প্রতিনিধি কৈলাসহর:- স্থিতিশীল উন্নয়ন অর্জন এবং উন্নততর বিশ্ব গঠনের লক্ষ্য পূরনে সমবায়ের ভূমিকা শীর্ষক ভাবনায় আজ ৭১ তম অখিল ভারত সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সমবায় দপ্তর ও রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জেলা ভিত্তিক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি দিনে ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা চক্রের মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে আলোচনা চক্র শুরুর পূর্বে একটি রেলি কলাক্ষেত্রের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।চৌদ্দ নভেম্বর থেকে সমবায় সপ্তাহ উদযাপন শুরু হয়ে আজ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,সহকারী সভাধিপতি সন্তোষ ধর, জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা,জেলা পরিষদ সদস্য বিমল কর প্রমুখ।অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির কনভেনার তথা জেলা উপ নিয়ামক বিজয় কুমার রায়।তিনি তার বক্তব্যে সমবায় সপ্তাহ উদযাপনের সম্পূর্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী টিংকু রায়,জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলা পরিষদ সদস্য বিমল কর,জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা সহ অন্যান্যরা।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সমবায় সমিতির সভাপতি,সম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
প্রতিনিধি মোহনপুর:- পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব অনুষ্ঠিত হলো গান্ধীগ্রামের বৈদ্যনাথ হলে। এই যুব উৎসবের মঞ্চ থেকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আহবান করলেন নেশা মুক্ত রাজ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুবক যুবতীদের ভূমিকা গ্রহণের। যুব উৎসবের যুব সমাজকে একটি সঠিক দিশা নির্ণয়ে সহায়ক বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সমস্ত ব্লক স্তরে যুব উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখান থেকে যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পশ্চিম জেলা ভিত্তিক যুব উৎসব। তারপর অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যভিত্তিক। শনিবার প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে সূচনা পড়বে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিধায়ক দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ এবং অন্যান্যরা। এই যুব উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে মন্ত্রিস সুশান্ত চৌধুরী হলেন প্রত্যেক ছেলে মেয়েকে একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। প্রত্যেকের ভূমিকা নিতে হবে রাষ্ট্র গঠনে। আজকে যারা যুবক-যুবতী আগামী দিনে প্রত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে রাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি মন্ত্রী আহ্বান করেন একটি নেশা মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে যুব সমাজকে আরো সক্রিয়তার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। এদিন যুব উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দপ্তরের স্টল খোলা হয়েছিল। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন মডেল প্রদর্শনী হয়েছে এদিন।
ডিওয়াইএফআই-এর ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে এদিন ছিলো রক্তদান শিবির।
নিজস্ব প্রতিনিধি।।উদয়পুর, ৬ নভেম্বর-
দেশজুড়ে যখন বিভাজনের খেলা, তখন উদয়পুরে যুবকরা রক্তদানে সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরলো। মুকবুল, রিপন, সাহিন, আশাদুলরা রক্ত দিলো সুমন, পার্থপ্রতিম, গৌতমদের পাশাপাশি শুয়ে। ডিওয়াইএফআই-এর রক্তদান শিবিরে বিভাজনের রাজনীতিকে রুখে দিতে সম্মিলিত শপথ নিলেন যুবকরা। বন্ধুত্বের বার্তাকে বেগবান করলেন ডিওয়াইএফআই আয়োজিত শিবিরে এসে রাজু দেববর্মার স্বেচ্ছায় রক্তদান। সব মিলিয়ে দারুন মেজাজে বুধবার উদয়পুরে ৩৯ জন যুবক স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন শিবিরে।
ডিওয়াইএফআই-এর ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে এদিন ছিলো রক্তদান শিবির। সংগঠনের উদয়পুর বিভাগীয় কমিটির আহ্বানে এদিন রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় কর্মচারী সমন্বয় সমিতি(এইচ বি রোডে)-এর অফিসগৃহে। শিবিরে উপস্থিত থেকে রক্তদাতাদের উৎসাহিত সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর রতন ভৌমিক, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব নিতাই বিশ্বাস, নিখিল দাস, অরবিন্দ নন্দী, শ্রীবাস দেবনাথ, প্রাক্তন যুবনেতা বিষ্ণুপদ দেব, রাজীব সেন, বিজয় চক্রবর্ত্তী, মৃনাল মজুমদার, সংগঠনের বিভাগীয় সম্পাদক শুভ চক্রবর্ত্তী, সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রমুখরা।
বুধবার রক্তদান শিবিরকে ঘিরে দারুন উৎসাহ ছিলো যুবকদের মধ্যে। জরুরী ভিত্তিতে মুমুর্ষ রোগীদের হাসপাতালে গিয়ে রক্তের যোগান দেওয়ার জন্য প্রতিদিন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা রক্তদান করে চলছে। এদিন শিবিরে স্বেচ্ছায় রক্তদান করার জন্য আরো যুবক থাকলেও নির্দিষ্ট সংখ্যায় হয়ে যাওয়ায় তাদের বারণ করা হয়। তারা যেন জরুরীকালীন প্রয়োজনে রক্ত দিতে পারেন সেভাবে রয়ে গেছেন। রক্তদান শিবিরকে ঘিরে সম্প্রীতির বার্তা ছিল স্বতস্ফুর্ত।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো নবনির্মিত মোহনপুর পাবলিক লাইব্রেরির। মোহনপুরের ঐরান চৌমুহনিতে গড়ে উঠেছে এই পাবলিক লাইব্রেরী। এলাকার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে সমস্ত অংশের মানুষের জ্ঞানের পরিচয় বৃদ্ধিতে এই লাইব্রেরী কাজে লাগবে বলে দাবি করলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
মোহনপুরে একটি পাবলিক লাইব্রেরী স্থাপন করার দাবি উঠেছিল বহুদিন আগে। ২০১৫ ইনফোকাস নামক একটি সামাজিক সংস্থা লিখিতভাবে মোহনপুর পুর পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুভাষ দেবনাথ এবং মহাকুমা শাসক ডক্টর শৈলেন যাদবের নিকট দাবী জানিয়েছিল একটি লাইব্রেরী স্থাপন করার জন্য। কিন্তু সেই দাবির পূরণ হয়নি। অবশেষে মোহনপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতনলাল নাথের হস্তক্ষেপে মোহনপুরে স্থাপিত হলো পাবলিক লাইব্রেরী। বুধবার ফিতা কেঁটে এবং ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো। সরকারিভাবে বহু বই এখানে আনার পাশাপাশি বিভিন্ন লেখক, প্রকাশকরা প্রথম দিনেই বই প্রদান করেছেন এই লাইব্রেরীতে। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একজন বিশিষ্ট লেখক এর বক্তব্য ট্রেনে মন্ত্রী বলেন “একটি কলম ,একটি বই এবং একটি মানুষ গোটা পৃথিবী বদলে দিতে পারে”। মন্ত্রী আহবান করেন সমাজ রাজ্য এবং দেশ পরিবর্তন করতে গেলে একমাত্র বই আমাদের ভরসা। এলাকার প্রত্যেকটি নাগরিক এই পাবলিক লাইব্রেরীতে এসে বই পড়ার জন্য আহ্বান করেছেন মন্ত্রী। এদিনের উদ্বোধনী মন্ত্রী অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন অনিতা দেব, লেফুঙ্গা বিএসসি চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৫ নভেম্বর।। রাজ্য জুড়ে সদস্যতা অভিযানের পর এবারে সক্রিয় সদস্যতা অভিযান শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সিপাহীজলা (উত্তর) জেলায় ২৫৮ টি বুথের জন্য ১০৩২ জন কার্যকর্তা সক্রিয় সদস্যপদ গ্রহণ করবে। আগামী ২৫ শে নভেম্বর সক্রিয় সদস্যতা অভিযান সমাপ্তি ঘটবে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় দফায় ৪২৪ জন বিজেপির কার্যকর্তা সক্রিয় সদস্য হয়েছেন। ইতিমধ্যে বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব, জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, বিজেপির প্রদেশ সদস্য সমীর রঞ্জন ঘোষ এই জেলায় সক্রিয় সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে বিশালগড় রঘুনাথপুর স্থিত জেলা কার্যালয়ে জেলার সক্রিয় সদস্যদের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক। এদিন ওবিসি মোর্চার প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি বর্তমান বিজেপির প্রদেশ সদস্য সমীর রঞ্জন ঘোষ জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিকের হাত থেকে সক্রিয় সদস্য পদ গ্রহণ করেন। জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক জানান এই জেলায় সংগঠন পর্ব সদস্যতা অভিযান এখনো শেষ হয়নি। ইতিমধ্যে জেলার পাঁচটি মন্ডল থেকে ৬০ হাজার নাগরিক অনলাইনে সদস্য পদ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া অফলাইনে আবেদন করেছেন ৪ হাজার। এই জেলায় মোট এক লক্ষ সদস্য পদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সক্রিয় সদস্য পদ গ্রহণ অভিযান। জেলায় সদস্যতা অভিযানের ইনচার্জ রয়েছেন সমীর অঞ্জন ঘোষ এবং কো ইনচার্জ রয়েছেন অপূর্ব দাস। তিনি জানান সক্রিয় সদস্য পদের আবেদন গুলি স্কুটিনি করে সদস্য পদ দেয়া হচ্ছে। সমীর রঞ্জন ঘোষ জানান সারা রাজ্যে এই অভিযান চলছে। প্রদেশ স্তরে সদস্যতা অভিযানের দায়িত্বে রয়েছেন প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস। এবং সক্রিয় সদস্যতা অভিযানের দায়িত্বে রয়েছেন প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত। জনজাতি এলাকায় ভৌগলিক কারণে সদস্য তা অভিযান ধীর গতিতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে সদস্যতা অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। সদস্যতা অভিযান এবং সক্রিয় সদস্যতা অভিযানকে কেন্দ্র করে কার্যকর্তাদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- সম্প্রতি রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংঘ মোহনপুর বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে এক ধন্যবাদ রেলি অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার। এদিন বিকেলে মোহনপুরের হাসপাতাল চৌমুহনি, ঐরান চৌমুহনি, এবং বিভিন্ন এলাকা পরীক্রমা করে এই রেলি। এই রেলি থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা, মোহনপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতন লাল নাথ সহ মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্য সদস্যদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে এবং একের পর এক রাজ্যের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে টিআরকেএস মোহনপুর বিভাগীয় কমিটি। এই দিনের এই রেলি থেকে কর্মচারীদের প্রতি সরকারের আন্তরিক চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কর্মচারীরা সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি আগামী দিনে কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি পুরনের ক্ষেত্রে সরকার সদর্থক ভূমিকা নেবে বলেও আশা ব্যক্ত করা হয়েছে এই ধন্যবাদ রেলি থেকে।
- প্রতিনিধি, বিশালগড়, । কাকভোরে কৃষ্ণধনেরা বেরিয়ে পড়ে শহর বিশালগড়ে। তারা পৌরসভার সাফাই কর্মী। সামান্য বেতনে শহর সৌন্দর্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কৃষ্ণধনেরা। শনিবার সাতসকালে বিশালগড় বিধানসভার ৩৬ নং বুথে কৃষ্ণধন দাসের বাড়িতে আচমকাই হাজির হন বিধায়ক সুশান্ত দেব। চায়ের কাপে চুমু দিতে দিতে বেশ কিছুক্ষণ গল্প আড্ডা চলে। কৃষ্ণধনের পরিবার সরকারি প্রকল্পের কী কী সুবিধা পেয়েছে এছাড়া কেমন চলছে তার সংসার ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোচনা করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। হঠাৎ সকালে বিধায়কের আগমনে হতচকিত হয়ে যান কৃষ্ণধন সহ তার পরিবারের সবাই। তিনি বলেন কোনদিন তার বাড়িতে গিয়ে কোন বিধায়ক খোঁজ খবর নেননি। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান “কেমন আছে বিশালগড়” কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করছেন তিনি। এরই অঙ্গ হিসেবে আজ কৃষ্ণধন দাসের বাড়িতে যাওয়া। প্রতিদিন সকালটা শুরু হয় নিজ এলাকায় কারোর বাড়িতে চায়ের কাপে চুমু দিয়ে। সল্প সময়ের আলাপচারিতায় সমাজের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানা যায়। এবং পরবর্তী সময়ে এগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সকলের সহযোগিতা এবং পরামর্শকে পাথেয় করেই শ্রেষ্ঠ বিশালগড় গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য পৌঁছবেন বলে জানান বিধায়ক সুশান্ত দেব।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৫ অক্টোবর।। একদিকে যেমন সংগঠন পর্ব সদস্যতা অভিযান চলছে তেমনি বিজেপিতে যোগদান কার্যক্রম চলছে সমানতালে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিকশিত ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের অংশীদার হচ্ছে এ রাজ্যের জাতি জনজাতি উভয় অংশের মানুষ। দীর্ঘ পঁচিশ বছরের অন্ধকার রাজত্বের অবসানের পর গ্রাম পাহাড় সর্বত্র লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। তাই সাধারণ মানুষ ভিড়ছে উন্নয়নের শিবিরে। রাজ্যের জনজাতিরা অস্থির রাজনীতি থেকে মুক্তি চাইছে। তাই দলবেঁধে গেরুয়া ঝান্ডা হাতে তুলে নিচ্ছে। শুক্রবার ধনপুর বিধানসভার চন্দুল এডিসি ভিলেজে ১২০ জন জনজাতি ভোটার বিজেপিতে যোগ দেন। যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, স্থানীয় বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ, জনজাতি নেতা দীনেশ ত্রিপুরা, রাজীব ত্রিপুরা, নন্দহরি ত্রিপুরা, রতি ত্রিপুরা, নেত্রী তনুশ্রী ত্রিপুরা, দুর্গা ত্রিপুরা প্রমুখ। সভায় ১২০ জন জনজাতি ভোটারকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে দিয়ে বরণ করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন একটানা পঁচিশ বছর সিপিএমের শাসন ছিল। কিন্তু এই চন্দুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেনি। কিন্তু বিজেপি সরকার শুধু চন্দুল এডিসি ভিলেজে ছয়টি গভীর নলকূপ বসিয়েছে। ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে যাচ্ছে। বিজেপি সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামাজিক ভাতা দুই হাজার টাকা করেছে। বিগত সরকারের আমলে একটি সরকারি ঘরের জন্য মানুষকে মিছিল মিটিং এ হাঁটতে হয়েছে । কিন্তু বর্তমান সরকার প্রতিটি গরিব পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দিয়েছে। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, বিনামূল্যে রেশন, বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে সরকার। উন্নয়ন নিয়ে দলবাজি রাজনীতি বন্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষার পাশাপাশি সকলের সার্বিক কল্যাণে সহযোগিতা করছে।
সারা রাজ্যেই চলছে বিজেপি দলের সদস্যতা অভিযান কর্মসূচি। রবিবার ছুটির দিনে খোয়াই বিধানসভার ৬ নং বুথে এবং ৩৮ নং বুথে বিজেপি দলের সদস্যতা অভিযান ২০২৪ এর দ্বিতীয় পর্ব আয়োজিত হয়। এদিন খোয়াই বিধানসভার ৬ নং বুথে বিজেপি দলের সদস্যতা অভিযানে স্বস্ত্রীক বিজেপি খোয়াই মন্ডল সভাপতি উপস্থিত থেকে সদস্যতা অভিযান করেন। পাশাপাশি রবিবার দুপুরে খোয়াই বিধানসভার ৩৮ নং বুথে বিজেপি দলের সদস্যতা অভিযান ২০২৪ এর দ্বিতীয় পর্ব আয়োজিত হয়। উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী অপর্ণা সিংহ রায়, বিজেপি খোয়াই মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ নাগ, মহিলা মোর্চার কর্মীরা থেকে শুরু করে অন্যান্যরা। উল্লেখ থাকে গোটা বিধানসভায় এলাকায় কুড়ি হাজার সদস্যতা পদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলেছে বিজেপি দল। এখনো পর্যন্ত ১২ হাজার এর উপরে সদস্যপদ সংগ্রহ হয়েছে গোটা বিধানসভায় এলাকায় বিজেপি দলের। বিজেপির মন্ডল এবং জেলার নেতৃত্বরা যেভাবে কোমর বেঁধে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন তাতে সদস্যতা লক্ষ্যমাত্রা ছুয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- বর্তমান রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সদা তৎপর। তারই ফলস্বরুপ মাতাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত মালসাদু এবং ডুকসিন পাড়া এলাকার জনগণের এই দুটি এলাকায় যেতে প্রচন্ড সমস্যা হতো উন্নত রাস্তা না থাকার কারণে । কেননা এই এলাকা দুটিতে রাস্তা না থাকার দরুন যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রায় বিচ্ছিন্ন। যার কারণে এই এলাকার জনগণের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে প্রায়ই ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হতো এবং এই এলাকার জনগণদের রেশন সামগ্রি সংগ্রহ থেকে শুরু করে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ করতে অসুবিধা হতো। আর এই অসুবিধার কথা চিন্তা করেই প্রায় ১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই এলাকা দুটির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজতর করতে একটি রাস্তা ও ভেলি ব্রিজ তৈরি করার কাজ প্রায় শুরু করা হয়ে গেছে এবং যার মাধ্যমে মাত্র দুই থেকে তিন কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে এই এলাকার জনগণ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে পারবে এবং উনাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে আর কোন অসুবিধা হবে না।
শুক্রবার পিডব্লিউডি দপ্তরের এসডিও এবং আরডি দপ্তরের এসডিও , এলাকার জনপ্রতিনিধি বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুজন সেন সহ সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি পরিদর্শন করেন এবং এলাকার সকলকে আশ্বাস প্রদান করেন খুব কম সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। বিধায়কের উদ্যোগে এলাকার এই ধরনের উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে উপজাতি মহল ।