প্রতিনিধি ধর্মনগর,, আজ ৬০ নং বিজেপি কাঞ্চনপুর মণ্ডলের উদ্যোগ কাঞ্চনপুর টাউন হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে এক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাংগঠনিক সভায় রাজ্য বিজেপির প্রদেশ সভাপতি শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির উত্তর জেলার সভাপতি কাজল দাস, উত্তর জেলার সভাধিপতি অপর্ণা নাথ,কাঞ্চনপুর মন্ডল সভাপতি বীরেন্দ্র কর সহ কাঞ্চনপুর মন্ডলের অন্যান্য নেতৃত্বরা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সভায় সূভ সূচনা করেন উপস্থিত অতিথিবর্গরা। তারপর বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য মহোদয়এই সাংগঠনিক সভায় আগামী এডিসি নির্বাচনের উপর দলের কার্যকরতা বাড়ানোর জন্য সবাইকে অনুপ্রেরণা প্রদান করেন এবং কিভাবে আরো মানুষের উপকারে আসা যায় সেই ব্যাপারে আরো ব্যাপকভাবে কাজ করার জন্য সবাইকে অগ্রসর হওয়ার জন্য অনুরোধ রাখেন এরই সাথে তিনি এই সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি তুলে ধরলেন সকলের সামনে ।তিনি বলেন রাজ্যের জনগণদের একটি সময় ঘরের জন্য নেতাদের বাড়িতে লাইন ধরতে হত । তবে এখন আর ঘরের জন্য নেতাদের বাড়িতে লাইন ধরতে হয় না কারন বর্তমানে রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার কাজ করছে এবং বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৪.৫০ লক্ষ পাকা বাড়ি এই ডাবল ইঞ্জিনের সরকার নির্মাণ করে দিয়েছে পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে এই ডবল ইঞ্জিনের সরকার রাজ্যের গরিব অংশের গনগণদের সম্পুর্ন বিনামূলে পরিবার পিছু ৫ কেজি করে চাল প্রদান করে আসছে।সবশেষে এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ছিল তিরঙ্গা যাত্রা। সেই মোতাবিক প্রায় ৭ থেকে ৮০০ মানুষ উপস্থিত হন, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই রেলি প্রদর্শন হয়নি। তবে তারা আশাবাদী আগামী দিনগুলোতে তারা আরো বিভিন্ন কর্মসূচির চালিয়ে যাবেন।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ মে।। যুব জোয়ার প্রত্যক্ষ করল বিশালগড়। টগবগে যুবসমাজ কাঁপালেন বিশালগড়ের রাজপথ। আকস্মিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে এমন যুব জোয়ার অতীতে কখনো পরিলক্ষিত হয়নি বিশালগড়ে। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যুব সমাজ রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। বুধবার বিশালগড়ে পা রাখেন বিজেপির প্রদেশ প্রভারী রাজদীপ রায়। দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে বুধবার পড়ন্ত বেলায় বিশালগড়ে যান প্রদেশ প্রভারি রাজদীপ রায় এবং প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত। বিশালগড়ের জাঙ্গালিয়া থেকে সুবিশাল বাইক র্যালির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় দলের নেতৃবৃন্দদের। বিধায়ক সুশান্ত দেবের বাইকের পেছনের আসনে বসেন প্রভারি রাজদীপ রায়। অমিত রক্ষিত ছিলেন ওপর এক যুব কার্যকর্তার বাইকের পেছনের আসনে। উজ্জীবিত যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে বিশালগড়ের রাজপথ দাপিয়েছে প্রভারি রাজদীপ রায়, সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব। শেষে তারা একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ বিষয়ে বিধায়ক সুশান্তদেব জানান বিরোধীদের মিথ্যাচার অপপ্রচারের যুবক জবাব দিয়েছে বিশালগড়ের যুবসমাজ। যুবকরা রয়েছে সরকারের পাশেই। বিশালগড়ে বিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিশালগড়ের যুবসমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আজকের এই কার্যক্রমে তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিনিধি ধর্মনগর ,,রাজ্যসভার সাংসদ পদে নিযুক্ত হয়ে প্রথমবার একদিনের জন্য উত্তর ত্রিপুরা সফরে এসেছেন ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির সভাপতি শ্রী রাজিব ভট্টাচার্জ। এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য হল
এক দেশ এক নির্বাচন” শীর্ষক আলোচনা চক্রে যোগ দেয়ার জন্য আজ বুধবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার একদিনের জন্য ধর্মনগরে সফরে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য । এদিন জেলা বিজেপির উদ্যোগে ধর্মনগর বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত হয়”এক দেশ এক নির্বাচন” শীর্ষক আলোচনা।এতে রাজ্য সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন,বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল নাথ,রাজ্যের ওবিসি মোর্চার সভা নেত্রী মলিনা দেবনাথ,জেলা সভাধিপতি অপর্ণা নাথ, বিজিপি দলের উত্তর জেলা সভাপতি কাজল দাস প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রদীপ উজ্জ্বলন করা হয়, তারপর বাবা সাহেবআম্বেদ করপুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয় কে।তারপর অতি অতিথিদেরকে উত্তরীয় ও পুষ্প স্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি সভাপতি কাজল দাস,ত্রিপুরা বিধানসভার ও তথা ধর্মনগরের বিধায়ক শ্রী বিশ্ববন্ধু সেন, রাজ্যসভা সাংসদ তথা ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্জী, বাগবাসা বিধানসভার বিধায়ক যাদব লাল নাথ প্রোমূখ এদিন বক্তারা এক দেশ এক নির্বাচনের বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রাখেন।এদিন উক্ত কর্মসূচিতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। এই আইনে কারোরই ক্ষতি হবে না। বৃহস্পতিবার বিশালগড়ে চৌপাল বৈঠকে বললেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নানান কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম চলো অভিযান এবং চৌপাল বৈঠক। বৃহস্পতিবার বসন্তের পড়ন্ত বিকালে বিশালগড়ের প্রভুরামপুর পঞ্চায়েত মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। চৌপাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, বিধায়ক সুশান্ত দেব, পৌর পরিষদ চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, মন্ডল সভাপতি তপন দাস, মন্ডল প্রভারী অমল দেবনাথ প্রমুখ। বাঁশ খড় দিয়ে সবুজ ধান ক্ষেতের পাশে পুকুর পাড়ে বানানো হয় অস্থায়ী চৌপাল মঞ্চ। বসন্তের পড়ন্ত বেলায় হিমেল হাওয়ার স্পর্শ গায়ে মেখে নেতাদের বক্তব্য শুনেন উপস্থিত আবালবৃদ্ধবনিতা। ভাষণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন বর্তমানে ওয়াকফ আইন এবং এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে চর্চা হচ্ছে। কংগ্রেস সিপিএম সহ বিরোধী দল গুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সিএএ নিয়েও বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। এবার ওয়াকফ নিয়ে বিভ্রান্ত করছে। তিনি বলেন বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। ওয়াকফ আইনে কোন সংখ্যালঘুর ক্ষতি হবে না। বরং এতে সকল সংখ্যালঘুদের কল্যাণ হবে। এই আইনে সংখ্যালঘুদের ধার্মিক বিষয়ে কারোর হস্তক্ষেপ থাকবে না। হাতে গোনা কয়েকজন ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার করে বাঁকা পথে রোজগার করতো। জমি দখল করে বিক্রি করতো। এবার এই জমি দেখবাল করবেন জেলা শাসক। এতে সংখ্যালঘুদের জমি সুরক্ষিত থাকবে। আঠারো নির্বাচনের আগে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করেছিল সিপিএম। ৩৫ বছরে এ রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কোন উন্নয়ন করেনি। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কোন ক্ষতি হয়নি। সরকার এসব সবকা বিকাশ নীতিতে সকলের কল্যাণে কাজ করছে। এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন স্বাধীনতার পর একই সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন হতো। কংগ্রেসের কারণে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সময় এবং সরকারি অর্থ অপব্যয় হত। এক দেশ এক নির্বাচন চালু হলে খরচ এবং সময় দুটিই বাঁচবে। এতে রাষ্ট্রের কল্যাণ হবে। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠার পর সকল সরকারি সুবিধা অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এই প্রভুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা সিসি রোড করা হয়েছে। জমিতে সেচের জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শস্য শ্যামলায় ভরে উঠেছে এই প্রভুরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সিপিএম একসময় এই অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এখানকার সংখ্যালঘুর বুঝতে পারছে কারা সংখ্যালঘুদের শত্রু। সিপিএমের আমলে এ এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে উন্নয়নের পাশাপাশি সকল অংশের মানুষের আর্থসামাজিক কল্যাণ ঘটছে। এদিন গ্রাম চলো অভিযানের অঙ্গ হিসেবে গ্রামের কয়েকটি কৃষি জমিতে পরিদর্শন করে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর জল সেচের বন্দোবস্ত করায় এই এলাকার চাষীরা অত্যন্ত খুশি। সবুজে ফসলে ভরে উঠেছে কৃষি জমি। অপরদিকে চড়িলাম মন্ডল আয়োজিত গ্রাম চলো অভিযানের অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন সিপিএম এবং কংগ্রেস মিলেমিশে এ রাজ্য কৃষক শ্রমিক যুবক সকল অংশের মানুষের সর্বনাশ করেছে। ১০৩২৩ শিক্ষকের চাকরিচ্যুতি সিপিএমের পাপের ফসল। বেআইনিভাবে চাকরি দিয়েছে সিপিএম। আদালতে মামলা করেছে কংগ্রেসের নেতা। এতদিন তারা মিলে মিশে সরকার চালিয়েছে। গত নির্বাচনে তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এদের আবার সুযোগ দিলে রাজ্যের সর্বনাশ করবে। কংগ্রেস এবং সিপিএম ওয়াকফ আইন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের রাজনৈতিকভাবে ধূলিসাৎ করা হবে। সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি তাপস দাস।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন হলে গ্রামের উন্নয়ন হয়ে ওঠে । এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয় । একের পর এক রাস্তাঘাট যেভাবে করা হচ্ছে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে। তাতে করে গোটা বিধানসভার রূপ ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে । কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার থাকার কারণে রাজ্যের উন্নয়ন দ্রুত হচ্ছে। যা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী বলে থাকেন ডাবল ইঞ্জিনের সরকার । যা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সরকারের সুফল পেতে শুরু করেছে গোমতি জেলার মাতাবাড়ি কেন্দ্র । এই বিধানসভা কেন্দ্রের চন্দ্রপুর কাঁঠালতলী থেকে সিদ্দিকা টিলা পর্যন্ত ভগ্ন দশা সম্পন্ন রাস্তাটিকে সংস্কার করে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল গ্রামবাসীদের। গ্রামের সাধারণ মানুষের দাবীকে মান্যতা দিয়ে প্রায় এক কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় পাকা রাস্তা ( ব্ল্যাক টপ ) তৈরি করা হবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধিদেরকে সাথে নিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করেন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। বিধায়ক আশ্বস্ত করেন খুব শীঘ্রই শুরু হবে নতুন পাকা সড়কের কাজ । বিধায়কের মুখ থেকে উন্নয়নের কাজের আশ্বস্ত হয়ে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে গ্রামীন এলাকা জুড়ে।
“বিকশিত ভারতের বিকশিত বাজেট” সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাইমাভ্যালী মন্ডলে রেলী ও পথসভা
- প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৪ মার্চ:- সোমবার গোটা রাজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে রাইমাভ্যালী মন্ডলেও “বিকশিত ভারতের বিকশিত বাজেট” উপলক্ষে এক বিশাল রেলীর আয়োজন করা হয়। জনকল্যাণমুখী ও জনহৈতেষী বাজেট পেশের জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে এই রেলী অনুষ্ঠিত হয়। রেলীটি মন্ডল কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে গন্ডাছড়া বাজার এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মধ্যবাজারে এসে এক পথসভায় মিলিত হয়। এই বিশাল রেলী ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সম্পাদক তথা এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, ধলাই জেলা সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, প্রদেশ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী সতী চাকমা, কৃষাণ মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার, রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি ধন্য মানিক ত্রিপুরা, প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরাসহ মন্ডল ও বিভিন্ন মোর্চার নেতৃবৃন্দ। পথসভায় বক্তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ও তার মন্ত্রিসভার জনমুখী বাজেট পেশের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এই বাজেট সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা চিন্তা করে প্রণয়ন করা হয়েছে, যা রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে, যা তাদের আর্থিক সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার জন্য ৫০ হাজার টাকার বীমা প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যা নারীর ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তাছাড়া, বাজেটে কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং মহিলাদের উন্নয়নে একাধিক জনহিতকর প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এই বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বক্তারা মনে করেন। এদিনের রেলী ও পথসভাকে ঘিরে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। তাঁরা ব্যানার, পতাকা ও স্লোগানের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানান। সরকারের জনহিতকর বাজেট ঘোষণার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
“বিকশিত ভারতের বিকশিত বাজেট” উপলক্ষে আয়োজিত এই রেলী ও পথসভা জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এটি প্রমাণ করে যে, রাজ্য সরকার কর্তৃক গৃহীত নীতি ও পরিকল্পনাগুলি জনসাধারণের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা যায়, যা রাজ্যের অগ্রগতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
রাইমাভ্যালীতে তিপ্রা মথা ও কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন ৫০ জন ভোটার
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২১ মার্চ:- রাইমাভ্যালীতে তিপ্রা মথা ও কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাইমাভ্যালী মন্ডল কমিটির উদ্যোগে এক যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সভায় তিপ্রা মথা গন্ডাছড়া মহকুমা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মাইধ্যম রাম রিয়াং এবং রাইমাভ্যালী ব্লক কংগ্রেস কমিটির সহসভাপতি খগেন্দ্র ত্রিপুরার নেতৃত্বে তিপ্রা মথা, কংগ্রেস এবং সিপিএম দল ত্যাগ করে ১৬ পরিবারের ৫০ জন ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি ধন্য মানিক ত্রিপুরা।
এই যোগদান সভায় বিজেপির বিভিন্ন শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি প্রদেশ কমিটির সম্পাদক তথা ৮ নং গঙ্গানগর-গন্ডাছড়া কেন্দ্রের এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, ধলাই জেলা সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, কৃষাণ মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকারসহ মন্ডল ও বিভিন্ন মোর্চার নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির ধলাই জেলা সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা বলেন, “শুক্রবার রাইমাভ্যালী মন্ডলে নারায়ণপুর বাজারে আরও বড় একটি যোগদান সভা আয়োজন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তিপ্রা মথা ছাত্র সংগঠনের ডাকা রাজ্যব্যাপী ধর্মঘটের কারণে সেই সভাটি বাতিল করতে হয়েছে। তবে আগামী দিনে রাইমাভ্যালী মন্ডলে আরও বড় পরিসরে যোগদান কর্মসূচি চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে সারা দেশ ও রাজ্যে উন্নয়নের যে জোয়ার বইছে, তাতে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের নেতারাও আকৃষ্ট হচ্ছেন এবং বিজেপিতে যোগদান করছেন। উন্নয়ন ও সুশাসনের স্বার্থেই মানুষ বিজেপির ওপর আস্থা রাখছে।”
সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী মাইধ্যম রাম রিয়াং তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, “২০১৮ সাল থেকে তিনি তিপ্রা মথা গন্ডাছড়া মহকুমা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। বলা যায়, তার হাত ধরেই গন্ডাছড়ায় তিপ্রা মথার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাইমাভ্যালী কেন্দ্রে দলের প্রার্থীকে জয়ী করার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি।”
তবে, এত বছর ধরে দলের জন্য কাজ করার পরও বর্তমানে তিনি কোনো গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। “আমাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। তিপ্রা মথার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নেই, দল পরিচালনায় বিশৃঙ্খলা চলছে,”—বলেন তিনি। এসব কারণেই তিনি তিপ্রা মথা ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
অন্যদিকে, রাইমাভ্যালী ব্লক কংগ্রেসের সহসভাপতি খগেন্দ্র ত্রিপুরা, যিনি এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তিনি বলেন, “২০১৪ সালে আমি বিজেপির রাইমাভ্যালী মন্ডলের মন্ডল সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলাম। তবে ২০১৬ সালে কিছু ব্যক্তিগত কারণে দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকি। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে কংগ্রেসে যোগদান করি এবং রাইমাভ্যালী ব্লক কংগ্রেসের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করি।”
কিন্তু কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নেই দাবি করে তিনি বলেন, “কংগ্রেস কখনোই আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উগ্রপন্থী কার্যকলাপ এখন প্রায় নেই বললেই চলে। তাই মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করছে।”
খগেন্দ্র ত্রিপুরা আরও বলেন, “আগামী দিনে তিপ্রা মথা, আইপিএফটি, সিপিএম ও কংগ্রেস দল ছেড়ে হাজার হাজার ভোটার বিজেপিতে যোগ দেবেন। কারণ মানুষ উন্নয়ন ও শান্তি চায়।”
এই যোগদান সভাকে ঘিরে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের বিপুল উচ্ছ্বাস দেখা যায়। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, রাইমাভ্যালীতে এভাবে একের পর এক বিরোধী দলের নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলে দলের সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং আগামী নির্বাচনে বিজেপির অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।
রাইমাভ্যালীতে তিপ্রা মথা ও কংগ্রেসের বড়সড় ভাঙন বিজেপির রাজনৈতিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের বিজেপিতে যোগদান এ অঞ্চলে দলের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে। বিজেপির নেতৃত্বরা আশাবাদী যে ভবিষ্যতে আরও বিশাল সংখ্যক কর্মী ও সাধারণ মানুষ বিজেপিতে যোগ দেবেন, যা দলকে আরও শক্তিশালী করবে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-পাবিয়াছড়া বিধানসভার অন্তর্গত প্রতিটি বুথকে স্ব-শক্তিকরনের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ চলেছেন বিধায়ক ভগবান দাস। কর্মীদের সংগঠনমুখী করতে প্রতিনিয়ত সাংগঠনিক পর্ব জারী রয়েছে।ভারতীয় জনতা পার্টির পাবিয়াছড়া মন্ডলের অন্তর্গত মাছমারা সেক্টরের কার্যকর্তাদের নিয়ে আজ এক দিবসীয় কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় মাছমারা টাউনহলে।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পাবিয়াছড়া বিধানসভার বিধায়ক তথা প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস, জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা মন্ডল সভাপতি সন্তোষ ধর, সমাজসেবী রবীন্দ্র সিনহা, ও কার্তিক দাস এবং এম.ডি.সি স্বপ্না দাস সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- বলাই গোস্বামীকে অন্তিম বিদায় দিলো বামুটিয়া বাসি। শুক্রবার দুপুরে বামুটিয়া ব্লক প্রাঙ্গনে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে শ্রী গোস্বামীকে। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ, বামুটিয়ার বিধায়ক নয়ন সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধন দাস সহ অন্যান্যরা। দীর্ঘদিন বামুটিয়ার মাটি থেকেই রাজনীতির সাথে ওতপ্রুত ভাবে জড়িত ছিলেন বলাই গোস্বামী।
ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনীতির হাতে খড়ি হয়েছিল বলাই গোস্বামী। দীর্ঘ কয়েক দশক কংগ্রেস ঘরানার রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। সর্বশেষ বেশ কয়েক বছর বিজেপি রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। বিশেষ করে নির্বাচনের প্রশাসনিক কাজে অত্যন্ত দক্ষ হিসেবে সুনাম ছিল উনার। সর্বশেষ ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। দায়িত্ব পালন করছিলেন জেলা সভাধিপতির। এরই মধ্যে উনার মৃত্যুর খবর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা রাজ্যজুড়ে। শুক্রবার দুপুরে এমবিবি বিমানবন্দর থেকে উনার মরদেহ আনা হয়েছে বামুটিয়া ব্লক প্রাঙ্গনে। বাম বিধায়ক নয়ন সরকার উনাকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পাশাপাশি দাবি করেছেন উনার মৃত্যুতে বামুটিয়ার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ, পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমার, বামুটিয়ার বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা এদিন অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বামুটিয়া এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এদিন এলাকার অত্যন্ত প্রাচীন নেতাকে অন্তিম বিদায় জানাতে হাজির হয়েছিলেন। এদিকে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন নির্বাচনী কাজ পরিচালনার জন্য গোটা রাজ্যের মধ্যে জনা দশেক দক্ষ ব্যক্তিত্বের মধ্যে একজন বলাই গোস্বামী। উনার মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই দলের একটি বিশাল ক্ষতি হয়েছে। তিনি যেভাবে জেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছিলেন সেগুলিও অসম্পূর্ণ রয়ে গেল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অন্যদিকে জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমার বলেন শ্রী গোস্বামী একজন ভালো মানুষ এবং দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। তিনি যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছিলেন সেগুলো বর্তমানে সম্পূর্ণ করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। সে কাজগুলো পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা শাসক।
রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, রাহুল গান্ধী কে ক্ষমা চাওয়া উচিত দেশবাসীর কাছে : অর্থমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- বিকশিত ভারতের ,বিকশিত বাজেট পেশ করার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় গোমতী জেলা বিজেপি এক ধন্যবাদ সূচক রেলি ও সভা করে উদয়পুর মেলার মাঠে । এদিন সভা শুরু হওয়ার আগে গোমতী জেলা বিজেপির দলীয় অফিসের সামনে থেকে এক মিছিল বের হয়। অপরদিকে জামতলার টাউনহলের সামনে থেকে আরও একটি মিছিল সমাবেশস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয় । দুইটি মিছিলের দুই প্রান্তে ছিলেন একদিকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অন্যদিকে মাতারবাড়ি কেন্দ্রে বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, জিতেন্দ্র মজুমদার সহ প্রমূখ। পরে রবীন্দ্র, নজরুল ও সুকান্তের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় দলীয় সভা। সে সভায় ছিলেন জেলা বিজেপি সভানেত্রী সবিতা নাগ , জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় ও পৌর চেয়ারম্যান এবং রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা সহ প্রমূখ । দলীয় সভায় স্বাগত ভাষণ রাখেন জেলা সভানেত্রী সবিতা নাগ । পরে রাজ্য সম্পাদক বিপিন দেববর্মা ভাষণ রাখতে গিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দল বামেদেরকে । পরে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, ২০২৫ সালে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছে তা জনকল্যাণমুখী বাজেট । এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন , দেশের রাষ্ট্রপতি কে নিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন রাহুল গান্ধী। তাকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে নেওয়া খুবই জরুরি। তার কারণ না হলে আগামী দিনে দেশের মানুষ তাদেরকে আরো উচিত শিক্ষা দেবে বলে তিনি তার ভাষনে আখ্যায়িত করেন । পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী বলেন , রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী যেভাবে কেন্দ্রীয় বাজেটকে নিয়ে সমালোচনা করে চলেছে তা কখনোই কাম্য নয়। বিগত ২৫ বছরের এই রাজ্যের শাসন মানুষ দেখেছে যা প্রতিনিয়ত মানুষকে লাঞ্ছিত এবং বঞ্চিত করে রেখেছিল বামেরা। বর্তমান সরকার রাজ্যের উন্নয়নে প্রতিটি বিধানসভা এবং গোমতী জেলা জুড়ে কাজ করে চলেছে যা কখনো বাম গ্রেসদের সহ্য হচ্ছে না । এদিন অর্থমন্ত্রীর একের পর এক আক্রমণের নিশানায় ছিল সবথেকে বেশি কংগ্রেসের দিকে। অন্যদিকে বাম কংগ্রেসকে একই সমান্তরাল ভাবে তিনি আক্রমণ করতেও ছাড়েননি, রবীন্দ্র ,নজরুল ও সুকান্তের মঞ্চ থেকে । এই দিন সভাকে কেন্দ্র করে বড় মাত্রায় দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।