প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৩ জুন।। বিশালগড় মহকুমার
সিপাহীজলা প্লে সেন্টারের পক্ষ থেকে রাজ্যের সনামধন্য নারী ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। সিপাহীজলা দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারী ক্রিকেটের কোচ রুমা দাস, নির্বাচক নিবেদিতা দে, ফিজিও পাপিয়া, মিষ্টি, ক্রিকেটার অম্বিকা প্রমুখ। মহিলা ক্রিকেটের বিসিসিআই স্তরের সাপোর্ট স্টাফ ক্রিকেটার যারা ইস্ট জোনে অংশ নিয়েছে তাদের সংবর্ধিত করা হয়। এদিন ক্রিকেটার অন্নপূর্ণা দাস, রিজু সাহা, সুরভী রায়, ইন্দু জমাতিয়া, মৌচাইটি দেবনাথ, প্রিয়াঙ্কা আচার্যী এবং সাপোর্ট স্টাফ কোচ শ্রাবণী দেবনাথ, ম্যানেজার শিল্পী দেববর্মা, ফিজিও হিরালী দেববর্মা কে সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে সিপাহীজলা প্লে সেন্টারের সকল ক্রিকেটাররা উপস্থিত ছিলেন। সনামধন্য নারী ক্রিকেটারটা তাদের ক্রীড়া জীবনের নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। সিপাহীজলা প্লে সেন্টার সচিব সৈকত লস্কর জানান সনামধন্য নারী ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার এবং পরামর্শে এই সেন্টারের খুদে খেলোয়াড়েরা সমৃদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে এই সিপাহীজলা প্লে সেন্টারে ৫৬ জন নিয়মিত প্রেকটিস করে। এরমধ্যে ৩৫ জন মেয়ে রয়েছে ।
খেলাধুলা
সংবাদ প্রতিনিধি , ধর্মনগর, ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার উদ্যোগে ধর্মনগরে শুরু হলো কুড়ি দিবসীয় নাট্য কর্ম শালা সামার থিয়েটার ওয়ার্কশোপ। রবিবার সকালে ধর্মনগর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই নাট্য কর্মশালার উদ্বোধন করেন উত্তর জেলার প্রাক্তন শিক্ষা অধিকারীক রিপন চক্রবর্তী সাথে ছিলেন গোল্ডেন ভ্যালি হায়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমলেন্দু দেবনাথ ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা সাংবাদিক স্বরূপ ঘোষ ও রঞ্জিত পুরকায়স্থ প্রমুখ। এই কুড়ি দিবসীয় নাট্য প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষক হিসেবে এসেছেন দিল্লীর রজনীস বিস্ট মণিপুর থেকে হিরম রবীন্দ্র সিং ও পূজা সেন এবং গোটা প্রশিক্ষণ শিবিরর কর্ডিনেটরের দায়িত্বে রয়েছেন কৌস্তুভ চক্রবর্তী। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ৮ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সের মোট ১৬ জন কচিকাঁচা অংশ নিয়েছে।
প্রতিনিধিতেলিয়ামুড়া।১৭ই মে। মহিলা স্বশক্তিকরণ সহ সার্বিক সচেতনতার উদ্যেশ্যে পুলিশের উদ্যোগে তেলিয়ামুড়ায় কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ । সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে অপরাধ মুক্ত রাখার, সার্বিকভাবে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের স্বার্থে মহিলাদের স্বশক্তি করনের দাবি করে শুক্রবার তেলিয়ামুড়া আরক্ষা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রয়াস কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ।তেলিয়ামুড়া অশ্বিনী কুমার স্মৃতি কমিউনিটি হলে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র , ছাত্রী , শিক্ষক সহ ব্যাপক অংশের উপস্থিতি ছিল। আলোচনা রাখতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আই পি এস সুদাম্বিকা আর বলেন সকলকে সমাজকে অপরাধ মুক্ত করার জন্য ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে আসতে হবে । মহকুমা পুলিশ আধিকারিক উপস্থিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র – চাত্রীদের বলেন যখনই তারা বিভিন্ন প্রকার অপরাধের সম্মুখীন হবে তখন যাতে করে নির্ভয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অবহিত করতে হবে । বর্তমান ময়ের মধ্যে মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ বাড়ছে সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দাবি হচ্ছে মেয়েদেরকে বলিষ্ঠ হওয়ার জন্য আরও বেশি করে শিক্ষাকে অবলম্বন করতে হবে । এই সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক পিনাকী চৌধুরী, তেলিয়ামুড়া থানার সেকেন্ড অফিসার সুকান্ত সেন চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
ছান । এদিনের কর্মশালায় উপস্থিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মার্শাল আর্ট , জুডো ইত্যাদির প্রিশিক্ষণ দেওয়া হয়। ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৫ মে।। নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার আহবানে বিশালগড়ে শুরু হলো এমএলএ কাপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বুধবার পূর্ব লক্ষীবিল স্কুল মাঠে আয়োজিত উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাধিপতি অমল দেবনাথ বিশালগড় মন্ডল সাধারণ সম্পাদক তপন দাস, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা, যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি অনুরাগ চক্রবর্তী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন হাজারো ক্রিড়া প্রেমি মানুষ। শান্তির প্রতিক পায়রা বন্দীমুক্ত করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। প্রদীপ প্রজ্বলন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ অতিথিরা। বিধায়ক সুশান্ত দেব নিজে ক্রিকেট প্রেমি। খেলেন দারুণ। এদিন উদ্বোধনী পর্বে ব্যাট করেন আপন মেজাজে। ভাষণে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন নেশা মুক্ত সুন্দর সমাজ গড়া আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে খেলাধুলা। শুধু ক্রিকেট নয়। ফুটবল সহ গ্রামীণ খেলাধুলার প্রতি যুব সমাজকে আকৃষ্ট করতে হবে। সুস্থ শরীর না হলে সুস্থ মন হবে না। খেলাধুলা শরীর চর্চায় ছেলেমেয়েদের যুক্ত করতে অভিভাবকদের ভূমিকা নিতে হবে। মোবাইল ফোন যুব সমাজকে পঙ্গু করছে। তাই বিকালে মোবাইল নয় মাঠে আসতে হবে। এ ধরনের টুর্ণামেন্টের আয়োজন করায় পূর্ব লক্ষীবিল প্লে সেন্টারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স দলের জন্য রয়েছে সুবিশাল ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে মোটর সাইকেল। এছাড়া নানা বিভাগে ট্রফি এবং প্রাইজমানির ব্যবস্থা রয়েছে।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় :- গোলাঘাটি বিধানসভার পেকুয়ারজলা দ্বাদশ শ্রেণি মাঠে আয়োজিত নক আউট ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা দখল করে জ্যোৎস্না ডেকুরেটর। শনিবার ফাইনাল ম্যাচে প্রতিপক্ষ রাম মানিক পাড়াকে ৩৯ রানে হারিয়ে দেয় জ্যোৎস্না ডেকুরেটর। শনিবার গোলাঘাটির পেকুয়ারজলা স্কুল মাঠে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক মানব দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক তথা জম্পুইজলা বিএসি চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, সমাজসেবক মৌসুমি দাস, গৌরাঙ্গ ভৌমিক, প্রদীপ ভৌমিক প্রমুখ। নেশা মুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে খেলার মাঠে টেনে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজীব ভট্টাচার্যের বলে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ব্যাট করে ম্যাচের উদ্বোধন করেন। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ১৬ ওভারে ১৭১ রান করে জ্যোৎস্না ডেকুরেটর। দলের পক্ষে সুমন এবং ইন্দ্রজিৎ অর্ধশত রান করে। জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত ১৩২ রান করতে সক্ষম হয় রাম মানিক পাড়া। দলের পক্ষে দেবব্রত ২৩ সর্বানন্দ ২৬ রান করে। শেষে চ্যাম্পিয়ন টিমকে ট্রফি এবং ৩০ হাজার টাকা প্রাইজমানি তুলে দেন অতিথিরা। রানার্স টিমকে ট্রফি এবং প্রাইজমানি ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন প্রার্থ শর্মা এবং আশিস দে। নবশান্তিগঞ্জ স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত টুর্নামেন্ট পরিচালনা করেন অধ্যাপক সাধন দাস। টুর্নামেন্টে ৩২ টি দল অংশ নেয়। বিএসি চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা জানান প্রতি বছর এ টুর্নামেন্ট হচ্ছে। খেলাধুলার প্রতি যুবকদের আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছে সরকার। নেশা মুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্য যুব সমাজকে খেলার মাঠে যে কোন খেলায় যুক্ত করতে হবে। বিধায়ক মানব দেববর্মা বলেন তিনি নিজেও ক্রিকেট ফুটবল খেলতেন। এলাকায় খেলাধুলার ক্ষেত্রে যুবকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১২ এপ্রিল:- বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হল গন্ডাছড়া দ্বাদশের সাত দিন ব্যাপি এন এস এস এর বিশেষ শিবির। গত ৬ এপ্রিল মহকুমার বিশিষ্ট আধিকারিকদের উপস্থিতিতে উক্ত শিবিরের শুভ উদ্বোধন করেন গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. শ্রীমন্ত রায়। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডি সি এম অনিন্দ্র চক্রবর্তী, ডুম্বুরনগর এবং রইস্যাবাড়ি বিদ্যালয় পরিদর্শক যথাক্রমে তুইসা মগ, ব্রজমোহন মুড়াসিং, দ্বিতীয় দিন দত্তক নেওয়া গ্রাম ষাট কার্ডে অনুষ্ঠিত হয় স্বাস্থ্য শিবির। সহযোগিতায় ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা। সেখানে ডাক্তার লেব্রাসাই মগ রোগীদের স্বাস্হ্য পরিক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র প্রদান করেন। তৃতীয় দিন শিক্ষামূলক ভ্রমণে মহকুমার বিশ্বকর্মা পাড়া ও ডুম্বুর জলাশয় যান স্বেচ্ছাসেবীরা। সেখানে তারা স্থানীয়দের জীবন জীবিকার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করেন। চতুর্থ দিনে একক নৃত্য, একক সংগীত ও পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে । একই দিনে “বিকশিত যুবা বিকশিত ভারত ” থিম নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল খজেন্দ্র ত্রিপুরা।পঞ্চম দিন অনুষ্ঠিত হয় রক্তদান শিবির। রক্ত দান শিবিরের উদ্বোধন করেন ডিসিএম ওমকার দেব ।শিবিরে মহকুমার মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. শ্রীমন্ত রায়,বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল খজেন্দ্র ত্রিপুরা,এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ সহ অন্যান্য,শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবীরা রক্তদান করেন। অনুষ্ঠানে একক নৃত্য, একক সংগীত ও পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন বিশিষ্ট জনেরা। ষষ্ঠ দিনে নির্বাচনের কর্মীদের মহড়া ও নির্বাচন কেন্দ্র গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে সাফাই অভিযান করা হয় । একই দিনে “সেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা” নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করেন প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ । সপ্তম তথা শেষ দিনে শিবিরে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের আগামী দিনে মহাবিদ্যালয়ের স্তরেও সেবামূলক কাজ করে যেতে আহ্বান জানান ভাইস প্রিন্সিপাল শ্রী ত্রিপুরা । একই সাথে তিনি তাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন। উল্লেখ্য শিবিরের প্রথম দিন বছরের শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে রাজু মগ’কে পুরস্কৃত করা হয়। শিবিরে সমস্ত অতিথিদের প্রদান করা হয় স্মারক উপহার। বিদ্যালয়ের এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ জানান, স্বেচ্ছাসেবীরা শিবিরে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছেন আগামী দিনে এলাকায় স্থায়ী সম্পদ তৈরি করে দেওয়ার জন্য। তিনি মহকুমা শাসক অরিন্দম দাস ও মহাকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. জটিলেশ্বর দেববর্মা- কে তাদের সহযোগিতার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
চুনাব কা পর্ব দেশ কা গর্ব ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে খোয়াই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রীতি ভলিবল ম্যাচ
মঙ্গলবার বিকেল চার ঘটিকায় খোয়াই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ” চুনাব কা পর্ব দেশ কা গর্ব ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে খোয়াই সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠে এক প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় বিএসএফ, জেলা পুলিশ এবং স্হানীয় দল অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতা সূচনা করেন খোয়াই জেলাশাসক চান্দনী চন্দ্রন। তাছাড়া খোয়াই মহাকুমা শাসক মেঘা জৈন, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি মজুমদার সহ পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।উক্ত খেলায় স্হানীয় দল চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। স্হানীয় দল বিএসএফকে ২-০ সেটে হারিয়ে দেয়। চ্যাম্পিয়ান দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন জেলা শাসক চন্দনী চন্দ্রন । তাছাড়া রানারস্ আপ হয় ত্রিপুরা পুলিশ এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন খোয়াই মহকুমা শাসক ম্যাগা জইন্।
গন্ডাছড়ায় ৩৫ বছরের ঊর্ধ্ব টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের সুচি চূড়ান্ত
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া:- গন্ডাছড়া প্রাক্তন ক্রিকেটারদের উদ্যোগে ৩৫ বছরের ঊর্ধ্ব টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্টে শনিবার দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সেমিফাইনালে হেইটটি বয়েজ বনাম নেতাজী সংঘের মধ্যে এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গন্ডাছড়া প্রথম বেইজ সিনিয়র ক্রিকেট টিম এবং এস.ডি.এম একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য গত ৩রা মার্চ গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গন্ডাছড়া ক্রিকেট এসোসিয়েশনের প্রাক্তন সচিব স্বপন দাস সহ একঝাঁক প্রাক্তন ক্রিকেটার। টুর্নামেন্টে মোট ১১টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের টেনিস টুর্নামেন্টকে ঘিরে মহকুমা এলাকার ক্রীড়া মোদী লোকজনদের মধ্যে দারুন উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উদয়পুর গোমতী জেলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
রবিবার বিকেল তিনটায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উদয়পুর গোমতী জেলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জিতেন্দ্র মজুমদার , গোমতী জেলা জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা , যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় , যুব বিষয়ক সচিব ডক্টর প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় , অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ প্রমূখ । স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন , যুবশক্তিকে নেশা ও ড্রাগের কবল থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে তথা সুস্থ জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করতে একমাত্র বিকল্প ক্রীড়া। যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিক নির্দেশনায় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তর ক্রীড়াপ্রেমী রাজ্যবাসীর জন্য একের পর এক পরিকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এছাড়া উদয়পুর মহকুমার চন্দ্রপুরে একটি সিন্থেটিক মাঠ ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন , গোমতী জেলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ময়দানে আগামী দিনে কিভাবে একটি মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা যায় এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যদি একটি মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা যায় এই ময়দানে তাহলে খেলাধুলার প্রতি আরো আগ্রহ বাড়বে ছেলেমেয়েদের। খেলাধুলার পাশাপাশি শরীরচর্চা খুবই জরুরী বলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণে উল্লেখ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ শেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘুরে দেখেন গোমতী জেলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড । গোটা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে ক্রীড়াপ্রেমী সাধারণ মানুষদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো। সেই সাথে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর কে কেন্দ্র করে পুলিশি নিরাপত্তা ছিলো আঁটো সাঁটো।