শান্তির বাজার প্রতিনিধি : শান্তিরবাজার মহকুমা ব্লকের অন্তর্গত মনু ভিলেজের কার্মি পাড়ার কমিউনিটি হলের সামনে থেকে হাড়াই পাড়ার ৫ নং বুথের তাজুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। পেককাদা পেরিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় এলাকার লোকজনদের। যার কারনে প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।এতে এলাকার সাধারণ মানুষ, স্কুল গামী শিক্ষার্থী, রোগী পরিবহন কারি, ওই এলাকার প্রায় ৫০ টি পরিবারের চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন । অল্প বৃষ্টিতে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েন রাস্তাটি।স্থানীয়দের তথ্য অনুযায় দীর্ঘদিন সড়কের এই ভয়াবহ অবস্থা। রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে । বারবার সাধারণ লোকজন বাম আমল নেতা-নেত্রী থেকে রাম আমলের নেতা নেত্রী এবং মনু ভিলেজের পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে এই কাঁচা মাটির রাস্তাটিকে সংস্কার করার জন্য জানালেও তারা কোন প্রকার সংস্কারের এর উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। স্থানীয় পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব এই ধরনের গাহেলা মনোভাব দেখে দিনের পর দিন বাড়ছে জনগণে ক্ষোভ। জানা যায় এই রাস্তাটি দিয়ে কার্মিপাড়া থেকে কালাপাড়া হয়ে বিলোনিও যাওয়া যায়। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। সামনে ভিলেজ নির্বাচন তাই সকলের চাইছেন এই রাস্তাটিকে দ্রুত সংস্কার করে চলাচলযোগ্য করে তোলার জন্য। না হলে আগামী দিন ভোট বয়কট করে আন্দোলনে নামবে এই পাড়ার প্রায় ৫০টি পরিবার। অপরদিকে ৮ নং জাতীয় সড়ক থেকে কালাপাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। নেই কোন সংস্কারের উদ্যোগ। আজও ওই রাস্তাটিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। মিলন ত্রিপুরা উনার মেয়েকে নিয়ে বাইক নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এখন এই রাস্তাটি ইট পাথর উঠে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই সকলে চাইছেন বকাফা ব্লক এবং মনু ভিলেজ কর্তৃপক্ষ এই রাস্তা গুলিকে দ্রুত সংস্কার করে চলাচলযোগ্য করে তোলার জন্য।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২ সেপ্টেম্বর।। বিশালগড়ের কৃতি সন্তান ডঃ অরুণোদয় সাহা। ভারত সরকার কর্তৃক অনন্য নাগরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন । তার এই অনন্য কৃতিত্বকে সম্মান জানানো হয় বিশালগড়ে। বিশালগড়ের সামাজিক সংগঠন ত্রয়ীর উদ্যোগে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পদ্মশ্রী ডঃ অরুণোদয় সাহাকে “বিশালগড় রত্ন” সম্মানে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন দাস সহ ত্রয়ীর পক্ষে প্রসেনজিৎ রায়, গৌতম ঘোষ এবং প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। বক্তারা বিশালগড়ের সামাজিক জীবনে ডঃ অরুণোদয় সাহার অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন । নিজের বক্তব্যে ডঃ অরুণোদয় সাহা বলেন তিনি তার শিক্ষা এবং কর্মজীবনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে গেছেন, অনেক কিছু শিখেছেন, কিন্তু তার সবকিছুতেই বিশালগড়ের মাটির টান তিনি অনুভব করেছেন। বিশালগড়ের সাথে তাঁর নাড়ির সম্পর্ক তাঁকে বার বার উদ্বেলিত করেছে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে বিশালগড় রত্ন সম্মানে পেয়ে তিনি আপ্লুত বলেই আবেগ প্রকাশ করেছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে ত্রয়ীর আয়োজনে গত ২৫ শে আগষ্ট অনুষ্ঠিত পদ্মপুরাণ পুঁথি পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
কোচবিহারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার কোচবিহারে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে আগে থেকেই কালো পতাকা নিয়ে খাগড়াবাড়িতে জমা হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শুভেন্দুর কনভয় ঢুকতেই লাঠি দিয়ে আঘাতের পাশাপাশি পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি পুলিশের গাড়িও ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর সেই কনভয় পৌঁছায় বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন শুভেন্দু।
ভারতীয় জনতা পার্টির ৪৮ করমছড়া মণ্ডল কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- শনিবার করমছড়া কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় জনতা পার্টির ৪৮ করমছড়া মণ্ডল কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এছাড়াও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ধলাই জেলা সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, মণ্ডল সভাপতি সঞ্জিত দেববর্মা, এম.ডি.সি. সঞ্জয় দাস, বিমল কান্তি চাকমা সহ দলের জেলা ও মণ্ডল স্তরের নেতৃত্বরা। বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল স্থানীয় স্তরে দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ। রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য দলের কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিটি কার্যকর্তাকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের জনমুখী ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে দলের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ানো সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, দলের প্রতিটি সদস্যকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সংগঠনের ভিত যত শক্তিশালী হবে, দলের ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল হবে। মণ্ডল সভাপতি সঞ্জিত দেববর্মা তাঁর বক্তব্যে করমছড়া মণ্ডলে দলের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা এবং কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি জানান, দলের প্রতিটি স্তরের কার্যকর্তা সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে। এই বৈঠকে দলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা এবং জনসংযোগমূলক কর্মকাণ্ডের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৈঠকের শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, দলের জনভিত্তি সম্প্রসারণ এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের বৈঠক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে। দলের একাংশের মতে, এই বৈঠক করমছড়া মণ্ডলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে, যা আগামিদিনে দলের কর্মপন্থা নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বৈভবশালী ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে : সুশান্ত
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৪ জুন।।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিগত ১১ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের সেবা সুশাসন গরিব কল্যাণের কর্মসূচি গুলি প্রচারের উদ্দেশ্যে বিজেপির পক্ষকাল ব্যাপী কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হয় বিকশিত ভারত সংকল্প সভা। শনিবার বিকালে বিজেপির বিশালগড় মন্ডল কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিশালগড় পৌরপরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, মন্ডল সভাপতি তপন দাস, মন্ডল প্রভারী অমল দেবনাথ, মন্ডল সহসভাপতি জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা প্রমুখ। ১১ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জনকল্যাণকর প্রকল্প গুলো জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় সমাবেশ স্থলের পাশে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন ২০১৪ সালের আগে আমরা অনেক সরকার দেখেছি। যে দলটি প্রায় ষাট বছর দেশের শাসনভার পরিচালনা করেছে সেই দলের ইতিহাস আমরা সবাই জানি। কেন্দ্রের কংগ্রেস শাসিত সরকার এবং রাজ্যের সিপিএম শাসিত সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল । যার কারণে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে বিকাশ মুখী সরকার প্রতিষ্ঠার পর দেশের আপামর জনসাধারণ বিশেষ করে গরীব অংশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও রাজ্যে ছিল সিপিএমের সরকার। সেই কারণে এই রাজ্যের গরিব মানুষ দলবাজির শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত ছিল । ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠার পর ডাবল ইঞ্জিনের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মাথা গোঁজার ঠাঁই। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছে। কৃষি স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটছে। কৃষকদের আয় বেড়েছে। প্রায় চার লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাড়তি রোজগারের সুবিধা পেয়েছে। যুবকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বচ্ছ নিয়োগ-নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরি প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশালগড় ছিল সিপিএমের দখলে। সেই সময় সিপিএমের তথাকথিত বিধায়ক কে মানুষ বন্যা বলুন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলুন এমন কি করোনা মহামারীর সময়েও খুঁজে পাননি। ২০২৩ সালে বিশালগড়ে পদ্মফুল ফুটেছে। এরপর থেকে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং চাহিদা পূরণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। গত ২৫ বছরে বিশালগড়ে যা উন্নয়ন হয়নি দুই বছরে এর চেয়ে বেশি উন্নয়ন করে দেখিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। এই দুই বছরে বিশালগড়ে ২০০ কোটি টাকার রাস্তার কাজ হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অলিতে গলিতে নতুন রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। সকল সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা উন্নয়নের জন্য সাত কোটি টাকায় নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ হবে বিশালগড়ে। শিশু উদ্যান সুইমিং পুল ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। বিধায়ক সুশান্ত দেব আরো বলেন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সরকার ভারতবর্ষকে চতুর্থ অর্থনীতিতে পৌঁছে দিয়েছেন। অভিশপ্ত ৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছেন। মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান রামচন্দ্রের অপ রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী মহারাষ্ট্র থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত এক সুতোায় বেঁধে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু উন্নয়ন বিরোধীরা এখনো ষড়যন্ত্র করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন যেখানেই বিভ্রান্তি করার চেষ্টা হবে সেখানে প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। এদিকে চড়িলাম মন্ডল কমিটির উদ্যোগে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ১১ বছরের জনকল্যাণমুখী কর্মযজ্ঞ প্রচারের উদ্দেশ্যে বিকশিত ভারত সংকল্প সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, আজ ৬০ নং বিজেপি কাঞ্চনপুর মণ্ডলের উদ্যোগ কাঞ্চনপুর টাউন হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে এক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাংগঠনিক সভায় রাজ্য বিজেপির প্রদেশ সভাপতি শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির উত্তর জেলার সভাপতি কাজল দাস, উত্তর জেলার সভাধিপতি অপর্ণা নাথ,কাঞ্চনপুর মন্ডল সভাপতি বীরেন্দ্র কর সহ কাঞ্চনপুর মন্ডলের অন্যান্য নেতৃত্বরা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সভায় সূভ সূচনা করেন উপস্থিত অতিথিবর্গরা। তারপর বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য মহোদয়এই সাংগঠনিক সভায় আগামী এডিসি নির্বাচনের উপর দলের কার্যকরতা বাড়ানোর জন্য সবাইকে অনুপ্রেরণা প্রদান করেন এবং কিভাবে আরো মানুষের উপকারে আসা যায় সেই ব্যাপারে আরো ব্যাপকভাবে কাজ করার জন্য সবাইকে অগ্রসর হওয়ার জন্য অনুরোধ রাখেন এরই সাথে তিনি এই সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি তুলে ধরলেন সকলের সামনে ।তিনি বলেন রাজ্যের জনগণদের একটি সময় ঘরের জন্য নেতাদের বাড়িতে লাইন ধরতে হত । তবে এখন আর ঘরের জন্য নেতাদের বাড়িতে লাইন ধরতে হয় না কারন বর্তমানে রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার কাজ করছে এবং বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৪.৫০ লক্ষ পাকা বাড়ি এই ডাবল ইঞ্জিনের সরকার নির্মাণ করে দিয়েছে পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে এই ডবল ইঞ্জিনের সরকার রাজ্যের গরিব অংশের গনগণদের সম্পুর্ন বিনামূলে পরিবার পিছু ৫ কেজি করে চাল প্রদান করে আসছে।সবশেষে এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ছিল তিরঙ্গা যাত্রা। সেই মোতাবিক প্রায় ৭ থেকে ৮০০ মানুষ উপস্থিত হন, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই রেলি প্রদর্শন হয়নি। তবে তারা আশাবাদী আগামী দিনগুলোতে তারা আরো বিভিন্ন কর্মসূচির চালিয়ে যাবেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ মে।। যুব জোয়ার প্রত্যক্ষ করল বিশালগড়। টগবগে যুবসমাজ কাঁপালেন বিশালগড়ের রাজপথ। আকস্মিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে এমন যুব জোয়ার অতীতে কখনো পরিলক্ষিত হয়নি বিশালগড়ে। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যুব সমাজ রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। বুধবার বিশালগড়ে পা রাখেন বিজেপির প্রদেশ প্রভারী রাজদীপ রায়। দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে বুধবার পড়ন্ত বেলায় বিশালগড়ে যান প্রদেশ প্রভারি রাজদীপ রায় এবং প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত। বিশালগড়ের জাঙ্গালিয়া থেকে সুবিশাল বাইক র্যালির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় দলের নেতৃবৃন্দদের। বিধায়ক সুশান্ত দেবের বাইকের পেছনের আসনে বসেন প্রভারি রাজদীপ রায়। অমিত রক্ষিত ছিলেন ওপর এক যুব কার্যকর্তার বাইকের পেছনের আসনে। উজ্জীবিত যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে বিশালগড়ের রাজপথ দাপিয়েছে প্রভারি রাজদীপ রায়, সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব। শেষে তারা একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ বিষয়ে বিধায়ক সুশান্তদেব জানান বিরোধীদের মিথ্যাচার অপপ্রচারের যুবক জবাব দিয়েছে বিশালগড়ের যুবসমাজ। যুবকরা রয়েছে সরকারের পাশেই। বিশালগড়ে বিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিশালগড়ের যুবসমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আজকের এই কার্যক্রমে তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিনিধি ধর্মনগর ,,রাজ্যসভার সাংসদ পদে নিযুক্ত হয়ে প্রথমবার একদিনের জন্য উত্তর ত্রিপুরা সফরে এসেছেন ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির সভাপতি শ্রী রাজিব ভট্টাচার্জ। এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য হল
এক দেশ এক নির্বাচন” শীর্ষক আলোচনা চক্রে যোগ দেয়ার জন্য আজ বুধবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার একদিনের জন্য ধর্মনগরে সফরে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য । এদিন জেলা বিজেপির উদ্যোগে ধর্মনগর বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত হয়”এক দেশ এক নির্বাচন” শীর্ষক আলোচনা।এতে রাজ্য সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন,বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল নাথ,রাজ্যের ওবিসি মোর্চার সভা নেত্রী মলিনা দেবনাথ,জেলা সভাধিপতি অপর্ণা নাথ, বিজিপি দলের উত্তর জেলা সভাপতি কাজল দাস প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রদীপ উজ্জ্বলন করা হয়, তারপর বাবা সাহেবআম্বেদ করপুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয় কে।তারপর অতি অতিথিদেরকে উত্তরীয় ও পুষ্প স্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি সভাপতি কাজল দাস,ত্রিপুরা বিধানসভার ও তথা ধর্মনগরের বিধায়ক শ্রী বিশ্ববন্ধু সেন, রাজ্যসভা সাংসদ তথা ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্জী, বাগবাসা বিধানসভার বিধায়ক যাদব লাল নাথ প্রোমূখ এদিন বক্তারা এক দেশ এক নির্বাচনের বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রাখেন।এদিন উক্ত কর্মসূচিতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। এই আইনে কারোরই ক্ষতি হবে না। বৃহস্পতিবার বিশালগড়ে চৌপাল বৈঠকে বললেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নানান কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম চলো অভিযান এবং চৌপাল বৈঠক। বৃহস্পতিবার বসন্তের পড়ন্ত বিকালে বিশালগড়ের প্রভুরামপুর পঞ্চায়েত মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। চৌপাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, বিধায়ক সুশান্ত দেব, পৌর পরিষদ চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, মন্ডল সভাপতি তপন দাস, মন্ডল প্রভারী অমল দেবনাথ প্রমুখ। বাঁশ খড় দিয়ে সবুজ ধান ক্ষেতের পাশে পুকুর পাড়ে বানানো হয় অস্থায়ী চৌপাল মঞ্চ। বসন্তের পড়ন্ত বেলায় হিমেল হাওয়ার স্পর্শ গায়ে মেখে নেতাদের বক্তব্য শুনেন উপস্থিত আবালবৃদ্ধবনিতা। ভাষণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন বর্তমানে ওয়াকফ আইন এবং এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে চর্চা হচ্ছে। কংগ্রেস সিপিএম সহ বিরোধী দল গুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সিএএ নিয়েও বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। এবার ওয়াকফ নিয়ে বিভ্রান্ত করছে। তিনি বলেন বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। ওয়াকফ আইনে কোন সংখ্যালঘুর ক্ষতি হবে না। বরং এতে সকল সংখ্যালঘুদের কল্যাণ হবে। এই আইনে সংখ্যালঘুদের ধার্মিক বিষয়ে কারোর হস্তক্ষেপ থাকবে না। হাতে গোনা কয়েকজন ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার করে বাঁকা পথে রোজগার করতো। জমি দখল করে বিক্রি করতো। এবার এই জমি দেখবাল করবেন জেলা শাসক। এতে সংখ্যালঘুদের জমি সুরক্ষিত থাকবে। আঠারো নির্বাচনের আগে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করেছিল সিপিএম। ৩৫ বছরে এ রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কোন উন্নয়ন করেনি। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কোন ক্ষতি হয়নি। সরকার এসব সবকা বিকাশ নীতিতে সকলের কল্যাণে কাজ করছে। এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন স্বাধীনতার পর একই সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন হতো। কংগ্রেসের কারণে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সময় এবং সরকারি অর্থ অপব্যয় হত। এক দেশ এক নির্বাচন চালু হলে খরচ এবং সময় দুটিই বাঁচবে। এতে রাষ্ট্রের কল্যাণ হবে। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠার পর সকল সরকারি সুবিধা অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এই প্রভুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা সিসি রোড করা হয়েছে। জমিতে সেচের জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শস্য শ্যামলায় ভরে উঠেছে এই প্রভুরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সিপিএম একসময় এই অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এখানকার সংখ্যালঘুর বুঝতে পারছে কারা সংখ্যালঘুদের শত্রু। সিপিএমের আমলে এ এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে উন্নয়নের পাশাপাশি সকল অংশের মানুষের আর্থসামাজিক কল্যাণ ঘটছে। এদিন গ্রাম চলো অভিযানের অঙ্গ হিসেবে গ্রামের কয়েকটি কৃষি জমিতে পরিদর্শন করে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর জল সেচের বন্দোবস্ত করায় এই এলাকার চাষীরা অত্যন্ত খুশি। সবুজে ফসলে ভরে উঠেছে কৃষি জমি। অপরদিকে চড়িলাম মন্ডল আয়োজিত গ্রাম চলো অভিযানের অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন সিপিএম এবং কংগ্রেস মিলেমিশে এ রাজ্য কৃষক শ্রমিক যুবক সকল অংশের মানুষের সর্বনাশ করেছে। ১০৩২৩ শিক্ষকের চাকরিচ্যুতি সিপিএমের পাপের ফসল। বেআইনিভাবে চাকরি দিয়েছে সিপিএম। আদালতে মামলা করেছে কংগ্রেসের নেতা। এতদিন তারা মিলে মিশে সরকার চালিয়েছে। গত নির্বাচনে তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এদের আবার সুযোগ দিলে রাজ্যের সর্বনাশ করবে। কংগ্রেস এবং সিপিএম ওয়াকফ আইন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের রাজনৈতিকভাবে ধূলিসাৎ করা হবে। সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি তাপস দাস।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন হলে গ্রামের উন্নয়ন হয়ে ওঠে । এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয় । একের পর এক রাস্তাঘাট যেভাবে করা হচ্ছে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে। তাতে করে গোটা বিধানসভার রূপ ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে । কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার থাকার কারণে রাজ্যের উন্নয়ন দ্রুত হচ্ছে। যা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী বলে থাকেন ডাবল ইঞ্জিনের সরকার । যা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সরকারের সুফল পেতে শুরু করেছে গোমতি জেলার মাতাবাড়ি কেন্দ্র । এই বিধানসভা কেন্দ্রের চন্দ্রপুর কাঁঠালতলী থেকে সিদ্দিকা টিলা পর্যন্ত ভগ্ন দশা সম্পন্ন রাস্তাটিকে সংস্কার করে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল গ্রামবাসীদের। গ্রামের সাধারণ মানুষের দাবীকে মান্যতা দিয়ে প্রায় এক কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় পাকা রাস্তা ( ব্ল্যাক টপ ) তৈরি করা হবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধিদেরকে সাথে নিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করেন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। বিধায়ক আশ্বস্ত করেন খুব শীঘ্রই শুরু হবে নতুন পাকা সড়কের কাজ । বিধায়কের মুখ থেকে উন্নয়নের কাজের আশ্বস্ত হয়ে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে গ্রামীন এলাকা জুড়ে।