- প্রতিনিধি , উদয়পুর :-উদয়পুর মাতারবাড়ি উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ৫১ পীঠের একপিঠ । এই মাতারবাড়ি কে কেন্দ্র করে দেশ ও বিদেশের বহু পুণ্যার্থী আসেন মায়ের উদ্দেশ্যে পুজো দেওয়ার জন্য। তারা প্রত্যেকেই মাকে প্রণাম করে প্রণামী হিসেবে নিজেদের সাধ্যমত প্রণামী বাক্সে কিছু টাকা দিয়ে থাকেন। মায়ের মন্দিরের সামনেই থাকে এই প্রণামী বাক্স গুলি । অন্যান্য সময়ের মতো এবারও ৪৭ দিন পর সে প্রনামীর বাক্স খোলা হয় জেলা প্রশাসনের এবং পুলিশের সামনে । তাদের উপস্থিতিতেই সমস্ত টাকা পয়সা গুণে মন্দির কমিটি দেখতে পায় গত ৪৭ দিনে মোট ৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯১ টাকা জমা হয়েছে এই প্রণামী বাক্স গুলির মধ্যে । যত দিন যাচ্ছে তত ভক্তদের ভীড় গোটা মন্দিরে বাড়তে শুরু করেছে। একই সাথে প্রণামীর টাকাও প্রতিমুহূর্তে বেড়ে চলেছে প্রণামী বাক্স গুলিতে । অনেকের ধারণা যত দিন যাচ্ছে পুন্যার্থীর সংখ্যা তত বাড়ছে মন্দিরে। ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের অশেষ কৃপায় ভক্তরা তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে পারছে বলে জানান এক ভক্ত।
ত্রিপুরা
শান্তির বাজারে জাতীয় সড়কের পাশে ফল বিক্রিকে কেন্দ্রকরে তিব্র বিবাদ সৃষ্টিহয়।
শান্তি বাজার প্রতিনিধি: জাতীয় সড়কের পাশে যানজট মুক্তরাখতে প্রতিনিয়ত নানান কর্মসূচী হাতেনিয়েথাকে প্রসাশন। মূল লক্ষ দুর্ঘটনা এরানো। বিগতদিনে জাতীয় সড়কের পাশে ফল বিক্রিকরাকে কেন্দ্রকরে প্রসাশন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। প্রসানের উদ্দ্যোগে সকল ফল বিক্রেতাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফল বিক্রিকরার পরামর্শ প্রদানকরে। বর্তমানসময়ে লেচু,আম, কাঁঠাল,জাম, আনারস সহ বিভিন্ন প্রকারের ফল নিয়ে দুর দুরান্ত থেকে লোকজনেরা বাজারে নিয়ে আসে। সেগুলি নিয়ে জাতীয় সড়কের পাশে বসে সকলে। শান্তির বাজার ফল বাজারে সমস্ত ব্যাবসায়ীদের উপস্থিতিতির ফলে সেখানে বসার মতো জায়গা থাকেনা। সকলে জাতীয় সড়কের পাশেবসে ফলগুলো বিক্রিকরে। অপরদিকে এই ফল বিক্রিকরতেগিয়ে যান চলাচলের অসুবিধার সন্মুখিন হতেহয়। অপরদিকে রাস্তার পাশে ফল থাকারফলে ফল বাজারেগিয়ে ফল ব্যাবসায়ীদের কাছথেকে সকলে ফল কিনতে চায়না। এইনিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টিহয়। এখন দেখার বিষয় বাইরেথেকে আসা ফল বিক্রেতাদের সুবিধার্থে ও শান্তির বাজারকে জানযট মুক্ত রাখতে প্রসাশন কিপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহনকরে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- দুটি পরিবার সরকারি জমির দখল করে রেখে আটকে দিয়েছে ড্রেন নির্মাণের কাজ। সমস্যায় স্থানীয় জনতা। ঘটনা বামুটিয়া আরডি ব্লকের অন্তর্গত ছোট আমতলী থেকে তালতলা যাওয়ার পথে পূর্বপাড়া এলাকায়।পাকা ড্রেন নির্মাণের জন্য প্রায় ছয় মাস আগে মাটিকাটা হয়েছিল। কিন্তু ড্রেন নির্মাণ না হওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর যাতায়াতে সুবিধার কথা মাথায় রেখে ছোট আমতলী থেকে তালতলা যাওয়ার রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজে হাত দিয়েছিল পূর্ত দপ্তর। সেই মোতাবেক মাটি কাঁটার কাজ হয়েছে প্রায় ৬ মাস আগে। মাটি কাঁটার সময় দুটি পরিবার সরকারি জায়গা ছাড়তে অসম্মতি প্রকাশ করে। ফলে ছোট্ট মোরে মধ্যে ড্রেন করতে গিয়ে শরু হয়ে গেছে রাস্তা। এদিকে স্থানীয়দের দাবি যে দুটি পরিবার সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছে তাঁদের কাছ থেকে জমি উদ্ধার করে সঠিকভাবে নির্মাণ করা হোক ড্রেন। সরকারি জমি পুনরুদ্ধার এবং ড্রেন নির্মাণ এক্ষেত্রে পূর্ত দপ্তরের গড়ী মসিকে কেন্দ্র করে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের দাবি এই সমস্যা নিরসনে দপ্তর অতিসত্বর উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-শনিবার গভীর রাতে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয় উদয়পুরে । এর ফলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গাছ ভেঙে পড়ে । ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাগরিকরা। কিন্তু এদিন রাতে উদয়পুর জগন্নাথ দিঘী পশ্চিম পাড় এলাকার বাসিন্দা পুলক দেবের ঘরের উপর ভেঙ্গে পড়ে ১০০ বছরের পুরনো একটি লিচু গাছ । গাছ পড়ার সাথে সাথে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে প্রাণ রক্ষা করার জন্য ছুটে যায় বাড়ির উঠোনে। এদিকে গাছটি সম্পূর্ণভাবে ঘরের উপর ভেঙ্গে পড়ার ফলে ঘরে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙ্গে চূড়মার হয়ে যায় । ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে । এই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে উদয়পুর পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার ও বিজেপির আর কে পুর মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস ছুটে যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করার জন্য । বসত ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে কোন আসবাবপত্র ঘর থেকে বের করতে সক্ষম হয়নি পুলক । এদিকে চেয়ারম্যান আশ্বাস দেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে প্রশাসনিকভাবে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে এবং উদয়পুর মহকুমা শাসক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের সাথে গোটা বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান । উদয়পুরে যেভাবে গত তিন থেকে চার দিন ধরে একের পর এক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড় তুফানে বিভিন্ন বাড়ি ঘর তাতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে মেঘের ঘনঘটা আকাশের দেখতে পেলে এক ভয়ের পরিবেশ মনের মধ্যে আঁকড়ে ধরছে বলে মনে করছে উদয়পুরের বাসিন্দারা ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। বজ্রপাতসহ দমকা হাওয়ায় ধর্মনগরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে । মুষলধারে বৃষ্টি ,মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন, বিদ্যুৎ চমকানো ,দমকা হাওয়া বইতে থাকে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া যায় গেছে। রবিবার বিকাল তিনটে থেকে শুরু হয় এই বৃষ্টিপাত । রবিবার হওয়ায় অফিস যাত্রী ,স্কুল পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা ব্যবসায়ীরা অনেকেই আজ বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু যারা দিনমজুর তাদেরকে প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক নিয়মে কাজের জন্য বের হতে হয়। তাদেরকে পড়তে হয় চরম দূর বিপাকে। ধর্মনগরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে হাঁটু জল, বাইক ,গাড়ি ,স্কুটি অটো রিস্কা, টুকটুক চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন রাস্তায়। ধর্মনগরের ডিএনবি রোড, কদমতলা কুর্তি রোড ,নয়াপাড়া রোড প্রভৃতি এলাকায় পথচারীদের চরম দুর্বিতাকে পড়তে হয় ।বৃষ্টি চলে একনাগারে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ।এদিকে দুপুর প্রায় ১টা থেকেই ধর্মনগরের দীঘল বাক, কলেজর রোড, নয়াপাড়া সহ শহর সংলগ্ন গ্রাম গুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
হয় বৃষ্টিহীন অবস্থায়। এরপর তিনটা থেকেই শুরু হয় মুষলধারে দমকা হওয়া সহ বৃষ্টিপাত যার ফলে জানা গেছে সমস্ত ধর্মনগর সহ শহর সহ উত্তর জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি কমলেও সমগ্র ধর্মনগর সহ এলাকাগুলি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় অন্ধকারে নিমজ্জিত বলে জানা যায়। এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অভিযোগ বিদ্যুৎ দপ্তরের উদাসীনতায় বৃষ্টি থাকলেও বিদ্যুৎ নেই বৃষ্টি না থাকলেও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটাতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা বলে অভিযোগ । এর জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের উদাসীনতাকেই দায়ি করছেন ভোক্তারা।
প্রয়াত সাংবাদিক মানষ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক
পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। এমন একটি প্রাণবন্ত যুবক হঠাৎ এভাবে চলে যাবে তা খুবই মর্মান্তিক। শুধু সংবাদ জগৎ নয়, উনি নিজেও শোকস্তব্ধ। শনিবার খোয়াই জাম্বুরা স্থিত প্রয়াত সাংবাদিক মানষ ভট্টাচার্যের বাড়িতে এসে বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক এভাবেই নিজের ভাবাবেগ তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ প্রয়াত সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ান বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক। শোকস্তব্দ পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি। এদিন তিনি প্রয়াত সাংবাদিকের মায়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন,একজন সজ্জন,ভদ্র সাংবাদিক হিসেবে শুধুমাত্র নয়, একজন প্রকৃত ভালো মানুষ হিসেবেও সমগ্র রাজ্যব্যাপী পরিচিতি ছিল তার। এদিন রাজ্য সহ সভাপতি প্রয়াত সাংবাদিকের মার হাতে কিছু অর্থ তুলে দেন এবং আগামী দিনে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন ।এদিন রাজ্য সহসভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি খোয়াই জেলা সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস, বিজেপি খোয়াই মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ নাগ , তাপস দাস, মন্ডল সহ সভাপতি প্রণব বিশ্বাস, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিজয় কুমার দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। এদিকে শনিবারে বিকেলে আগরতলা থেকে প্রয়াত সাংবাদিক মানস ভট্টাচার্যের বাড়িতে ছুটে আসেন জার্নালিস্ট ইউনিয়ন এবং ফোরামের রাজ্য নেতৃত্ব। উনারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এক সাক্ষাতে জার্নালিস্ট ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক প্রণব সরকার জানাল,ঘটনাটি বড় মর্মান্তিক। এর পূর্বেও আমরা রাজ্যের অনেক সাংবাদিককে হারিয়েছি। মানসের পরিবারকে আমরা ভেসে যেতে দেব না। পূর্বে ও তার পাশে ছিলাম, আগামী দিনগুলি তো তার পরিবারের পাশে থাকব। এই দিন রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রণব সরকার, সুরজিৎ পাল সহ অন্যান্য সাংবাদিকগণ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। পানিসাগর কেবিকে সেন্টারের ইনচার্জ এবং ডাইরেক্টর এর দায়িত্বে রয়েছেন ডক্টর সৌমেন্দ্র কুমার। তিনি জানিয়েছেন বর্তমান কালো মুরগি অর্থাৎ কোরকনাথ নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকার। এ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে ১২৪টি দিয়ে করোনা পিরিয়ডের ঠিক সময় এই কোরকনাথের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। মহিলা যেগুলি কালো মুরগি রয়েছে এগুলি এক কেজি, পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ওজন এক কেজি থেকে দেড় কেজি হয়। প্রতিটি মুরগি এক হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তাছাড়া বাস্তবে প্রতিটি মুরগির ডিমের মূল্য 15 টাকা অনায়াসে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ২৫ শতাংশ কম প্রোটিন রয়েছে, ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল নেই বললেও চলে। যেখানে বয়লার মুরগি প্রতিটিতে ১৭ থেকে ১৮ গ্রাম প্রতি কেজিতে প্রোটিন রয়েছে সেখানে ২৫% কম প্রোটিন রয়েছে এই মুরগিতে। বিশেষ কোন ধরনের যত্ন করতে হয় না সাধারণভাবে মুরগিদের যথাসময়ে ভ্যাকসিন টা ঠিকমত দিলেই সারে। সাধারণ ঘরের মুরগির মত এ মুরগির চাষ কৃষকের একান্ত প্রয়োজন এবং একান্ত নিজের। এখন ইদানিং গরম হয়েছে তাই ১০০ টা মুরগি থাকলে দুইটা ফ্যান চালিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া জলের স্পে দেওয়া যেতে পারে। গরমের সময়ে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোলাইট দেওয়া যেতে পারে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে। প্রতিবছর আড়াইহাজার থেকে ৩০০০ মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান কে বি কে এর ডাইরেক্টর ডক্টর সৌমেন্দ্র কুমার। প্রতিটি মুরগির বাচ্চার দাম ১২০ টাকা আবার যদি ২৮ দিনের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে প্রতিটি মুরগির দাম ১৫০ টাকা দাঁড়ায়। এখন পর্যন্ত 100 জন কৃষক কেভিকের এই কোরকনাথ জাতীয় মুরগির দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। এই মুরগির মাংসের কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকায় যারা হার্টের রোগীরা এবং কোলেস্টেরল রোগীরা মাংস খেতে সম্পূর্ণ বাধা-নিষেধ রয়েছে তারাও এই মুরগির মাংস সেবন করতে পারবেন বলে কেভিকে এর ডাইরেক্টর জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-উদয়পুর খিলপাড়া স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া জয়শ্রী দেবনাথ বহু আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। জানা যায় বাবা অন্যের দোকানে কর্মরত । কোন মতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন জয়শ্রী দেবনাথের বাবা । মেধাবী এই ছাত্রীটির বিষয়ে জানতে পেরে রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় নিজ উদ্যোগে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এর ছাত্রীর জন্য পড়াশোনার সমস্ত বই খাতা থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য সামগ্রী দলীয় কর্মীদের হাত দিয়ে । এই সাহায্যের হাত পেয়ে মন্ত্রীর কাছ থেকে ছাত্রীটির গোটা পরিবার ব্যাপক খুশি । জানা যায় প্রতিবছর মন্ত্রী এইভাবে মেয়েটিকে সাহায্য করে যাচ্ছেন । রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রণজিৎ সিংহ রায় যেভাবে দরিদ্র থেকে শুরু করে অতি সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে দ্রুত যেভাবে তুলে ধরেছেন বিগত দিনে কোন রাজনৈতিক দলের এই ধরনের চিত্র দেখতে পাইনি উদয়পুর বাসী। হাজারো আশা ও ভরসা নিয়ে সাধারণ মানুষ যেভাবে অর্থমন্ত্রীর কাছে ছুটে যাচ্ছেন তার মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ কখনো মন্ত্রীর কাছ থেকে খালি হাতে ফিরছেন না বলে উদয়পুরের শিক্ষিত মহলের মধ্যে তার ব্যাপক সুনামের সাথে এই শব্দটি শুনা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্কুল বাস দুর্ঘটনার কবলে, চালক আশঙ্কা জনক অবস্থায় ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে ভর্তি।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। একটি মিনি স্কুল বাস রয়েছে কিডজি ইন্টারন্যাশনাল বিদ্যালয়। এই বাসটি নিয়ে প্রতিদিন কার মত ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে নিয়ে যায় বাস চালক। কিডজি এর মিনি বাসটি পশ্চিম দেওয়ান পাশা গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে যাচ্ছিল।একজন ছাত্রের প্রাতকর্ম সম্পন্ন করার জন্য চালক নেমেছিলেন। এই ফাঁকে একটি ছাত্র এক্সেলেটর অন করে দেয়। এই অন করে দেওয়ার ফলে এক্সেলেটরের গতি বাসের গতিকে বাড়িয়ে দেয় এবং বাসটি নিজে থেকে জলের দিকে ধাবিত হয়। এই অবস্থা দেখে গাড়ির চালক গাড়িটিকে ধরার জন্য পেছন পেছন ধাবিত হয়। কিছু জায়গা অতিক্রম করার পর বাসটি রাস্তার পাশে জলের মধ্যে গড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে চালক বাসটিকে ধরতে সক্ষম হলেও বাসটিকে থামাতে পারেনি। ৬-৭ জন বাচ্চা অল্প বিস্তর আহত হলেও বাসের চালক গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে যায়। এলাকাবাসীরা বাসকে সরিয়ে চালককে বের করে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীকে খবর দেয়। অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর লোকেরা স্থানীয় মানুষের সাহায্যে চালককে উদ্ধার করে ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছে গাড়ির চালক। বাচ্চারা অল্পবিস্তর আহত হলেও খুব একটা প্রভাব এদের মধ্যে পড়েনি। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছিল গোটা উদয়পুর মহকুমা জুড়ে। এর ফলে উদয়পুর পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা থেকে শুরু করে ড্রেন সমস্ত জায়গায় বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়ায় । সেই সাথে ব্যাপক ঘূর্ণিঝড় শুরু হয় রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে । এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ছয়টি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এরমধ্যে রাজারবাগ ১৬ নং ওয়ার্ডে প্রাণতোষ ঘোষ ও সহদেব ঘোষ এই দুই ব্যক্তির বাড়িতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বসত ঘর থেকে শুরু করে রান্নাঘর দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দেয় ঘূর্ণিঝড়। ক্ষয়ক্ষতির ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে আগরতলা থেকে ছুটে আসেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি। সাথে ছিলেন পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে ভাইস চেয়ারম্যান ও এলাকার স্থানীয় নেতৃত্বরা । পরে পৌর পরিষদে বৈঠকে বসে অর্থমন্ত্রী । বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান তার নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে ছয়টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িগুলিকে কিভাবে মেরামত করা যায় এবং সর্বাত্মকভাবে যতটুকু সম্ভব সরকারিভাবে তাদেরকে সাহায্য করা হবে। এই বিষয়ে প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে কথা বলবেন মন্ত্রী নিজে। এমনটাই জানান সংবাদ মাধ্যমকে। যেভাবে তীব্র গরম কে কাটিয়ে বৃষ্টি উদয়পুরে ঝেঁপে নেমেছে । তাতে একদিকে যেমন স্বস্তি শহরবাসীর আর অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পৌরবাসী ।