প্রতিনিধি মোহনপুর:- দীর্ঘ এক বছর পর নেশা কারবারের সাথে জড়িত এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে লেফুঙ্গা থানার পুলিশ। অভিযুক্তের নাম আনোয়ার হোসেন। তাঁর বাড়ি সোনামুড়ায়। বামুটিয়া ডাউনটাউন রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
প্রায় এক বছর আগে বামুটিয়ার রাঙ্গুটিয়া গ্রামের রতন দেবের বাড়িতে অবৈধ নেশা সামগ্রী মজুদ রাখার বিষয়ে অভিযান করেছিল পুলিশ। সেই সময় অবৈধ নেশা সামগ্রী উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল লেফুঙ্গা থানার পুলিশ। এই ঘটনার সাথে জড়িত আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ এক বছর যাবত পলাতক ছিল বলে জানান লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস। তিনি আরো জানান বুধবার অভিযুক্ত বামুটিয়ার ডাউনটাউন রেস্টুরেন্টে অবস্থান করছিল। গোপন খবর ভিত্তিতে পুলিশের কাছে এই খবর পৌঁছায়। সঙ্গে সঙ্গে ডাউনটাউন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানে রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি সহদেব দাস।
অপরাধ
১০ তারিখের ডাকাতির ঘটনায় ধর্মনগর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করল নিজামুদ্দিন কে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। অবশেষে ধর্মনগর থানার পুলিশ ওসি হিমাদ্রি সরকারের নেতৃত্বে গ্রেপ্তার করল গত ১০ মে ভাগ্য পড়ে যে ডাকাতি হয়েছিল তার মূল পান্ডাকে। যাকে সন্দেহজনক ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই চোর নিজামুদ্দিন এবং তার বাবা ইউনুস মিয়া বাড়ি ভাগ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ধর্মনগর থানাধীন। এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পাওয়া গেলেও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ গোপন রেখেছে এবং অতিসত্বর ডাকাতির ঘটনার সুরাহা হবে বলে ধর্মনগর থানার বড়বাবু অর্থাৎ ওসি জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৫ মে।। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে কয়েদি পলায়ন কান্ডে দুই কারারক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন মফিজ মিঞা এবং তপন রূপিনি। বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সংশোধনাগারের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা নিখোঁজ হয়ে যায়। ডাকাতি খুন সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল সে। ছিলেন জঙ্গি দলের সদস্য। এর আগেও দুই বার কারাগার থেকে পালিয়েছিল স্বর্ণ কুমার। মঙ্গলবার রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যায় সে। এরপর রীতিমতো ভূমিকম্প সৃষ্টি হয় প্রশাসনিক স্তরে। জেলা পুলিশ সুপার সহ কারা দপ্তরের আধিকারিকরা ছুটে যান বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। বিশালগড় থানায় মামলা দায়ের করেন বিশালগড় মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী। পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০( বি) /২২১/২২৪/২২৫(এ)/১০৯/১৩০ ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে। তদন্তকারী অফিসার রাকেশ দেবনাথ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন। বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই কারারক্ষীকে। ধৃত মফিজ মিঞা এবং তপন রুপিনিকে আদালতে সোপর্দ করে তদন্তকারী অফিসার। উভয়কেই আগামী ২১ মে পর্যন্ত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। বিশালগড় থানার ওসি রানা চ্যাটার্জি জানান তদন্ত প্রক্রিয়ার পাশাপাশি পলাতক কয়েদি স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি: বুধবার শান্তির বাজার থানার ওসি সঞ্জীত লষ্করের উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার থানার অধীনে পৃথকভাবে গার্ধাং বাজার ও মনপাথর বাজারে জুয়া বিরোধী অভিযান চালায় । এই অভিযানে মনপাথর বাজারে রঞ্জীত মজুমদারের দোকানে অভিযান চালিয়ে জুয়াখেলার সামগ্রী নগদ অর্থ সহ একজনকে গ্রেপ্তার করাহয়। অপরদিকে গার্ধাং বাজারে অভিযানে জুয়াখেলার সামগ্রী নগদ অর্থ সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করাহয়। আজকের এই অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তিনজনের বিরুদ্ধে হাতে মামলানিলো শান্তির বাজার থানার পুলিশ। আজকের অভিযান সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন শান্তির বাজার থানার ওসি সঞ্জীত লষ্কর। তিনি জানান শান্তির বাজারকে নেশামুক্ত ও জুয়া মুক্ত রাখতে প্রতিনিয়ত এইধরনের অভিযান চলবে। বুধবার রাতে কাঁঠালিয়া বাজারে মেলাকে কেন্দ্রকরে জুয়ার আসরে অভিযান চালানো হবে বলে জানাযায়। সকলে আশাবাদী এই অভিযানেও বিশেষ সাফল্য অর্জন করবে শান্তির বাজার থানার পুলিশ। শান্তির বাজারের লোকজন চাইছে কাঁঠালিয়া মেলায় জুয়ার আসর যারা বসিয়েছে তাদের প্রতি প্রসাশন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনকরুক।
প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা কেলেঙ্কারিতে জড়ালেন সাব পোস্ট অফিসের এজেন্ট পুরবী নাথ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। পানিসাগর পশ্চিমাংশ যে সাব পোস্ট অফিস রয়েছে তাতে জড়ালেন জিডিএস এজেন্ট অর্থাৎ মানুষের কাছ থেকে সংগৃহীত এজেন্ট পূরবী নাথ। টাকায় কথা বলে একটা নিশ্চিত কথা প্রচলিত রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। পশ্চিম পানিসাগর সাব পোস্ট অফিসের এজেন্ট পুরবী নাথের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার জালিয়াতি হয়েছে বলে সাধারণ মানুষ অভিযোগ তুলে ধরেছেন। আগামী 15 মে সবার সব টাকার নিষ্পত্তি করে দেবেন বলে পূরবী নাথ জানিয়েছেন। ঘটনাটি ধরা পড়ে যখন পশ্চিম পানিসাগর সাব পোস্ট অফিসে টাকা জমা হয়েছে নাকি তা চেক করতে আসেন গ্রামের সাধারণ মানুষজন। পোস্ট অফিসের এক কর্মী জানালেন উনি আসার আগেই অফিসিয়াল সিল সবুদসহ অফিসিয়াল পাসবুকে ছবি রয়েছে কিন্তু যখন ডিভাইস খুলে দেখা গেল তখন দেখা গেল যে এই টাকা জমা পড়েনি। এক এক করে বিশাল আর্থিক কেলেঙ্কারী ধরা পড়ে এবং আগামী ১৫ মে এর মধ্যে পূরবী নাথ এই আর্থিক কেলেঙ্কারির টাকা কষ্ট করে যারা ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে জমা দিয়েছেন তাদেরকে ঘুরিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন। আপাতত এলাকার মানুষ পুলিশের সাহায্যে এই টাকা আদায় করা যায় নাকি তার জন্য সরকারি দপ্তরের উপর দায়ভার চাপিয়ে বসে আছেন। আগামী ১৫ মে এই টাকা হস্তান্তর না হলে বিভিন্ন কঠোর পক্ষে আমানতকারীরা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-এক মাসের ব্যবধানে উদয়পুর ধ্বজনগর গ্রামে দুইটি খুন। সোমবার রাত তিনটা নাগাদ নিজ স্বামীর ধারালো দায়ের কোপে মৃত্যু হল স্ত্রীর । মৃত গৃহবধূর নাম নমিতা দে , বয়স ৩৫ বছর । ঘটনা উদয়পুর ধ্বজনগর আর.এফ.টিলা গ্রামে । পরিবার থেকে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানায় , গত এক মাস ধরে স্বামী আশীষ দে ও গৃহবধূ নমিতা দে-র মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা চলে আসছিল । রবিবার দিনভর মন খারাপ করে অভিযুক্ত স্বামী আশীষ দে নিজ বাড়িতেই ছিল । আশীষের মা জানান , ছেলে মন খারাপের মাঝে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করেনি। কেন এই ধরনের খুনের ঘটনা সংগঠিত করেছে ছেলে ! তা বুঝে উঠতে পারছেনা মা থেকে শুরু করে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী । জানা যায় , দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর উপর সন্দেহ দানা বাদে স্বামীর । সূত্রের খবর , লোকের মুখে নানা কথা স্বামী শুনতে পায় তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকে এই ধরনের সমস্যা সৃষ্টি পরিবারের মধ্যে । একটা সময় বাক-বিতণ্ডা ব্যাপক আকার ধারণ করে। কিন্তু রবিবার রাতে অন্যান্য দিনের মতো রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের ছেলে মেয়ে দেরকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে নমিতা। একই ঘরে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে স্বামী আশীষ দে। কিন্তু রাত তিনটা নাগাদ ছেলেমেয়েদের অগোচরে ধারালো দায়ের কোপে নিজের স্ত্রীকে খুন করে অভিযুক্ত স্বামী আশিষ দে । গোটা বসত ঘর রাতে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে । পরবর্তী সময় আশীষ এই ঘটনা সংগঠিত করে তার ছোট ভাই বাসু দে-কে সোমবার ভোরের দিকে ডাকতে শুরু করে। এবং দা হাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে । তখন নিজের আপন ছোট ভাই বাসু দে এলাকা গ্রামবাসীদের ডাকাডাকি শুরু করার পর গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে ফেলে জনতা । এই ঘটনার খবর পেয়ে গোমতী জেলা পুলিশ সুপার নমিত পাঠক থেকে শুরু করে উদয়পুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ রাধাকিশোরপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যান । জানা যায় , মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ি দক্ষিণ জেলার পিআর বাড়ি এলাকায় । মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দুই ভাই ও ছোট বোন কান্নায় ভেঙে পড়ে । মায়ের ডাক শুনার জন্য চিৎকার শুরু করে ছেলেমেয়েরা । পরে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে রাধা কিশোরপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। অপরদিকে মৃত গৃহবধূর দেহটি পুলিশ উদ্ধার করে টেপানিয়া জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় ময়নাতদন্ত করার জন্য । বর্তমানে পুলিশ ফরেন্সিক টিমের সহযোগিতায় সমস্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করে । এই ঘটনার সাথে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কিনা ? তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ । সাত সকালে এই খুনের ঘটনা গোটা উদয়পুর মহকুমা জুড়ে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
স্বামীর দায়ের কোপে রক্তাক্ত স্ত্রী, ঘটনার বীভৎসতা দেখে শশুরের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হৃদরোগে।
খোয়াই ,প্রতিনিধি :সালিশী সভার মধ্যেই স্বামীর দায়ের কোপে রক্তাক্ত হলো স্ত্রী। ঘটনার বীভৎসতা দেখে ঘটনাস্থলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন শ্বশুর। ব্যাপক চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকেলে খোয়াই থানাধীন উত্তর দুর্গানগর গ্রামে। ঘটনার কিছু সময়ের মধ্যেই খোয়াই মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী অনুপ সেনকে(৩২) গ্রেফতার করেছে। আর অন্যদিকে দায়ের কোপে মারাত্মক জখম গৃহবধূ জয়া দাসকে(২০) খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় জিবিতে।
মাত্র বছর দেড়েক পূর্বে খোয়াই উত্তর দুর্গানগরের যুবক অনুপ সেনের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছিল আগরতলা পূর্ব থানার শানমুড়া এলাকার বাসিন্দা নিরুলাল দাসের মেয়ে জয়া দাসের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অনুপ তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতো পরকীয়া নিয়ে। ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার এই গৃহবধূটিকে তার শ্বশুর বাড়িতে মারধর করা হয়েছিল। আর এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকার মানুষজনদের নিয়ে সালিশি সভাও হয়। কিছুদিন ঠিকঠাক থাকার পর পুনরায় শুরু হতো স্ত্রীর উপর নির্মম অত্যাচার। গৃহবধূ জয়া দাস জানিয়েছে, ক্রমান্বয়ে তাকে মারধর করার ঘটনা নিয়ে সোমবার বিকেল তিনটায় উত্তর দুর্গানগর তার শ্বশুরবাড়িতে একটি সালিশি সভা হয়। এই সভায় গৃহবধূর পিতা নিরুলাল দাস, তার দুই মামা সহ এলাকার কাউন্সিলর এবং পাড়াপড়শিরা ছিলেন। সালিশি সভায় সিদ্ধান্ত হয় গৃহবধূ জয়া দাস কিছুদিনের জন্য বাপের বাড়ি চলে যাবে। স্বামী অনুপ সেনের মানসিকতা ঠিক হলে তখন সে আবার আসবে। সালিশি সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে গৃহবধূ জয়া দাস যখন বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে শাড়ি পরছিল ঠিক তখন পেছন থেকে অনুপ সেন একটি দা দিয়ে স্ত্রীর মাথায় কোপ বসিয়ে দেয়। ঘটনার পর রক্তাক্ত হয়ে গৃহবধূটির মাটিতে পড়ে গেলে তা দেখে মেয়ের বাবা নিরু লাল দাস মেয়ের শ্বশুর বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পর উভয়কে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দায়ের কোপে জখম গৃহবধূটির মাথায় ১০-১২ টি সেলাই লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে পাঠানো হয় জিবি হাসপাতালে। হাসপাতালে থাকাকালীন অবস্থায় জয়া দাস জানতে পারেনি তার বাবা নিরোলাল দাস হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। উল্লেখ্য গৃহবধূ জয়া দাসের পাঁচ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে উত্তর দুর্গানগর এলাকায় ব্যাপক শোকের র ছায়া নেমে আসে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-রাতের আঁধারে বাবুটিয়ার দক্ষিণ রাঙ্গুটিয়া গ্রামের রায়চান সরকারের জমির ফসল কেঁটে দেওয়ার সাথে জড়িত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে ইন্দ্রনগর স্থিত তাঁর নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বামুটিয়া ফাঁড়ির ওসি এন্থনি জমা দিয়া
শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ গাঙ্গুটিয়া গ্রামের রায়চান সরকারের উৎপাদিত ফসল গাছ কেঁটে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি এন্থনি দেববর্মা। ইতিপূর্বেও এলাকাতে এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু সঠিক কারো নামে অভিযোগ এবং সাক্ষী প্রমাণ না থাকার কারণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং প্রমাণ যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। অভিযুক্ত সবজি গাছ কেঁটে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর হেলমেট জমিতে ফেলে গেছে। এই হেলমেট এর মাধ্যমে অভিযুক্তকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে শনাক্ত করা একেবারে সহজ পদ্ধতি। স্থানীয়দের দাবি কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি করা দায়ে এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক পুলিশ।
লক্ষাধিক টাকার বিলিতি মদ সহ দুটি মিজোরাম যাওয়ার জন্য গাড়িসহ আটক করল ধর্মনগর থানার পুলিশ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। রাজ্য থেকে লক্ষাধিক টাকার বিলিতি মদ প্রতিদিন বেরিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছিল। আজ ধর্মনগর থানার পুলিশ দুটি স্পেশাল গাড়িকে আটক করলো যে গাড়িগুলিতে লক্ষাধিক টাকার বিলিতি মদ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। দুটি গাড়ি এমজেড 01y 53 24 এবং এম জেড জিরো সিক্স নাইন থ্রী নাইন ওয়ান প্রথমে গাড়ি দুটি বটরসি হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পরবর্তী সময় দিক পরিবর্তন করে বাগ বাসার দিকে যাওয়ার সময় রাজবাড়ীতে ধর্মনগর থানার পুলিশ এই গাড়ি দুটিকে আটক করে। গাড়ি দুটিতে লালরুকুমা সাইলু এবং লালমুকলিয়ানা নামে দুইজন চালক ছিল। বিলেতি মদগুলি ধর্মনগর সরকারি কাউন্টার থেকে কিনে মিজোরাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধর্মনগর থানার পুলিশ এই দুটি গাড়িসহ চালকদের ধর্মনগর থানায় ধরে নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে অভিরূপ শর্মা নামে এক ব্যক্তি এসে পুলিশের সাথে বিরতি মদ এবং গাড়িগুলি সম্পর্কে যোগাযোগ করে। ধর্মনগর থানার পুলিশ লক্ষ টাকার উপরে মদগুলিকে রেখে গাড়ি সহ চালককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য ব্যক্তিটি আইনের দিক দিয়ে বেশ পরিপক্ক এবং ট্যাক্স এর ব্যাপারে অন্যদেরকে ভালই জ্ঞান আছে তাই ওনার পরামর্শে ধর্মনগর থানার পুলিশ আসতে বাধ্য হয়।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১১ মে।। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুই নেশা কারবারি। একজনকে আটক করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। অপর বাইক আরোহী পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকালে জাতীয় সড়কের চড়িলামে। ব্রাউন সুগারের বাক্স বোঝাই করে বাইকে চেপে সোনামুড়া যাচ্ছিল দুই নেশা কারবারি। বিশালগড় বাইপাসে তাদের সিগনাল দেয় পুলিশ। কিন্তু দ্রুত গতিতে জাতীয় সড়ক ধরে পালানোর চেষ্টা করে তারা। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। চড়িলাম পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারা। একটি মালবাহী গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে জাতীয় সড়কে ছিটকে পড়েন দুই বাইক আরোহী। জাতীয় সড়কে ছড়িয়ে পড়ে ব্রাউন সুগারের বক্স। মূহুর্তের মধ্যে বিশালগড় এবং বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এর আগেই পালিয়ে যায় নেশা কারবারি আবু তাহের। তার বাড়ি সোনামুড়ার ধনপুরে। অপর নেশা কারবারি কবির উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কবির উদ্দিনকে বাড়ি যাত্রাপুর থানার বড়নারায়ন এলাকায়। মোট ৮১ টি ব্রাউন সুগার কৌটা ভরতি বক্স উদ্ধার করেছে পুলিশ। সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানান সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি। তিনি জানান উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগারের আনুমানিক বাজার মূল্য সোয়া কোটি টাকা। দুর্ঘটনার পর কিছু ব্রাউন সুগার স্থানীয় কয়েকজন সরিয়ে নিয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। পলাতক নেশা কারবারি আবু তাহেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান জারি রয়েছে। দুর্ঘটনায় মালবাহী গাড়ির চালক আহত হয়েছে। গাড়ি এবং নেশা পাচারে ব্যবহৃত টিআর ০৭ সি ৬৫৯৮ নম্বরের বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ।