প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১০ এপ্রিল:- বাংলা নববর্ষ’কে সামনে রেখে গন্ডাছড়া মহকুমার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ডুম্বুর বার্তার উদ্যোগে ডুম্বুর নগর আইসিডিএস প্রজেক্টের সহায়তায় বুধবার এক সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন মহকুমার রানি পুকুর ভিলেজের সদানন্দ পাড়ার রাম মন্দির প্রাঙ্গনে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার শতাধিক শিশুদের মধ্যে জামা,কাপড়, স্কুল ব্যাগ, জুতা, মোজা প্রভৃতি জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাড়ার চৌধুরী সদানন্দ রিয়াং সহ এলাকার বিশিষ্টজনেরা। জামা কাপড় বিতরণ শেষে চৌধুরী শ্রী রিয়াং জানান ডুম্বুর বার্তা ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ সদানন্দ পাড়ার উন্নতির জন্য বিগত দিনে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বর্তমানেও উক্ত ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ পাড়ার উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ভাবে কাজ করে যাবেন বলে তার বিশ্বাস। তিনি আরো জানান এদিন পাড়ার শতাধিক শিশুদের মধ্যে যেভাবে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিতরণ করেছেন সত্যি অর্থে তাহা প্রশংসার দাবি রাখে। এর জন্য চৌধুরী সদানন্দ রিয়াং ডুম্বুর বার্তার দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি আগামী দিনেও এই ধরনের সামাজিক কাজ কর্ম আরো বেশি বেশি করে করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। এই দিনের ডুম্বুর বার্তার সামাজিক অনুষ্ঠান’কে ঘিরে শিশুদের মধ্যে দারুন সাড়া পড়ে।
বিনোদন
সত্যভাষণ প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৭ এপ্রিল:- প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও নাগা সন্ন্যাসীর উদ্যোগে গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকায় চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়েছে। আর এই পূজাকে সামনে রেখে নাগা সন্ন্যাসীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন বান পাঠ। সেখানে দিনের বেলায় থাকছে শিব গৌরী নিত্য আর রাতে কালি মহাদেবের নাচ। নাগা সন্ন্যাসী সাধু সন্তের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বলতে গিয়ে এক সাধু জানান গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকায় চরক পূজা বহুবছর আগে থেকে গুরু পরম্পরায় যুগ যুগান্তর ধরে চলে আসছে। আগে পূজারী ছিলেন সর্বানন্দ সন্ন্যাসী। বর্তমানে এই পূজার পূজারী হিসাবে আছেন শ্রী মহন্ত দীপানন্দ গিরি মহারাজ নাগা সন্ন্যাসী। সাধু আরও জানান আগামী ৩০ শে চৈত্র গন্ডাছড়ায় জাক জমকভাবে চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই উক্ত পূজায় সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি এবং সহযোগিতা কামনা করা হয়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
২৭ মার্চ অর্থাৎ বুধবার ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে বিশ্বনাট্য দিবস মহা ধুমধাম সহকারে পালিত হল। এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই নাট্য জনের পদযাত্রা এবং শিশুদের যেমন খুশি তেমনি সাজো প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সন্ধ্যা ছয়টায় শুভ উদ্বোধন পর্ব সম্পন্ন হয়। লোকসভা নির্বাচনের ডামাডোল বেজে যাওয়ায় রাজনৈতিক নেতাদের ব্রাত্য রেখে অনুষ্ঠান-পর্ব সম্পন্ন হয়। উদ্বোধনী পড়বে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ভীষ্ম গুপ্ত, বর্তমান নাট্য প্রতিভা সুমিত নাথ চৌধুরী এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সমর চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠানে ভীষ্ম গুপ্তকে বিশেষ নাট্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরস্কৃত করে ভূষিত করা হয়। শিশুদের যেমন খুশি সাজার প্রতিযোগিতায় শিশুরা এমন করে রংবেরঙের পোশাকে সজ্জিত হয়ে মঞ্চে উপস্থিত হয় যা উপস্থিত দর্শকদের মন জুড়িয়ে দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয় শিশুদের প্রথম নাটক গোপালের বুদ্ধি। সাতটায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক ঐক্যমঞ্চের অনু নাটক। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় একা নাটক চিকন সুতার বাঁধন মানুষের মন জয় করে নেয়। সাড়ে আটটায় পথিক ড্রামা সোসাইটির চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ডুবুরি প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
৭শে মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস গোটা বিশ্বের নাট্য শিল্পীরা উদযাপন করে থাকেন।নতুনতর ধারায় এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই শিল্পীদের এই অভিযাত্রা।কৈলাসহরের তিনটি নাট্য সংস্থা নির্ঘোষ নিক্কন,রেনেসা এবং সন্দীপন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পুরাতন মোটর স্ট্যান্ডে উদযাপন করা হয় বিশ্ব নাট্য দিবস।সময়ের দাবীতে তিনটি সংস্থা এক হয়ে যৌথ নাট্য মঞ্চের মাধ্যমে বিশ্ব নাট্য দিবস পালন করেছে।যা এর পূর্বে কৈলাসহরে হয়তো এমনটা হয় নি।তবে নাট্য শিল্পীদের এই সংঘবদ্ধ উদযাপন অনুপ্রাণিত করেছে আগামী প্রজন্মকে।গাছে জল সিঞ্চন করে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের।বিশ্ব নাট্য দিবসের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়,বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী অসীম চক্রবর্তী,সন্দীপন সংস্থার কর্নধার অরিন্দম চক্রবর্তী এবং কৈলাসহর প্রেস ক্লাবের সম্পাদক সুকান্ত চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাট্য কর্মী সুমন দে।যৌথ নাট্য মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই শহরের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম দিকপাল,যাদের আলোয় আলোকিত হয়েছে নাট্য অঙ্গন তাদের মধ্যে নারায়ন দেবনাথ,নারায়ন দাস,বিমান দাম,মৈত্রেয়ী দাম ও অরিন্দম চক্রবর্তী এই পাঁচজন নাট্য শিল্পীকে সংবর্ধিত করা হয়।বর্তমান সমাজে নাটকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন অতিথিরা।বর্তমান প্রজন্ম মুঠোফোনে আসক্ত আর তাই হয়তো নাটক দেখার প্রতি তাদের আগ্রহটা অনেকটাই কমে যাচ্ছে।তাই বর্তমান প্রজন্মকে নাটকের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত করতে হবে।কেননা নাটক হল সমাজের দর্পণ।প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে যৌথ নাট্য মঞ্চের উদ্যোগে অমরজিৎ সরকার এবং শুভাশিস চৌধুরীর নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত হয় নাটক “দ্য লাষ্ট হোপ”।মূলত আজকের যুবসমাজ যেভাবে নেশায় আসক্ত হয়ে ধংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তার ওপর গুরাত্বারোপ করেই অনুষ্ঠিত হয় “দ্য লাষ্ট হোপ”।যুব সমাজকে নেশা থেকে সরে এসে একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিয়ে বাঁচার বার্তা দেয় এই নাটক।ছোট্ট পরিমন্ডলে এই অনুষ্ঠান নজর কেড়েছে সকলের।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৬ মার্চ।। এক অভিনব ভাবনায় অনুষ্ঠিত দোল উৎসবের সাক্ষী রইল বিশালগড়। প্রায় পাঁচ হাজার আবালবৃদ্ধবনিতা এক সঙ্গে সামিল হলেন বসন্তের উৎসবে।বিধায়ক সুশান্ত দেবের মস্তিষ্কপ্রসূত অভিনবত্বের ছোঁয়ায় নয়া ইতিহাস তৈরি হলো বিশালগড়ে। সোমবার বিশালগড় টাউন বালিকা বিদ্যালয় মাঠ হয়ে ওঠে বৃন্দাবন ধাম। রাধারাণী শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ দোলনায় বসানো হয়। দুপুরে ভোগরাগ নিবেদন, বৈদিক পূজার্চনা, ভোগারতি, হরিনাম সনকীর্তন, ভক্তিগীতি সবই ছিল। ছিল কয়েকশো কেজি ভেষজ আবির। নাচে গানে মেতে ওঠে ভক্তরা। শ্রীকৃষ্ণ রাধারাণীর শ্রীচরণে আবির নিবেদন করে একে অপরের অঙ্গে প্রসাদী আবির মাখিয়ে হোলির আনন্দে মেতে ওঠে সবাই। কিছুক্ষণ হোলির আনন্দ ভাগ করে নেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে। এমন অভিনব সুবিশাল সমাগমে এমন হোলি উৎসব অতীতে কখনো হয়নি বিশালগড়ে। এবারই তৈরি হলো নতুন ইতিহাস। এছাড়া বিশালগড় আনন্দমার্গ স্কুলে আয়োজিত বসন্ত উৎসবে সমাজের বিভিন্ন অংশের নাগরিক অংশ নেন। বিশালগড় পূর্ন গোসাই আশ্রমে এবারও দোলের আনন্দে মেতে ওঠে ভক্তরা।

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
দোল এসে গেছে, বসন্তের হাওয়া সর্বত্র বইতে শুরু করেছে এমন অবস্থায় আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবার মধ্যে বসন্তের হাওয়া লাগাটা একটা চিরন্তন স্বাভাবিক পর্যায়ের ঘটনা। এই বসন্ত উৎসবের হাওয়ায় নিজেদেরকে সামিল করে গাঁ উজাড় করেনি দিয়েছে ধর্মনগরের পদ্মপুরের ঘুঙরু ডান্স একাডেমির ছাত্র-ছাত্রী আবহ- অভিভাবকরা। এই ডান্স একাডেমির অধ্যাপক শুভঙ্কর দে নিজেকেও ভাসিয়ে দিয়েছে বসন্ত উৎসবের মলিনতায়। একদিকে কচিকাঁচা বাচ্চাদের সমারোহ রঙ বেরঙে পোশাকে সজ্জিত হয়ে ধর্মঘর শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে মানুষের সাথে আবির বিনিময়ে করে চলেছে অন্যদিকে অভিভাবকরা তাদের চিরন্তন স্বভাবে আবিরের সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে ধামাইল নৃত্য পরিবর্তন করে করে চলেছে। এ যেন এক অপূর্ব সৃষ্টির উল্লাস। মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দে নিজেদেরকে ভাসিয়ে দেয় তখনই এই ধরনের আনন্দের পরিস্ফোরণ ঘটে। আজ কচিকাঁচা শিশুদের সাথে অভিভাবকদের এই ধরনের মেলবন্ধনে একটা মানসিক তৃপ্তির উল্লাস যেন উঁকি দিয়ে গেল। একেই বলে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
দোল এসে গেছে, বসন্তের হাওয়া সর্বত্র বইতে শুরু করেছে এমন অবস্থায় আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবার মধ্যে বসন্তের হাওয়া লাগাটা একটা চিরন্তন স্বাভাবিক পর্যায়ের ঘটনা। এই বসন্ত উৎসবের হাওয়ায় নিজেদেরকে সামিল করে গাঁ উজাড় করেনি দিয়েছে ধর্মনগরের পদ্মপুরের ঘুঙরু ডান্স একাডেমির ছাত্র-ছাত্রী আবহ- অভিভাবকরা। এই ডান্স একাডেমির অধ্যাপক শুভঙ্কর দে নিজেকেও ভাসিয়ে দিয়েছে বসন্ত উৎসবের মলিনতায়। একদিকে কচিকাঁচা বাচ্চাদের সমারোহ রঙ বেরঙে পোশাকে সজ্জিত হয়ে ধর্মঘর শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে মানুষের সাথে আবির বিনিময়ে করে চলেছে অন্যদিকে অভিভাবকরা তাদের চিরন্তন স্বভাবে আবিরের সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে ধামাইল নৃত্য পরিবর্তন করে করে চলেছে। এ যেন এক অপূর্ব সৃষ্টির উল্লাস। মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দে নিজেদেরকে ভাসিয়ে দেয় তখনই এই ধরনের আনন্দের পরিস্ফোরণ ঘটে। আজ কচিকাঁচা শিশুদের সাথে অভিভাবকদের এই ধরনের মেলবন্ধনে একটা মানসিক তৃপ্তির উল্লাস যেন উঁকি দিয়ে গেল। একেই বলে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।

প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
কাজল অ্যাস্ট্রোলজিক্যাল রিসার্চ সোসাইটি ও সনাতন জ্যোতিষ কলেজের উদ্যোগ ১১ তম জ্যোতিষ সম্মেলন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় উদয়পুর রাম ঠাকুর সেবা মন্দিরে । মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে জ্যোতিষ সম্মেলন সমাবেশের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাম ঠাকুর সেবা মন্দিরের সম্পাদক থেকে শুরু করে জ্যোতিষ সম্মেলনে আগত বিভিন্ন নেতৃত্বরা । এই দিনের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন , আজ থেকে দীর্ঘ বহু বছর আগে পূর্বপুরুষেরা কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর কুষ্টি তৈরি করতো জ্যোতিষের মাধ্যমে । কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে এখনো কুষ্টি বিচার থেকে শুরু করে কোন শুভ কাজে জ্যোতিষী এর মাধ্যমে গ্রহ-নক্ষত্র বিচার করা তার প্রচলন রয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই বিজ্ঞানের যুগেও একাংশ যুবক যুবতীরা জ্যোতিষ শাস্ত্র নিয়ে পড়াশুনা করছে। মন্ত্রী বলেন এই ধরনের সমাবেশের মধ্য দিয়ে বর্তমান ও যোগের যুবক-যুবতীরা আরও উৎসাহ পাবে বলে তিনি আসা ব্যক্ত করেন। এদিন জ্যোতিষ সম্মেলন সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা থেকে জ্যোতিষরা অংশগ্রহণ করে ।

জলেফা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সহায়তায় স্থানীয় কমিউনিটি হলে মহকুমা ভিত্তিক জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরু হয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে। শোভাযাত্রায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ও শিক্ষক শিক্ষিকারা অ়ংশ গ্রহন করে। এরপর জলেফা কমিনিউটি হলে আলোচনা সভা ও মহকুমা ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার প্রধান বক্তা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সুনীল দেবনাথ মহাশয় বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীদের ধারণা দেন। টলমি থেকে গ্যালিলিও পযন্ত জ্যোতি বিজ্ঞানের অগ্রগতির আলোচনা করেন। জ্যাতি বিজ্ঞান ও জ্যোতিষ শাস্ত্র এর মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে বলেন। ছাত্র ছাত্রীদের বিজ্ঞান মনস্ক হওয়ার আহ্বান জানান। আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীযুক্ত শান্তি ত্রিপুরা। তার আগে স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক সহদেব দেবনাথ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক দেবাশীষ মজুমদার।এরপর শুরু হয় মহকুমা ভিত্তিক বিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে আকর্ষণীয় ক্যুইজ প্রতিযোগিতা । এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সাব্রুম ই়ংলিশ মিডিয়াম স্কুল, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে সাবরুম বয়েজ স্কুল এবং নং ২ জলেফা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়। সমস্ত অনুষ্ঠানগুলোতে সভাপতিত্ব করেন জলেফা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী টিংকুরঞ্জন দাস

প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
গোমতী জেলাভিত্তিক এই প্রথম বারের মতো উদয়পুর রাজর্ষি কলা কেন্দ্রে শুরু হয়েছে তিন দিন ব্যাপী সরস মেলা । বুধবার সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এই মেলার শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জিতেন্দ্র মজুমদার, রামপদ জমাতিয়া ও পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার এবং গোমতী জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা ও মহকুমা শাসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য সহ প্রমূখ । মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গোমতী লাখপতি দিদি শীর্ষক এই বইয়ের আবরনী উন্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী সহ সকল অতিথিরা । এদিনের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ভাষণ রাখতে গিয়ে তিনি বলেন , সমস্ত মহিলাদেরকে একত্রিত করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে মহিলাদেরকে স্বশক্তি করণ করার জন্য সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন । সেদিকে লক্ষ্য রেখে ছোট্ট ত্রিপুরা রাজ্যে সমস্ত মহিলাদেরকে স্বশক্তি করণ করা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাজ করে চলেছে । রাজ্য সরকার ২ লক্ষ দিদিকে লাখপতি দিদি বানানোর জন্য লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে । ইতিমধ্যে ৮০ হাজারের বেশি মহিলা কে লাখপতি দিদি বানিয়েছে রাজ্য সরকার । এর মধ্যে গোমতী জেলায় ১৪ হাজার ৮০০ জন মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছে। যা এই জেলার জন্য অনেকটাই সুনাম অর্জন করেছে । এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন আগামী দিনে আরও বেশি করে মহিলারা আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে । সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে । এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সরস মেলায় আসা বিভিন্ন টিআরএলএম এর প্রদর্শনী স্টল ও বিভিন্ন দোকানের ফিতা কেটে তার শুভ উদ্বোধন করেন অতিথিরা । একই সাথে মহিলারা যাতে আত্মনির্ভর হয়ে উঠে তার ভ্রাম্যমান তিনটি গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয় অর্থমন্ত্রীর হাত ধরে । তিন দিনব্যাপী চলা এই সরস মেলার প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় ।