প্রতিনিধি মোহনপুর:-১ নং সীমনা বিধানসভার পঞ্চবটিতে বিজেপি আইপিএফটি এবং তিপ্রা মাথার যৌথ উদ্যোগে এক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বিজেপি দলের পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। বক্তারা রাজ্যের সিপিআইএম দলকে জোরালো আক্রমণ করেছেন। দাবি করা হয় রাজ্যের আক্ষরিক অর্থের উন্নয়ন শুরু হয়েছে ২০১৮-র পর থেকেই।
রবিবার দুপুরে পঞ্চবটিতে বিজেপির সহযোগী দুই দল মিলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক দলীয় সভাতে বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে ব্যাপক জনমত গঠনে চেষ্টা করা হয়। এদিন তিপ্রা মথা দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা বলেন সিপিআইএম বছরের পর বছর রাজ্যের উপজাতি এবং অন্যান্যদের শুধুমাত্র শোষণ করে গেছে। গরিবকে গরিব রাখার কাজ করে গেছে। অন্যদিকে বর্তমান সরকার এমবিবি বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে প্রয়াত মহারাজের নামে করায় প্রশংসা করেছেন তিনি। এদিন বিপ্লব কুমার দেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন সিপিআইএম এই রাজ্যের উন্নয়নে কোন ভূমিকাই রাখিনি। তারা ৩৫ বছরে ঘর দিয়েছিল ৪৮ হাজার। আর বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর চার বছর আট মাসে ঘর প্রদান করা হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ। নিজের দলীয় কার্যালয়গুলো মজবুত করেছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিপ্লব কুমার দেব। এর বাইরে মানুষের জন্য ভাবেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লব। এই দিন বিপ্লব কুমার দেব প্রশংসা করে বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছেন। যার প্রভাব আগামী দিনে এই রাজ্যেও পড়তে চলেছে। এজন্য এই সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা, উপস্থিত ছিলেন হেজামারা ব্লক বিএসসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা এবং অন্যান্যরা।
রাজনীতি
মোদিজির আদর্শে এবং চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দলে দলে সাধারণ মানুষ বিরোধীদল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদান করছে। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে শাসকদল তার প্রচার-প্রসারে কোনরকম খামতি রাখতে চাইছে না। শনিবার পড়ন্ত বিকেলে বিজেপি দলের উদ্যোগে বৈদ্যনাথ চৌমুহনীতে অফিস কার্যালয়ের উদ্বোধন এবং যোগদান সভা আয়োজিত হয়। এদিন প্রথমেই বিজেপি দলের অফিস কার্যালয়ের ফিতা কেটে এবং পতাকা উত্তোলন করে এর শুভ সূচনা করা হয়। এদিন দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জনজাতি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য রমেন সাঁওতাল। পরবর্তীতে উপস্থিত নেতৃত্বরা গোটা অফিস কক্ষটি ঘুরে দেখেন। এর ঠিক
পরেই বিরোধী শিবির থেকে যোগদানকে কেন্দ্র করে এক প্রকাশ্য জনসভা আয়োজিত হয়। এই জনসভায় উপস্থিত হয়ে ১১০ পরিবারের 352 জন ভোটার বিজেপির পতাকা তলে সামিল হন। নবাগতদের দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে তাদের দলে বরণ করে নেন বিজেপি খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার,বিজেপি খোয়াই মন্ডল সম্পাদক তাপস কান্তি দাস, বিজেপি মহিলা মোর্চার খোয়াই জেলার সভানেত্রী অপর্ণা সিংহ রায়, জনজাতি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য রমেন সাঁওতাল সহ অন্যান্যরা। এই দিন বিজেপি দলে যোগদানকারীদের মধ্যে অন্যতমরা হলেন পহড় মুরা পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রাক্তন উপ প্রধান মাধব দাস, রুক্মিণী দেবনাথ প্রাক্তন প্রধান। সুজিত পাল প্রাক্তন প্রধান, ধলাবিল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মিনা গৌড়। এইদিন দলীয় কার্যালয় এবং যোগধানসভা কে কেন্দ্র করে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার বলেন মোদীজির বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় শুধু এই রাজ্যের মানুষ নয় সমগ্র দেশবাসী যুক্ত হয়েছেন। দেশ বিকশিত হচ্ছে। শিক্ষা স্বাস্থ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেই শুধু নয়। আজ ভারত বহি বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির রাষ্ট্রনায়করা মোদিজীর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে থাকেন। বিশ্বে পঞ্চম অর্থনীতিক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে মোদিজীর মতো নেতৃত্বের কারণে। তিনি বলেন সামনেই দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মোদীজির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি ৪০০ এর উপর আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে। রাজ্যের দুটি আসনেও ভারতীয় জনতা পার্টির জয় এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিরোধীদলের জোট ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন। যে জুট স্থির করতে পারেনি যে তাদের দলের নেতৃত্ব কে হবেন, সেই দলগুলি ভাবছে তারা ভারত বর্ষ শাসন করবে। আসলে এটা তাদের অনেক কল্পনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
ভারতের নির্বাচন কমিশন শনিবার দুপুরে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে । লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে বিজেপির জোড় প্রচার । শনিবার বিকেলে ৩১ রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আর কেপুর মন্ডলের উদ্যোগে দলীয়ভাবে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের নিয়ে উদয়পুর গ্রন্থাগারে এবং রিস্কা শ্রমিকদের নিয়ে রমেশ চৌমুহনী তে জাতীয় সড়কের পাশে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই দুটি সভায় উপস্থিত ছিলেন , ৩১ রাধাকিশোরপুর মন্ডলের সভাপতি প্রবীর দাস, ভারতীয় মজদুর সংঘের জেলা সভাপতি গৌতম দাস , ৩১ আরকেপুর মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি রাকেশ শীল সহ প্রমূখ । এই দুটি সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস বলেন ,
আপ কি বার ৪০০ পার
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জী’ র হাতকে আরো শক্তিশালী করতে ও রাষ্ট্রের বিকাশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পুনরায় মোদিজী কে পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়ে ৪০০ পার করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান রাখেন। এই বৈঠকে সকল ফুটপাত ব্যবসায়ীরা সংকল্প পত্র প্রেরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর কাছে আগামী ভারতের রুপরেখা তৈরি করার লক্ষ্যে। একই সাথে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব কে বিপুল ভোটে জয় করার জন্য এই লোকসভা কেন্দ্রে জেতানোর জন্য প্রতিটি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রিক্সা শ্রমিকদের কাছে আহ্বান রাখেন এই দিন মন্ডল সভাপতি । সেই সাথে ব্যবসায়ীদের পরিবারদের কাছেও এই আবেদনের বার্তা পাঠান মন্ডল সভাপতি। এদিন বিকেলে লোকসভা ভোট ঘোষণা হতে গোটা আর কেপুর মন্ডলের উদ্যোগে যেভাবে উদয়পুর শহরের বিভিন্ন রাজপথে মিছিল সংঘটিত করা হয়েছে তাতে করে বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক মহল মনে করছে রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থীর প্রচার বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। এদিনের দলীয় সভায় রিক্সা শ্রমিক এবং ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে উদয়পুরে মিছিল বিজেপির
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব কে জেতানোর লক্ষ্যে এবার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ময়দানে নামলো শাসক দল বিজেপি । শনিবারে বিকেলে উদয়পুর জামতলা টাউন হল সামনে থেকে ৩১ আর কে পুর মন্ডলের উদ্যোগে এক মিছিল বের হয় উদয়পুর শহরে । এই মিছিলে অংশ নেন মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস, গোমতি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা, আরকে পুর মন্ডলের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ভ্রমর সোম থেকে শুরু করে অন্যান্য শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা। এদিন মিছিলটি উদয়পুর শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে । এই মিছিল থেকে যুব মোর্চার কর্মীরা স্লোগান তোলে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে জেতানোর লক্ষ্যে ভোটারদের কাছে স্লোগানের মধ্যে দিয়ে এদিন ভোট প্রচারে নামে । মিছিলকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশের ছিল ব্যাপক হাড়ে।এদিনের মিছিল কে কেন্দ্র করে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী থেকে শুরু করে মন্ডলের বিভিন্ন নেতৃত্বদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৪ মার্চ।। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা দিয়ে সারা দেশে বেশ এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। দিশেহারা বিরোধী শিবির। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব প্রতিটি বিধানসভায় সাংগঠনিক বৈঠক করে রণকৌশল স্থির করে দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিশালগড় এবং গোলাঘাটিতে সাংগঠনিক বৈঠক করেন বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গোলাঘাটি মন্ডলে। গোলাঘাটি কমিউনিটি হলে আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় বিজেপির পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিজেপির প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমি দাস, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব দলের কার্যকর্তাদের পরামর্শ দেন সকল ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রণাম সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলো সাধারণ মানুষের কাছে অতি সহজে পৌঁছে গিয়েছে। বিগত সরকারের অন্যায় অত্যাচারের কথা সকল ভোটারদের কাছে বলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দিতে সকলের প্রতি আহবান জানাতে হবে।
দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় বিশালগড়ে। বিশালগড় টাউন হলে আয়োজিত কার্যকর্তা বৈঠকে প্রার্থী বিপ্লব দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত দেব, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ প্রমুখ। ভাষণে বিপ্লব দেব বলেন ২০১৮ সালে সামান্য ভুলের কারণে বিশালগড়ে বিজেপি জয়ী হতে পারেনি। তৎকালীন প্রদেশ সভাপতি হিসাবে নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে প্রার্থীকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কিন্তু ২০২৩ সালে পরিবর্তন করে দেখিয়েছে কার্যকর্তারা। এবার লোকসভা নির্বাচনে আরও মানুষের সমর্থন পাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন বিগত বামফ্রন্ট সরকার যুব শ্রমিক মহিলা কৃষক বয়স্কদের জন্য একটি প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেনি। কিন্তু বিজেপি মহিলাদের চাকরি ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছে। পার্লামেন্টে সংরক্ষণ দিয়েছে। চার লাখ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং রোজগার করছে। বয়স্কদের ভাতা দুই হাজার টাকা করেছে। কৃষকদের উৎপাদিত ধান ক্রয় করছে সরকার। কৃষাণ সম্মান নিধি পাচ্ছে কৃষকরা। কর্মচারীদের চতুর্থ কমিশনে আটকে রেখেছিল সিপিএম। বিজেপি সপ্তম পে স্কেল দিয়েছে। ২৫ শতাংশ ডিএ পেয়েছে। যুবকদের বিকল্প রোজগারের দিশা দেখাচ্ছে সরকার। পানীয় জল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর ইত্যাদি প্রকল্প সকল পরিবারে পৌঁছে যাচ্ছে। পঁচিশ বছরে মানুষকে পানীয় জল দিতে পারেনি। মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে পারেনি সিপিএম। শুধু বিভাজনের রাজনীতি, চাঁদা সংস্কৃতি, সন্ত্রাস ইত্যাদি অনৈতিক কাজ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অত্যাচার করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। এগুলো মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন কার্যকর্তাদের। তিনি বলেন এবার সারা দেশে নয়া রেকর্ড তৈরি হবে। আরও বেশি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি। ত্রিপুরায় দু’টি আসনে বিরোধীদের জামানত জব্দ হবে। সভা শেষে বিরোধী দলের বিশাল সংখ্যক সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। নবাগতদের বরণ করেন বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সর্বত্রই যোগদান কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে।পাবিয়াছড়া বিধানসভার ৩২ নং বুথের ভরত দেববর্মা পাড়াতে আজ ১৯ পরিবারের ৬০ জন ভোটার এবং ৫২ নং বুথের অন্তর্গত রামগুনা পাড়া এলাকায় ৪০ পরিবারের ১৫৫ জন ভোটার বিভিন্ন দল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি : রাজ্যসরকার লোকজনদে স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্যরেখে নানান প্রকল্প নিয়ে আসছে। রাজ্যসরকারের এই প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে বিগতদিনে দক্ষিন জেলার জেলশাসক সাজু ওয়াহিদ এ ও শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক শান্তুনু দাসের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দক্ষিন জেলার জেলা হাসপাতালে জেনারিক আধার মেডিস কাউন্টার স্থাপন করাহয়। জেলা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসক থাকারফলে দক্ষিন জেলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে লোকজনেরা চিকিৎসা পরিষেবার জন্য শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে ছুটে আসে। মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া উনার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা সম্পর্কে কিছু বক্তব্য জনসন্মুখে তুলেধরেন। মন্ত্রী জানান বিগতকিছুদিন পূর্বে উনার মা অসুস্থ ছিলেন। উনার মাকে চিকিৎসার জন্য গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়েগেলে সেখানে ভর্তি রাখাহয়। পরবর্তীসময় শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা দেখে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া উনার মাকে চিকিৎসারজন্য শান্তির বাজার জেলাহাসপাতলে নিয়েআসে। এরমধ্যে শান্তির বাজার জেলা হাসাপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা উন্নয়নে লোকজনের স্বার্থে খোলাহলো জেনারিক আধার মেডিসিন কাউন্টার খোলাহয়। এই কাউন্টারে সল্পমূল্যে ঔষধ পাওয়াযাবে। যেসকল ঔষধ বাজারে ১০০ টাকা বিক্রিকরাহয় সেইসকল ঔষধ এই কাউন্টারে ৪০ টাকায় পাওয়াযাবে। এতেকরে সকল অংশের লোকজনেরা খোবই উপকৃত হবে। বুধবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এই কাউন্টারের শুভ সূচনা করেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। উদ্ভোধকের পাশাপাশি আজকের এই অনুষ্ঠান উপস্থিত শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, দক্ষিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত দাস, দক্ষিন জেলাপরিষদের সভাধিপতি কাকলী দাস দত্ত, সহ সভাধিপতি বিভিষন চন্দ্র দাস, শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালের এম এস জে এস রিয়াং, শান্তির বাজার পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান সপ্ন বৈদ্য, ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা সহ অন্যান্যরা। জেলা হাসপাতালে এই মেডিসিন কাউন্টার হোওয়াতে দক্ষিন জেলায় বসবাসকারী লোকজনদের মধ্যে আনন্দের বাতাবরন লক্ষ্যকরাযায়।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৩ মার্চ।। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসম্পর্ক অভিযান চলছে বিজেপির। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের লাভার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে । বিজেপির প্রদেশ জেলা এবং মন্ডল স্তরের সকল কার্যকর্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। বুধবার গোলাঘাটি বিধানসভার দয়ারামপাড়া এডিসি ভিলেজ এলাকায় লাভার্থী সম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। অভিযানে অংশ নেন প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দেববর্মা, সম্পাদক নিতাই শীল, মন্ডল সহসভাপতি নারায়ণ দেবনাথ প্রমুখ। দয়ারামপাড়া এডিসি ভিলেজ এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনজাতি পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি। তিনি জানান ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের জন্য অনেক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বিগত বাম সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে দলবাজি সজন পোষন করেছে। এ রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি বামফ্রন্ট। ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের গৃহীত প্রকল্প গুলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এমন কোন পরিবার নেই যারা বিগত ছয় বছরে কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পায়নি। সবকা সাথ সাবকা বিকাশ নীতিতে প্রতিটি পরিবারে কোন না কোন প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ সরকারের কাজে খুশি। জনজাতিরাও আবার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন । তিনি বলেন এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। জাতি জনজাতি সবাই মিলে শান্তি উন্নতির জন্য হাতে হাত ধরে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার সংকল্প বাস্তবায়ন হবে।
জোলাইবাড়ী বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের নব নির্মিত ভবনের শুভ দ্বারোদঘাটন করলেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি: শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রে শিক্ষার মানউন্নয়নে রাজ্যসরকারের আর্থিক সহযোগীতায় প্রায় ৩২ লক্ষটাকা ব্যায়করে বিদ্যালয় পরিদর্শকের নতুন ভবনের নির্মানকরাহয়। সোমবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নবনির্মিত ভবনের শুভ দ্বারদঘাটন করলেন জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। মন্ত্রীর পাশাপাশি আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতছিলেন দক্ষিন জেলার শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিক সুবির মজুমদার, জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রবি নমঃ, ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, জোলাইবাড়ী ব্লকের বি এস সি চেয়ারম্যান অশোক মগ, শান্তির বাজার বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রনব সরকার, জোলাইবাড়ী বিদ্যালয় পরিদর্শক বিকাশ দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতেগিয়ে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া জানান জোলাইবাড়ী বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের অধীনে ৬৪ টি বিদ্যালয় রয়েছে। সকল স্কুলের বিভিন্ন কাজকর্মগুলি এই অফিস থেকে নিয়ন্ত্রনহবে। এই অফিসে নতুনভবন নির্মান হোওয়াতে সকলে বিশেষ উপকৃত হবেন। মন্ত্রী উনার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে রাজ্যসরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে ও গুনগত শিক্ষার জন্য কি কি কাজ করছেন তার বিস্তরিত তথ্য সকলের সামনে তুলেধরেন। জোলাইবাড়ী বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে নতুনভবন উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরাযায়।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি ৩নং বামুটিয়া মন্ডল কমিটির উদ্যোগে এক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয় সোমবার। গান্ধীগ্রামে বৈদ্যনাথ অডিটরিয়ামে এই সাংগঠনিক সভাতে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিপ্লব কুমার দেব পশ্চিম আসনের প্রার্থী হয়ে রাজ্যে আসার পর বিভিন্ন মন্ডলে একের পর এক সভা সংগঠিত করছেন। সোমবার পাকুটিয়া বিধানসভাতে প্রার্থী হওয়ার পর প্রথম সভা করলেন বিপ্লব কুমার দেব। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে শাসক দল বিজেপি তাঁর শাখা সংগঠন এবং মাদার সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়মিত করছে। সোমবার গান্ধীগ্রামের এই সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এদিনে এই সভাতে মন্ডলের সমস্ত কার্যকর্তা এবং নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। মূলত বামুটিয়া বিধানসভা এলাকাতে লোকসভা নির্বাচনের বিভিন্ন রনকৌশল এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি বিজু পাল, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।