প্রতিনিধি মোহনপুর:-এলাকাতে বিদ্যুৎ অনিয়মিত পরিষেবা নিয়ে কাঠগোড়ায় বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা। অভিযোগ সাব স্টেশন থেখৈ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতে চলে যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। ঘটনা হেজামারার বিদ্যুৎ সাব ডিভিশনের অধীন কাতলামারায়।
কাতলামারা এলাকায় পৃথক বিদ্যুৎ সাবস্টেশন স্থাপন হলেও পরিষেবার উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। এলাকার মানুষ হেল্পলাইন নাম্বার থেকে শুরু করে স্থানীয় বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে বহুবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে গভীর রাতে বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে গিয়ে এলাকার মানুষ দেখতে পান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে একজন নেশায় বিভোর। অবশেষে বহু উচ্চবাচ্যের পর এলাকাতে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু পুনরায় ভোরবেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এলাকাতে। এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন পুনরায় বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে গিয়ে দেখতে পান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী মলেন দেববর্মা এবং মেনশন দেববর্মা পাওয়ার বন্ধ করে বাড়িতে চলে গেছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে নিয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবি এই সমস্যার সমাধান করতে বিদ্যুৎ নিগম অতিসত্বর উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
দেশ
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- শুক্রবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড উদয়পুরের বিভিন্ন এলাকা। ধ্বজনগর ছাতারিয়া রোডে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে । তখন রাস্তায় কোনো মানুষ না থাকার ফলে খুঁটিটি সম্পূর্ণ রাস্তার ওপর উপরে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ। ঘূর্ণিঝড়ের সাথে সাথে উদয়পুর মহকুমার সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ দপ্তর । যেভাবে শুক্রবার সকাল থেকে গরমের তাপমাত্রা বেরিয়ে চলেছিল এর ফলে সাধারণ মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়ে। তীব্র গরমে নাজেহাল হয় জনজীবন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা রাতের ঝড় বৃষ্টিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে আসে জনমনে। বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া অনুযায়ী জানা গিয়েছে বহু জায়গায় ছোট বড় গাছ পড়েছে । আবার কোথাও ছোটখাটো ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই একদিকে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করে বৃষ্টি কে নিয়ে । আর অন্যদিকে এই বৃষ্টিকে উপভোগ করে প্রকৃতি প্রেমি সাধারণ মানুষ ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-প্রবল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক এবং সাই কম্পিউটার্সের কর্মীদের নিয়ে সম্প্রতি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় টিলাবাজারে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নবকুমার জমাতিয়া,ডিসিএম বিশ্বজিৎ দাস,ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগমের এসডিও প্লাবন দাস, সাই কম্পিউটার্স লিমিটেডের ডিজিএম হরিন্দর শর্মা,৬ নম্বর ফিডার ইনচার্জ আমন রায় ও অজয় কুমার এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব মহঃ বদরুজ্জামান এবং গিয়াস উদ্দিন আহমেদ সহ ৬ নং ফিডারের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নির্বাচিত সদস্যরা।এই বৈঠকটি মূলত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে থাকা ছয় নম্বর ফিডারের বৈদ্যুতিক সমস্যা নিয়ে হয়েছে।উল্লেখ্য,গত ১৬ই মে ৬ নম্বর ফিডারে শাটডাউন করা হলে ঘন্টা খানেকের মধ্যে পুনরায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এই সময় অব্দি অপেক্ষা না করে একাংশ যুবক কৈলাসহর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসের গাড়ী ভাঙচুর এবং বিদ্যুৎ কর্মীকেও শারীরিক নিগৃহীত করেছে।আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা।ফের ১৮ই মে উক্ত ফিডারে কাজ করতে গেলে সেই অঞ্চলের বিদ্যুৎ কর্মীদেরকে হুমকি ধমকি দেওয়ার ফলে তাদের নিরাপত্তা জনিত বিষয় নিয়ে কাজ বন্ধ রাখেন।এই সামগ্রিক বিষয় নিয়েই সেদিন সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয় যেখানে প্রশাসনের আধিকারিক সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।সেই বৈঠকে সাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয় ১৮ই মে রাত্রি ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং জঙ্গল কাটার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করতে হবে যাতে আগামী দিনে এ ধরনের সমস্যা না হয়।পাশাপাশি কর্মীর সংখ্যা এবং যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ানোর লিখিত দাবি চাওয়া হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। যথারীতি সাই কম্পিউটার্স কর্তৃপক্ষ সেই রাতেই ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করে এবং জঙ্গল কাটার কাজও শুরু হয়েছে যা আগামী ৩০শে মে’র মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,গত ২৬শে এপ্রিল বিধ্বংসী ঝড়ে প্রায় দেড়শ টিরও বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি মাটিতে পড়ে যায়।সেগুলো দু-তিন দিনের মধ্যেই ঠিকঠাক করে পরিষেবা চালু রাখতে সক্ষম হয়েছে কৈলাসহর বিদ্যুৎ বিভাগ।এই পরিষেবা খুব কম সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক করতে পারায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। পাশাপাশি এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে দাবী তোলা হয় টিলাবাজার স্কুল সংলগ্ন ১৩২ কেভি সাবস্টেশন খুব শীঘ্রই চালু করার জন্য।তাহলে বৈদ্যুতিক সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত হবেন ওই অঞ্চলের গ্ৰাহকরা।কেননা বর্তমানে যে ছয়টি ফিডার রয়েছে কৈলাহহরে তার মধ্যে সর্ববৃহৎ ফিডার হচ্ছে ছয় নম্বর ফিডার।কারণ এই ফিডারের সাথে কম করেও দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ যুক্ত রয়েছেন।প্রায় ৭৫ কিমি এলাকা নিয়ে এই ফিডার রয়েছে।২০মে গভীর রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় এই গরমকালে অনেকটাই কষ্টে রাত্রি যাপন করেছেন উত্তরাঞ্চল এলাকার মানুষ। যদিও আজ সকাল ১১টার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে।এই বিষয়গুলো নিয়ে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড কৈলাসহর বিভাগের ডিজিএম স্বপন দেববর্মার সাথে কথা বললে তিনি জানান বর্তমানে পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। টেকনিক্যাল কোন সমস্যা যেকোনো সময় হতেই পারে। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করেনা কর্তৃপক্ষ।বিপর্যয়ের সময়ে সবার সার্বিক সহযোগিতা থাকলে খুব কম সময়ের মধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-মৎস্য দপ্তরে সরকারি পুকুরে মাছের মড়কে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে এলাকায় । ঘটনা উদয়পুর অমর সাগর পশ্চিম পাড় এলাকায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , রবিবার দুপুরে অমর সাগর পশ্চিম পাড় এলাকায় মৎস্য তত্ত্বাবধায়কের অফিসের অধীনে থাকা দুইটি সরকারি পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছের মৃত্যু ঘটানো হয় । এর ফলের বিকেল থেকেই বহু মানুষ অনায়াসে সরকারি পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায় । কিন্তু সোমবার সকাল হতেই সম্পূর্ণ পুকুরের মধ্যে ছোট-বড় বহু মাছ পুকুরে জলের উপর ভেসে ওঠে । এর ফলে দুর্গন্ধ বের হয় গোটা এলাকা জুড়ে । পুকুরটিকে পরিষ্কার করা হয়নি দপ্তর থেকে। ফলে মৃত্যু হয় পুকুরে আসা এলাকার বিভিন্ন মানুষের গৃহপালিত হাঁসের । এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে এলাকাবাসীরা। তারা রীতিমতো স্তম্ভিত গোটা এলাকার মানুষ । মুহূর্তের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মৎস্য দপ্তরের সহ অধিকর্তা সুজিত সরকার ও মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক যদুলাল সাহা । কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন দপ্তর থেকে এলাকাবাসীদের কে জানানো হয়নি যে সরকারি পুকুরে মাছ নিধন করা হবে বিষ ঢেলে। তাদের গৃহপালিত হাঁস যেন পুকুরে না আসে। এই ধরনের কোন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি এলাকায়। আর এর ফলে ঘটে যায় বড় ধরনের বিপত্তি। পরবর্তী সময় এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানান , সাধারণ মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে সেসব ক্ষতি কিভাবে লাগু করা যায় সেই বিষয়ে দপ্তর সম্পূন্ন বিষয়টি দায়িত্ব সহকারে দেখছে এবং তিনি স্বীকার করেন দপ্তরের গাফিলতির জেরে এই ধরনের ঘটনা হয়েছে । গোটা ঘটনায় অমর সাগর পশ্চিম পাড় এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সাথে চাপা ক্ষোভ ছড়িয়েছে মৎস্য দপ্তরের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণের মধ্যে ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-রাতের অন্ধকারে উদয়পুর জগন্নাথ দীঘির পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে পার্কের ভেতরে ২৯ টি ছোট বৈদ্যুতিক লাইটের খুঁটি ভেঙে ফেলেছে দুষ্কৃতিকারীরা । তছনছ করা হয়েছে গোটা পার্কটি কে । ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাইটের খুটিগুলি । এই ঘটনা রবিবার সকালে দেখতে পায় প্রাত: ভবনে বের হয়ে পুর নাগরিকরা । কেন এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে রাতের অন্ধকারে তা বুঝে উঠতে পারছে না শহরবাসী । যেভাবে একের পর এক পার্কের সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে তাতে একেবারে সন্ধিহান শহরের সমস্ত অংশের জনগণ । এই ঘটনা বিষয়ে জানতে পেরে রবিবার সকাল দশটা নাগাদ পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পার্কের ভেতরে এই ধরনের ঘটনার বিষয় নিয়ে কথা বলেন পার্কের দায়িত্বে থাকা পৌর কর্মচারীদের সাথে। চেয়ারম্যান জানতে চান কিভাবে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে এবং কখন হয়েছে । গোটা বিষয় নিয়ে রাধা কিশোরপুর থানার ওসি বাবুল দাসের নিকট টেলিফোনের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তিনি জানান লিখিতভাবে ও মামলা দায়ের করা হবে থানায়। রাতের পুলিশি টহলদারি যেন দেওয়া হয় পার্কের চারিদিকে এই বিষয়ে চেয়ারম্যান থানার ওসিকে জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি । এবার প্রশ্ন উঠছে কেন সমাজদ্রোহীরা এই ধরনের জঘন্যতম ঘটনা সংঘটিত করছে প্রতিনিয়ত পার্কের ভেতর। চেয়ারম্যান প্রশ্ন তোলেন তাহলে কি উন্নয়নকে সহ্য করতে পারছে না সমাজদ্রোহীরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাধাকিশোরপুর থানা রাতে পুলিশি টহলদারি নিয়ে । সূত্রের দাবি , পার্ক উদ্বোধন করার আগে এই পার্কের নিরাপত্তা এবং রাতের টহল নারীর জন্য ত্রিপুরার স্টেট রাইফেল প্রতিনিয়ত তার ভেতরে পাহারা দেওয়ার জন্য থাকতো কিন্তু একটা সময় থানার ওসি বাবুল দাস পাহারা দেওয়ার জন্য যে টি এস আর কর্মীরা ছিল । তাদেরকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারপরেই ঘটে এই ধরনের ঘটনা। অপরদিকে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তোলেন একদিকে যেমন এই ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় অন্যদিকে পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পৌর কর্মচারীদের গা হেলামির কারণে গোটা জগন্নাথদিঘী চারদিকে যেমন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে অন্যদিকে নিরাপত্তার বিষয়টিও সেভাবে না দেখার কারণে এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন পুরবাসী। এখন দেখার বিষয় পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে পারে কিনা ? সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে পৌর পরিষদ থেকে শুরু করে উদয়পুর শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ । গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন পৌর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পুর নাগরিকরা ।
নিজস্ব প্রতিনিধি , আগরতলা : আগরতলা আমতলী বাইপাস রোড সংলগ্ন স্থানে চালক নেই তো, পরিবহন নেই, জয় জওয়ান, জয় কিষান, জয় ড্রাইভার, জয় সারথি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সকল গাড়ি চালক ও পথচারীদের মধ্যে শরবত বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সর্ব কল্যাণ চালক সংঘের ত্রিপুরা গোমতী জেলা সভাপতি শাহজাহান মিয়া, ত্রিপুরা উত্তর জেলা সভাপতি শিবা পাল, আগরতলা সর্ব কল্যাণ চালক সংঘের কার্যকর্তা নৃপেণ শীল, সজল দেবনাথ, উত্তম দাস সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে সকল গাড়ি চালকরা জানিয়েছেন, বিশ্বে সব দিবস পালিত হয়, কিন্তু ড্রাইভারদের কোন দিবস পালিত হয় না। তাই ড্রাইভার দিবস পালনের জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার নিকট দাবি জানিয়েছেন সকল ড্রাইভাররা। ড্রাইভাররা তাদের লরি নিয়ে অনেক জায়গাতে যান, কিন্তু ড্রাইভারদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হয় না। তাছাড়া লরিতে রান্না করে ড্রাইভাররা খাবার খেয়ে রাত্রিযাপন করে। কোন ড্রাইভার যাতে নেশায় আসক্ত হয়ে গাড়ি না চালান সকল ড্রাইভারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সর্ব চালক কল্যাণ সংঘের ত্রিপুরা গোমতী জেলা সভাপতি শাহজাহান মিয়া। তাছাড়া, কোন ড্রাইভারের মৃত্যু হলে মৃত্যুবীমা চালু করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- স্ত্রী এবং ছেলে মিলে পিটিয়ে খুন করল হরিবল বিশ্বাসকে। ঘটনা লেফুঙ্গা থানার অন্তর্গত দমদমিয়া এলাকায়। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্য গ্রেফতার অভিযুক্তরা। জানা গেছে ছেলের বাইকের প্রিমিয়াম না দেওয়ায় পিতাকে পিটিয়ে খুন করেছে ছেলে।তাতে সহযোগিতা করেছে তাঁর মা।
বিলাসিতা করে ঋণ নিয়ে বাইক কিনেছিল সুমন বিশ্বাস। শ্রমজীবীর কাজ করতো সে। বাইক কেনার পর নিয়মিত প্রিমিয়াম দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁকে। তাঁর বাবা হরিবল বিশ্বাস লাকড়ি বিক্রি করে সংসার প্রতি পালন করেন। এই অবস্থাতে পরিবারে আর্থিক অনটনকে কেন্দ্র করে সমস্যা লেগেইছিল। প্রতিনিয়ত হরিবল বিশ্বাসের উপর তাঁর ছেলে এবং স্ত্রী মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করত বলে অভিযোগ করলেন মৃতের দুই ভাই পরিমল বিশ্বাস ও দিলীপ বিশ্বাস। তাঁরা আরো জানান বুধবার সন্ধ্যা রাতে মা এবং ছেলে মিলে হরিবল বিশ্বাসকে অল্প বিস্তর মারধর করেছিল। এই খবর পেয়ে দুই ভাই বৌদি এবং ভাইপোকে বুঝিয়ে আসে তাঁদের ভাইকে মারধর না করার জন্য। এমনকি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথেই মারধরের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে মাথায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী আলপনা বিশ্বাস এবং ছেলে সুমন বিশ্বাস পিটিয়ে খুন করেছে হরিবলকে। ঘটনা সংগঠিত করার পর রাতেই পালিয়ে গেছে অভিযুক্তরা। সকালে ঘটনা খবর পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লেম্বুছড়া ফাঁড়ির পুলিশ। আসে লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। আনা হয় ডগ ক্সোয়াড ও ফরেনসিক টিম।লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস জানান ছেলে সুমন বিশ্বাসের বাইকের প্রিমিয়াম দেওয়ার জন্য তাঁর বাবার কাছে পয়সা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় হরিবল বিশ্বাসকে মারধর করে ছেলে এবং মা। তাদের আক্রমণেই খুন হয়েছে হরি বল। পরবর্তী সময়ে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ বিশালগড় থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি সহদেব দাস।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। দুর্নীতির ভগ্নোৎসবে মেতেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। ইট বালি পাথর কয়লা চাল কম্বল ত্রিপল গরু সবই হজম করছে তৃণমূলের নেতারা। চাকরি দুর্নীতির কথা বলে লাভ নেই। জেল খাটছে শিক্ষা মন্ত্রী প্রার্থ, খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। গরু পাচার কান্ডে জেলে বীরভূমের নেতা অনুব্রত । চিটফান্ড, রোজভ্যালি, সারদা নারদা কলঙ্কিত করেছে পশ্চিম বঙ্গকে। সন্দেশখালির লজ্জা জনক কান্ডে মুখ পুড়েছে বঙ্গের। রীতিমতো হরিরলোট চলছে। সাধারণ মানুষ বঞ্চনার জাতাঁকলে পিষ্ট। অত্যাচারিত বঙ্গের নারী জাতি। এসবের প্রতিকার চায় বঙ্গবাসী। তাই চব্বিশের মহারণে দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলকে উৎখাতের সংকল্প নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। চলছে প্রচার। এতে অংশ নিয়েছে ত্রিপুরার বহু নেতা মন্ত্রী বিধায়ক।
বাংলায় ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির পর্দাফাঁস করলেন যুবমোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি তথা বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব। পশ্চিম বাংলার ঝাড়গ্রামে বিজেপির হয়ে প্রচার এবং সাংগঠনিক কাজ করছে বিধায়ক সুশান্ত দেব। চষে বেড়াচ্ছেন ঝাড়গ্রামের অলিগলি মেঠোপথ। ঝাড়গ্রাম মূলত কৃষিজীবী শ্রমজীবীর বসবাস। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে চলছে সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি। সেখানে প্রচারে গিয়ে তৃণমূল সরকারের গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের ব্যপক দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর বিধানসভার সর্ডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শ্যামকিশোরপুর থেকে ইন্দ্রডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ৬৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৪৯ টাকা। কাগজেপত্রে রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন করেছে তৃণমূলের লোটেরা বাহিনী। রাস্তায় সাইনবোর্ডও লাগানো হয়। কিন্তু সেই রাস্তায় একটি ইট কিংবা কংক্রিটের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। ভিডিও প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ করলেন ত্রিপুরার বিধায়ক সুশান্ত দেব। পশ্চিমবঙ্গ সকারের পথশ্রী প্রকল্পের অন্তর্গত এই রাস্তাটির তত্বাবধানে ছিল ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি। কিন্তু ৬৪ লক্ষের এই রাস্তাটিতে একটি ইটও খুঁজে পাওয়া যায়নি । বরাদ্দকৃত অর্থ গিলে খেয়েছে তৃণমূলের নেতারা। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান সারা বাংলায় এ অবস্থা চলছে। চরম দুর্নীতি চলছে। মানুষের ওপর অত্যাচার চলছে। বাংলার মানুষকে অধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে বিজেপি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর আস্থা রাখতে চলেছে বঙ্গের জনতা। এমনই দাবি করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
আটচল্লিশ ঘন্টা হয়ে গেল ৭২ ঘণ্টার পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। ৭২ ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেছে অর্থাৎ রবিবারে ঝটকা হওয়ার পর যে বিদ্যুৎ গোলযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তার তিনদিন হয়ে গেল। ৭২ ঘন্টা বা 96 ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ গোলযোগ সারাই করার সম্ভাবনা বলেছে কর্মকর্তারা। জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নাথ ত্রিপুরা জানান বিদ্যুৎ দপ্তরের হাফলং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বীরেশচন্দ্র পাড়াতে যে বিদ্যুৎ গোলযোগের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে অর্থাৎ প্রায় ১০টি পিলার ভেঙে গেছে এই পিলার গুলি সাড়াই করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ গোলযোগ সাড়াই করা যাবে না। এখন বিদ্যুৎ দপ্তর খবর পেয়েছে আম বাসায় আট দশটি অতিরিক্ত খুঁটি রয়েছে। এই খুঁটি এসে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। রবিবার দুপুরে ঝটকা হাওয়ায় বৈদ্যুতিক মনযোগ ছিন্ন হয়ে গেলেও আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ আরো ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা লেগে যেতে পারে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে। অথচ মিশ্র জনজাতির বসবাস প্রায় ১০০ টি পরিবার রয়েছে এই এলাকায় এবং তাদের মূল ভরসা বিদ্যুৎ সংযোগ। একদিকে যেমন রাতের অন্ধকারে প্রচন্ড গরম সহ্য করে বিদ্যুৎ নেই বলে চালিয়ে যেতে হচ্ছে তেমনি পানীয় জলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা হচ্ছে না, তাই লোকেরা নদী নালা ডোবার জল দিয়ে কোন মত তাদের আহারনিদ্রা ভয় পরিচালিত করছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের অবহেলার চিত্র ফুটে উঠল তাদের বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে। প্রায় ৭২ ঘন্টা অতিক্রম হওয়ার পরে বিদ্যুৎ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নাথ ত্রিপুরা জানালেন এখানকার কয়েকটি খুঁটিয়ে ভেঙে গেছে এই খুঁটিগুলি মেরামত না করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। এখন আমবাসা খবর জেনে পাঠিয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসতে পারে নতুবা ৯৬ ঘন্টা লাগবে বিদ্যুৎ আসতে। এরা কি স্বাধীন ভারতের নাগরিক নাকি পরাধীন ভারতের ব্রিটিশ শাসিত বোঝা দুষ্কর ব্যাপার। তার চেয়ে বিদ্যুৎ নিগম সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছুটা হলেও ভালো ছিল এখন সম্পূর্ণ প্রাইভেট হওয়ায় মানুষের দুর্গতির এক শেষ হিসাবে পর্যবেষিত হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। হায়রে বিদ্যুৎ সংযোগ ,হায়রে ভারতবাসি।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-পানীয় জলের সমস্যা যেন একটি নিত্যদিনের সমস্যা ছিল বিগত বাম সরকারের আমলে। বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যে পানীয় জলের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বর্তমান সরকার গ্রামীন এলাকায় ৩,৫৯,১৫৮ এবং শহর এলাকায় ১০,৪৭৪ টি টেপ এর মাধ্যমে জল সংযোগ দিয়েছে । ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি বিগত চার বছরে (২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ ) ১,৩২৩ টি গভীর নলকূপ বসিয়েছে । এর মধ্যে ৪৯৭ টি গভীর নলকূপ চালু করা হয়েছে । তাছাড়া ২,০৮৩ টি স্মল বোর ডিপ টিউবওয়েল চালু করা হয়েছে । পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে জল সংকট ছিল। কিছুদিন আগেই পানীয় জলের জন্য মহিলারা রাস্তা অবরোধ করে। এবার সে জলের সমস্যা দূরীকরণের জন্য। বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া নতুন করে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পানীয় জলের মেশিন বসানোর কাজ পরিদর্শন করেন। রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যাতে করে পানীয় জলের সমস্যা সমাধান হয় এই এলাকা জুড়ে। মঙ্গলবার দুপুরে বিধায়ক নিজে পরিদর্শন করেন পানীয় জল বসানো সেই মেশিনের জায়গাটি। তাতে করে খুবই খুশি গ্রামবাসীরা ।