প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জনজাতি এলাকাগুলিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কেননা সিপিআইএম শাসনকালে রাজ্যের জনজাতিদের সাথে শুধু মাত্র ভোটের রাজনীতিই হতো এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে উনাদের সাথে প্রতারণা করতো সিপিএম নেতৃত্বরা। ঠিক একই রূপ ভাবে মাতাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত মালসাধু এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ৭০ বৎসর ধরে পানীয় জল সংগ্রহের কোন সুবিধা নেই এবং তৎকালীন সরকার এই এলাকায় পানীয় জল সংগ্রহের জন্য কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। যার দরুন এই এলাকার জনগণকে দূর-দূরান্ত থেকে ছড়া এবং ঝর্নার জল সংগ্রহ করে খেতে হতো। যার ফলে এই এলাকার জনগণকে প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো। আর এই অসুবিধার কথা চিন্তা করেই মালসাধু ইনোভেশন জল সরবরাহ প্রকল্প তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ মালসাধু ইনোভেশন জল সরবরাহ প্রকল্প এর ভূমি পূজন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । বিধায়ক বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে এই পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পটি তৈরি হয়ে যাবে। যার ফলে এই এলাকার জনগণকে আর পানীয় জল সংগ্রহ করতে দূর দূরান্তে যেতে হবে না। অতি অনাহাসে জল সংগ্রহ করে পান করতে পারবেন এলাকাবাসী। যার দরুন এলাকাবাসী রাজ্যে এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
রাজনীতি
মোহনপুর পুর পরিষদে নব নিযুক্ত সাফাই কর্মীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মন্ত্রী
প্রতিনিধি মোহনপুর:- মোহনপুর পুর পরিশোধের উদ্যোগে ১৮ জন নতুন সফাই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মোহনপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতনলাল নাথ আনুষ্ঠানিকভাবে নবনিযুক্ত এই সাফাই কর্মীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন।
মোহনপুর পুর পরিষদ এলাকাকে আরো সুন্দর এবং স্বচ্ছ রাখার লক্ষ্যে নতুন করে ১৮ জন সাফাই কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মোহনপুর পুর পরিষদ প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে সাফাই কর্মীদের হাতে নিয়োগপত্র, সাফাই সামগ্রী এবং তাদের পোশাক তুলে দিয়েছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি নব যুক্ত সাফাই কর্মীদের প্রতি আহ্বান রাখেন মোহনপুর পুর পরিষদ এলাকাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রত্যেকে সঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি আগামী বছর গোটা রাজ্যের মধ্যে স্বচ্ছ শহর হিসেবে মোহনপুর পুর পরিষদকে অন্যতম জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সাফাই কর্মী এবং পুর পরিষদ এলাকার জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল হবার আহ্বান করলেন মন্ত্রী। এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুরো পরিষদের সিইও সুভাষ দত্ত, চেয়ারপারসন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারম্যান শংকরদেব সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৩০ ডিসেম্বর:- রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সিপিএম এবং কংগ্রেসের মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সোমবার রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল এবং পথসভা সংঘটিত করা হয়। এদিন বিকাল চারটায় মন্ডল কার্যালয়ের সামনে থেকে শত শত দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিশাল একটি রেলি গন্ডাছড়া বাজার সহ শহর এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা শেষে মধ্য বাজারে পথ সভায় মিলিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি ধলাই জেলা কমিটির সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং , রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি ধন্য মানিক ত্রিপুরা, কৃষাণ মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার প্রমুখ। বক্তারা ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’কে নিয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসের অপপ্রচারে তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন। নেতৃত্বরা বলেন সিপিএমের এই ধরনের অপপ্রচার দেশের উন্নয়নের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করার প্রচেষ্টা মাত্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গোটা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছে না কংগ্রেস এবং সিপিএম। তাই তারা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের খেলায় মেতে উঠেছে। এদিনের বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৮ ডিসেম্বর:- রাইমাভ্যালী মন্ডল অফিস বিয়ারারের পক্ষ থেকে শনিবার নবনিযুক্ত মন্ডল সভাপতি ধন্য মানিক ত্রিপুরাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। এদিন মণ্ডল কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ডলের সহ-সভাপতি আদিত্য সরকার, সাধারণ সম্পাদক মদন বিকার চাকমা, সম্পাদক প্রীতি কুমার চাকমা, সমীর দাস প্রমুখরা। পাশাপাশি এদিন মন্ডলের সকল অংশের নেতৃত্বদের সাথে পরিচয় পর্ব এবং সাংগঠনিক সভায় অংশ নেন। সাংগঠনির সভায় মন্ডল সভাপতি ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, মন্ডলের সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক সহ মন্ডল, মোর্চা এবং জেলার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা। সেখানে আগামী দিনের সংগঠনের বিভিন্ন রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। তাছাড়াও এদিন তিনি পার্টির প্রবীণ নেতৃত্ব তথা ২০০৮ সালে এডিসি নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী প্রেম কুমার ত্রিপুরার বাড়িতে গিয়ে উনার কাছ থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। পার্টির প্রবীণ নেতৃত্বদের প্রতি মন্ডল সভাপতির উদার মানসিকতা দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে ওনার গ্রহণযোগ্যতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
উদয়পুর প্রতিনিধি : উদয়পুর জেলা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে বাবাসাহেব আম্বেদকরের সম্মান যাত্রা করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। এই দিন দুপুরে উদয়পুর জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে কংগ্রেস কর্মীরা এক সম্মান যাত্রা বের করে এদিন। এদিন সম্মান যাত্রাটি দলীয় অফিস থেকে বের হয়ে উদয়পুর শহরের নানা পথ পরিক্রমা করে । পরে মিছিলটি গোমতী জেলাশাসকের অফিসে সামনে গিয়ে এক পথ সভায় মিলিত হয় এবং গোমতী জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য্যর নিকট পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল ডেপুটেশানে মিলিত হয় জেলা কংগ্রেস সভাপতি টিটন পালের নেতৃত্বে । এদিন ডেপুটেশান শেষে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল বলেন , দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধান প্রণেতা ডঃ বি আর আম্বেদকরকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তার জন্য গোটা দেশের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী চাইতে হবে এবং অবিলম্বে যেন পদত্যাগ করা হয় সে বিষয়ে জেলাশাসকের মধ্য দিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে ডেপুটেশান পত্র পাঠানো হচ্ছে। এই দিনের ডেপুটেশানে জেলা সভাপতি ছাড়াও ছিলেন , ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলন কর সহ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত দেবনাথ ও অন্যান্য নেতৃত্বরা । এদিনের মিছিলটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উদয়পুর শহরে।
- উদয়পুর প্রতিনিধি : রবিবার উদয়পুর রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ গোমতী ও উদয়পুর মহকুমার কমিটির উদ্যোগে দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভ সূচনা করেন উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএম এস এিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি দেবশ্রী কলই,TRKS এিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি পার্থ পাল, TRKS এিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস, অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার তপন মজুমদার প্রমূখ।
এই সম্মেলনের অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার তপন মজুমদার বলেন, ভারতীয় মজদুর সংঘ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন গুলোর মত নয় রাষ্ট্র এবং রাজ্যের কল্যাণই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য। তাই অতীত ভুলে গিয়ে নতুন সূর্যোদয়ের প্রত্যাশা নিয়ে সমস্ত কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ ও রাজ্যের জন্য কাজ করতে হবে। একই সাথে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার নিয়েও কথা বলতে হবে।
পরবর্তী পর্যায়ে ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ ২য় ত্রৈ বাষির্ক সম্মেলনের গোমতী জেলা ৪৫ জনের কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির মধ্যে সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দাস, সম্পাদক দেবব্রত লোধ, কোষাধক্ষ্য অশোক বর্ধন। একই সাথে উদয়পুর মহকুমা ৪৫ জনের কমিটি গঠিত হয়। সভাপতি ধ্রুব রঞ্জন ধর, সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দাস, কোষাধক্ষ্য রূপেশ লোধ ।
ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘের দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে লোক সমাগমের উপস্থিত ছিল বেশ লক্ষণীয়।
আম্বেদকর প্রসঙ্গে অমিত শাহের বক্তব্য: প্রতিক্রিয়া জানালেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী
আগরতলা: সংসদে ভারতের সংবিধানের স্থপতি ড. বি.আর. আম্বেদকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জেরে ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন যে, “অমিত শাহ আম্বেদকরের আদর্শ এবং সংবিধান রক্ষার মূল চেতনার বিপরীতে কাজ করছেন। সংবিধানের যে সাম্য ও ন্যায়ের বার্তা আম্বেদকর দিয়েছিলেন, তা আজকের সরকার পদে পদে উপেক্ষা করছে।” তিনি আরও বলেন, “আম্বেদকরের নাম মুখে আনা সহজ, কিন্তু তার দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবে অনুসরণ করা কঠিন। বর্তমান শাসক দল আম্বেদকরের আদর্শকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।” চৌধুরী উল্লেখ করেন যে, সংবিধানকে রক্ষা করা এবং সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি রাজনীতিবিদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে সাম্প্রদায়িকতা এবং বিভাজনের যে রাজনীতি চলছে, তা আম্বেদকরের স্বপ্নের ভারতকে ধ্বংস করছে। বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের পর এই প্রসঙ্গে শাসক দল বিজেপির তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আম্বেদকর নিয়ে এই বিতর্ক আসন্ন রাজনৈতিক ময়দানে বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে।
উদয়পুর প্রতিনিধি : ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের উদ্যোগে গোটা দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ মিছিল। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার উদয়পুর জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে শনিবার দুপুর ১ টায় জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয় উদয়পুর শহরে। মিছিলে কংগ্রেসকর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে গলায় বি আর আম্বেদকরের ছবি ঝুলিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়। একই সাথে দিন মিছিলে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীর হাতে থাকা ভারতের সংবিধানের ছবি যা স্থান পেয়েছে এদিনের মিছিলে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের নানা পথ পরিক্রমা করে দলীয় অফিসের সামনে এসে এক পথ সভায় মিলিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল বলেন, যেভাবে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে যে বক্তব্য এবং কটুক্তি করেছেন তা নিয়ে অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে । পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বলে এদিন দাবি তোলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। এই দিনের মিছিলে যুব কংগ্রেস থেকে শুরু করে ব্লক কংগ্রেস ও কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন জেলা কংগ্রেস সভাপতির সাথে ছিলেন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত দেবনাথ , ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলন কর সহ প্রমুখ। এদিনের কংগ্রেসের গোটা মিছিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ছিল মুখর ।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ে কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলায় বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো বামপন্থী যুব সংগঠন DYFI । এই উপলক্ষে মেলার মাঠ ছাত্র-যুবভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চার বীর শহীদ রামপ্রসাদ বিসমিল, ঠাকুর রসন সিং, আস্ফা উল্লা খান ,রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক, সম্পাদক নবারুণ দেব সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে শহীদদের প্রতিকৃতিতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে এই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক বলেন, লখনৌ শহরের কাছে কাকুরি ট্রেন লুটের ঘটনায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছিল ব্রিটিশ পুলিশ। তাদের মধ্যে এই চার বীর শহীদকে ১৯২৭ সালে এই দিনে ফাঁসি দিয়েছিল ব্রিটিশ। বামপন্থী যুব সংগঠন এই চার বিপ্লবীকে স্মরণের মধ্য দিয়ে আগামী দিনে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই কে আরো তেজী করার শপথ গ্রহণ করা হয় ।
- নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলারসহর :- CPIM দলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেল বেলা কৈলাশহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রের সামনে একটি প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তপন চক্রবর্তী, সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, রাজেন্দ্র রিয়াং, সিপিআইএম ঊনকোটি জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, সিপিআইএম কৈলাশহর মহকুমা কমিটির সম্পাদক বিশ্বরূপ গোস্বামী থেকে শুরু করে সিপিআইএম দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম দলের নেতৃত্বরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন,পাশাপাশি সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিজেপি ও কংগ্রেস দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।