শান্তিরবাজার : ঘটনার বিবরনে জানাযায় গত ২৯ শে এপ্রিল শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত সালথাং মনু এডিসি ভিলেজের নবকুমার ত্রিপুরা তৈলাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা ধনঞ্জয় ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকজন শাখবাড়ীর বাসিন্দা মানজিৎ ত্রিপুরা ও আভাংছড়ার বাসিন্দা জ্যাকব ত্রিপুরার হাত ধরে কাজের সন্ধানে বহিঃ রাজ্যে পাড়ি দেন। জানা যায় গরিব হলেও পাড়ার মধ্যে সকলের প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন ধনঞ্জয় , গ্রামের সকলের প্রিয় যুবকটি এই অবস্থা দেখে এলাকার মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। সকলে চাইছেন তাদের প্রিয় ধনঞ্জয় কে যাতে ঘরে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন এবং সরকারের সহযোগিতা । জানা যায় নিখোঁজ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার
দুটি সন্তান রয়েছেন একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে, সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন ধনঞ্জয়।পরিবারের লোকজনের অভিযোগ গত ৩ রা মে ধনঞ্জয় ত্রিপুরার সঙ্গে শেষবারের মতো কথাহয়েছে ফোনের মাধ্যমে। তারপরথেকে তিনি নিখোঁজ বলে জানান। ধনঞ্জয় ত্রিপুরা চেন্নাই শহরের কোয়েনবাটু রেলষ্টশন থেকে নিখোঁজ হয়েপরে বলে জানাযায়। ধনঞ্জয় ত্রিপুরা একটি প্রধানমন্ত্রী আবাস জোজনার ঘর পেয়েছে। এই ঘরটি সঠিকভাবে নির্মানকরতে ও পরিবারের লোকজনদের সঠিকভাবে লালন পালন করতে এবং আর্থিকভাবে আরও বেশি উন্নতি লাভের লক্ষ্যে বহিঃরাজ্যে পারিদেন বলে জানা যায়। কিন্তু বহিঃরাজ্যে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়েপরেন বলে পরিবারের লোকের অভিযোগ। পাশাপাশি বহু দিক থেকে যোগাযোগ করতে চাইলেও ধনঞ্জয় ত্রিপুরার সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ না করতে পারায় উনার পরিবারের তরফ থেকে শান্তির বাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এই ধরনের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই খবর পেয়ে উনার বাসভবনে ছুটেযান আই পি এফ টির রাজ্য কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটার মানিক ত্রিপুরা, আইপিএফটি শান্তিরবাজার ডিভিশনাল কমিটির অফিস সেক্রেটারি জ্যোতি লাল রিয়াং সহায় প্রতিনিধি দল। উনারা নিখোঁজ ব্যক্তিকে খোঁজে পেতে সাহায্যের হাতবারিয়ে দেওয়ার আশ্বাস প্রদানকরেন। পাশাপাশি মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার গোচরে নিয়ে বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে নিয়ে আসার পতিশ্রুতি প্রদানকরেন। আই পি এফ টির কর্মীসমর্থকদের কাছে পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে পরিবারের লোকজনেরা।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, উদয়পুর:-বিলোনীয়া বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মরত লিটন রুদ্রপাল মাইছড়া এলাকায় বিদ্যুৎতের খুঁটিতে উঠে কাজ করারসময় দপ্তরের কর্মীদের খামখেয়ালীপানয় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ বিদ্যুৎ কর্মী লক্ষন ও অসীমের খামখেয়ালীপনায় লিটন রুদ্রপাল প্রান হারায়। লিটন রুদ্রপাল যখন বিদ্যুৎতের খুঁটিতে উঠে তখন কোড নাম্বার সহ বিদ্যুৎতের সাটডাউন নেওয়াহয়। কিন্তু কাজ সমাপ্তি হওয়ার আগে লক্ষন ও অসীমের কথায় বিদ্যুৎতের সংযোগ দেওয়াহয়। এতেকরে লিটন রুদ্রপাল বিদ্যুৎতের সংযোগে এসে খুঁটি থেকে পরে যায়। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে লিটন রুদ্রপালকে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে দপ্তরের কর্মীরা লিটন রুদ্রপালের পরিবারের লোকজনেরহাতে ১০হাজার টাকা আর্থিক অনুদান তুলেদিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন। পরবর্তী সময় লিটন রুদ্রপালকে চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে লিটন রুদ্রপাল মৃত্যুর মুখে ঢলে পরে । লিটন রুদ্রপাল শান্তির বাজার মহকুমার বেতাগা এলাকার বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তিনি উনার মা, সহধর্মীনি, একটি ১৩ বছরের ছেলে ও ৯ বছরের কন্যাসন্তানকে রেখে গেছেন। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ লিটন রুদ্রপাল একজন হেল্পার হওয়া সত্বেও লাইনম্যান প্রতিনিয়ত উনাকে দিয়ে ঝুকিপূর্ন কাজ করাতেন। এখন পরিবারের লোকজন ও এলাকার লোকজন চাইছে রাজ্য সরকার ও বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী যেন পরিবারের লোকজনের মুখে দুমুঠো অন্নতুলে দিতে সাহায্যের হাত বারিয়ে দেয়। পরিবারের একজনের কর্মসংস্থান করার দাবী তুলছে এলাকাবাসী । এইদিকে লিটন রুদ্রপালের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৯ মে:- ডুম্বুর নগর আইসিডিএস প্রজেক্টের সিডিপিও’র নিকট পাঁচ দফা দাবি সনদ বৃহস্পতিবার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ডেপুটেশন প্রদান করেন। দাবি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- প্রতি মাসে মাসে ফিটিং বিল প্রদান করতে হবে, গত পাঁচ মাসের বকেয়া ফিটিং বিলের টাকা প্রদানের জন্য নির্ধারিত তারিখ দিতে হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকা’দের ড্রেসের পরিবর্তে টাকা প্রদান করতে হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা কোনো কারণে অসুস্থ বা মৃত্যু হলে তাদের পরিবারের যেকোনো একজনকে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে গত তিন মাস যাবত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে, এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে দিদিমনিদের খোলা বাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে গ্যাস ক্রয় করতে হয়, তাই অতি দ্রুত তিন মাসের গ্যাসের টাকা বিলের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। সিডিপিও সাহেব তাদের দাবিগুলির যুক্তিকতা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আশ্বাস দেন। এদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা জানান তাদের দাবিগুলো পূরণ করা না হলে আগামী দিনের বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত করা হবে।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৮ মে:- একটি রাস্তাই শত শত গিরিবাসী’দের জীবনযাত্রার মান পাল্টে দিয়েছে। এখন খুব অনায়াসে এ রাস্তা ধরে জুমিয়ারা জুমের উৎপাদিত ফসল হাট-বাজারে নিয়ে যেতে পারবে, এমনকি অসুস্থ রোগীদের গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছে। অথচ একটি রাস্তার জন্য সেখানকার জনজাতিদের দীর্ঘ বছর লড়াই আন্দোলন করতে হয়েছিল। অবশেষে বর্তমান সরকার সেখানকার ভূমিপুত্র’দের দুঃখ দুর্দশা দূরীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নেয়। বলছিলাম গন্ডাছড়া রোহিদা পাড়া এবং রামকুমার চৌধুরী পাড়ার জনজাতিদের কথা। জানা যায় গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর থেকে রোহিদা পাড়ার (গন্ডাছড়া-আমবাসা) রাস্তার মুখ থেকে রামকুমার চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। রাস্তার কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সঞ্জিব প্রসাদ এবং তার পার্টনার রবি ত্রিপুরা কাজের গুনগত মান বজায় রেখে দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করে। এ রাস্তা নির্মাণে বের করা হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। দপ্তরের এসডিও, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কাজের সাইডে থেকে সুন্দরভাবে রাস্তার কাজ শেষ করায় এলাকার জনজাতিরা দারুণ খুশি। পাশাপাশি তারা বর্তমান সরকারকেও ধন্যবাদ জানান।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৈলাসহর পিএম শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৮ই মে বুধবার বার্ষিক দিবস পালিত হয়েছে।মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়েই আজকের এই দিনটি ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে পালিত হয়।প্রদীপ প্রজ্জ্বননের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ঋতুরাজ,জেলা শিক্ষাধিকারীক প্রশান্ত ক্লিকদার,কৈলাসহর প্রেসক্লাবের সম্পাদক সুকান্ত চক্রবর্তী ও রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক তরুণ কান্তি সিনহা।স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল ঋতুরাজ।এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী যারা ক্রীড়া,সংস্কৃতি এবং শিক্ষাঙ্গনে রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন তাদেরকে সম্মানিত করা হয়।উল্লেখ্য যে,গতবছর দেশের ১ হাজার চারশো কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী শ্রী আওতায় আনা হয়েছে।এর মধ্যে কৈলাসহর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ও রয়েছে। এছাড়াও জহর নবোদয় এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলো রয়েছে।এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ৫৯২ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যায়নরত।পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য,সংস্কৃতি চর্চা, ক্রীড়া ইত্যাদি বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। সকল বক্তারাই বক্তব্যের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন।
মধু পোকার আক্রমণে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত মানুষজন খোয়াই জেলা হাসপাতালে আসছেন
খোয়াই প্রতিনিধি ।। মধু পোকার আক্রমণে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত মানুষজন খোয়াই জেলা হাসপাতালে আসছেন এবং চিকিৎসিত হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সব শেষ মধু পুকার আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল ২৬ শে এপ্রিল লোকসভা ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে মধু পোকা প্রবেশ করে আক্রমণ করেছিল ভোটারদের। মধু পোকার আক্রমণে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসিত হতে হয়েছে। সেই মধু পোকাই বাসা বেধেছে খোয়াই জেলা হাসপাতাল চত্বরে একটি আতা গাছে। বর্তমানে সেই মধু পোকার চাকটি বেশ বিরাট আকার ধারণ করেছে। এই মধু পোকার চাকটির মধ্যে যদি কোন দুষ্টু লোক বা অন্য কোন পাকি আক্রমন করে তবে ক্ষিপ্ত মধু পোকার আক্রমণে জেলা হাসপাতালের রোগী থেকে চিকিৎসা কর্মী কেহই কিন্তু রেহাই পাবেনা । মধু পোকার আক্রমণে আহতদের দায় দায়িত্ব কে নিবে। খোয়াই জেলা হাসপাতালের কর্ণধার তথা মেডিকেল সুপার ডাঃ মৃদুল দাস মহাশয় কে চিকিৎসা কর্মী থেকে শুরু করে রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা একাধিকবার মধু পোকার ব্যাপারটি সুপারের নজরে এনেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে ডাঃ দাস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। একাধিক রোগী টিপ্পনি কেটে বলেছেন ডাক্তারবাবু পিউর মধু খাওয়ার জন্যই এই বৃহৎ আকারের মধু পোকার চাকটিকে সংরক্ষণ করে যাচ্ছেন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে যুবরাজ সংঘ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি, ৮ মে।।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে যুবরাজ সংঘ। লংতরাইভ্যালী মহকুমার শিববাড়ি বাজারে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে এই শিবিরের উদ্বোধন করেন মনু-ছৈলেংটা কেন্দ্রের এমডিসি সঞ্জয় দাস। বক্তব্য রাখতে গিয়ে সঞ্জয় বাবু বলেন রক্ত দান মহৎ দান। কারন বিজ্ঞানীদের তৈরি অনেক মহৎ আবিস্কার রয়েছে। কিন্তু রক্ত আবিস্কার করা অথবা কোন ফেক্টরীতে তৈরী করা যায়না । প্রতিটি হাসপাতালে রক্তের যোগান থেকে চাহিদা অনেক বেশি। ফলে মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে রোগীর পরিবারকে চরম হয়রানি স্বীকার হতে হয়। রক্তের প্রয়োজনীয় যোগান না থাকার ফলে অনেক সময় তিক্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় নিরহ মানুষদের। তাই রক্ত প্রয়োজন মেটাতে প্রতিটি ক্লাব ও অন্যান্য সামাজিক সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বছরের পর বছর ধরে সমাজের কল্যানে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য যুবরাজ সংঘ ক্লাবের কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানান। ক্লাব সভাপতি রাজদীপ চক্রবর্তী জানান রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে রক্তের চরম চাহিদার কথা চিন্তা করে মেগা রক্তদান শিবিরের আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্ত প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে তা হয়ে উঠেনি। তবে এই শিবিরে মোট ৩০ ইউনিট রক্ত দান করা হয়। আগামীদিনেও এ ধরনের শিবিরের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি । ব্রিটুনিয়া কোম্পানির বিস্কুট বুঝাই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়। সোমবার ভয়ঙ্কর এই দূর্ঘটনাটি সংঘটিত হয় ঊনকোটি জেলার পেচারথল থানাধীন নবীনছড়া এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে।জানা যায়,জাতীয় সড়ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ১০০ ফুট নিচে পড়ে যায় কন্টেনার গাড়িটি। এতে চালক শাকিব আলী (২২)আহত হয়। জানা গেছে গাড়িটি অসমের বরপেটা থেকে বিস্কুট নিয়ে আগরতলার উদ্দেশ্য যাচ্ছিল।আর এমন সময় নবীনছড়া এলাকায় পথে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। সংবাদ পরিবেশন অবধি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটিকে উদ্ধারের কাজ চলছে।
আটচল্লিশ ঘন্টা হয়ে গেল ৭২ ঘণ্টার পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। ৭২ ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেছে অর্থাৎ রবিবারে ঝটকা হওয়ার পর যে বিদ্যুৎ গোলযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তার তিনদিন হয়ে গেল। ৭২ ঘন্টা বা 96 ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ গোলযোগ সারাই করার সম্ভাবনা বলেছে কর্মকর্তারা। জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নাথ ত্রিপুরা জানান বিদ্যুৎ দপ্তরের হাফলং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বীরেশচন্দ্র পাড়াতে যে বিদ্যুৎ গোলযোগের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে অর্থাৎ প্রায় ১০টি পিলার ভেঙে গেছে এই পিলার গুলি সাড়াই করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ গোলযোগ সাড়াই করা যাবে না। এখন বিদ্যুৎ দপ্তর খবর পেয়েছে আম বাসায় আট দশটি অতিরিক্ত খুঁটি রয়েছে। এই খুঁটি এসে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। রবিবার দুপুরে ঝটকা হাওয়ায় বৈদ্যুতিক মনযোগ ছিন্ন হয়ে গেলেও আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ আরো ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা লেগে যেতে পারে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে। অথচ মিশ্র জনজাতির বসবাস প্রায় ১০০ টি পরিবার রয়েছে এই এলাকায় এবং তাদের মূল ভরসা বিদ্যুৎ সংযোগ। একদিকে যেমন রাতের অন্ধকারে প্রচন্ড গরম সহ্য করে বিদ্যুৎ নেই বলে চালিয়ে যেতে হচ্ছে তেমনি পানীয় জলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা হচ্ছে না, তাই লোকেরা নদী নালা ডোবার জল দিয়ে কোন মত তাদের আহারনিদ্রা ভয় পরিচালিত করছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের অবহেলার চিত্র ফুটে উঠল তাদের বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে। প্রায় ৭২ ঘন্টা অতিক্রম হওয়ার পরে বিদ্যুৎ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নাথ ত্রিপুরা জানালেন এখানকার কয়েকটি খুঁটিয়ে ভেঙে গেছে এই খুঁটিগুলি মেরামত না করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। এখন আমবাসা খবর জেনে পাঠিয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসতে পারে নতুবা ৯৬ ঘন্টা লাগবে বিদ্যুৎ আসতে। এরা কি স্বাধীন ভারতের নাগরিক নাকি পরাধীন ভারতের ব্রিটিশ শাসিত বোঝা দুষ্কর ব্যাপার। তার চেয়ে বিদ্যুৎ নিগম সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছুটা হলেও ভালো ছিল এখন সম্পূর্ণ প্রাইভেট হওয়ায় মানুষের দুর্গতির এক শেষ হিসাবে পর্যবেষিত হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। হায়রে বিদ্যুৎ সংযোগ ,হায়রে ভারতবাসি।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-ইটভাট্টা শ্রমিকের ঘর আগুনে পুড়ে ছাই । ঘটনা সোমবার রাতে উদয়পুর মহারানী ডিবিসি ভাট্টায় । জানা যায় , ইট ভাট্টায় সন্ধ্যার দিকে কাজকর্ম সেরে শ্রমিকরা নিজেদের ঘরের বিভিন্ন সামগ্রী নেওয়ার জন্য প্রত্যেকে নিজেদের মত বাজারে চলে যায়। আবার অন্য শ্রমিকরা ইটের ভাট্টায় নিজেদের পরিবারের সাথে গল্প আড্ডায় মেতে ওঠে । কিন্তু হঠাৎ করে রাত দশটার দিকে আগুন ধরে তাদের নিজেদের বেড়ার ঘরে । আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয় শ্রমিকদের মধ্যে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে অন্যান্য শ্রমিকের ঘরের দিকে। সেই সাথে বাতাসের গতি বেশি থাকার ফলে আরও বেশি পরিমাণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে ইটভাট্টায় থাকা ম্যানেজার সেই মুহূর্তে খবর দেয় উদয়পুর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে। অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ খবর পেয়ে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা দ্রুত মহারানীতে ছুটে যায় এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দীর্ঘ দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । কিন্তু শ্রমিকদের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে কিভাবে এই আগুন ধরে যায় তাদের ঘরগুলিতে ? এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে নিজেদের আলোচনার মধ্য দিয়ে। সূত্রের দাবি পরবর্তী সময়ে মহারানী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এদিন রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয় ।