- প্রতিনিধি , উদয়পুর : দূর্গা পূজার মধ্যেও উদয়পুরে চুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না । রাতের অন্ধকারে উদয়পুর রমেশ চৌহমুনি এলাকার মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে দুঃসাহসিক চুরি । জানা যায় , মঙ্গলবার সকালে দোকান মালিক আকাশ দত্ত দোকান খুলতে এসে দেখে দরজা ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে । এই ঘটনা দেখতে পেয়ে আশপাশের বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদেরকে বিষয়টি জানানোর পর সাথে সাথেই রাধাকিশোরপুর থানায় চুরির ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয় । থানার পুলিশ চুরির ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় রমেশ চৌহমুনী তে । দেখতে পায় দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার মধ্যে একটি ছেলে দোকানের ভেতর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মোবাইল চুরি করে যাচ্ছে। দোকান মালিক জানান , প্রায় ১২ টি মোবাইল চুরি করা হয়েছে যার বাজার মূল্য আশি হাজার টাকার উপর । একের পর এক চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন উদয়পুরবাসী । এখন দেখার পুলিশ চোরকে ধরতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে ?
অপরাধ
প্রতিনিধি, উদয়পুর : উদয়পুরের বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে নেশার রমরমা ব্যবসা। দুর্গাপূজার প্রাক মুহূর্তে নেশার ব্যবসা গুঁড়িয়ে দিতে এবার গোমতী জেলার পুলিশ সুপার ময়দানে অবতীর্ণ। পুলিশের সূত্রে জানা যায় , সোমবার বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার সমস্ত ধরনের নেশা কারবারে যেন নেশার ব্যবসা গুড়িয়ে দিতে হবে। জেলা পুলিশ সুপারের এই নির্দেশক্রমে এদিন সন্ধারাতে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দাতারাম বাজার পাড়া এলাকায় সঞ্জিত চন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিলেতি মদ উদ্ধার করে । পুলিশের উপস্থিতি আঁচ পেয়ে মদ বিক্রেতা সঞ্জিত বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও সমস্ত মদ নিয়ে আসে রাধা কিশোরপুর মহিলা থানায় । পুলিশ জানায় এই ধরনের নেশা বিরোধী অভিযান গোটা উদয়পুর মহকুমা জুড়ে জারি থাকবে প্রতিদিন । তার কারণ পুজোর মুখে কোন ধরনের ঝামেলা যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রয়েছে পুলিশের । এদিন পুলিশ আধিকারিক নির্মাণ দাস জানান , বিলিতি মদের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার টাকার উপর । সব মিলিয়ে পুলিশের এই ধরনের অভিযান প্রশংসার যোগ্য মনে করছে শিক্ষিত মহল ।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৫ অক্টোবর:- আবারো আমবাসা উপনগর নাকার বড় সাফল্য। ইয়াবা ট্যাবলেট সহ চার পাচারকারীকে আটক করে উপনগর নাকা পয়েন্টে থাকা এসপিও ,পুলিশ কর্মীরা। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, শনিবার সকালে আমবাসা- আগরতলা জাতীয় সড়কের উপনগর নাকা পয়েন্টে দুইটি স্কোরপিও গাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৫১ প্যাকেটে মোট ১ লক্ষ ২ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে উপনগর নাকা পয়েন্টে থাকা এসপিও এবং পুলিশ কর্মীরা। পাশাপাশি নেশা সামগ্রীর সাথে চালক সহ চার যুবককে আটক করে আমবাসা থানার পুলিশ। এই সময় টিআর ০১- বিসি- ০২০২ এবং টিআর ০১- কে-৪৪৪০ গাড়ি দুটি মনুর দিক থেকে আমবাসার উদ্দেশ্যে আসছিল। উদ্ধারকৃত নেশা সামগ্রী গুলির বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা হবে বলে জানান আমবাসা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিরুপম দত্ত। ধৃত চার যুবকের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা গ্রহণ করে আমবাসা থানার পুলিশ। দুর্গোৎসবের প্রাক মুহূর্তে পুলিশের এই সাফল্যে খুশি আমবাসা সহ গোটা জেলার সাধারণ মানুষ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।গোপন খবরের ভিত্তিত্বে শুক্রবার দুপুরে এক অভিযানে উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর মহকুমার অন্তর্গত সরসপুর জিপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের এক পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ চেরা কাঠ বাজেয়াপ্ত করে ত্রিপুরা প্রশাসন।এতে প্রায় আড়াই’শ সিএফটি চেরা কাঠ জব্দ হয়।পরে কাঠগুলো নিয়ে যাওয়া হয় বিভাগীয় কার্যালয়ে।তবে উক্ত অভিযানে কাউকে ধরপাকড়ের কোন খবর পাওয়া যায়নি।এদিনের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ধর্মনগরের এসডিএফও অশোক কুমার।এতে বন বিভাগের কর্মী সহ পুলিশ কর্মীরা সঙ্গে ছিলেন।এ মর্মে এসডিএফও অশোক বাবু স্থানীয় নাগরিকের কাছে অনুরোধ করেন যে যারা অবৈধ কাঠ পাচারের সাথে জড়িত তাদের বিষয়ে তথ্য দিলে বিভাগীয় পক্ষে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এতে তথ্য দাতাদের নাম পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে
প্রতিনিধি, উদয়পুর : উদয়পুর শহর ও তার গ্রামীণ এলাকায় বেড়ে চলেছে নেশার রমরমা বাণিজ্য । এর ফলে সর্বসান্ত হচ্ছে যুবসমাজ । সবকিছু জেনেশুনেও নীরব দর্শকের মত তার ভূমিকা পালন করছে রাধা কিশোরপুর থানার ওসি বাবুল দাস । পুলিশ সূত্রে জানা যায় , থানার ওসি দু -একদিনের জন্য ছুটিতে গিয়েছে । এর মধ্যেই থানার সেকেন্ড ওসি নেশা বিরোধী অভিযানে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে । এবার গোপন খবরের ভিত্তিতে থানার সেকেন্ড ওসি সমর দাস সোমবার রাত থেকে নেশা বিরোধী অভিযান চালানো শুরু করেছে। কখনো ফুলকুমারী এলাকার বাসিন্দা রাজীব দে বাড়ি থেকে বিলিতি মদ উদ্ধার করেছে । অন্যদিকে পাঁচজন ড্রাগসের নেশা কারবারিকে সোনামুড়া চৌমুহনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে থানায় । রাতভর হয় নেশা বিরোধী অভিযান । যেভাবে রাধা কিশোরপুর থানার পুলিশ নেশা বিরোধী অভিযান শুরু করেছে থানার সেকেন্ড ওসি সমর দাসের নেতৃত্বে । তাতে করে স্বস্তি নেমেছে উদয়পুর বাসীদের মধ্যে ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- গোপন খবরের ভিত্তিতে আগে থেকেই উৎপেতে বসে অবৈধ গাঁজা এবং এসকফ সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে নারায়ণপুর এলাকা থেকে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল। পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল এই এলাকাতে নেশা সামগ্রী সাপ্লাই করতে আসছে দুই যুবক। সেই মোতাবেক আগে থেকেই নারায়ণপুর এলাকায় অবস্থান করছিল এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১২ কিলো অবৈধ গাঁজা এবং ২০ বোতল এসকফ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। এই নেশাচক্রের পেছনে আরো কার কার নাম জড়িত রয়েছে সে বিষয়টিও খুঁজে বার করার কাজ শুরু করেছে তদন্তকারী পুলিশ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
শনিবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মাধবী দাস। তার তার ঘরে কিছুই নেই ,এমনকি মোবাইল পর্যন্ত নেই, নিয়ে গেছে চোরের দল। ঘটনায় জানা যায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মাধুরী দাস যাদের অন্যের উপরে জীবন যাপন সে একটা বাড়ি বানিয়েছে ধর্মনগর রেলগেট সংলগ্ন সিগন্যাল বস্তিতে। গতকাল তার ঘরে চোরের দল হানা দিয়েছে এ খবর পেয়ে সে আগরতলা থেকে ট্রেনে দুইটা নাগাদ ধর্মনগর আসে। এসে সরাসরি তার ঘরে একজনকে নিয়ে প্রবেশ করে এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। কয়েকদিনের জন্য মাধুরী আগরতলা গিয়েছিল কিন্তু খবর আসে তার ঘরে চোরের দল হানা দিয়েছে। তার ঘরে যা যা রয়েছে সর্বস্ব তোলপাড় করে এমনকি মোবাইল অলংকার সর্বস্ব নিয়ে গেছে চোরের দল। শনিবার সে এসে ধর্মনগর থানায় একটি ডায়েরি করে এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তার কথায় তাদের জীবন হচ্ছে মানুষের করুণার উপর নির্ভরশীল এই করুণার ওপর নির্ভরশীল জীবনে যদি কেউ চুরি করে সর্বস্ব নিয়ে যায় তার আর সারা জীবনের কিছুই থাকে না। একই রাতে চোরের দল হানা দেয় কলেজ রোড শুভদীপ নাথের দোকানে। সেখানে টিন কেটে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে মূলত নগদ টাকা তার কাছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো ছিল সেই টাকা নিয়ে পালায়। সে ধর্মনগর থানায় সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়েছে এবং ধর্মনগর থানা থেকে একদল পুলিশ সম্পূর্ণ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। একের পর এক ধর্মনগরের চুরি হচ্ছে আর পুলিশ বাবুরা পর্যবেক্ষণ করে দায় সারা কাজ করছেন বলে অভিযোগ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে আগরতলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বহিঃরাজ্যে পাচারের সময় অসম চুরাইবাড়ি ওয়াচপোস্টের পুলিশের হাতে আটক গাঁজা সহ চালক। যদিও আগরতলা থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত এতগুলো থানায় তল্লাশি করা হলেও গাঁজা আটক করতে সক্ষম হয় নি ত্রিপুরার রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশ। নামকাওয়াস্তে তল্লাশি করে নিজেদের দায়িত্ব খালাস করছে পুলিশ।
অপরদিকে অসম পুলিশের ধারাবাহিক সফলতায় বারবার ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে ত্রিপুরা পুলিশের। ত্রিপুরা পুলিশ যেখানে তল্লাশি করেও গাঁজা আটক করতে পারেনি সেখানে অসম পুলিশের নিকট আগে থেকেই গোপন খবর পৌঁছে যায়।আজ শনিবার একইভাবে আগরতলা থেকে HP17E-9474 নম্বরের একটি বারো চাকার ট্রাক গাড়ি বিহারের গাজীপুর যাওয়ার উদ্দেশে ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে অসম চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টের নাকা গেটে আসে। অপরদিকে, ইনচার্জ প্রনব মিলি দলবল নিয়ে আগে থেকেই ওৎ পেতে বসে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ গাড়িটি আসতেই সেটি আটক করে তল্লাশি চালিয়ে খালি বস্তার মাঝে থাকা গোপন কেবিন থেকে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা গুলো জব্দ করা হয়।ছোট বড়ো বিরানব্বই পেকেটে মোট আটশো ছয় কেজি শুকনো গাঁজা জব্দ করা হয়।যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানান ইনচার্জ মিলি।
এদিকে গাড়ির চালক অমিত কুমারকে(পিতা পিয়ারী লাল) আটক করা হয়েছে।তার বাড়ি হিমাচল প্রদেশের মাজরা থানার পদ্দুনী গ্ৰামে।সে জানায়, তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে সে গাঁজা গুলো বিহার নিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করেছে এবং আগামীকাল করিমগঞ্জ সিজেএম আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরা থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা বহিরাজ্যে পাচার হচ্ছে। রেল পথের সাথে পাল্লা দিয়ে সড়ক পথে শুকনো গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। ইদানিং কালে পুরুষদের সঙ্গে মহিলারাও পাচার বাণিজ্যে হাত পাঁকা করছে। একদিকে যেমন নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার শ্লোগান কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নেশা কারবারিরা তাদের পাচার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে – অন্যদিকে রাজ্য পুলিশও হাত গুটিয়ে বসে নেই। প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিভিন্ন থানায় প্রতিদিন – গাঁজা সহ বিভিন্ন নেশা সামগ্রী আটক তারই প্রমাণ। আমবাসা থানা এলাকায় জাতিয় সড়কে দুটি নাকা পয়েন্ট রয়েছে। একটি বেত বাগান এলাকায়, অন্যটি উপনগর এলাকায়। আগরতলা থেকে আমবাসা হয়ে বহিরাজ্যে আসা যাওয়ার সময় উপনগর এবং বেত বাগান এলাকায় ছোট বড় সমস্ত গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। মঙ্গলবার দুই নাকা পয়েন্ট এ কর্মরত থাকা পুলিশ এবং এসপিও দের যৌথ অভিযানে ফের আট লক্ষাধিক টাকার শুকনো গাঁজা সহ চালককে আটক করে। শুধু তাই না বর্তমানে নেশা কারবারিরা আগরতলা গন্ডাছড়া ভায়া আমবাসা সড়ক নেশা সামগ্রী পাচারের উদ্দেশ্যে বেঁছে নিয়েছে। গত শনিবার গন্ডাছড়া আমবাসা সড়কের হরিণছড়া এলাকায় ১৬ লক্ষাধিক টাকার গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার আমবাসা উপনগর নাকা পয়েন্টে আট লক্ষাধিক টাকার গাঁজা উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন গণ্ডাছড়া হয়ে বহিরাজ্যের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে আমবাসায় জাতীয় সড়ক উপনগর নাঁকা পয়েন্টে ধরা পরে গাঁজা বোঝাই একটি বিলাসবহুল গাড়ি। ডবলু বি, ০২ এ এইচ, ৩১৭২ নম্বরের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নাকা পয়েন্ট এর পুলিশ কর্মীরা শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে, সঙ্গে গাড়ির চালক বিজন দাস(২৩)কে আটক করা হয়। তার বাড়ি উদয়পুর। জানা যায় উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজার মূল্য আট লক্ষাধিক টাকা। ধৃত চালক বিজন দাসকে বুধবার আমবাসা থানার পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
খোয়াই জেলা আদালত থেকে পালালো বিচারাধীন বন্দি! যদিও পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ
এন ডি পি এস কেইসের আসামি চিরঞ্জিত দেব, পিতা চন্দন দেব বাড়ি তেলিয়ামুড়া গমাইবাড়ি এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক দুটো নাগাদ অভিযুক্ত চিরঞ্জিত দেব কে খোয়াই জেলা আদালতে হাজির করা হয়। সেই সময় ঝড়-বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে একটি অটো রিক্সা করে পালিয়ে য়েতে সক্ষম হয় সে। পরক্ষণেই খবরটি চাউর হওয়ার পর হইচই পড়ে যায় আদালত চত্বরে । বেড়ে যায় পুলিশি তৎপরতা , নানান জায়গায় শুরু হয় আসামির তল্লাশি । তবে প্রশ্ন হল এন ডি পি এস মামলায় ধৃত আসামিকে কি করে দায়সারা ভাবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার না করে তাকে আদালতে তোলা হয়। খোয়াই জেলা আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতি তা মোটেও কাম্য নয়। কি করে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এ ধরনের গাফিলতি হলো এবং কারা কারা এর পেছনে যুক্ত রয়েছে তা অবিলম্বে তদন্ত করুক-রাজ্য আরক্ষা দপ্তর । তাছাড়া আগামী দিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এহেন গাফিলতি যদি ঘটে তবে যেকোনো বড় ধরনের মামলার আসামি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে ! আদালত চত্বরে সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করুক খোয়াই জেলা প্রশাসন । পরবর্তী সময়ে পুলিশের সূত্র মারফত তেলিয়ামুড়া এলাকা থেকে আসামি চিরঞ্জিত দেবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ । তবে জেলা আদালতের মতো এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার এহেনও গাফিলতি তা সত্যিই বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করায়।