প্রতিনিধি, উদয়পুর :- তৃতীয়বারের জন্য ফের কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসতে চলেছে এনডিএ জোট সরকার । আগামী ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি । গোটা দেশের সাথে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে লক্ষ লক্ষ ভোটে জয়লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। এই জয়ের আনন্দে দলীয় কর্মীরা মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মহারানী এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজয় মিছিল বের করে
এদিন ৩নং শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে ছয়ঘরিয়া বাজারে এই বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয় । মিছিলে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায় অংশ নেন। এছাড়া ছিলেন জেলা বিজেপি ও সংখ্যালঘু মোর্চার নেতৃত্বরা । এই মিছিলের মধ্য থেকে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় কর্মীদের উদ্দেশ্য বার্তা দেন , ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করার ফলে এবার মাতারবাড়ি বিধানসভা থেকে বিপ্লব কুমার দেব কে বেশি ভোটে জয়ী করানো গিয়েছে । একমাত্র সম্ভব হয়েছে দলীয়কর্মী নেতৃত্বদের এক জোটে কাজ করার ফলে । আগামী দিনও এই ধরনের উন্নয়নের কাজ জারি রাখতে হবে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে। তিনি আরো বলেন , এলাকার যে সকল সমস্যা গুলি এখনও রয়েছে সেসব সমস্যাগুলি আগামী বিধানসভা আসার আগেই সব সমস্যার সমাধান করা হবে । সেই সাথে এলাকার উন্নয়ন আরো বেশি করে কিভাবে করা যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে শক্তি কেন্দ্র গুলিকে । গেরুয়া আবিরে এদিনের বিজয় মিছিল রঙিন হয়ে ওঠে । সব মিলিয়ে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে বিজেপির দলীয় কর্মী সমর্থকরা ।
রাজনীতি
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- মঙ্গলবার সকাল থেকে গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরার দুইটি লোকসভা কেন্দ্রে শুরু হয় ভোট গণনা। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ৩১ রাধা কিশোরপুর, ৩২ মাতাবাড়ি, ৩০ বাগমা ও ৩৩ কাকরাবন বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা করা হয় উদয়পুর রমেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে । ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই করা নিরাপত্তা বলয়ে মোড়ে দেওয়া হয়। বন্ধ করা হয় উদয়পুর – আগরতলা প্রধান জাতীয় সড়কটি । শাসক দল বিজেপি একটি অস্থায়ী পার্টি অফিস ক্যাম্প তৈরি করে সোনামুড়া চৌহমুনী এলাকায়। গোটা দেশ এবং রাজ্যের সমস্ত তথ্য ও খবর দেখার জন্য দলীয় কর্মীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিজেপির গোমতী জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় , বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, জিতেন্দ্র মজুমদার , পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার সহ জেলা ও মন্ডল স্তরের বিভিন্ন নেতৃত্বরা । এদিন ভোট গণনা শেষে বিজেপি জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় বলেন , আর কেপুর বিধানসভায় কুড়ি হাজার ভোট , বাগমা বিধানসভায় সাড়ে ২১ হাজার ভোট বিধানসভায় ২৪ হাজার ভোট , মাতাবাড়ি বিধানসভায় ২৬ হাজার ভোট ও পূর্ব ত্রিপুরা আসনের অমরপুর বিধানসভায় সতের হাজার ভোট এবং অম্পি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি । সর্বমোট গোমতী জেলা থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজারের উপর ভোট লিড দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি । এই কেন্দ্রে প্রথম দিক থেকেই পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব এগিয়ে ছিলেন। এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন , পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের গোমতী ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতার পার্টির কর্মীরা সত্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করার ফলে ভালো একটি ফলাফল হয়েছে গোমতী জেলার প্রতিটি বিধানসভায়। বিপ্লব কুমার দেব ভালো ফলাফলের জয়ী হওয়ার ফলে অভিনন্দন জানান অর্থমন্ত্রী। আগামী দিনে এই লোকসভা কেন্দ্রে আরো বেশি করে উন্নয়নের কাজ হবে এবং ভারতীয় জনতা পার্টি আগামী দিনে আরো বৃহত্তর স্তরে কাজ করবে সাধারণ মানুষের জন্য । এদিন গণনা শেষে সোনামুড়া চৌহমুনীতে বিজেপি কর্মীরা বাজি পটকা ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের কুৎসার জবাব দিতে ময়দানে নেমেছে যুব মোর্চা। অপপ্রচারের প্রতিবাদে সারা রাজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশালগড়ে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে যুব মোর্চা। শনিবার বিকালে বিশালগড় স্থিত ড: শ্যামাপ্রসাদ মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে অংশ নেন বিধায়ক তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত দেব। এছাড়া ছিলেন যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি অনুরাগ চক্রবর্তী, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তপন দাস সহ যুব মোর্চার কার্যকর্তারা। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে অফিসটিলায় গিয়ে মিছিলের সমাপ্তি ঘটে। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বেশ কয়েকদিন ধরে অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বামপন্থী যুব সংগঠন। ওরা কাজ খাদ্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তিনি বলেন এ-সব নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। রক্তপাত হীন শান্তিপূর্ন নির্বাচন করে দেখিয়েছে বিজেপি । সিপিএমের জামানায় ভোটের সময় খুন সন্ত্রাস হয়েছে। মানুষের রক্ত ঝড়েছে। সরকার প্রতিটি পরিবারকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। অথচ খাদ্য নেই বলে প্রচার করছে। সিপিএম জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আগামী চার জুন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে মিথ্যাচারে ভর করে রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকার চেষ্টা করছে সিপিএম। তিনি বলেন আসলে এখন সিপিএমের নেতাদের কোন কাজ নেই। চাঁদাবাজি করতে পারছেনা। তাই মিথ্যাচার করে বাজার গরম করতে চাইছে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে যুব মোর্চা। গণতান্ত্রিক উপায়ে সারা রাজ্যে প্রতিবাদ হবে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। দক্ষিণ জেলার সাবরুম ও জুলাইবাড়ি মন্ডলে কিষান মোর্চার সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সভাটি হয় সাবরুম মন্ডল অফিসে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ সহ-সভাপতি শ্রী তাপস ভট্টাচার্য মহাশয় কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় বিজেপি দক্ষিণ জেলা সভাপতি শ্রী শঙ্কর রায়, বিজেপি কিষান মোর্চা দক্ষিণ জেলা সভাপতি শ্রী সত্যব্রত সাহা বিজেপি সাবরুম মন্ডল সভাপতি জিতেন ত্রিপুরা প্রমূখ সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবরুম মণ্ডল কিষান মোর্চা সভাপতি রঞ্জিত মজুমদার মহাশয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ কিষান মোর্চার সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় উপস্থিত মন্ডল সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রতি বুথে কৃষক ভাই-বোনদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং কিষান সম্মান নিধি কিষান ক্রেডিট কার্ড ফসল বীমা যোজনা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা যেসব কৃষক লাভ করে থাকেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। কিছু স্বৈরাচারী ব্যক্তি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে কালিমা লিপ্ত করতে চাইছে এদের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। দ্বিতীয় সভাটি হয় জুলাই বাড়ি মন্ডল অফিসে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জুলাই বাড়ি কিষান মোর্চা মন্ডল কমিটির নব নিযুক্ত সভাপতি শ্রী জয়দেব দত্ত বিজেপি মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং প্রদেশ বিজেপি সদস্য শম্ভু মানিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ বিজেপি কিষান মোর্চা সভাপতি সংগঠন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন এবং স্বৈরাচারী ও মিথ্যাচারীদের বিরুদ্ধে সংগঠনকে আরো মজবুত করতে আহ্বান রাখেন। দুটি সভাতেই প্রধান অতিথির ভাষণে প্রদেশ বিজেপি সহ-সভাপতি শ্রী তাপস ভট্টাচার্য মহাশয় সাংগঠনিক নিয়ম শৃঙ্খলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি বলেন কিষান মোর্চার সদস্যদের গ্রামের কৃষকের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং সরকারের প্রত্যেকটি কাজকর্ম মানুষের নিকট তুলে ধরতে হবে জনগণের সাথে নিবিড় সম্পর্ক একটি সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে সুশাসন প্রদানের সাহায্য করে। সভা গুলিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজেপি দক্ষিণ জেলা সভাপতি শ্রী শঙ্কর রায় বিজেপি দক্ষিণ জেলা কৃষাণ মোর্চা সভাপতি শ্রী সত্যব্রত সাহা প্রমূখ।
স্বর্ণ যুগের পাপের ফল ভোগ করছে এখন রাজ্যের জনতা –প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। শুক্রবার জেলা কার্যালয়ে বিকাল 3 ঘটিকায় বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য আসেন এবং উত্তর জেলার সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হন। তিনি জানান লোকসভা নির্বাচনের একেবারে শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ এক জুন যে শেষ পর্যায়ে লোকসভার ভোট হতে যাচ্ছে তার প্রাক্কালে তিনি জেলা মন্ডল এর কার্যকর্তাদের সাথে এক বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন। কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর ই এই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। লোকসভার গণনার চার জুন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন করে করবে তা নিয়ে জেলা মণ্ডল এবং অফিস বেয়ারারদের নিয়ে এক বিশেষ বৈঠক সম্পন্নের কাজে প্রদেশ সভাপতি এসেছেন। উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সহ-সভাপতি এবং উত্তর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবাহী তাপস ভট্টাচার্য, কুমারঘাট বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক ভগবান দাস, ওবিসি মোর্চার প্রদেশ সভাপতি মলিনা দেবনাথ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ দাস, উত্তর জেলার সভাপতি কাজল দাস প্রমূখ। তিনি জানান চার জুন আমরা সবাই মোদির তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আনন্দে হোলি খেলব এবং আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন করে হবে তা নিয়ে জেলা মণ্ডল ও অফিস বেয়ারার দের নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হবে। রাজ্যের বিরোধী দলগুলি একটা স্লোগান তুলেছে যে রাজ্যে খাদ্য নেই জল নেই সবকিছুর অভাব রয়েছে। তাকে ভারতীয় জনতা পার্টি ধিক্কার জানায়। কিছুদিন আগে রাজ্যস্তরে এক ধিক্কার সম্মতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। আগামী কাল অর্থাৎ পহেলা জুন রাজ্যজুড়ে যুব মোর্চা আবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল সংঘটিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় রাজ্যের গরিব অংশের মানুষদের ফ্রি রেশন দেওয়া হচ্ছে। রেশম শপের মাধ্যমে ডাল আটা সরিষার তেল চা পাতা মসলা প্রভৃতি দেওয়া হচ্ছে। ২৫ বছর সিপিআইএম শাসনকালে রাজ্যে যে স্বর্ণযুগের কথা বলা হয়েছে এখন এই স্বর্ণযুগের পাপের ঠেলায় এই রাজ্যের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকলের সমবেত প্রয়াসে কেমন করে বৈতরণ ী নির্ভীকতা নিয়ে পার হওয়া যায় তাই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হবে। সকলের সমবেত প্রয়াসে এবং কার্যকরতাদের সক্রিয় করতে এই বৈঠক এর আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ভারতীয় জনতা পার্টি ঊনকোটি জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা এবং মন্ডল নেতৃত্বদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় জেলা কার্যালয়ে।আজকের এই সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য,প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান দাস,মন্ত্রী সুধাংশু দাস,ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,প্রদেশ সহ সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য এবং উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি পবিত্র চন্দ্র দেবনাথ।রাষ্ট্রগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি।প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে ঊনকোটি এবং উত্তর জেলায় আজ এই সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত সংগঠনিক বৈঠকে ঊনকোটি জেলার পাঁচটি মন্ডলের মণ্ডল সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন মোর্চার জেলা ও মন্ডল সভাপতি,চারটি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান,পুর পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা কমিটির ৪৩ জন সদস্য এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। মূলত আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।দুপুর ১২টা থেকে ২টা অব্দি চলতে থাকা এই সাংগঠনিক বৈঠকে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে দলের সংগঠন কে আরো মজবুত করতে প্রদেশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল কার্যকর্তা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন।আগামী ৪ঠা জুন দেশের অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে।তার পূর্বে এই সাংগঠনিক বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর : – মাতাবাড়ি বিধানসভা এলাকার ৩০ নং বুথের অন্তর্গত মাতাবাড়ি রেল স্টেশন থেকে মূল সড়ক পথ হয়ে দক্ষিণ মাতারবাড়ি মহাশ্মশান পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করা এবং অন্য আরেকটি রাস্তা নতুনভাবে তৈরি করা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সাধারণ মানুষের। এবার গ্রামবাসীদের কথা মাথায় রেখে স্থানীয় বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বুধবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করেন দলীয় নেতৃত্বদের সাথে নিয়ে এবং গ্রামবাসীদের বিভিন্ন কথার উপর দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী দিনে নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে এলাকায় । এদিন দিনভর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ফিতা ফেলে মাপা হয় । সাথে কিভাবে রাস্তাটিকে আরও বেশি করে চওড়া করা যায় সেই বিষয়ে কথা বলেন গ্রামবাসীদের সাথে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক বলেন ,
বিধানসভার দক্ষিণ মাতাবাড়ি স্থিত ৩০-নং বুথের অন্তর্গত মাতাবাড়ি রেলস্টেশন মেইন রোড হইতে দক্ষিণ মাতাবাড়ি মহাশ্মশান পর্যন্ত রাস্তাকে সংস্কার করে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করা তৎসঙ্গে দক্ষিণ মাতাবাড়ি স্থিত রঞ্জিত কুমার দাসের বাড়ি হইতে মাতাবাড়ি রেলস্টেশন রোড পর্যন্ত রাস্তাটিকে সংস্কার করে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করার জন্য এই এলাকার জনগণের একটি দাবি ছিল। আর এই দাবি কে মান্যতা দিয়ে আজ সংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলিকে আরডি দপ্তরের আধিকারিক এবং এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সরজমিনে পরিদর্শন করা হয় । তৎসঙ্গে এলাকাবাসীকে আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে খুব কম সময়ের মধ্যে এই রাস্তাগুলি কাজ করে দেওয়া হবে। নতুন ভাবে রাস্তার সংস্কার হওয়ার বিষয়টি গ্রামবাসীরা জানতে পেরে খুবই খুশি হয়েছেন এই দিন ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ মঙ্গলবার দুপুরে কৈলাসহর মহকুমা শাসকের চেম্বারে মহকুমার প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।সর্বদলীয় এই বৈঠকে মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা কাজল দে,রথীন্দ্র ভট্টাচার্য,কংগ্রেস নেতা মো: বদরুজ্জামান, আশীষ সেনগুপ্ত, সি.পি.আই.এম নেতা বিশু দাস,নীলকান্ত সিনহা সহ অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নব কুমার জমাতিয়া,ডেপুটি মাজিস্ট্রেট বিশ্বজিৎ দাস, সঞ্জীব দেববর্মা সহ আরও অন্যান্য আধিকারিকরা। আগামী ৪ঠা জুন আসন্ন লোকসভা ভোটের গননা হবে। কৈলাসহর মহকুমার অধীনে থাকা ৫৩-কৈলাসহর এবং ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গননা হবে আর.কে.আই স্কুলে।ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন মেনেই গননা কেন্দ্রের সমস্ত কাজ হবে।গননা কেন্দ্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তেরো জন কাউন্টিং এজেন্ট থাকবে এবং দুইজন অতিরিক্ত এজেন্ট বাইরে থাকবে।মূল তেরোজন কাউন্টিং এজেন্টের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে দুইজন অতিরিক্ত এজেন্টদের মধ্যে কেউ এসে কাজ সম্পন্ন করবে।তাছাড়া কাউন্টিং এজেন্টরা গননা কেন্দ্রে যাবার সময় নির্বাচন কমিশনের যে গাইড লাইন রয়েছে সেটা মেনেই প্রবেশ করতে হবে বলে জানান মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার।তাছাড়া আগামীকাল ঊনত্রিশ মে বুধবার ঊনকোটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলাশাসক অফিসে ঊনকোটি জেলা ভিত্তিক প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার জানান।
নিজস্ব প্রতিনিধি , সাব্রুম :- ২৩মে বৃহস্পতিবার রাতে হালকা বাতাসে ঝুলে পড়া বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে প্রান গেল সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের ০৬-নং ওয়ার্ডের আনন্দ পাড়ার ৩২ বছরের যুবক পূর্ণেন্দু বিকাশ দত্ত ওরফে বিল্টু। আনন্দ পাড়ার বাসিন্দার শিবু রঞ্জন দত্তের একমাত্র ছেলে মৃত পূর্ণেন্দু বিকাশ দও ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরে ভেহিক্যালস ইনস্পেক্টর এবং টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে আগরতলা গুর্খাবস্তি রাজ্য সদর দপ্তরে কাজ করতো। বুদ্ধ পুর্নিমার ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। রাতে সাব্রুম বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎকৃষ্ট হয়ে মারা যায়। আজ রাজ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী মৃত পূর্ণেন্দু বিকাশ দত্তের বাড়িতে যান এবং কথা বলেন মৃত পূর্ণেন্দু বিকাশ দত্ত এর পরিবারের সাথে, এছাড়াও সাথে ছিলেন সিপিআইএম দলের সাবরুম মহকুমা কমিটির অন্যান্য নেতৃত্বরা।
বিদ্যুতের সমস্যার সমাধানের জন্য অবশেষে ময়দানে নামলেন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন
সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না যার ফলে দীর্ঘদিন যাবত গোটা কমলাসাগর বিধানসভা এলাকার জনগণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বারবার বিদ্যুৎ দপ্তরে জানানোর পরেও আজ পর্যন্ত কোন সূরাহা হয়নি। অথচ সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন বিদ্যুৎ শাটডাউন দিয়ে লাইনের কাজ মেরামতি করে যাচ্ছে কিন্তু তারপরেও এলাকায় বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অবশেষে মাঠে নামলেন মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ভারতীয় গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বিশালগড় বিভাগীয় কমিটির অন্তর্গত কমলাসাগর অঞ্চল কমিটি। ঐ দিন কমলাসাগর বিধানসভার মধুপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে সিনিয়র ম্যানেজারের নিকট সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পাঁচদফা দাবির উপর ভিত্তি করে এক ডেপুটেশনে মিলিত হয়। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বিশালগড় বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক হিরন্ময় নারায়ণ দেবনাথ, কমলাসাগর অঞ্চল কমিটির সম্পাদক রাজেশ দত্ত, অঞ্চল কমিটির সদস্য উত্তম দত্ত সহ TYF নেতা মধু দেববর্মা।ঐদিন সিনিয়র ম্যানেজারের নিকট নেতৃত্বরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরলে তিনি সকল সমস্যার যুক্তিযুক্তকতা স্বীকার করে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে সেই সমস্যা সমাধান করা হবে। এদিকে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রায় 25 কিলোমিটার এরিয়া নিয়ে মধুপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিস রয়েছে কিন্তু মাত্র দুজন কর্মী দিয়ে কিভাবে কাজ করা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন নেতৃত্বরা। এদিকে নেতৃত্বরা তাদের পাঁচদফা দাবির উপর ডেপুটেশন মিলিত হয়ে অতি দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যা দূর করার জন্য দাবী জানান নতুবা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসেন নেতৃত্বরা।