- উদয়পুর প্রতিনিধি : রবিবার উদয়পুর রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ গোমতী ও উদয়পুর মহকুমার কমিটির উদ্যোগে দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভ সূচনা করেন উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএম এস এিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি দেবশ্রী কলই,TRKS এিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি পার্থ পাল, TRKS এিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস, অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার তপন মজুমদার প্রমূখ।
এই সম্মেলনের অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার তপন মজুমদার বলেন, ভারতীয় মজদুর সংঘ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন গুলোর মত নয় রাষ্ট্র এবং রাজ্যের কল্যাণই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য। তাই অতীত ভুলে গিয়ে নতুন সূর্যোদয়ের প্রত্যাশা নিয়ে সমস্ত কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ ও রাজ্যের জন্য কাজ করতে হবে। একই সাথে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার নিয়েও কথা বলতে হবে।
পরবর্তী পর্যায়ে ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ ২য় ত্রৈ বাষির্ক সম্মেলনের গোমতী জেলা ৪৫ জনের কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির মধ্যে সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দাস, সম্পাদক দেবব্রত লোধ, কোষাধক্ষ্য অশোক বর্ধন। একই সাথে উদয়পুর মহকুমা ৪৫ জনের কমিটি গঠিত হয়। সভাপতি ধ্রুব রঞ্জন ধর, সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দাস, কোষাধক্ষ্য রূপেশ লোধ ।
ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘের দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে লোক সমাগমের উপস্থিত ছিল বেশ লক্ষণীয়।
admin
আম্বেদকর প্রসঙ্গে অমিত শাহের বক্তব্য: প্রতিক্রিয়া জানালেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী
আগরতলা: সংসদে ভারতের সংবিধানের স্থপতি ড. বি.আর. আম্বেদকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জেরে ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন যে, “অমিত শাহ আম্বেদকরের আদর্শ এবং সংবিধান রক্ষার মূল চেতনার বিপরীতে কাজ করছেন। সংবিধানের যে সাম্য ও ন্যায়ের বার্তা আম্বেদকর দিয়েছিলেন, তা আজকের সরকার পদে পদে উপেক্ষা করছে।” তিনি আরও বলেন, “আম্বেদকরের নাম মুখে আনা সহজ, কিন্তু তার দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবে অনুসরণ করা কঠিন। বর্তমান শাসক দল আম্বেদকরের আদর্শকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।” চৌধুরী উল্লেখ করেন যে, সংবিধানকে রক্ষা করা এবং সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি রাজনীতিবিদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে সাম্প্রদায়িকতা এবং বিভাজনের যে রাজনীতি চলছে, তা আম্বেদকরের স্বপ্নের ভারতকে ধ্বংস করছে। বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের পর এই প্রসঙ্গে শাসক দল বিজেপির তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আম্বেদকর নিয়ে এই বিতর্ক আসন্ন রাজনৈতিক ময়দানে বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে।
মহারাজা বীর বিক্রম (এম.বি.বি) কলেজের এন.এস.এস ইউনিটের উদ্যোগে ৭ দিনব্যাপী বিশেষ শিবিরের শুভ সূচনা
মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে এন.এস.এস শিবিরের উদ্বোধন মহারাজা বীর বিক্রম (এম.বি.বি) কলেজের এন.এস.এস ইউনিটের উদ্যোগে ৭ দিনব্যাপী বিশেষ শিবিরের শুভ সূচনা হয় আজ। শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। এই শিবিরটি আগামী ৭ দিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র দীপক মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন, “এন.এস.এস স্বেচ্ছাসেবকরা সমাজের বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাদের এই সেবামূলক কার্যক্রম আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।” অনুষ্ঠানে চলতি বছরের আগস্ট মাসে রাজ্যে ঘটে যাওয়া বন্যা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ৬ জন এন.এস.এস স্বেচ্ছাসেবককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের মানবিক অবদানের জন্য মেয়র দীপক মজুমদার তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এন.এস.এস শিবিরের উদ্দেশ্য শুধু স্বেচ্ছাসেবী কাজ নয়, বরং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করা। শিবিরের প্রথম দিনে রক্তদান শিবির, পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। শিবিরটি আগামী ৭ দিন ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, বৃক্ষরোপণ, এবং অন্যান্য সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ, এন.এস.এস কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। স্থানীয়দের মতে, এই শিবিরটি শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়, বরং সমাজের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উদয়পুর প্রতিনিধি : ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের উদ্যোগে গোটা দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ মিছিল। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার উদয়পুর জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে শনিবার দুপুর ১ টায় জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয় উদয়পুর শহরে। মিছিলে কংগ্রেসকর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে গলায় বি আর আম্বেদকরের ছবি ঝুলিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়। একই সাথে দিন মিছিলে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীর হাতে থাকা ভারতের সংবিধানের ছবি যা স্থান পেয়েছে এদিনের মিছিলে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের নানা পথ পরিক্রমা করে দলীয় অফিসের সামনে এসে এক পথ সভায় মিলিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল বলেন, যেভাবে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে যে বক্তব্য এবং কটুক্তি করেছেন তা নিয়ে অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে । পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বলে এদিন দাবি তোলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। এই দিনের মিছিলে যুব কংগ্রেস থেকে শুরু করে ব্লক কংগ্রেস ও কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন জেলা কংগ্রেস সভাপতির সাথে ছিলেন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত দেবনাথ , ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলন কর সহ প্রমুখ। এদিনের কংগ্রেসের গোটা মিছিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ছিল মুখর ।
দ্রুতগতিতে বাইক চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক খাদে, চালকসহ বাইকে থাকা আরোহী গুরুতর আহত।
দ্রুতগতিতে বাইক চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক খাদে, চালকসহ বাইকে থাকা আরোহী গুরুতর আহত।
ঘটনার বিবরনে জানাজায় শান্তির বাজার মহকুমায় অন্তর্গত বীরচন্দ্র মনু সাপ্তাহিক বাজার আজ। এই সাপ্তাহিক বাজারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে ক্রেতা বিক্রেতা। জানা যায় রুপেশ ত্রিপুরা তৈইবান্দাল থেকে বীরচন্দ্র মনু সাপ্তাহিক বাজার আসে পরবর্তী সময়ে বাজার থেকে তৈই বান্দাল নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে বাইক চালক এবং আরোহী উভয় গুরুতর আহত হন বীরচন্দ্র মনু লাচিকেম সংলগ্নে ৮ নং জাতীয় সড়কের । জানাযায় এতে করে বাইক চালক রুপেশ ত্রিপুরার পা ভেঙ্গে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। পাশাপাশি বাইকে থাকা আরোহীও অল্প বিস্তার আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে যান মন পাথর থানার ওসি জয়ন্ত দাস , খবর দেন শান্তির বাজার অগ্নি নির্বাপক দপ্তরকে। অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে কর্মীরা ছুটে এসে আহত দুজনকে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিদ্যুৎ লাইন নামিয়ে নিগমের বেসরকারী সংস্থার কর্মী গিলে খেলো এক পরিবারের পনেরো হাজার টাকা।
বাঁশের খুঁটি আর লোহার পাইপ পুতে তার মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইন নামিয়ে নিগমের বেসরকারী সংস্থার কর্মী গিলে খেলো এক পরিবারের পনেরো হাজার টাকা। অবৈধভাবে মাঝ রাস্তায় মিটার বসিয়ে পুরো টাকা হাফিজ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট নিগম অফিসে কর্মরত বেসরকারী সংস্থার কর্মী তপন দাসের বিরুদ্ধে। দাবী উঠছে তদন্তের। বিদ্যুৎ লাইন নামাতে গিয়ে পাকা খুঁটির বদলে এখন গ্রাহকরা পাচ্ছেন বাঁশের খুটি এবং নলকূপে ব্যাবহৃত লোহার সরু পাইপ। হ্যা, এসবের উপর ভর করেই গ্রাহকদের বাড়ীতে এখন বিদ্যুতের পরিষেবা পৌছে দিচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। আর এরজন্য গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে পনেরো হাজার টাকা। এই ঘটনা বিদ্যুৎ নিগমের ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট অফিসের অধীন নিদেবী দুই নম্বর ওয়ার্ডে।
অভিযোগে জানাগেছে এলাকার বাসিন্দা অনিতা দাস তার বাড়ীতে নতুন বিদ্যুৎ লাইন নামানোর জন্য ছুটে যান নিগমের কুমারঘাট অফিসে। পরে অফিস থেকে তপন দাস নামের এক বেসরকারী সংস্থার কর্মীকে পাঠানো হয় তার বাড়ীতে জায়গা পরিদর্শনের জন্য। অনিতা দাস জানিয়েছেন, লাইন নামাতে গিয়ে অনেক ঝামেলার জুজু দেখিয়ে মহিলার কাছ থেকে সরকারীভাবে খুঁটি সমেত লাইন নামানোর কথা বলে পনেরো হাজার টাকা নেয় বিদ্যুৎ নিগমের অধীনে থাকা তপন দাস নামের ঐ বেসরকারী সংস্থার কর্মী। এরপরই ঐ মহিলার বাড়ীতে স্থায়ী খুঁটির বদলে নলকূপের পাইপ এবং বাঁশের খুটি পুতে বিদ্যুৎ নিগমের মিটার এবং সার্ভিস তার লাগিয়ে ন্যুনতম একশো মিটার লাইন টেনে দেয় তপন দাস সহ আরো এক কর্মী। আর লোহার পাইপ দিয়ে রাস্তার উপর লাইন এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যাতে যেকোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। মহিলা জানান, লাইন নামাতে গিয়ে মাঝ রাস্তায় মিটার বসিয়ে দিয়েছে সংস্থার কর্মীরা। এতে রিচার্জ করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। শুধু তাইনয়, পনেরো হাজার টাকা দেবার বিষয়টি কারো কাছে না জানিয়ে গ্রাহককে চেপে যাবার আবেদন করেছেন ঐ সংস্থার কর্মী। নিগমের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ জানান ঐ মহিলা গ্রাহক।সুত্রের খবর এই সার্ভিস কানেকশন বাবদ কোন তথ্য বা টাকা জমা পড়েনি কুমারঘাটের নিগম অফিসের সরকারী খাতায়। এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের দায় সারাতে কর্তৃপক্ষ দাবী করবে অফিস থেকে দেওয়া হয়নি এই বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন। প্রশ্ন হলো, তাহলে দপ্তরের অনুমতি ব্যাতিত নিগমের মিটার এবং তার কিভাবে লাগানো হলো পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে? অফিসের পদস্থদের সবুজ সংকেত ছাড়া কিভাবেই বা অফিসের স্টোর থেকে বের হলো নিগমের এতো এতো তার এবং মিটার?
যদিও এধরনের ঘটনা নিগমের একাংশ অফিসে হামেশাই চলে আসছে বলে অভিযোগ সাধারন মানুষের। আর এভাবে তার বিক্রির মাধ্যমে একাংশ বড়োবাবু থেকে ছোটবাবুরা তাদের পকেট ভরার ফলে অফিসে প্রায়শই মেলেনা তার এবং মিটার। ফলে ন্যায্য টাকা জমা দিয়ে বৈধ কানেকশন নিতে গিয়ে দিনের পর দিন অফিসে ঘুরতে হয় অধিকাংশ গ্রাহককেই।
দাবী উঠছে কুমারঘাটের এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে সর্ষের মাঝে লুকানো ভূতকে বের করুক বিদ্যুৎ নিগম।
উদয়পুর প্রতিনিধি : ডাক্তারের পরিবারে উদার মানসিকতায় উপকৃত হবে রোগীরা। এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গোমতী জেলা টেপানিয়া হাসপাতাল । শনিবার দুপুর দুইটায় টেপানীয়া জেলা হাসপাতালে ডাক্তার বিশ্বজিৎ পাল সহ এবং অন্যান্য ডাক্তারদের সহযোগিতায় ডাক্তার এস এম দাসের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে । মৃত্যুবার্ষিকীতে ডক্টর এস এম দাসের ছেলে ডাক্তার কনক দাস ও তার পরিবার ডক্টর এস এম দাসের করা বিভিন্ন অপারেশনের যন্ত্রপাতি আজকের এই মৃত্যুবার্ষিকীতে টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে এম এস এর হাতে তুলে দেন । ছোট্ট পরিসরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , পূর্ব পাকিস্তানে জন্ম হয়েছিল ডাক্তার এস এম দাসের । পরবর্তী সময় শিলচরে চলে আসে পরিবার। দেশ ভাগ হওয়ার পর লেখাপড়ায় কোন ধরনের বাধাপ্রাপ্ত হয়নি উনার। পরে আসাম মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস নিয়ে পড়াশুনা করেন। তারপর চাকুরীতে যোগদান করে। তিনি প্রথম ত্রিপুরার কুলাই হাসপাতালে চাকুরীর কর্মকান্ড হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময় সালেমা , কমলপুর সহ আরো একাধিক হাসপাতালে তিনি চাকরি করেন। এছাড়া তিনি পশ্চিমবঙ্গের আরজিকর মেডিকেল কলেজেও পড়াশুনা করেছেন বলে জানান বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। তার কর্মজীবনে রয়েছে বহু অপারেশন। বহু রোগীকে তিনি সুস্থ করে তুলেছেন। আজকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আরও একটি কর্মস্থলে যন্ত্রপাতি দিয়ে তার পরিবার উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলে দাবি করেন সকল অতিথিরা। এদিনের অনুষ্ঠানে এই ছাড়া ছিলেন, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতলচন্দ্র মজুমদার সহ টেপানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ঝর্ণা রানী দাস ও ভাইস চেয়ারম্যান সহ টেপানিয়া জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ডাক্তাররা।
উদয়পুর প্রতিনিধি : নিজ আপন ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছিলেন ছুড়ির আঘাতে ৫১ বছরের টিটু মিঞা খাদিম । এই ঘটনাটি নূর মহম্মদ খাদিম ঘটিয়েছিলো ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের এক তারিখ । ঘটনার বিবরণে প্রকাশ , ঐদিন বিকাল আনুমানিক পাঁচটার সময় নূর মহম্মদ খাদিমের বড় ভাই সোহাবর আলী খাদিমের বাড়িতে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এক সালিশি সভা আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত সলিসি সভাতে টিটু মিঞা খাদিম এবং নূর মহম্মদ খাদিম ও সোহাবর আলী খাদিম সহ গ্রামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরাও উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু হঠাৎ করে সালিশি সভার মধ্যে দুই ভাইয়ের বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় । একটা সময় সভার মধ্যে সকলের সামনে ছুরি দিয়ে টিটু মিঞা খাদিমের শরীরে আঘাত করে । এতে রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয় সে । তৎক্ষণাৎ টিটু মিঞা খাদিমকে উদয়পুর গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারবাবু মৃত বলে ঘোষণা করে । ঐ ঘটনায় টিটু মিঞা খাদিমে ছেলে জাহির হোসেন খাদিম রাধা কিশোরপুর থানায় অভিযুক্ত নূর মহম্মদ খাদিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন । পুলিশ অভিযোগ মূলে ঘটনার তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন । পরে মাননীয় আদালত বাদী পক্ষের ১৭ জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করে এবং উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানির পর আসামি নূর মহম্মদ খাদিমকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন ২০২৪ সালের কুড়ি ডিসেম্বর তথা শুক্রবার দুপুরে। মাননীয় বিচারপতি শংকর লাল দত্ত নূর মহম্মদ খাদিমকে , নিজের ভাইকে হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তৎসঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন । এই আদেশ দেওয়ার সাথে সাথে কান্নায় ভেঙে পড়ে নূর মহম্মদের পরিবার ।
উদয়পুর প্রতিনিধি : শুক্রবার দুপুর তিনটায় রাজ্যের কৃষি মন্ত্রীর হাত ধরে মহারানী প্রাথমিক গ্রামীণ বাজার উদ্বোধন হলো । এদিন মন্ত্রী ফলক উন্মোচন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে নতুন দালান বাড়ির শুভ উদ্বোধন করেন । এদের মন্ত্রীর সাথে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, জীতেন্দ্র মজুমদার, জিলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন ও কৃষি দপ্তরের আধিকারিক এবং স্থানীয় নেতৃত্ব সহ প্রমুখ । মন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, মহারানী প্রাথমিক বাজারটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে দুই কোটি ২৮ লক্ষ টাকা । এর ফলে গ্রামীণ বাজারের একদিকে যেমন সৌন্দর্য বেড়েছে অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টি থেকে ব্যবসায়ীরা আরো নিরাপদ জায়গায় বসে তার ব্যবসা করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন । প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকালে চাইছে গ্রাম শক্তিশালী হয়ে উঠলে এই রাজ্য এবং দেশ আরো শক্তিশালী হবে । তাই সরকার প্রতিটা সময় তার কাজ করে চলেছে সকলকে পাশে নিয়ে। আগামী দিনে এই মহারানী এলাকাকে আরো উন্নত করা হবে বলে তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন । পরে কৃষিমন্ত্রী ফিতা কেটে ঘুরে দেখেন প্রাথমিক বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘরগুলি । এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহারানী এলাকার গ্রামীণ মানুষের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় ।
গর্জিতে ‘কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র’-এর নবনির্মিত ভবনের শুভ দ্বারোদঘাটন করেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
উদয়পুর প্রতিনিধি : কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে গোমতী জেলার গর্জিতে ‘কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র’-এর নবনির্মিত ভবনের শুভ দ্বারোদঘাটন করেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জীতেন্দ্র মজুমদার ও পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, কৃষি আধিকারিক অজয় দেববর্মা সহ প্রমূখ । এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয় তৈরি হয়েছে এই নতুন দালান বাড়িটি। মন্ত্রী বলেন , কৃষকরা হচ্ছেন আমাদের অন্নদাতা। তাদের উন্নয়ন ছাড়া কৃষিপ্রধান ভারতবর্ষের বিকাশ কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। এই আদর্শকে মাথায় রেখে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে গোমতী জেলার গর্জিতে ‘কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র’-এর নবনির্মিত ভবন করা হয় ।
পাশাপাশি কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয় কৃষি মন্ত্রীর হাত ধরে । আগামী দিনে কৃষকদের জন্য কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রটি অনেকটাই লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদী । এই দিনের অনুষ্ঠানে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় গর্জি এলাকার কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে।