প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৩ মে।। আবারো নাবালিকা অপহরণের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মধুপুরে। ঘটনার ১২ দিন পরেও নাবালিকার খোঁজ মিলেনি। মেয়েটি মৃত না জীবিত রয়েছে কেউ জানেনা। উদ্বিগ্ন নাবালিকার পরিবার। অবশেষে নাবালিকা উদ্ধারের দাবিতে মধুপুর থানা ঘেরাও করলো হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। জানা যায়, সিপাহীজলা জেলার মধুপুর থানা এলাকার জনজাতি পরিবারের ১৫ বছরের হিন্দু নাবালিকা মেয়েকে কমলাসাগর মিয়া পাড়ার যুবক জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় । ঘটনার দিন রাতেই মধুপুর থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। কিন্তু ১২ দিন পরেও পুলিশ নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। মধুপুর থানার নিষ্ক্রিয়তায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অবশেষে সোমবার দুপুরে নাবালিকা মেয়েটির পরিবার সহ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের এক প্রতিনিধি দল মধুপুর থানা ঘেরাও করে। কিন্তু তদন্তকারী অফিসারের কাছে ঘটনার জবাব চাইতে গেলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। নাবালিকা মেয়েটির পরিবার সহ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দাবি পুলিশ যদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতো তাহলে অবশ্যই নাবালিকা মেয়েটিকে খুঁজে বের করা সম্ভব হতো। তাদের দাবি প্রশাসন যেন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুশিয়ারি দেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৩ মে।। মেয়াদ উত্তীর্ণ পচা খাবার খাবার বিক্রির অভিযোগে বেকারির ঝাপ বন্ধ করে দিল বিশালগড় মহকুমা প্রশাসন। জানা যায়, বিশালগড়ে সদ্য চালু হওয়া মায়া বেকারিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ পচা এবং নোংরা প্যাকেটজাত খাবার বিক্রি হচ্ছিল । বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনের নজরে যায়। অভিযোগ পেয়ে সোমবার মায়া বেকারিতে অভিযান চালায় বিশালগড় মহকুমা প্রশাসন। ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বে ফুড ইন্সপেক্টর বিজয় কুমার দাস সহ মহকুমা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল অভিযান চালায় বিশালগড় স্টেট ব্যাঙ্ক সংলগ্ন মায়া বেকারিতে। অভিযানে দোকানে প্যাকেটজাত মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার সহ অন্যান্য অনিয়ম প্রশাসনিক আধিকারিকদের নজরে আসে । এরপর শাটার নামিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এছাড়া দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডি সি এম প্রসেনজিৎ দাস। এ ধরনের অভিযান জারি থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৩ মে।। চলন্ত ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে এক যুবক। জানা যায়, মোবাইলে রিল বানাতে গিয়ে ছিটকে পড়েছে সে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে বিশ্রামগঞ্জ আদিবাসী কলোনি এলাকায়। এদিন ট্রেনে চেপে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উদয়পুর যাচ্ছিল সে। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে মোবাইলে রিল বানাচ্ছিল যুবকটি। বিশ্রামগঞ্জ আদিবাসী কলোনি এলাকায় হঠাৎ ট্রেন থেকে ছিটকে পড়েন ওই যুবক। তার নাম নাম সন্দীপ আচার্জী। আগরতলা রাধানগর এলাকায় তার বাড়ি ।
ঘটনার পর স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় দমকল কর্মীরা ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত যুবককে প্রথমে বিশ্রামগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকরা রেফার করেন জিবি হাসপাতালে। সন্দীপের আত্মীয়রা পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে বিশ্রামগঞ্জে আসেন। এবং পরবর্তী সময়ে জিবি হাসপাতালে ছুটে যান।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৩ মে।। সিবিএসসি পরিচালিত মাধ্যমিক পরিক্ষায় দারুণ ফলাফল করেছে বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুল। এবারও সকল ছাত্র ছাত্রী প্রথম এবং দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম বিভাগে ৪৫ জন এবং দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেছে ১৪ জন। পূর্বা দত্ত সর্বাধিক ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এছাড়া নিকিতা ভৌমিক, আয়ুষ সাহা, দীপ কুমার দাস, ইমরান খান, অন্তরা সোম ৯০ শতাংশের ওপর নম্বর পেয়েছে। ৮০ থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ১২ জন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো দুই জন শিক্ষার্থী বাংলায় ১০০ নম্বর এবং বিজ্ঞানে ১ জন ১০০ নম্বর পেয়েছে। সোমবার রেজাল্ট বেরোনোর পর খুশির জোয়ার বইছে বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুলে। সকল ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবকরা স্কুলে ভিড় জমান। একে অপরের সঙ্গে সাফল্যের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। স্কুলের চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথ জানান ২০১৯ সালে এ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা প্রথম মাধ্যমিক পরিক্ষায় বসে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত সাফল্যের একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দিনেও স্কুলের প্রচেষ্টা জারি থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-রাতের আঁধারে কৃষকের জমির ফসল কেটে নষ্ট করে দিল দুষ্কৃতী। ঘটনা বামুটিয়ার দক্ষিণ রাঙ্গুটিয়া এলাকায়। নিকটআত্মীয় অভিজিৎ সরকার ফসলের ক্ষেত কেটে নষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন কৃষক রায়চরন সরকার।
পেশায় কৃষক রায়চরণ সরকার। বাড়ির পাশেই চাষ করেছিলেন শসার। সবে মাত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। লক্ষ্য ছিল প্রায় ১ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে শসা। কিন্তু সেই লক্ষ্য আর পূরণ হলো না। শুক্রবার গভীর রাতে উনার জমিতে হামলা করে নিকটাত্মীয় অভিজিৎ সরকার। অভিযুক্তের বাড়ি ইন্দ্রনগর কালীবাড়ি এলাকায়। সমস্ত শসা গাছ কেটে দিয়েছে অভিজিৎ। পাশাপাশি জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত সোলার পাম্পের প্যানেল বক্স ভেঙ্গে দিয়েছে অভিযুক্ত। রায়চরন সরকার বলেন উনার ছেলে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে টর্চের আলোয় দেখতে পায় তাদের নিকট আত্মীয় অভিজিৎ সরকার শসা গাছ কাটছে। তাঁকে ধাওয়া করতেই সে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু পালানোর সময় তাঁর হেলমেট পড়ে গিয়েছে জমির পাশে। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। রায়চরণ সরকারের অভিযোগ করেন প্রায় মাস ছয়েক আগে অভিযুক্ত অভিজিৎ সরকার পরশ্রী সাথে ফষ্টিনষ্টি করার ক্ষেত্রে বাঁধা দিয়েছিলেন তিনি। এই বিষয়টি তখন পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেই সময় অভিজিৎ সরকার রায়চরনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযগ। সেই ঘটনার রেস ধরেই এদিন উনার উৎপাদিত ফসল ধ্বংস করে দেওয়ার পাশাপাশি সেচের পাম্পের যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ অভিজিতের বিরুদ্ধে।
গ্রাম্য ওঝার জল পড়ায় নিখোঁজ মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক,থানায় নিখোঁজের মামলা
ধর্মনগর প্রতিনিধি, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে গ্রাম্য ওঝার কাছে চিকিৎসা করাতে এসে ওঝার জল পড়ায় নিখোঁজ ছেলে।থানায় নিখোঁজের মামলা পিতার। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন বিষ্ণুপুর গ্রামে।ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বাইখোড়া গ্রামের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলীপ পালের চব্বিশ বর্ষীয়া ছেলে বিপ্লব পাল দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রেইনের সমস্যায় আক্রান্ত।অনেক ডাক্তারের চিকিৎসা করিয়েও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন বিষ্ণুপুর গ্রামের ছয় নং ওয়ার্ডের এক ওঝা মানকি ভট্টের সন্ধান পান দিলীপ।তখন অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে গত মঙ্গলবার (৭মে) বিকেলে উত্তর জেলায় আসেন দিলীপ বাবু। পরদিন সকাল দশটার দিকে মানিক ওঝার বাড়িতে যান ছেলের চিকিৎসা করাতে।তখন ওঝা বাড়িতেই ছিলেন।ওঝার কাছে ছেলের সকল সমস্যা বললে ওঝা চিকিৎসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে শুরু হয় তন্ত্র মন্ত্র।একটা সময় মানসিক ভারসাম্যহীন বিপ্লবকে জল পড়া দেওয়া মাত্রই ওঝার বাড়ি থেকে দৌড়ে কোথাও চলে যায় সে।তখন বিপ্লবের পিতা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে ওঝা জানায়,তার ছেলে ঘটনাস্থলে ফিরে আসবে। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেলেও ছেলে আর ফিরে আসে নি।অবশেষে এদিন সন্ধ্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে ফিরে পেতে কদমতলা থানায় নিখোঁজ মামলা করেন পিতা। লিখিত অভিযোগ পেয়ে কদমতলা থানার পুলিশ ৩১ নম্বরের একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।যদিও সংবাদ লেখা পর্যন্ত মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে আজ উদয়পুর গিরিধারী এলাকায় রাম ঠাকুর আশ্রমে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব পালন করা হয়। রাম ঠাকুরের উদ্দেশ্যে লাগানো হয় পুষ্প ভোগ। এদিন আশ্রম কমিটির সভাপতি প্রণজিৎ সিংহ রায় মাথায় পুষ্প ভোগ নিয়ে মন্দিরের চারদিক তিনবার প্রদক্ষিণ করেন। পরে ঠাকুরের পুষ্প ভোগ সমস্ত মহাপ্রসাদ থেকে শুরু করে অন্যান্য ভক্তদের জন্য তৈরি করা পুষ্পভোগের উপর ছিটিয়ে দেন।। শুক্রবার দুপুরে রাম ঠাকুরের অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে দিনভর নানা নাম কীর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় আশ্রমে। তাকে কেন্দ্র করে ভক্তরা এদিন কীর্তনে অংশগ্রহণ করেন এবং ভক্তিভরে ঠাকুরের নাম কীর্তন শুনেন। এদিন আশ্রম কমিটির সভাপতি প্রণজিৎ সিংহ রায় নিজেও রাম ঠাকুরের নাম কীর্তনে অংশ নেন ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
পরকীয়া সুপ্রিম কোর্ট ভারতবর্ষের মুখ্য বিচারালয় নির্দেশ দিয়েছেন যে তা এখন আর নিষিদ্ধ নয় কিন্তু পরকীয়ার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেশের অজস্র পরিবার। একের পর এক ঘটনা উঠে আসছে উত্তর জেলার সদর ধর্মনগর থেকে। আবাল বৃদ্ধ বনিতা কেউই বাদ যাচ্ছে না পরকীয়ার দৃষ্টান্ত থেকে। স্বামী-স্ত্রীর অবস্থা যাই হোক না কেন নষ্ট হচ্ছে পরিবার নষ্ট হচ্ছে পরিবারের বাচ্চারা। আলগাপুর ৫ নং ওয়ার্ড থেকে যে পরকীয়ার কাহিনী পাওয়া গেল তা অনেকটা রোমহর্ষ কর বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। গত ৭ই মে আনুমানিক সকাল ১১ টায় পাপিয়া দেব বয়স ২৩ বছর, বিয়ে হয়েছে নিশিন্ত দেবনাথ এর সাথে আট বছর হয় হয় অবস্থা। হাতের দুটি সন্তান রয়েছে বড় মেয়েটি প্রায় সাত বছর হয় হয় এবং ছোট মেয়েটি তিন বছরের। এই আট বছরে তাদের মধ্যে বিশেষ কোনো বিবাদ হয়নি। পেশায় রাজমিস্ত্রি নিশিন্ত দেবনাথ একটু শান্ত স্বভাবের। সারাদিন রাজমিস্ত্রি হওয়া য় রাতে একবার বাচ্চা স্ত্রীদের সাথে দেখা হয় আবার ভোরে বের হয়ে যায়। ৭ মে আনুমানিক 11 টায় পাপিয়া দেব এস এইচ জি এর রাজবাড়িতে টাকা জমা দেবে বলে বের হয়। তারপর রাতে যখন স্বামী ঘুরে যায় তখন তাদের মা ঘরে নেই। স্বামী তার মাকে জিজ্ঞেস করে স্ত্রী কখন কোথায় গেল তখন সাত বছর এবং তিন বছরের মেয়ে দুটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। আজ তিনদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল পাপিয়া দেবের কোন খোঁজ খবর নেই। একজন সুপারি বিক্রেতা এসেছিল তার সাথে ঘুরতে গিয়েছিল এতোটুকুই স্বামীর স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ। তবে বাচ্চা দুটো চেহারা দেখে স্বামী নিশীন্ত তিন দিন ধরে ঘুম নেই খাওয়া নেই শুধু দিনরাত বাচ্চাদের জন্য কেঁদে চলেছে। আরো কয়েকটা বছর হয়ে যেত অন্ততপক্ষে আট বছর পর চলে গেল বাচ্চাদের বড় করে নেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখতো তার স্বামী। এখন বাচ্চাদের চেহারা দেখে তাদের না খেতে পারার ভাব দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছে স্বামী। ধর্মনগর মহিলা থানার দারস্থ হয়েছে এখন দারস্ত হয়েছে সাংবাদিকদের যাতে কেউ হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে খুঁজে বের করে দেয় তার জন্য। একদিকে যেমন দুটি বাচ্চা তাদের মাকে খুঁজে পাবে তেমনি স্বামী খুঁজে পাবে তার স্ত্রীকে। ভালোবাসাবাসীর বিয়ে আট বছর অনেক কষ্টে মাত্র টিকল, বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে আরো কিছুদিন টিকানো প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছে এলাকাবাসীরা।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া :- দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটল গন্ডাছড়া লক্ষ্মীপুর’বাসী। গন্ডাছড়া হাসপাতাল চৌমুহনি থেকে লক্ষীপুর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছিল। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এলাকার মানুষ বিশেষ করে বর্ষা সময় একাধিকবার রাস্তায় ধান গাছ লাগানো থেকে শুরু করে রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত সংঘটিত করে। এর জন্য হরিপুর গ্রামের বেশ কয়েকজনকে জেল পর্যন্ত কাটতে হয়েছিল। এরপরও রাস্তা সংস্কারে প্রশাসনের কোন হেলদোল ছিল না। অথচ রাস্তাটি গন্ডাছড়া শহর এলাকায়। অবশেষে ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বেহাল এই রাস্তাটি সংস্কারে বিশেষ উদ্যোগ নেয়। এই মোতাবেক পূর্ত দপ্তর থেকে রাস্তা সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার দরপত্র আহবান হয়, এমনকি পরবর্তীতে কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু নানান প্রতিকূলতার কারণে রাস্তা সংস্কারের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আবার নতুন করে রাস্তা সংস্কারের জন্য পূর্ত দপ্তর দরপত্র আহবান করে। তাতে দেখা গেছে কাজটি পান মহকুমা এলাকার বাইরের এক ঠিকাদার লিটন গোপ। তিনি বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কাজের গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করেন। ঠিকাদার বাবু তিন মাসের মধ্যেই রাস্তায় মেটেলিং করে কার্পেটিং এর কাজ শেষ করে ফেলে। রাস্তা সংস্কারের ফলে লক্ষ্মীপুর, ৩৬ কার্ড, হলুদ ঝাড়ি , রাঙ্গা ঝাড়ি, হরিপুর, টিলা’বাড়ি এলাকার শত শত জাতি-জনজাতি অংশের মানুষ দীর্ঘ বঞ্চনা থেকে মুক্তি পায়। এখন খুব অনায়াসে এলাকার মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেলে করে, গাড়ি করে হাটবাজারে যেতে পারছে। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছে। ছাত্রছাত্রীদের আর কাদামাটি ডিঙ্গিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে না, তারা এখন সুন্দরভাবে স্কুলে যেতে পারছে। এর জন্য এলাকার মানুষ বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-শুক্রবার গভীর রাতে বামুটিয়ার ছোট আমতলী সংলগ্ন পাল পাড়াতে ওয়াটার পাম্পের একটি পরিত্যক্ত কোয়াটারে অগ্নিসংযোগ ঘটে। তাতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা ঘর। প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায় স্থানীয় জনতা। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে মোহনপুর দমকল বিভাগের কর্মীরা।
যদিও স্থানীয় জনগণ দমকল বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে জল ব্যবহার করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়। দীর্ঘদিন যাবত এই ঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। ছিলনা কোন বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু তারপরেও কিভাবে এই অগ্নি সংযোগ ঘটেছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ এই জমি দখল করার উদ্দেশ্যেই পরিত্যক্ত ঘরটিকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় এবং দমকল বিভাগের উপযুক্ত পদক্ষেপে আগুন অন্যান্য বাড়ি ঘর পর্যন্ত ছড়ায়নি।