ধর্মনগর প্রতিনিধি :–লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে যোগদানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বিজেপির। রবিবার বিকেল ৪ ঘটিকায় ৫৪ কদমতলা কুর্তি মন্ডলের উদ্যোগে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। উক্ত যোগদান সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজল দাস কদমতলা কুর্তি মণ্ডল সভাপতি রাজা ধর কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব সহ স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মান্না গোস্বামী। এদিনের যোগদান সভায় ভারতীয় গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের কদমতলা অঞ্চল সভাপতি দিলুয়ার হোসেন সহ ১২ পরিবারের ৩৭ জন ভোটার যোগ দিলেন বিজেপিতে। সভায় প্রত্যেক বক্তারা সিপিআইএম এবং কংগ্রেস দলকে তুল ধুন করে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের ভূয়ষি প্রশংসা করেন। জানা গেছে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ৫ নং ওয়ার্ড সিপিআইএমের দখলে ছিল।
রাজনীতি
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডের ধর্না শেষ করার দু’দিনের মধ্যেই আবার দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠকে’ যোগ দিতেই রাজধানীতে যাচ্ছেন মমতা।
শুক্রবার থেকেই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়ার দাবিতে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা নিজেই জানিয়েছেন ৪৮ ঘণ্টা ধর্নামঞ্চে থাকবেন তিনি। অর্থাৎ শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধর্না কর্মসূচি চলবে তাঁর। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা দিল্লি যাবেন আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার। তার আগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনেও যোগ দেবেন তিনি। ওই দিনই বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠকও করবেন।
সোমবার অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। পরের দিন অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাজেট পেশ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ৬ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রথমার্ধে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়েই দ্বিতীয়ার্ধে দিল্লির জন্য রওনা হতে পারেন মমতা।
জেলা কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো উত্তর জেলা সফরে আসেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার দুই দিনের উত্তর জেলা সফরে আসেন নব্য প্রদেশ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার। উত্তর জেলা কার্যালয়ে তিনি এক সাংগঠনিক বৈঠকে মিলিত হন। উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপালী অধিকারী, প্রদেশ ওবিসি মোর্চার সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ, বাগ বাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ সহ উত্তর জেলার মহিলা মোর্চার বিভিন্ন স্তরের মহিলা সংগঠকরা। প্রথমবারের মতো জেলা কার্যালয়ে মহিলা মোর্চার সদস্যদের সাথে মিলিত হয়ে তিনি সবাইকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। বড়দের আশীর্বাদ এবং ছোটদের ভালোবাসা কামনা করেন। তিনি বলেন ছত্রিশগড় মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহিলাদের একটা জাত বলে সম্বোধন করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেমন করে মহিলারা এগিয়ে যাবে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছেন । রাজ্যের মহিলারা দেশের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যে ও মহিলা মোর্চা দেশ শক্তিশালী তবে তাকে আরো শক্তিশালী করার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে মিমি মজুমদারকে মহিলা মোর্চার নবনিযুক্ত সভানেত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করে। সবকা সাথ সবকা বিকাশ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে একেবারে নিচু স্তর পর্যন্ত মহিলাদের কোথায় কি অসুবিধা রয়েছে তা দূরীভূত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহিলা মোর্চার মুখ্য ভূমিকা। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মহিলারা বিজেপি দলের জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে যেমন মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল তেমনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে মহিলারা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দুটি পদ্মফুল তুলে দেবে এই সংকল্প নিয়ে মহিলা মোর্চা কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হওয়ার পর তিনি মহিলা মোর্চার বিভিন্ন স্তরের সদস্যদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক সম্পন্ন করেন। জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাত্রিযাপন তিনি ধর্মনগরের সার্কিট হাউসে করবেন এবং কাল ও কিছু সাংগঠনিক কাজ শেষ করে পুনরায় রাজধানীর উদ্দেশ্যে ফিরে যাবেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১ ফেব্রুয়ারি।। বিশালগড় ব্লকের রাউৎখলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডে পেভার ব্লকে নির্মাণ করা হয় রাস্তা। এতে খরচ হয়েছে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা। উপকৃত হবে কয়েক হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার নবনির্মিত রাস্তার উদ্বোধন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। ছিলেন গ্রামের প্রধান সুমন দেবনাথ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিকরা। ভাষণে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন একসময় শহরে পেভার ব্লকে রাস্তা তৈরি করা হতো। গ্রামে পেভার ব্লকে রাস্তার স্বপ্ন দেখেনি কেউ। কিন্তু বর্তমান সরকার কথায় নয় কাজে বিশ্বাস করে। এই ওয়ার্ডের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য তৈরি হয় উন্নত মানের গ্রামীণ সড়ক। জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত বলেন আমরা গ্রাম এবং শহরের মধ্যে প্রার্থক্য দূর করতে চাই। এখন সকল গ্রামে স্ট্রিট লাইট, বিশুদ্ধ পানীয় জল, উন্নত শৌচ ব্যবস্থা, উন্নত রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। এগুলো একসময় শহরে হতো।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-প্রদেশ মহিলা মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার কৈলাসহরে আসেন প্রদেশ সভাপতি মিমি মজুমদার।জেলাভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠক এবং পরিচয় পর্বের জন্যই তিনি এসেছেন বলে জানান।ঊনকোটি জেলার পাঁচটি মন্ডল এবং জেলার মহিলা মোর্চার পদাধীকারীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস,জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ, মন্ডল সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত, মহিলা মোর্চার সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা লিপিকা বড়ুয়া,সংখ্যালঘু মোর্চা প্রদেশ সহ-সভানেত্রী বিলকিস জাহান,মহিলা মোর্চা জেলা সভানেত্রী রুমা মজুমদার, কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন চপলা রানী দেবরায় ও জেলা সাধারণ সম্পাদক অরুণ সাহা সহ অন্যান্যরা।প্রাক্তন বিধায়িকা মিমি মজুমদার একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিজী মহিলাদের স্বশক্তিকরনে যেভাবে অন্তিম ব্যক্তির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সেই দিক মাথায় রেখেই প্রদেশ মহিলা মোর্চাও প্রতিটি দুস্থ গরিব মহিলার পাশে থেকে কাজ করে যাবে। মহিলা মোর্চা প্রদেশ সভাপতি মিনি মজুমদার জানান, আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিটি সংগঠনের সাথে সাথে মহিলা মোর্চাও যেভাবে সংঘবদ্ধভাবে প্রতিটি নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ে,ঠিক তেমনি ভাবে এখন থেকেই সংগঠনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল মহিলাদের একত্রিত করে নতুন কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প নেওয়া হয়েছে।কৈলাসহর জেলা কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষন বৈঠকের পর মিমি দেবী চলে যান উত্তর জেলার বিভিন্ন মন্ডলের সংগঠনিক বৈঠকে।
নীতীশের জোটবদলের ব্যাখ্যা দিলেন রাহুল! জাতগণনা নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় প্রশ্ন
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়়ে এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তনের নতুন ‘তত্ত্ব’ দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার বিহারে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় তাঁর দাবি, জাতগণনা সংক্রান্ত রিপোর্ট কার্যকর করা আটকানোর উদ্দেশ্যেই বিজেপি ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছে নীতীশকে।
রাহুল বলেন, ‘‘আমরা নীতীশজিকে বলেছিলাম, আপনাকে জাতগণনা এবং এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ করাতে হবে। এতে বিজেপি ভয় পেয়ে গেল। নীতীশকে চাপ দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে তাঁকে এনডিএ-তে নিয়ে গেল।’’ বিহারবাসীর উদ্দেশে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘আপনাদের সামাজিক ন্যায়বিচার দেওয়া আমাদের জোটের (‘ইন্ডিয়া’) দায়িত্ব এবং এর জন্য আমাদের নীতীশজির প্রয়োজন নেই।’’
সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) সংরক্ষণ বৃদ্ধির প্রস্তাব সংক্রান্ত বিল গত নভেম্বরে পাশ হয়েছিল বিহার বিধানসভায়। কিন্তু তা এখনও কার্যকর হয়নি। জাতগণনার রিপোর্টকে ভিত্তিকে করে বানানো ওই বিলে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ পৃথক সংরক্ষণের কথাও বলা হয়েছে।নীতীশ আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের সঙ্গে ‘মহাগঠবন্ধন’-এ থাকাকালীন বিহারে জাতগণনা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার বিরোধিতায় মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত হয়েছিল গণনার রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিহারে ওবিসি জনগোষ্ঠী মোট ৬৩ শতাংশ। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ অতি অনগ্রসর (ইবিসি) এবং ২৭ শতাংশের সামান্য বেশি সাধারণ অনগ্রসর গোষ্ঠীর। এ ছাড়া বিহারে প্রায় সাড়ে ১৯ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তফসিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন বলে ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে।
বিজেপি খোয়াই মণ্ডল কার্যালয়ে জেলা মহিলা মোর্চার পদাধিকারীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেন প্রদেশ বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার।
বিজেপি খোয়াই মণ্ডল কার্যালয়ে জেলা মহিলা মোর্চার পদাধিকারীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেন প্রদেশ বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার। বৈঠক শুরুর আগে সভানেত্রীর প্রথম খোয়াই সফরে আসার জন্য খোয়াই মন্ডল কার্যালয়ে মহিলা মোর্চা জেলা নেতৃত্বরা ও পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস ফুলের তোড়া ও উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা জানান। এদিনের বৈঠকে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা নেতৃত্ব অপর্ণা সিংহ রায় , রাজ্য কমিটির সদস্য মানষী ঘোষ সহ অন্যান্যরা। মিমি মজুমদার জানান মহিলা মোর্চা সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে এই বৈঠকে আলোচনা হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কর্ম যজ্ঞগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরতে দলীয় কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান তিনি। এছাড়া আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার লক্ষ্যে এখন থেকেই সংগঠনের নেত্রীদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নির্দেশ দেন তিনি। খোয়াই এ সাংগঠনিক বৈঠক সেরে এদিন দুপরে দলীয় কাজে কমলপুরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন তিনি।
ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবনে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে সচেতনতা এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সচেতনতা এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এর উদ্যোক্তা ছিল উত্তর জেলা প্রশাসন এবং directorate of institutional finance। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, উত্তর জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক বিপ্লব দাস, ডিরেক্টরেট অফ ইনস্টিটিউশনাল ফিনান্স এর সিনিয়র ডেভেলপমেন্ট অফিসার তাপস কুমার বসাক ডেভেলপমেন্ট অফিসার রিতেশ দেববর্মা এবং উত্তর জেলার ডেপুটি কালেক্টর মনোজ দেববর্মা সহ জেলা পরিষদ সদস্য সদস্যবৃন্দ এবং পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে কাজ করা এজেন্ট ভাই-বোনেরা। এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে মূলত পি এম ফ্ল্যাকশিপ স্কিম অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনা, সুরক্ষা যোজনা, জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা, অটল পেনশন যোজনা, পোস্ট অফিসের কিষান বিকাশ পত্র মান্থলি ইনকাম স্কিম এবং রেকারিং ডিপোজিট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার এজেন্ট রয়েছে যারা পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যে কমিশন পায় তা দিয়ে তাদের সংসার অতিবাহিত হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে সাইবার ক্রাইম নিয়েও আলোচনা হয়। কিভাবে বিভিন্ন মিডিয়াকে সাঙ্গ করে অথবা অ্যাপসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা একটা অংশের মানুষ নয় ছয় করছে তার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা হয়। যেন তারা বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রস্তাবে প্রলুদ্ধ না হয়ে নিজেদেরকে সংযত রাখে এবং তাদের সঞ্চিত টাকার কোন ধরনের নয় ছয় না হয় তার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞদের এবং রিজার্ভ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা হলেও সময় খুব কম থাকায় তারা উপস্থিত হতে পারেনি বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-দেশের প্রধান সেবক প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশে ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ এবং সামাজিক অগ্ৰগতি আজ সকলের নজর কাড়ছে।সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনায় এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।মোদীজীর কর্মধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও যোগদান সভা অব্যাহত রয়েছে এ রাজ্যে।আজ ৫৩ কৈলাসহর মন্ডলের অন্তর্গত গৌরনগর ব্লকের আওতাধীন ধলিয়ারকান্দি পঞ্চায়েত এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কংগ্রেস ও সিপিএম দল ত্যাগ করে ২৮ পরিবারের ১০৯ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন lনবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন মন্ডল সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত,জেলা সাধারণ সম্পাদক অরুণ সাহা এবং মন্ডল সহ-সভাপতি মতাচ্ছির আলী সহ অন্যান্যরা।এই যোগদানকারীদের মধ্যে সিপিএম দলের প্রাক্তন প্রধান এবং কংগ্রেস দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন বলে জানা যায়।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৩০ জানুয়ারি।। লোকসভা ভোটের মুখে চড়িলামে বিরোধী শিবিরে ধ্বস নেমেছে । নীতি ভ্রষ্ট সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়ছে সাধারণ কর্মী সমর্থকরা। দলে দলে ভিড়ছে শাসক দল বিজেপিতে। মঙ্গলবার চড়িলাম বিধানসভার আড়ালিয়া বাজারে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬, ১৭ এবং ১৮ নং বুথের ৭৩ পরিবারের ৩০৮ জন ভোটার সিপিআইএম এবং কংগ্রেস দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। নবাগতদের বরণ করেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন, মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ, যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি গোপাল শর্মা প্রমুখ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মন বলেন, ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে আমি চড়িলামের জনগণকে সতর্ক করেছিলাম যে কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের বিভ্রান্তিমূলক প্রলোভনে পা না দেয়ার জন্য। কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের বিভ্রান্তির শিকার হয়েছে চড়িলামের জনতা। কংগ্রেস এবং সিপিএম মানুষকে বিভ্রান্ত করে মথার প্রার্থীকে জয়ের সুযোগ দিয়েছে । নির্বাচনের পর কংগ্রেস প্রার্থী এবং বর্তমান বিধায়ক উভয়ের দেখা মিলছেনা। কংগ্রেস সিপিএম সারা বছর মানুষের পাশে আছে থাকেনা। ওরা ভোটের পাখি। ভোট এলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে আসে। তিনি আরো বলেন ২০১৮ সালের আগে চড়িলামে একটিও সিসি রোড ছিল না, একটিও সোলার লাইট ছিলনা, একটিও অত্যাধুনিক খেলার মাঠ ছিল না। কিন্তু ২০১৮ সালে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর চড়িলামের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। এখন আর সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য মিটিং মিছিলে হাঁটতে হয়না। সবকা সাথ সাবকা বিকাশ নীতিতে অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। তাই তিনি আহবান জানান আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর যাতে ভুল না হয়। বিজেপির প্রার্থীর বিপুল জয়ের অংশীদার হতে হবে চড়িলামবাসীকে।