প্রতিনিধি মোহনপুর :- কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণের উপর এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে দেবেন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দমদমিয়াতে। রবিবার এলাকার কৃষকদের এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এতে মহিলা এবং পুরুষ কৃষকরা অংশগ্রহণ করেছেন। মোট ৪৫ জনকে দেওয়া হয়েছে এই প্রশিক্ষণ। এভারগ্রীন এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকরা ভারত সরকারের ই-নাম নামক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কিভাবে তাদের উৎপাদিত সামগ্রী গোটা ভারতবর্ষে বাজারজাত করতে পারে তার ওপর আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দেবেন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পূজা মালাকার, ডঃ এ ডি উপাধ্যায়, ডঃ অশোক উপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ ঊনকোটি জেলা পুলিশ ও শহর উত্তরাঞ্চলের জনসাধারণের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় শান্তি বৈঠকের।উক্ত শান্তি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিরজীৎ সিনহা,গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন মোঃ বদরুজ্জামান,মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার,ইরানি থানার ওসি অরুণোদয় দাস,রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন মবস্বর আলি,আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।বক্তব্যের শুরুতেই সকলের প্রতি শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার এবং কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান ওসি অরুনোদয় দাস।প্রসঙ্গ উল্লেখ্য যে,কদমতলায় কিছু হিংসাত্মক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত সোমবার রাতে উত্তর ত্রিপুরায় পানিসাগর মহকুমায় একটি শিব মন্দিরের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর রটে যায়।এই ঘটনার পর পালটা হামলা চালানো হয় এলাকারই নির্মীয়মাণ একটি মসজিদ চত্বরে।শারদোৎ সবের রেশ কাটতে না কাটতেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ত্রিপুরার পেকুছাড়া এলাকা। আর পেকুছড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর।পেকুছড়ায় নির্মীয়মাণ মসজিদে আক্রমণের প্রতিবাদে “সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিটির” উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় ইরানি থানায় ডেপুটেশন চলাকালে উত্তেজিত জনতার মধ্যে থাকা কিছু দুষ্কৃতকারী কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা সিআরপিএফ কর্মীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকলে আহত হন দুই সিআরপিএফ কর্মী।সাথে সাথে নামানো হয় বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। আর তার পর থেকেই মহকুমা ব্যাপী ছড়াতে থাকে গুজব।কখনও খবর আসে মন্দির ভাঙার তো কখনো খবর আসে মসজিদে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার।শুরু হয় রাতব্যাপী প্রশাসনের দৌড়ঝাপ।বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনায় মহকুমার সর্বত্র অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।আর সেই অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করতে আজ ইরানি থানায় এক শান্তি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।শান্তি বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বলেন,দূর্গা পূজার চাঁদা তোলা নিয়ে কদমতলায় যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল সেই গাড়িতে চিকিৎসার জন্য শিলচর যাবার উদ্দেশ্যে কৈলাসহরের লোক ছিল।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৈলাসহরে দু একটি ঘটনা ঘটেছে যা খুবই নিন্দনীয়। আগামী দিনে যাতে এধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো ঘটনা না ঘটে তার প্রতি আহ্বান রাখেন।কৈলাসহরের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘ দিনের যে সম্প্রীতির ইতিহাস রয়েছে সেটা বজায় রাখার পক্ষেই সকলে আহ্বান জানান।শান্তি বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারীক জয়ন্ত কর্মকার বলেন এই শহর শান্তির শহর।সম্প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও সকল ধর্মের শান্তিপ্রিয় মানুষের সহযোগিতায় পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন বর্তমানে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।দু এক দিনের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু হবে এবং সামাজিক মাধ্যমে কোন প্রকারের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মূলক পোস্ট না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।কেননা গুজবের ফলে বড় ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়ে যেতে পারে।তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে,গত ১৪ই অক্টোবর বাবুর বাজার যুবরাজনগর এলাকার মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের সাথে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ধরপাকড় শুরু হয়েছে।শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সকল ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়েই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনো ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের ১৬৩ ধারা বলবৎ রয়েছে গোটা মহকুমায়।
পুলিশের বিশেষ এক সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়,যুবরাজনগর মসজিদে আগুন এবং সম্প্রীতি বিনষ্ট করার বিরুদ্ধে ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।যার মধ্যে আকাশ মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।১৪ দিনের জেল হাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক বলে জানা গেছে।অন্যদিকে আবদুল জলিল ও আব্দুল আহাদ দুই অভিযুক্ত ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পথে বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিজিবির হাতে আটক হয়।অন্য দুই অভিযুক্তের নাম সংবাদ লিখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
- প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- শনিবার ধলাই জেলার গন্ডাছড়ায় একটি পাথর বোঝাই লরি সহ সেতু ভেঙ্গে পড়ে নদীর জলে। জানা যায় এদিন দুপুর নাগাদ টি আর ০১ এ টি ১৮৬০ নাম্বারের ১৬ চাকা পাথর বোঝাই একটি লরি গন্ডাছড়া থেকে ত্রিশ কার্ডের দিকে যাচ্ছিল। লরিটি ষাট কার্ড এবং ত্রিশ কার্ড মধ্যবর্তী শর্মা নদীর লোহার সেতুর উপর উঠতেই সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে। এ সময় ষাট কার্ড এলাকার বছর পঞ্চাশের চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি দূর্ঘটনার সময় সেতুর উপর থাকায় আহত হন। এলাকাবাসীরা তাকে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার পরপরই লরির চালক কপাল গুড়ে প্রানে বেঁচে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য বিগত আট, নয় বছর আগেও অনুরূপভাবে লোহার এই সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছিল। শনিবার পুনরায় সেতু ভেঙ্গে পড়ায় গন্ডাছড়াবাসীদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। কেননা এ সেতু ধরে প্রতিদিন শত শত গাড়ি গন্ডাছড়া থেকে অমরপুর ,উদয়পুর, আগরতলা এমনকি তেলিয়ামুড়া যাতায়াত করে। পাশাপাশি গন্ডাছড়া সরকারি ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা সহ হাজারো জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় মহকুমা বাসীরা দারুন অসুবিধায় পড়ে। এদিকে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তরের এসডিও রথীন্দ্র দেববর্মা ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান এই লোহার সেতুটিতে ১০ টনের বেশি মাল বোঝাই কোন পণ্যবাহী যান চলাচলের উপর পূর্ত দপ্তর বেশ কিছুদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এমনকি সেতুর দুদিকে এই নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এদিন পূর্ত দপ্তরের এই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ১০ টনের উপর পাথর বোঝাই ১৬ চাকার লরিটি সেতুর উপর উঠতেই সেতুটি ভেঙ্গে শর্মা নদীতে পড়ে যায়। তিনি আরো জানান দপ্তরের সতর্কবার্তা গুরুত্ব দিচ্ছে না একাংশ চালক। আর তার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসডিও এলাকাবাসীদের আশ্বাস দেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গা লোহার সেতুটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে দেবেন। তিনি এও জানান লোহার ব্রীজের পাশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পাকা সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। পাকা সেতুর কাজ চলতি বছরেই শেষ করা হবে বলে জানান।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় ।। দুই যাত্রী বোঝাই অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে শিশু সহ ১১ জন। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগরতলা সাব্রুম জাতীয় সড়কের বিশালগড়ের গোকুলনগর এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান দুটি অটো গাড়ি দুরন্ত গতিতে ছুটছিল জাতীয় সড়কে। গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল বলেও জানা গিয়েছে। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি দুটি। আহতদের আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশালগড় থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী । আহত শিশু মহিলা সহ সকলকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুজনের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাদের জিবি হাসপাতালের রেফার করা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়িকে বাজেয়াপ্ত করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ।
উদয়পুর প্রতিনিধি : দুর্গাপূজার মধ্যেও উদয়পুরে পুলিশের নেশা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে । বর্তমানে নেশার রমরমা বাণিজ্য তৈরি হয়েছে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের গর্জি এলাকায় । পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়েছে গর্জিতে । পুলিশ জানাই এই নেশা বিরোধী অভিযানে এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিলাতী মদ উদ্ধার করে পুলিশ । বর্তমানে বিভিন্ন মদের দোকান শহর এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে । অবৈধ মদ ব্যবসায়ীরা তাদের মুনাফা অর্জন করার জন্য বাড়িতে নিয়ে রেখে দিচ্ছে মদের কার্টুন । পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে অবৈধ মদ উদ্ধার করছে । এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে ডিএসপি নির্মাণ দাস সহ টিএস আর ও পুলিশকর্মীরা । মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় দেববর্মা জানিয়েছে , বাজেয়াপ্ত মদের বাজার মূল্য প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা হবে। জানা যায় এই মদগুলি গর্জি এলাকার বিভিন্ন গ্রামীন এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন নেশা সেবনকারীদের মধ্যে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল । এদিন পুলিশের এই মদবিরোধী অভিযানে সাফল্যতে খুশি সাধারণ মানুষ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে উদয়পুরে প্রশাসনিক দৌড়ঝাঁপ ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে । বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে । মহা দশমীতে মায়ের বিসর্জন প্রতিবছর দেওয়া হয় গোমতির দুইটি এলাকা দিয়ে তথা উদয়পুর ছনবন লোকনাথ আশ্রম সংলগ্ন গোমতী নদীতে এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে পোল্টি রোড এলাকায় । কিন্তু গত আগস্ট মাসের ২১ তারিখ ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যার কারণে পোল্ট্রি রোড এলাকার দশমী ঘাটের নিচে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের নদী গর্ত । অন্যদিকে লোকনাথ আশ্রম সংলগ্ন দশমী ঘাটে প্রচন্ড পরিমাণে পলি মাটি জমে যাওয়ার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে উদয়পুর মহকুমা শাসক মঙ্গলবার দুপুরে উদয়পুরের দুইটি দশমী ঘাট সরজমিনে পরিদর্শন করেন মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার । তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান ইতিমধ্যেই দশমী ঘাটগুলি মেরামত করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য পৌর কর্মীরা কাজ শুরু করে দিয়েছে । সর্ব দিক থেকে প্রস্তুত মহকুমা প্রশাসন এবং উদয়পুর পৌর পরিষদ । জানান উদয়পুর মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- আগস্ট মাসে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ এক বন্যা । বন্যার কবলে পড়েছে কাকড়াবন বিধানসভা কেন্দ্র । এর ফলে বহু বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়েছে বন্যার জলে । এরমধ্যে কাকরাবন হাসপাতাল চৌমুহনী থেকে কার্য্যমনি ও মির্জা যাওয়ার বিকল্প রাস্তাটি বেশ কিছু অংশ ভয়াবহ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এর ফলে চলাচলে অসুবিধা হয়ে পড়ে গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের । ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি মাটি ভরাট করে পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে । তাই সরজমিনে খতিয়ে দেখতে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেন কাকড়াবন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার । বিধায়ক জানান , এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য এবং দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে । দূর্গা পূজার মধ্যে যাতে এই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুত কাজ চলছে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটির মধ্যে । বিধায়কের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষজন ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ অক্টোবর।। সারা ভারতে ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে আইন-শৃংখলায় পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ত্রিপুরা। রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু এই আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। মঙ্গলবার কমলাসাগরে শিব মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বস্ত্র দান কার্যক্রমে অংশ নিয়ে কথাগুলি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এদিন কমলাসাগর কসবেশ্বরী মন্দিরের সন্নিকটে শিব মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এছাড়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্যী, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন ছন্দা দেববর্মা, জেলা পরিষদের সদস্য গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমূখ। শিব মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে বস্ত্র বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অতিথিরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন ৩৫ বছরে রাজ্যের মানুষ হিংসা খুন সন্ত্রাসের সংস্কৃতি দেখেছে। অপরাধ করেও অপরাধীরা পার পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়। রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র যারা করবে তারা পার পাবে না। কারণ রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সরকার সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এই সরকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। তাই ২৩ শে বিধানসভা পরবর্তী সময়ে লোকসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছে। অন্যান্য বিরোধী দলগুলি কোন ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না। তাই নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উৎসবের দিনগুলিতেও নানা ষড়যন্ত্র হতে পারে। দুষ্টচক্র এই আনন্দ উৎসব বানচাল করার চেষ্টা করতে পারে। তাই তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি । মুখ্যমন্ত্রী বলেন পুলিশ প্রশাসন সজাগ রয়েছে। কোথাও কোন ষড়যন্ত্র হলে পুলিশকে খবর দিন। সাংসদ তথা বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলগুলি পায়ের তলার জমি হারিয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু মানুষ নরেন্দ্র মোদিজির সঙ্গে রয়েছে। এ রাজ্যের শান্তি এবং উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। মানুষের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না বিরোধীদের। তাই বিভেদের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই গাড়ি থাকবে বলে তিনি জানান।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ অক্টোবর।। উৎসবের মরশুমেও আইনি সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বিশালগড় মহকুমা আইন সেবা কর্তৃপক্ষ । মঙ্গলবার বিশালগড় মহকুমার লেম্বুতলী গ্রাম পঞ্চায়েতে এক আইনি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। বিশালগড় মহকুমা আইন সেবা কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আইনি সচেতনতা শিবিরে আলোচনা করেন আইনজীবী সুমিতা রায় এবং লিপিকা দে সরকার। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল বিদ্যান সে সমাধান । সমাজের সকল অন্ধকার দূর করতে পারে একমাত্র শিক্ষা। ভারতবর্ষে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এরপরেও শিশুশ্রম বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অপরাধ ঘটছে। এসব সামাজিক অপরাধ দমন করতে পারে একমাত্র শিক্ষা। তাই আইনজীবীরা সকলের শিক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য উপস্থিত সকলের কাছে আহ্বান রাখেন।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে চা বাগান শ্রমিকদের মন জয় করে নিয়েছে কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাব। তাদের যৌথ উদ্যোগে শারোদৎসবের প্রাক মূহুর্তে হাসি ফুটিয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ হাজারের উপর বাগান শ্রমিক,গরিব ও দুস্থদের মধ্যে।পুজো শুধু শহরের নয়,গ্রামের ও বটে। পুজো শুধু আমার আপনার নয়,ওদের ও বটে।ঠিক এই ভাবনাকে সামনে রেখে রবিবার চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত হালাইছড়া টি ই সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ কর্মসুচি মেগা লায়ন হাট বাজার ও পূজার আহার ২.০।সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হলেও অনুষ্ঠান চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। মোট বারটি স্টলে শিশু থেকে বৃদ্ধ,পুরুষ থেকে মহিলা সবার জন্য ছিল নতুন বস্ত্র। শিশুদের নতুন খেলনা,জুতা, ঘরে ব্যাবহারের জন্য বিভিন্ন রকমের সামগ্রী,মেয়েদের জন্য কসমেটিক্স,বাসনপত্র সহ একাধিক সামগ্রী বিতরণ করা হয়।সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেদের পছন্দ মত জিনিস নিতে পেরেছে আজ বাগান শ্রমিকরা।দ্বিতীয় বারের মত কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাব এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছে। অভিনব এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে হালাইছড়া টি ই সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। নিজের পছন্দের নতুন বস্ত্র, গৃহস্থের সামগ্রী,খেলনা, সাজগোজের জিনিস নিয়ে বাড়ি ফেরার যে তৃপ্তি ও আনন্দ তা প্রতিটি বাগান শ্রমিক ও পশ্চাদপদ অংশের মানুষের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে। আকাশ বাতাস মুখরিত হয়েছে বাচ্চাদের বাঁশি ও নানান খেলনার সুমধুর শব্দে।শুধু তাই নয় সকলের জন্য ছিল বিভিন্ন ধরনের আইটেম দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা।যার নাম দেওয়া হয়েছে পূজার আহার।অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায়।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা,লায়ন্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর রাজেশ আগরওয়াল,কেবিনেট সেক্রেটারি দিলীপ কুমার সরব,ডেপুটি কেবিনেট সেক্রেটারি তাপস সাহা, কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি সুপ্রিয় দেবরায়, সম্পাদক প্রাণতোষ রায়, সার্ভিস চেয়ারম্যান অধ্যাপক সঞ্জীব চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাবের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মন্ত্রী টিংকু রায় সহ অন্যান্য অতিথিরা। অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ঝা-চকচকে শহরের কোলাহল থেকে হালাইছড়া গ্রামে সত্যিকার অর্থে যাদের দিন আনতে পান্তা ফুরায় ঠিক তাদের কাছে গিয়ে তাদের পাশে থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসবে সকলের মধ্যে একরাশ হাসি ফোটাতে আনন্দে মেতে উঠতে লায়ন্স ক্লাব অব কৈলাসহর ও লিও ক্লাবের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।প্রতিদিন বন্যা কবলিত এলাকা থেকে স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছিল কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতেও অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান,বিনামূল্যে এম্বুলেন্স পরিষেবা সহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব।স্বাস্থ্য শিবির,চক্ষু অপারেশন শিবির,রক্তদান, সচ্ছ ভারত অভিযান,বৃক্ষ রোপন সহ বিপর্যয় কিংবা আনন্দের অনুষ্ঠান সর্বদাই সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করে কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব।