসজ্জা । এদিকে গোটা মন্দির এলাকায় প্রসাদ প্রকল্পে কাজ চলা কাজের খোঁজখবর নিচ্ছেন জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা । এবছর মেলা প্রাঙ্গণে বিশেষ করে কল্যাণ দিঘীর চার পাড়ে ও কল্যাণ দিঘিতে নতুন আলোক সজ্জায় সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে । দেওয়ালি মেলায় এই বছর পূণ্যার্থীদের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছে মেলা কমিটি । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ জনগণের অংশগ্রহণে মাতা বাড়িতে অনুষ্ঠিত দেওয়ালী মেলা বর্তমানে কেবলমাত্র একটি মেলায় নয় , ত্রিপুরার বহু বিচিত্র সংস্কৃতির সঙ্গমের একটি প্রকৃত চিত্র । ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের অপর আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো ভগবান বিষ্ণুর বিগ্রহ। এখানে ভগবান বিষ্ণুর বিগ্রহটি শালগ্রাম শিলা বা কষ্টিপাথর রূপে পুজিত হয় । শক্তি দেবীর সাথে কালী মন্দিরে কিংবা কোন শক্তি পিঠে ভগবান বিষ্ণুর বিগ্রহ এইভাবে পূজিত হওয়ার নিদর্শন কেবলমাত্র বিরলই নয় , এই উপমহাদেশের মধ্যে এক অনন্য বৈশিষ্ট্য । শক্তি ও বৈষ্ণব সংস্কৃতির এরূপ অনন্য সন্নিবেশ ও সঙ্গম এই মন্দিরকে কেবলমাত্র বিখ্যাত করেনি এই মন্দিরের তাৎপর্যকেও ব্যাপকভাবে মহিমান্বিত করেছে। বর্তমানে একান্ন শক্তি পীঠের অন্যতম ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির ভারতবর্ষের প্রাচীনতম মন্দিরগুলির মধ্যে এক অন্যতম স্থান দখল করেছে । এবছরের দেওয়ালী মেলা কে কেন্দ্র করে সেজে উঠছে মাতাবাড়ি ।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার :জনজাতিদের প্রতি অমানবিক একাধিক ঘটনার, এবং প্রতিবাদে আগামী ২৭ অক্টোবর প্রতিবাদ মিছিলে নামছেন কাউন্সিল অফ তিপ্রাসা হদা। এই প্রতিবাদ মিছিল কে কেন্দ্র করে আজ শান্তিরবাজার মহকুমা অন্তর্গত সালথাং মনু দখল সিং রিয়াং পাড়ায় সংগ্রংমা মন্দির প্রাঙ্গণে বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের দক্ষিণ জেলা কাউন্সিল অফ তিপ্রাসা হদার নেতৃত্বদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের প্রস্তুতি সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সাংগঠনিক সভায় জনজাতিদের একাধিক জনকল্যাণমুখী দাবির ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। জনজাতিদের একাধিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে আগামী ২৭ শে অক্টোবর প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হবে বীরচন্দ্রনগর বাজারে। আজকের এই কাউন্সিল অফ তিপ্রাসা হদার সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল আফ তিপ্রাসা হদার রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি খনারাম রিয়াং, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তিপ্রাসা হদার সংগঠনের দক্ষিণ জেলা কনভেনার সুনীল মুড়াসিং, রিয়াং সম্প্রদায়ের সমাজপতি খবারাম রিয়াং, ক্ষত্রিয় সমাজের সাধারণ সম্পাদক বিদু দেববর্মা, মক সম্প্রদায়ের সমাজপতি রোংলা মগ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।