প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ত্রিপুরা রাজ্যের কর্মচারী সংঘ ঊনকোটি জেলা কমিটির উদ্যোগে আজ কৈলাসহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয় ৩য় ত্রিবার্ষিক জেলা সম্মেলন। ভারত মায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ প্রদান এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও শ্রমিক গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলন পর্ব।উদ্বোধনী মঞ্চে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তর ও শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী,জেলা পরিষদের সদস্য তথা ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সভাপতি বিমল কর,পুর পরিষদের চেয়ারম্যান চপলা দেবরায়,ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘের প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস,কোষাধ্যক্ষ রঞ্জন পাল,প্রদেশ সহ-সভাপতি দিলীপ ভৌমিক এবং ভারতীয় মজদুর সংঘের ঊনকোটি জেলা সভাপতি অসীম চাকমা।অনুষ্ঠান মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন কর্মচারী নেতা প্রহ্লাদ দেবনাথ।স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক তথা নেতাজি বিদ্যাপীঠের শিক্ষক পার্থ সারথি দত্ত।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২৫ সাল অব্দি বিকশিত ভারত নির্মাণের অঙ্গীকারে ত্রিপুরার গ্রামীণ স্তরে যোজনা এবং প্রতি ঘরে সুশাসনের বার্তা পৌঁছে দিতে সরকারি কর্মচারীরাই বড় দায়িত্ব পালন করেছেন।এই সময় অব্দি ৭০ হাজারের মধ্যে ৪০ হাজার দিব্যাঙ্গ ভাইবোনদের ইউআইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।বাম আমলে কোন সরকারি ফাইল মহকুমা থেকে মন্ত্রী হয়ে ঘুরে আসতে প্রায় ছয় মাস লাগতো।আজ এক ঘণ্টার মধ্যে ডিরেক্টরেট থেকে ফাইল আসে এবং মানুষের সমস্যার সমাধান করা হয়।২০১৪ সালের পূর্বে অর্থাৎ ৬৮ বছরে সারা ভারতবর্ষে ৫৮ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি করা হয়।।আর ২০১৪ সালের পর থেকে সারা ভারতবর্ষে দেড় লক্ষ কিঃমিঃ জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।একটা সময় আর কে এই মাঠে জনসভার মাঠ ভর্তি করার জন্য বাগান শ্রমিকদের আনা হতো।অথচ তাদের মাথার উপরে ছাদ রয়েছে কিনা অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান রয়েছে কিনা সেদিকে বাম সরকার কখনোই চিন্তা করেনি।কারণ তাদের শোষণের মানসিকতা ছিল। আজ ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এই সময়ের মধ্যে তিন হাজার জমির পাট্টা দিয়েছে।যার ফলে বাগিচা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছে এবং শৌচালয় পেয়েছে।ওরাও আত্মনির্ভর ভারতের সমান অংশীদার হয়েছে।তিনি বলেন ২০১৪ সালের পূর্বে ভারতবর্ষে পাঁচটি রাজ্যে মেট্রোরেল ছিল।আজ এই দশ বছরে ২২টি রাজ্যে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। এই মেট্রো রেল একটা সময় জাপানের প্রকৌশলীরা তৈরি করত,আর আজ ভারতের ছেলেমেয়েরা মেট্রো রেল তৈরি করছে এবং বিদেশে এক্সপোর্ট করছে।করোনা কারীন পরিস্থিতিতে ভারতেই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয় এবং এই দেশীয় ভেকসিন ভারতবাসীকে দেওয়ার সাথে সাথে বিশ্বের ১০০টি দেশে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। একটা সময় বিদেশি কোম্পানির মোবাইল ভারতে এক্সপোর্ট হতো।আজ ভারতের ছেলেমেয়েরা ভারতে তৈরি এন্ড্রয়েড মোবাইল বিদেশে এক্সপোর্ট করেছে যেখানে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি রেভিনিউ এসেছে।সারা ভারতবর্ষে ৩৫০টিরও বেশি মেডিকেল কলেজ নির্মাণ হয়েছে এবং কিছু স্টেটে নির্মাণের কাজ চলছে।উত্তর পূর্বাঞ্চলে ২০১৪ সালের পূর্বে সাতটি বিমানবন্দর ছিল বর্তমানে ১৭ টি বিমানবন্দর রয়েছে।এই সরকার আসার পর ছয়টি জাতীয় সড়ক নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে।স্বাস্থ্য পরিষেবার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আয়ুষ্মান কার্ড প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। কৈলাসহর আর জি এম হাসপাতালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নেশা মুক্তি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে এবং বিশ্রামগঞ্জ মহকুমায়ও এই নেশা মুক্তি কেন্দ্র হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হবে।ডেন্টাল কলেজ নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় চার লক্ষেরও বেশি ত্রিপুরাবাসী ঘর পেয়েছে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন রাষ্ট্র এবং সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের মূল লক্ষ্য। সরকারের বিভিন্ন যোজনা এবং প্রকল্প গুলোকে রূপায়িত করেন কর্মচারী বন্ধুরাই।সরকারের সবকা সাত সবকা বিকাশের নীতিতে প্রায় চার লক্ষ লাখপতি দিদি হয়েছেন ত্রিপুরায়।ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের সাথে মানুষের গড় আয় যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি ক্রমোন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরাও।বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাপতি বিমল কর জানান, কর্মচারী হিতে কাজ করে চলেছে ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ।একটা সময় শোনা যেত ভেঙে দাও,গুড়িয়ে দাও, কলকারখানা বন্ধ করে দাও। আর আজ শ্রমিক হিতে রাষ্ট্র হিতে কাজ করছে এই সংগঠন।নিয়ম নীতি মেনে যেমন চাকরি দেওয়া হচ্ছে, তেমনি সুষ্ঠু বদলি নীতির মাধ্যমে কর্মচারীরাও উপকৃত হচ্ছেন।সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হবার পর নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়। নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি হয়েছেন নিপুল দেবনাথ এবং সম্পাদক হয়েছেন পার্থ সারথি দত্ত।মহকুমা কমিটির সভাপতি হয়েছেন গৌতম চন্দ,সম্পাদক আশীষ দাস এবং ফাইনান্স সেক্রেটারি হয়েছেন প্রসেনজিৎ সিনহা।
দেশ
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর রেল স্টেশন থেকে কখনো বহি:রাজ্যে আবার কখনো রাজ্যে প্রবেশ করছে গাঁজা ভর্তি প্যাকেট । কারা পাচার করছে এই ধরনের গাঁজা ভর্তি প্যাকেট গুলি ? তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত । বুধবার রাতে আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস উদয়পুর স্টেশনে আসে যাত্রী নিয়ে । তখন বিএসএফ এবং স্থানীয় পুলিশ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায় । তল্লাশি চালানোর সময় তাদের নজরে পড়ে তিনটি গাঁজা ভর্তি প্যাকেট । এই ঘটনা চোখে পড়তেই সাথে সাথে তিনটি প্যাকেট গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ এবং পুলিশ । পরে গাঁজা ভর্তি প্যাকেটগুলিকে রাধা কিশোর পুর থানায় নিয়ে আসা হয় । থানার সেকেন্ড ওসি সমর দাস জানায় , রেলের বগি থেকে এই প্যাকেট গুলি উদ্ধার হয়েছে কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি । যেভাবে উদয়পুর রেল স্টেশন দিয়ে গাঁজা পারাপার হচ্ছে তাতে করে গাঁজা মাফিয়ারা যোগাযোগের এক বড় মাধ্যম পাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে চলেছে বিভিন্ন ছোট বড় গাঁজা ব্যবসায়ীরা। রাজ্য সরকার নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার যে ডাক দিয়েছিল সেই স্লোগানকে সামনে রেখেই পুলিশ ও বিএসএফ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উদয়পুর রেলস্টেশনে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১২ ফেব্রুয়ারি:- গন্ডাছড়ায় একটি ফুটবল মাঠ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বুধবার স্থান নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত করা হয়। এদিন এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং এবং গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াং উপস্থিত থেকে মহকুমার নারায়ণপুর আইটিআই কলেজের পাশে ফুটবল মাঠ নির্মাণের জন্য একটি স্থান চূড়ান্ত করেন। স্থানীয় জনগণ এবং ক্রীড়া প্রেমীদের জন্য এটি একটি সুখবর।
মহকুমায় ফুটবল মাঠ নির্মাণের এই সিদ্ধান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করেছে। খুশি হয়েছেন এলাকার ক্রীড়া প্রেমী মানুষরা, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বিশেষত, যুবসমাজের মধ্যে ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য গত ছয় মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন, যার মধ্যে ফুটবল মাঠ নির্মাণের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এলাকার ক্রীড়াবিদরা বিশেষভাবে খুশি।
এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং সরকারের একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। ফুটবল মাঠ নির্মাণের মতো প্রাথমিক উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি এলাকায় নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছেন। পাশাপাশি, এমডিসি’র নেতৃত্বে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, যা এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং-এর নেতৃত্বে এলাকায় সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের ফলস্বরূপ, সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি তাদের আস্থা বাড়িয়েছেন। এলাকার ক্রীড়া প্রেমীরা আশা করছেন, এই ফুটবল মাঠটি কেবল স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের জন্যই নয়, বরং সার্বিকভাবে গন্ডাছড়া মহকুমার ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এমনকি, এই ফুটবল মাঠে স্থানীয় যুবকদের ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের সুযোগ মিলবে, এবং ভবিষ্যতে এটি জেলা বা রাজ্য স্তরে প্রতিযোগিতার আয়োজনের জন্য একটি আদর্শ ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হতে পারে। এছাড়াও, এই মাঠটি যুব সমাজের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও সহায়ক হবে।
সবশেষে, এই ফুটবল মাঠ নির্মাণের মাধ্যমে গন্ডাছড়ার জনগণের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে, যা এলাকায় ক্রীড়ার প্রসারে এবং যুবকদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে।
এক কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত হচ্ছে সেতু , যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে উন্নত : অভিষেক
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন যেন থমকে গিয়েছিল মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে । তার কারণ বিগত ২৫ বছরের বাম শাসনে তৎকালীন এই কেন্দ্রের বিধায়ক মাধব সাহার আমলে উন্নয়ন যেন মহারানী লাভ স্টোরি কৃষ্ণ ভক্ত পাড়ায় উন্নয়নের জোয়ার কখনো বইতে দেখেনি জনজাতি অংশের মানুষ । প্রতি পাঁচ বছর পর পর বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হলেও কখনো তাদের সমস্যার কথা ভাবেনি তৎকালীন বাম বিধায়ক। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়কালে দলীয় প্রচারে বের হয়ে বর্তমানে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় জানতে পারে এই কৃষ্ণভক্ত পাড়ায় একটি সেতুর অভাবে মানুষ এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। তখন জনজাতি ভোটারদের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি ক্ষমতায় ফিরে এই এলাকায় একটি নতুন সেতু তৈরি করে দেবে। বর্তমানে অভিষেক দেবরায় জনজাতিদের কে দেওয়া সেই কথা আজ বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে । মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কৃষ্ণভক্ত পাড়ায় নতুন সেতুর ভূমি পূজা এবং গঙ্গা পূজা করা হয় । এই পূজায় অংশ নেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ও এম ডিসি সহ প্রমূখ। বিধায়ক জানান , এই সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় খরচ হবে এক কোটি টাকা । পাশাপাশি এই এলাকার উন্নয়নের জন্য নতুন একটি ক্লাব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে যার ফিতা কেটে এদিন উদ্বোধন করেন বিধায়ক। একই সাথে তিনি জানান গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল এই এলাকায় একটি মন্দির নতুনভাবে নির্মাণ করে দেওয়া তার কারণ পুরনো মন্দিরটি ভগ্নদশায় পরিণত। তাই আগামী এক বছরের মধ্যে এই এলাকায় তৈরি করা হবে নতুন একটি মন্দির। পাশাপাশি এলাকায় একটি পাকা সড়কের যে সমস্যা রয়েছে তার সমাধান আগামী দিনে করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন উপজাতি অংশের নাগরিকদের। বিজেপি বিধায়ক অভিষেক দেবরায় যেভাবে এলাকায় উন্নয়ন করে যাচ্ছে তাতে করে আগামী দিনে এই বিধানসভা কেন্দ্র আরো সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে বলে মনে করছে উপজাতি অংশের লোকজন।
চারার পরিবর্তে অঙ্কুরিত ধানের বীজ লাগিয়ে পরীক্ষামূলক ধান চাষ লঙ্কামুড়ায়
প্রতিনিধি মোহনপুর :- ধানের চারা রোপনের পরিবর্তে অঙ্কুরিত বীজ রোপন করে ধান চাষের পরীক্ষা শুরু করল কৃষি দপ্তর। বৃহস্পতিবার লঙ্কা মোড়ায় এলাকার কৃষকের জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করা হয়েছে অঙ্করিত ধানের বীজ। সাফল্য এলে আগামী দিনে রাজি বৃহৎ পরিসরে এই চাষ প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে দপ্তরের।
এতদিন যাবত ধানের চারা তৈরি করার পর সেই চারা রোপন করা হতো জমিতে। কিন্তু এখন হয়তো এই প্রক্রিয়া বদলাবার সময় এসেছে। রাজ্যের কৃষি দপ্তরের স্টেট এগ্রিকালচার রিসার্চ স্টেশন, হায়দ্রাবাদ আইসিএআর এবং আইআইআর যৌথভাবে পরীক্ষামূলক এই চাষ প্রক্রিয়ায় অবতীর্ণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্টেট এগ্রিকালচার রিসার্চ স্টেশনের জয়েন্ট ডাইরেক্টর ডঃ উত্তম সাহা জানান যে প্রক্রিয়ায় ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে তাকে বলা হয় ডিএসআর। এই প্রক্রিয়ায় ধানের বীজ রোপন করলে প্রায় ২০ দিন সময় বেঁচে যাবে কৃষকদের। পাশাপাশি ২০ সেন্টিমিটার বাই ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে এই বীজ রোপন করার পর তার উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ডক্টর উত্তম সাহা। তিনি আরো জানান এই এলাকার কৃষক বিষ্ণুপদ আধিকারির জমিতে দুটি ভাগে অঙ্কুরিত ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। যদি এখান থেকে ভালো উৎপাদন হয় তাহলে আগামী দিনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে দপ্তর নতুন কিছু ভাবতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ধানের বীজ রোপন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বামুটায়া কৃষি মহাকুমার এগ্রি সুপার্যান্টের রাজু রবিদাস, সেক্টর অফিসার এবং দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-অন্নদাতা কৃষকদের দীর্ঘ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী টিংকু রায়।চাষবাসের সমস্যার কারনে ভালো ফলন হচ্ছেনা বহু বছর ধরে।কাউলিকুড়া হাওরের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কৃষকদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।বর্ষার সময় জল জমে থাকার কারণে ফসল উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটত,যার ফলে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো।বহু বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছিলেন। অবশেষে, সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে।
কাউলিকুড়া হাওরের জল নিষ্কাশনের কাজ শিগগিরই শুরু হতে চলেছে,যা নিঃসন্দেহে এলাকার কৃষকদের জন্য এক স্বস্তির খবর।জানা গেছে,ঊনকোটি জেলার জেলা শাসকের ফান্ড থেকে প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য।মন্ত্রীর উদ্যোগে জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা এই ফান্ডের অনুমোদন দিয়েছেন, যা প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই জল নিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কাউলিকুড়া গ্রামের প্রচুর সংখ্যক কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। জলাবদ্ধতা দূর হলে কৃষিজমিতে ফসল ফলানো সহজ হবে এবং জমির উর্বরতা বাড়বে।ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।সরকারের এই উদ্যোগ শুধু কাউলিকুড়া গ্রাম নয়,আশে পাশের এলাকাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।কৃষি উৎপাদন বাড়লে খাদ্য শস্যের যোগান বৃদ্ধি পাবে,যা বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তাছাড়া, জল নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতির ফলে পরিবেশগত ভারসাম্যও রক্ষা হবে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৮ জানুয়ারি।। সিপাহীজলা জেলার টাকারজলা জহর নবোদয় বিদ্যালয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ ৮০ জন শিক্ষার্থী। অসুস্থ ছাত্র ছাত্রীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিপাহীজলা জেলাশাসক এবং জম্পুজলা মহকুমা শাসক। অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীরা টাকারজলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন । প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলেই অঘটন ঘটে । ঘটনার খবর পেয়ে সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল বিদ্যালয় এর ভোজনালয় পরিদর্শন করেন। গিয়ে দেখেন খাদ্যদ্রব্য গুলি বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেয়াদ উত্তীর্ণ মসলা ব্যবহার করা হচ্ছে । জেলাশাসক সকল খাদ্য দ্রব্য মশলা ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ভোজনালয়ের ইনচার্জকে শোকজ করারও নির্দেশ দেন। শেষে তিনি টাকারজলা সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন।
কথা বলেন হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে । তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মহকুমা শাসককে নির্দেশ দেন। ঘটনা জানাজানি হতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। তারা ছুটে যান হাসপাতলে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছাত্র ছাত্রীরা পেট ব্যাথা, বমি ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সবাই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- হেজামারা ব্লক এলাকায় ওয়াটার সেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাত। পাশাপাশি এলাকার কৃষক, স্বসহায়ক দল গুলোকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এই দিন। ভূগর্ভস্থ জল এবং মাটি সংরক্ষণ করার জন্যই এই ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
জল সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ওয়াটার সেভ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট নামক এই প্রকল্পের মাধ্যমে জল সংরক্ষণ, ভূমি সংরক্ষণ এবং এলাকার মানুষকে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এই ধরনের প্রকল্প হেজামারা ব্লকের পূর্ব নোয়াগাঁও এডিসি ভিলেজ, বড়কাঠাল এডিসি ভিলেজ এবং পশ্চিম চাঁদপুর এডিসি ভিলেজ এলাকায় বাস্তবায়ন করা হবে। মঙ্গলবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন গোটা ভারতবর্ষে ভূগর্ভস্থ জল কৃষি কাজের জন্য ব্যাপক হারে উত্তোলন করা হচ্ছে। ত্রিপুরা এখনো মোটামুটি ভালো জায়গায় রয়েছে। তবে আগামী দিনে যাতে ভূগর্ভস্থ জলের সংকট না হয় তার জন্যই এখন থেকেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার ৫০ টি স্বসহায়ক গোষ্ঠীকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের কৃষি যন্ত্রাংশ এবং নারকেলের চারা প্রদান করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষ কেতু দেববর্মা টিটিএএডিসির ইএম রোনিয়াল দেববর্মা, ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা, হেজামারা বিইসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা, লেফুঙ্গা বিইসি চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ওপেন জিম। বুধবার উদয়পুর পিএম শ্রী মাতঙ্গিনী হাজরা বিদ্যালয় আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবির ও ওপেন জিম উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এই অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ওপেন জিমের ফিতা কেটে করে উদ্বোধন করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌর পিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার, গোমতি জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ আরো অনেকে। এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , আমাদের সরকার রাজ্যের ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। রাজ্য সরকার ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের বৃত্তি প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া উন্নয়ন প্রকল্প আর্থিক বরাদ্দ করেছে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই উদয়পুর রমেশ স্কুল ময়দানে সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের সরকার রাজ্যে খেলাধুলার বিকাশের জন্য কাজ করছে। কারণ খেলাধুলার বিকল্প কিছু নেই। খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেদেরকে বিকশিত করতে পারি। কঠোর পরিশ্রম এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে পারি।
পাশাপাশি আরো বলেন, মাতাবাড়ি বিধানসভার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ গুলি তুলে ধরেন। এদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২২ জানুয়ারি: পুলিস সপ্তাহ উপলক্ষে গোটা রাজ্যেই পালিত হচ্ছে নানান কর্মসূচি। ধলাই জেলা পুলিসও এর বাইরে নয়। বুধবার পুলিস সপ্তাহ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জহরনগরস্থিত পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত হয় এক রক্তদান শিবির। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মিহির লাল দাস সহ আরক্ষা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। পুলিস সুপার মিহির লাল দাস সাংবাদিকদের জানান ধলাই জেলার প্রত্যেক থানা থেকেই পুলিস জওয়ানরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। তিনি বলেন রক্তদানের কোন বিকল্প নেই। বিজ্ঞানীরা আজ অব্দি রক্তের কোন বিকল্প আবিষ্কার করতে পারে নি। কারণ রক্ত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা যায় না। একমাত্র রক্ত দিয়েই রক্তের প্রয়োজনীয়তা দুর করা সম্ভব। তিনি বলেন এদিন ধলাই জেলার পুলিস এবং টি এস আর মিলে মোট ৭১ জন জাওয়ান রক্তদানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এদিন ট্রাফিক রুল সম্পর্কে জন সচেতনতা বাড়াতে আমবাসায় ট্রাফিক ইউনিটের সহযোগিতায় ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে ট্রাফিক এর দায়িত্ব পালন করানো হয়। মহকুমা পুলিস আধিকারিক নিরুপম দাস বলেন – এটি নিঃসন্দেহে একটি অভিনব উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে হেলমেট পড়ে বাইক চালানো সহ বিভিন্ন ট্রাফিক বিধি মেনে চলার বার্তা দেওয়া হয়।