২০২০ সালে সারা বিশ্বে থাবা বসিয়েছিল করোনাভাইরাস। অতিমারির গ্রাসে এক ধাক্কায় পৃথিবী থেকে মুছে গিয়েছে বহু প্রাণ। তছনছ হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।কোভিডের মোকাবিলা করতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন রকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছিল। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছিল পরিবহণ ব্যবস্থা। তবে সে সবই এখন অতীত।বর্তমানে করোনার কোপ থেকে মুক্ত বিশ্ব। ভাইরাস হয়তো নির্মূল হয়ে যায়নি। তবে সংক্রমিতের সংখ্যা কমে গিয়েছে। কমেছে করোনায় মৃত্যুর পরিমাণও। দেশে দেশে ছন্দে ফিরেছে স্বাভাবিক জীবন।পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক করা হয়েছে যোগাযোগ এবং পরিবহণ ব্যবস্থা। কিন্তু একটি দেশ এখনও ২০২০ সালেই থমকে রয়েছে। তার নাম উত্তর কোরিয়া।করোনা অতিমারির শুরুতে উত্তর কোরিয়ার দ্বার রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন একনায়ক কিম জং উন। চিন সীমান্তের লাগোয়া এই দেশটি সেই থেকে বাকি বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন। এখনও নিজের দেশকে রুদ্ধই করে রেখেছেন কিম।করোনাভাইরাস যাতে বাণিজ্যিক পণ্যের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সেই কারণেই উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত ‘সিল’ করে দিয়েছিলেন কিম। চিনের সঙ্গেও পণ্যের আদানপ্রদান তাতে বন্ধ হয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক
সিঙ্গাপুরে গোপন বৈঠকে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাপ্রধানরা! আমেরিকা, চিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিল ভারতও
বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাপ্রধানদের বৈঠক হয়ে গেল সিঙ্গাপুরে। লোকচক্ষু এবং সংবাদমাধ্যমের আড়ালেই। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আমেরিকা, চিন, এমনকি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরাও! সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রের খবর, শনিবার সিঙ্গাপুরের একটি গোপন জায়গায় এই বৈঠক হয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই নাকি সিঙ্গাপুর সরকারের উদ্যোগে এই বৈঠক হয়ে আসছে। কিন্তু এর আগে সেই খবর প্রকাশ্যেই আসেনি। নিরাপত্তার কারণে এবং গোপনীয়তার কারণে প্রতি বছর বৈঠকের স্থান বদলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি। বৈঠকের সঙ্গে ৫ জন ব্যক্তি রয়টার্সকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানালেও তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আভরিল হেইনজ্, ছিলেন চিনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানও। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ (র)-এর প্রধান সামন্ত গোয়েলও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গোপন বৈঠকে আমেরিকা এবং চিনের উপস্থিত থাকার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
দিন কয়েক আগেই আমেরিকার দেওয়া প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে রাশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী কামিকাজ়ে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছিল ইউক্রেন। এ বারে রাশিয়ার দু’টি যুদ্ধবিমান এবং দু’টি সেনা হেলিকপ্টার গুলি করে নামাল ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ ছাড়াও রাশিয়ার মাটিতে ভেঙে পড়েছে তাদের একটি যুদ্ধবিমান। কিভ চুপ থাকলেও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোল্যাক টুইট করেছেন, ‘‘বিচার হয়েছে… ততক্ষণাৎ কর্মফল ভুগতে হয়েছে।’’
গত কাল রুশ সংবাদমাধ্যমেই জানানো হয়েছে, এসইউ-৩৪ বোমারু, এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং দু’টি এমআই-৮ হেলিকপ্টার প্রায় পরপর গুলি করে নামানো হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে। জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলি ইউক্রেনে হামলা করতে যাচ্ছিল। ঠিক তার আগে ধ্বংস করা হয় সেগুলিকে। হেলিকপ্টাগুলি যাচ্ছিল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ‘ব্যাক আপ’ হিসেবে। কিন্তু পুরো পরিকল্পনাই ব্যর্থ হয়েছে।
যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ইউক্রেনের গুলিতে হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনেও আগুন ধরে যায়। ইউক্রেন সীমান্তের থেকে ২৫ মাইল দূরে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টার। দু’টি যুদ্ধবিমান ও দু’টি হেলিকপ্টারের মোট চার জন সওয়ারিই প্রাণ হারিয়েছেন।
তাইল্যান্ডে আবার নির্বিচার গুলিবৃষ্টি, মৃত্যু অন্তত চার জনের, অধরা বন্দুকধারী, চলছে তল্লাশি
দক্ষিণ তাইল্যান্ডে আবার নির্বিচার গুলিবৃষ্টি। এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ বন্দুকবাজের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। কী কারণে গুলি চলল তা স্পষ্ট নয়।শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা নাগাদ তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরের খিরি রাত নিখোম জেলার সুরাট থানি প্রদেশে গুলি চলার ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গুলি চালনার ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আর কোনও তথ্য দিতে চায়নি পুলিশ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, গুলি চালনার ঘটনাটি ঘটেছে প্রাক্তন গ্রাম প্রধানের বাড়ির কাছে। কিন্তু কী কারণে গুলি চলল তা এখনও পরিষ্কার নয়। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাইল্যান্ডে বন্দুকের মালিকানা পাওয়া বেশ সহজ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, সেই কারণেই ইদানীং গুলিচালনার ঘটনার বাড়বাড়ন্ত। গত এক বছরে এই বৃদ্ধি রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। গত বছর অক্টোবরে এক প্রাক্তন পুলিশকর্মী নিজের বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে ৩৬ জনকে মেরে ফেলেন। তার মধ্যে ২৪টি শিশু।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রাশিয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মস্কোর প্রতিনিধি ইভান গার্শকোভিচকে। এ বার ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইভানের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শুরু থেকেই তারা বলে আসছে, ইভানের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক, মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস কড়া ভাষায় এই গ্রেফতারির নিন্দা জানিয়েছে। এমনকি ইভানের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে একসুরে সরব হয়েছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরাও। যদিও ইভানের গ্রেফতারির পরেই ক্রেমলিনের তরফে দাবি করা হয়, ওই সাংবাদিককে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। আমেরিকার আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ইভানের সঙ্গে যোগাযোগের দাবি তাঁরা জানিয়েছেন রুশ কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু এখনও সেই সুযোগ মেলেনি। আইনজীবী ইভানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সাংবাদিকতা অপরাধ নয়। আমরা চাই এই মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিয়ে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক ইভানকে।” ইভানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাশিয়ায় গোপন তথ্য হস্তগত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। আমেরিকার হয়েই এই গুপ্তচরবৃত্তি করতেন তিনি, দাবি রুশ গোয়েন্দাদের। সংবাদ সংস্থা
পাঁচটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে, ১৫০ ফুটের পাথরখণ্ড নিয়ে সতর্ক করল নাসা
পৃথিবীর দিকে আবার দল বেঁধে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু। একসঙ্গে পাঁচটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে আসতে চলেছে। নাসা তাদের মধ্যে একটি গ্রহাণুর বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক করেছে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, যে পাঁচটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে আসছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের গ্রহাণুটির আয়তন প্রায় ১৫০ ফুট। ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছে চলে এলে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া, বাকি গ্রহাণুগুলি আকারে ছোট।
গ্রহাণুগুলির নামকরণ করেছে নাসা। প্রথম গ্রহাণুটি ৪৫ ফুটের। এটি সোমবারই পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে। এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ এফইউ৬। এর পর পৃথিবীর দিকে এসেছে ৮২ ফুটের একটি গ্রহাণু। সেটিও সোমবারই পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার কথা। দ্বিতীয় গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ এফএস১১।তৃতীয় গ্রহাণু ২০২৩ এফএ৭-এর আয়তন ৯২ ফুট। এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে মঙ্গলবার। চতুর্থ গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে বুধবার। এই গ্রহাণুটি আকারে একটি আস্ত বাড়ির সমান, আয়তন প্রায় ৬৫ ফুট।
ঢাকার বঙ্গবাজারে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫০টি ইঞ্জিন, পুড়ে ছাই বহু দোকান
বাংলাদেশের বঙ্গবাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দমকলের ৫০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এলাকা জুড়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ঢাকার বঙ্গবাজার এলাকায় আচমকা আগুন লাগে। এলাকায় দোকানপাট ছিল। সহজেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একাধিক ইঞ্জিন পাঠায় দমকল।
পরে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ দমকলের তরফে জানানো হয়, বঙ্গবাজার এলাকায় মোট ৫০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে।
বঙ্গবাজারের এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের খবর মেলেনি, তবে বহু সংখ্যক দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইদের বাজার সাজানোর পণ্য মজুত করে রাখা ছিল প্রায় সব দোকানেই। তা হারিয়ে হাহাকার করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে যথাসম্ভব পণ্য নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন।
গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের আর্থিক দশা শোচনীয়। সম্প্রতি সরকারি গণবণ্টন কেন্দ্র থেকে আটা বিতরণের সময়ে পদপিষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবরেও আর্থিক দুরবস্থার ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল। এ বার সরকারি পরিসংখ্যানও সেই অবস্থাকেই তুলে ধরেছে। গত মার্চে পাকিস্তানে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছেছে ৩৫.৩৭ শতাংশে। যা গত পাঁচ দশকে সর্বাধিক। গত মাসের সাপেক্ষে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৭২ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা গড়ে ২৭.২৬ শতাংশ।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম ক্রমাগত বেড়েছে। এর ফলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষদের। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, রমজান মাসে খাদ্যদ্রব্য বণ্টন স্থলে খাবার নেওয়ার জন্য উপচেপড়ছে ভিড়।
মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফে সুদের হার বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যক খাদ্যদ্রব্যের উপরে আমদানি শুল্ক হ্রাসের মতো নানা পদক্ষেপ করা হলেও তার প্রভাব খুবই সীমিত।
দেনার দায়ে গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে ক্রমশ কমেছে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ) সাহায্য পাওয়ার জন্য তাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ায় কোপ পড়েছে জনমোহিনী প্রকল্পে। আর্থিক নীতির প্রভাবে প্রায় ২০ হাজার নাগরিকের কাজ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, যন্ত্রাংশ জুড়ে মোবাইল ফোন তৈরির ৩০টি সংস্থা ইতিমধ্যেই কারখানা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে।
জোরালো ভূমিকম্প ইকুয়েডরে, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু! আহত প্রায় ৪০০
ইকুয়েডরে জোরালো ভূমিকম্প। কম্পনের ফলে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। পাশাপাশি অন্তত ৩৮০ জন এই ভূমিকম্পের ফলে আহত হয়েছেন।ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, শনিবার ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ ইকুয়েডরে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। ইকুয়েডরের পাশাপাশি কেঁপে ওঠে পেরুর উত্তরাংশও।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমার ফলে ভারতে জ্বালানির উৎপাদন ও রফতানিতে পড়ে পাওয়া মুনাফার কর (উইন্ডফল ট্যাক্স) কমল।
এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতি লিটার ডিজ়েলের রফতানিতে উইন্ডফল কর ২.৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০ পয়সা। বিমানের জ্বালানির ক্ষেত্রে তা ১.৫০ টাকা থেকে নামানো হয়েছে শূন্যে। দুই জ্বালানির ক্ষেত্রেই এখন তা সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে দেশে প্রতি টন অশোধিত তেল উৎপাদনে সেই কর ৪৩৫০ টাকা থেকে সামান্য বাড়িয়ে ৪৪০০ টাকা করা হয়েছে। শনিবার থেকে নতুনহার কার্যকর হয়েছে। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারিও উইন্ডফল কর অনেকটা কমিয়েছিল কেন্দ্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম চড়তে থাকে। একটা সময়ে তা ব্যারেল প্রতি ১৪০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। অভিযোগ, সেই সময়ে দেশের বাজারে তেল সরবরাহের বদলে বর্ধিত দামের সুবিধা নিয়ে বিদেশে রফতানি করে বাড়তি মুনাফা করছিল কয়েকটি সংস্থা। এই অবস্থায় গত বছর ১ জুলাই ইউন্ডফল কর কার্যকর করা হয়। শুরুতে পেট্রলেও এই কর বসানো হয়েছিল। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।