প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৩ জুন।। লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা পর্ব সম্পন্ন করতে প্রস্তুত সিপাহীজলা জেলা প্রশাসন। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মোতাবেক যাবতীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সোমবার বিশ্রামগঞ্জ স্থিত সিপাহীজলা জেলাশাসকের কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন জেলাশাসক তথা জেলার ডি ই ও নাগেশ কুমার বি। সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক জয়ন্ত দে এবং নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেশ চৌধুরী। ত্রি _স্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে মোড়া থাকবে জেলার তিনটি গননা কেন্দ্র। সিপাহীজলা জেলার তিনটি স্থানে যথাক্রমে জম্পুইজলা মহকুমা শাসক অফিস, বিশালগড় মহকুমা শাসক অফিস এবং সোনামুড়া বালিকা বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হবে লোকসভা নির্বাচনের গণনা। সিপাহীজলা জেলায় নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য পাঁচ জন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত রয়েছেন। পাঁচজন অবজারভার হলেন ভূপেশ চৌধুরী, দেবযানী ভট্টাচার্য, সুনীল দত্ত, রাকেশ রজৌরিয়া এবং মহেন্দ্র কুমার। থাকবে মাইক্রো অবজারভার কাউন্টিং অবজারভার। থাকবে কাউন্টিং সুপারভাইজার, কাউন্টিং এজেন্ট সহ নিরাপত্তা কর্মী। সিপাহীজলা জেলায় সর্বমোট ভোটার ছিল চার লক্ষ ৭ হাজার ৬৫৫ জন। ভোট পড়েছে তিন লক্ষ ৪০ হাজার ১৬৮ টি। ভোটের পার্সেন্টেজ ছিল ৮৩.৪৫ শতাংশ। নলছড়ে সিপাহীজলা জেলায় সর্বাধিক ৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে কম ৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে টাকারজলা বিধানসভা কেন্দ্রে। গননা পরবর্তী সময়ে জেলার সকল নাগরিকের প্রতি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহবান জানান জেলা শাসক। তিনি বলেন সোমবার সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে ৫ জুন সকাল ৬ টা পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। গননা কেন্দ্রে পুলিশ টিএসআর এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কাউন্টিং এজেন্টদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কমিশনের গাইডলাইন বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। সর্বত্র শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে সবগুলি থানার ওসি কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ত্রিপুরা
লোকসভা নির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন এ আরও অভেদানন্দ বৈদ্য।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পূর্ব এবং পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের জোলাই বাড়ি এবং শান্তির বাজার দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে শান্তির বাজার মহকুমা শাসক কার্যালয়ে। সকাল ৮ থেকে ভোট গণনা পড়বো শুরু হবে। জানা যায় পূর্ব ত্রিপুরা আসনে জোলাই বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৬০টি বুথ রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রে ৬৪ টি বুথ রয়েছে। গণনা কেন্দ্রে ১৪ টি টেবিলের মাধ্যমে গণনা শুরু হবে সকাল ৮ থেকে। প্রথমে বেলেট পেপারের গণনা শুরু হবে তারপরে ইভিএম। গণনা কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা।পাক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এআর ও অবেদানন্দ বৈদ্য জানান কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গণনা সম্পন্ন করা হবে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড গর্জি রুতাইছড়া এলাকায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , হঠাৎ করে আলোর ঝলকানি শুরু হয় বারান্দার মধ্যে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট এর আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় গোটা বসত ঘরে । চোখের সামনে বসতঘরের মালিক দুলু বাসি নোয়াতিয়ার ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় । আগুনের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয় ঘরের জিনিসপত্র । এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে খবর দেয় দমকল বাহিনীকে । ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন গিয়ে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সম্পূর্ণ বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায় । অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুড়ে ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৩ জুন।। বিশালগড় মহকুমা আইন সেবা কতৃপক্ষের উদ্যোগে নাগরিকদের আইনি বিষয়ে সচেতন করার কাজ জারি রয়েছে। প্রতিনিয়ত সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামে। সোমবার বিশালগড় মহকুমার কৈয়াঢেপা পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত আইনি সচেতনতা শিবিরে। বক্তব্য রাখেন আইনজীবী রাজীব প্রসাদ দাস। পরিবেশ সুরক্ষা আইন এবং বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। পরিবেশ রক্ষায় গৃহীত আইনি বিষয় তুলে ধরেন। বৃক্ষ নিধন সহ পরিবেশ দূষণ অপকর্মের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গুলো তুলে ধরেন। শিবিরে গ্রামের মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- আগামী ৪ঠা জুন গোটা দেশের সাথে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের গোমতী জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের গণনা অনুষ্ঠিত হবে উদয়পুর রমেশ স্কুলে । এই নিয়ে শনিবার বিকেল পাঁচটায় গোমতী জেলাশাসকের কনফারেন্স হলঘরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা ও গোমতী পুলিশ সুপার নমিত পাঠক। এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন , মহকুমা শাসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য , চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের আর ও সহ প্রমূখ। সাংবাদিক সম্মেলনে গোমতী জেলা শাসক বলেন , জুনের ৪ তারিখ সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা । এই গণনাকে কেন্দ্র করে উদয়পুর – সাব্রুম ও কাকড়াবন সড়কে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের তৈরি বেরিগেইট । এর ফলে জুনের ৩ তারিখ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ৫ তারিখ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে । গণনা কেন্দ্রের বাইরের ৩০০ মিটারের মধ্যে । সেই সাথে এই সকল রাস্তার মধ্যে যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে । সেজন্যে উদয়পুরের সাথে দক্ষিণ ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থা যাথে থমকে না যায় সেজন্যে আগরতলা থেকে বিলোনিয়া , শান্তির বাজার এবং সাব্রুম সড়কের যানবাহন টেপানিয়া , শালগড়া জামজুরি ও চন্দ্রপুর হয়ে যাতায়াত করবে । অপরদিকে অমরপুর থেকে আগরতলা যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহন গাড়ি গুলি ব্রম্মাবাড়ী হয়ে নিউটাউন রোড, জামতলা ও সুভাষ ব্রিজ হয়ে আগরতলায় যাওয়ার রোড ম্যাপ তৈরি করেছে ট্রাফিক দপ্তর । অপরদিকে কাকড়াবনের সাথে সঠিক রাখার জন্য ঐ সকল সড়কের যানবাহন গুলি মাতারবাড়ি রেলস্টেশন দিয়ে যাতায়াত করবে বলে জানান জেলা শাসক । এছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ভোট গণনার দিন তাদের জমায়েতের স্থান করা হয়েছে উদয়পুর জগন্নাথ চৌহমুনিতে। সেই সাথে শাসক দল বিজেপি জন্য সোনামুড়া চৌহমুনীতে । সব মিলিয়ে গণনার দিন কোন ধরনের যাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে গোমতী জেলা পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান সর্বাত্মকভাবে পুলিশ তৈরি থাকবে কোন ধরনের সংঘর্ষ যাতে না ঘটে গোমতী জেলায়। এমনটাই সাংবাদিক সম্মেলনে আশ্বস্ত করেন গোমতি জেলা পুলিশ সুপার ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। বাবার বকুনিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র। ঘটনাটি ঘটে চড়িলাম কালীটিলা এলাকায়। আত্মঘাতী ছাত্রের নাম অমিত রায় । চলতি বছরের চড়িলাম অটল বিহারি বাজপেয়ী হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় অমিত। মোট নম্বরে পাশ করলেও একটি বিষয়ে মাত্র এক নম্বরের জন্য ব্যাক আসে। ইতিমধ্যে বছর বাঁচাও প্রকল্পে উক্ত বিষয়ে পরিক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। গত সোমবার পরিক্ষার খারাপ ফলাফল নিয়ে কথা বলেন অমিতের বাবা জীবন রায়। সহপাঠীদের রেজাল্টের সঙ্গে ছেলের রেজাল্টের তুলনা করে রেজাল্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অমিতের বাবা। আর এতেই অভিমান করে ফসলের জমির আগাছা ধ্বংস করার রাসায়নিক খেয়ে নেয় অমিত। বিষয়টি নজরে আসতেই অমিতকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় হাঁপানিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । পাঁচ দিন জীবন মরনের লড়াই করেছে অমিত। অবশেষে শনিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অমিত। শনিবার বিকালে মৃতদেহ চড়িলামের বাড়িতে এলে পাড়াপড়শি আত্মীয়পরিজনরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা অমিতের মা বাবা। ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি: শান্তিরবাজার মহকুমা শাসকের অফিসের গণনাকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পুনিত আগরওয়াল৷ শুক্রবার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক, জেলা শাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, জেলা পুলিশ অধীক্ষক অশোক কুমার সিনহা ও শান্তিরবাজারের মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্যকে সঙ্গে নিয়ে মহকুমা শাসকের অফিসের গণণাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি। পরে মহকুমা শাসকের অফিসে দক্ষিন জেলার নির্বাচনী আধিকারিক, জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের সহকারী রিটার্নিং অফিসার, সাব্রুম, বিলোনিয়া ও শান্তিরবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলির আধিকারিক, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর, বিদ্যুৎ নিগম ও অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্র ও পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের লোকসভা ভোটের গননা হবে শান্তিরবাজারে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গত দুদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সারা রাজ্যের সাথে কৈলাসহরেও অবিরাম বৃষ্টিপাত অবাহত রয়েছে।বিশেষ করে ঊনকোটি জেলায় রেকর্ড বৃষ্টির ফলে মহকুমার অনেক অংশ প্লাবিত হয়েছে।তাই অনেক অঞ্চলের পরিবার কচি-কাচা বাচ্চা ও আবাল বৃদ্ধ বনিতারা আশ্রয় নিয়েছেন মহকুমার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।এরকমই গোবিন্দপুরের বাঁধ সংলগ্ন প্রায় ১৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে পাশের রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এমতাবস্থায় মহকুমা শাসকের অফিস থেকে অনুরোধ আসায় কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব সকল শরণার্থীদের জন্য আজ রকমারি বিভিন্ন আইটেম সহ দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন।২০১৮ সালের সেই ভয়াবহ বন্যার সময়ও কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবের ভূমিকা সর্বজনবিদীত।আর্ত মানুষের সেবায় দিবারাত্র নিয়োজিত ছিলেন সকল লায়ন সদস্য সদস্যরা।শুধু বন্যাই নয় কোরনা মহমারীর
সময়ও কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকা করোনা আক্রান্তদের পাশে রাত জেগে ওনাদের পরিষেবা দিয়েছে লায়ন্স ক্লাব।যা সারা ত্রিপুরাবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।এবারও পরিস্থিতির আভাস পেয়ে ক্লাব পুরোদমে প্রস্তুত ছিলো।তার মধ্যে প্রশাসন থেকে সংবাদ পাওয়া মাত্রই উনারা আজ ওই প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় গ্রহণকারী সকলকে মধ্যাহ্ন ভোজন করিয়েছেন এবং রাতের জন্যও অতিরিক্ত খাবার ও পানীয় জল দিয়ে এসেছেন।উক্ত সেবামূলক কর্মকান্ডে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নবকুমার জমাতিয়া ও ক্লাবের সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ।মুলত ক্লাবের মহিলা সদস্যারাই আজকের খাবার বানিয়েছেন ও পরিবেশন করেছেন।
আগামীতে এরকম পরিস্থিতিতে ক্লাব ওনাদের অন্যান্য স্বাভাবিক কাজকর্মের সাথে সাথে আপতকালীন পরিষেবা চালিয়ে যাবেন বলে ক্লাবের সভাপতি লায়ন সুপ্রিয় দেবরায় জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের এডমিশন ফি, ডোনেশন সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিয়েছে কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুল। বৃহস্পতিবার কাতলামারা স্থিত বিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি অনাথ ছেলেমেয়েদের সম্পূর্ণ বিনে পয়সায় হোস্টেলে রেখে পড়াশোনা করানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষ ক্ষেত্রফে
সিমনা বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত কাতলামারায় কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলে এই বছর থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কাঠিয়া বাবা চ্যেরিটেবল সোসাইটি পরিচালিত কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলে আর্টস এবং সাইন্স বিভাগে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন সোসাইটির সেক্রেটারি মান্না রায়। এই সাংবাদিক সম্মেলনে আরো জানানো হয় শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে কোন ধরনের ডোনেশন ফি নেওয়া হবে না। পাশাপাশি বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয় থেকে যদি কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় তাহলে ইংরেজির বিষয়ে তাকে বিশেষ কোচিং এর মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে । সাংবাদিক সম্মেলনে মান্না রায় আরো জানিয়েছেন যদি কোন অনাথ শিক্ষার্থী থাকে তাঁদেরকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বিনে পয়সায় এবং হোস্টেলে রেখে পড়াশোনা করানোর দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। পাশাপাশি এদিন রত্না দেববর্মা ঘোষণা করেন আগামী বছর থেকে এই বিদ্যালয়ে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন তিনি।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। সকাল থেকে ধর্মনগর এবং কদমতলা পথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে বলে পড়ে আছে বলে সংবাদ। বিদ্যুতের দাবিতে এলাকার ইছাইলালছড়া এলাকায় গ্রামবাসীরা রাস্তায় অবরোধ গড়ে তুলে। তাদের দাবি কদমতলা ব্রজেন্দ্র নগর প্রভৃতি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও চার দিন ধরে এই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বারে বারে বিদ্যুৎ দপ্তরের ফোন করা হলেও তারা আসছি দেখব এই বলে বলে কথা এড়িয়ে চলেছেন ।এদিকে বিদ্যুতের কারণে মানুষের প্রাণ উষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের জন্য জলের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। দিনের পর দিন পানীয় জল না পেয়ে এলাকাবাসীদের জীবন অসহনীয় হয়ে পড়েছে। নোংরা নদী নালা জল খেয়ে এদের জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। নিজের বাচ্চাদের বিশেষ করে ছোটদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আজ গ্রামবাসীরা সকাল থেকে রাস্তা অবরোধে নেমে পড়ে। এলাকায় এই খবর সম্প্রচারিত হতে আরক্ষ্য দপ্তরের কর্মীরা এলাকায় ভিড় জমায় এবং বিদ্যুৎ নিগমের কন্টাকটারের লোকেরা এসে এদেরকে অর্থাৎ অবরোধকারী প্রায় আটশ হাজার গ্রামবাসীদের রাস্তা অবরোধ থেকে প্রতিহত ব্যবস্থা নিতে বলে। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি হচ্ছে যতক্ষণ না মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এসে বিদ্যুৎ দিবে বলে আশ্বাস না দেন ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলবে। এদিকে রাস্তার দু’ ধরে হাজার হাজার যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়েছে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে পিছিয়ে পড়ছে এই রাস্তা অবরোধের কারণে। জানা গেছে পাঁচ ঘন্টা অবরোধের পর কদমতলার থানার ওসির আশ্বাসে অবরোধ মুক্ত হয় ।