প্রতিনিধি মোহনপুর:- শনিবার গভীর রাতে গাঁজা বিরোধী অভিযান করলো সিধাই থানার পুলিশ। কলাগাছিয়া এলাকায় এই অবৈধ গাঁজা বিরোধী অভিযানে নষ্ট করা হয়েছে গাঁজা গাছ। সিধাই থানার ওসি মঙ্গেশ পাটারির নেতৃত্বে চলে এই গাঁজা বিরোধী অভিযান। উল্লেখ্য এই এলাকাতে রয়েছে আরো গাঁজা বাগান। স্থানীয়রা দাবি করেছেন অন্যান্য গাঁজা বাগান গুলো ধ্বংস করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করুক পুলিশ।
admin
সত্যভাষণ প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৯ ডিসেম্বর।। সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে জোর দিয়েছে সরকার। গ্রামে গ্রামে বসানো হচ্ছে সৌর চালিত জল প্রকল্প। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে কৃষকদের জমিতে জল সেচের ব্যবস্থা হচ্ছে । পিএম কুসুম প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে এই রাজ্যে। প্রকল্পগুলির সরজমিনে পরিদর্শন সহ সুবিধাভোগী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে সিপাহীজলা জেলার চড়িলামে ছুটে যান কেন্দ্রীয় খাদ্য গণবন্টন ভোক্তা বিষয়ক ও পুনর্নবীকরণ শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। গত দুইদিন ধরে তিনি রাজ্যে রয়েছেন। রবিবার সকালে চড়িলাম ব্লকের কৃষি জমিতে পিএম কুসুম প্রকল্পে সোলার প্যানেল গুলো পরিদর্শন করেন। চড়িলাম ব্লকের পিএম কুসুম প্রকল্পে বিশ্রামগঞ্জ বাজার সংলগ্ন আমতলী ভিলেজের বরকো বাড়ি গ্রামের সমরেশ দেববর্মা ফুলের বাগান পরিদর্শন করেন। সৌর চালিত জল প্রকল্পে এ এলাকায় অনেক কৃষক উপকৃত হয়েছে। প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করেছে ট্রেডা। সেখানকার বিদ্যাসাগর দেববর্মা,কবিতা দেববর্মা,সমরেশ দেববর্মা ফলবাগান পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। তাছাড়া এই দিনে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলার জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক রিঙ্কু লাথর সহ কৃষি দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক গণ। সরকারের সহায়তায় আত্মনির্ভর হয়ে উঠছেন কৃষকরা। তা দেখে অত্যন্তই খুশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।কৃষক,থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেনিফিসারিদের সাথে মতবিনিময় করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন পুনর্নবীকরণ শক্তি কৃষকদের আত্মনির্ভর করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নের বন্দোবস্ত করেছেন। ত্রিপুরা সরকার প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৬ ডিসেম্বর:- রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার শহীদ চাঁন মোহন ত্রিপুরার সপ্তম বলিদান দিবস পালন করা হয়। এদিন গন্ডাছড়ার প্রত্যন্ত দলপতি পাড়া’স্থিত উনার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি ধন্য মানিক ত্রিপুরা, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, কৃষাণ মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার, বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, জনজাতি মোর্চা ধলাই জেলা সম্পাদক প্রতি’মোহন ত্রিপুরা সহ মন্ডলের অন্যান্য নেতৃত্বরা। সেখানে দলীয় কর্মী সমর্থকরা শহীদ চান মোহন ত্রিপুরা অমর রহে, আমরা তোমায় ভুলছি না ভুলবো না, চাঁন মোহন ত্রিপুরা অমর রহে অমর রহে বলে স্লোগান দিতে থাকে। উল্লেখ্য গত ২০১৭ সালে আজকের দিনে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন বিজেপি নেতা চানমোহন ত্রিপুরা। এরপর থেকে প্রত্যেক বছর ২৬ ডিসেম্বর শহীদান দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়।
শিক্ষিকা বদলির প্রতিবাদে স্কুল বয়কট ও সড়ক অবরোধ ছাত্র-ছাত্রীদের, ঘটনাস্থলে দেখা নেই শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের।
চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর :- শিক্ষিকা বদলির প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীদের স্কুল বয়কট ও পরে সড়ক অবরোধ। স্কুল পড়ুয়াদের এই নাছোড়বান্দা স্বীদ্ধান্তে দিশেহারা অন্যান্য শিক্ষকরা। দুদিন ধরে স্কুল বয়কট ও প্রতিবাদের পরও শিক্ষা দফতরের উচ্চ আধিকারিকদের দেখা নেই বিদ্যালয় চত্বরে। স্কুল বয়কট ও সড়ক অবরোধের ঘটনাটি সংঘটিত হয় কদমতলা ব্লকাধীন বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা জানায়, গত কিছুদিন পূর্বে বিদ্যালয়ের একমাত্র আর্টসের শিক্ষিকা অর্পিতা নাথকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে। আর এতেই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমে স্কুল বয়কট ও পরে বিষ্ণুপুর-ধর্মনগর সড়ক অবরোধ করে। সোমবার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এরপর মঙ্গলবার সকাল এগারোটা থেকে সড়ক অবরোধে বসে তারা।কিন্তু দুদিন ধরে এই ছাত্র আন্দোলন চললেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো হেলদোল নেই। সংবাদ লিখা পর্যন্ত শিক্ষা দপ্তরের কোনো উচ্চ অধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেনি।
এদিকে শিক্ষা দপ্তর কর্তৃপক্ষ অর্পিতা নাথকে অন্যত্র বদলি করেও তড়িঘড়ি বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপালী বেগম নামের অপর এক শিক্ষিকাকে নিয়োগ করেছে। কিন্তু এতে ছাত্রছাত্রীরা মানতে নারাজ। তাদের দাবি অর্পিতা শিক্ষিকাই তাদের চাই। বিদ্যালয়ের ইনচার্জ অমলকান্তি মালাকার জানান, বিদ্যালয়ের দুপুরের সেকশনে মোট একশো আটাত্তর জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এবং সাতজন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। এদিকে এখন দেখার বিষয় ছাত্র-ছাত্রীদের এই শিক্ষিকা বদলির প্রতিবাদে আন্দোলন কতটুকু বাস্তব রূপ পায়।
রাজ্যভিত্তিক অটল কবিতা ও সাহিত্য উৎসব উপলক্ষে কৈলাশহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
রাজ্যভিত্তিক অটল কবিতা ও সাহিত্য উৎসব উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর বেলা কৈলাশহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শোভাযাত্রাটি কৈলাশহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে পুনরায় উনকোটি কলাক্ষেত্রের সামনে এসে মিলিত হয়। উক্ত শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের মাননীয় মন্ত্রী টিংকু রায়, রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উপদেষ্টা কমিটির সহ-সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী, উনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, কৈলাসহরের মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার, কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপারসন চপলা রানী দেবরায়, BJP ঊনকোটি জেলার সাধারণ সম্পাদক অরুন সাহা, ঊনকোটি জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবসর আলী, চন্ডিপুর বিজেপি মন্ডলের নবনিযুক্ত মন্ডল সভাপতি পিন্টু ঘোষ প্রমূখ। পাশাপাশি উক্ত শোভাযাত্রায় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে, দুদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আগামীকাল মন্ত্রী টিংকু রায়ের হাত ধরে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হবে চলবে চলতি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উপদেষ্টা কমিটির সহ-সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী বলেন গত বছর থেকে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তক্রমে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গোমতী জেলার উদয়পুর মহকুমায়, এবছর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে উনকোটি জেলার জেলা সদর কৈলাশহরে, উক্ত অনুষ্ঠানে রাজ্য এবং বহির রাজ্যের বিভিন্ন কবি ও সাহিত্যিকরা উপস্থিত থাকবেন তাই এই দুইদিন সবাইকে উক্ত অনুষ্ঠান এসে দেখার জন্য তিনি আহবান রাখেন।
- উদয়পুর, ২৪ ডিসেম্বরঃ ২০২৪ ঃ- গোমতী জেলায় মোটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, বালি শ্রমিক, পশু খামার যাদের রয়েছে বা সেখানে যারা কাজ করেন তাঁদেরকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিসিজি টিকা দেওয়া হবে। যক্ষ্মা রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে বলতে গিয়ে গোমতী জেলার টিবি আধিকারিক ডাঃ শৌমিক চক্রবর্তী যুক্তি দিয়ে বলেন যে নির্মাণ বা বালি শ্রমিকরা বালু নিয়ে কাজ করেন। যেখানে সিলিকাস কনা থাকে। এই ক্ষুদ্রকনা ফুস্ফুসে গিয়ে সিলিকোসিস তৈরি করে। তখন টিবি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রোগাক্রান্ত গভাদি পশুর শরীরে বোবাইন টিবির জীবানু থাকে যা মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। আজ জেলা টিবি ফোরামের বৈঠকে চিকিৎসকের কাছ থেকে যক্ষ্মা রোগের ব্যাখ্যা শুনে গোমতী জেলার জেলা সভাধিপতি দেবল দেব রায় আজ সব জেলার সব জন প্রতিনিধি, শ্রমিক সংঘটন, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী এবং কৃষক বন্ধুদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বিসিজি টিকা দেওয়নোর জন্য উদ্যোগী হতে আহ্বানও জানান। জেলার সভাধিপতি বিডিও এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই টিবি মুক্ত করার কথা ঘোষণা দেন। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলিত হয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে গত ৭ই ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ দিনের বিশেষ অভিযান চালু করে। ১০০ দিনের বিশেষ অভিযানকে সফল করার জন্য গোমতী জেলার জেলা সভাধিপতি আজ সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন, অতিরিক্ত জেলা শাসক বিনয় ভূষণ দাস সহ সব দপ্তরের আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানদের, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জেলা টিবি ফোরামের বৈঠকে বসেন।
জেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সাপোর্টের আশ্বাস দিয়ে অতিরিক্ত জেলা জেলা শাসক বিনয় ভূষণ দাস জানান, স্ক্রিনিং আরও বাড়াতে হবে এবং সবাইকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এই মাসের মধ্যে জেলার ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অভিযান জোরদার করা হবে। এবং ১০০ শতাংশ বিসিজি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বিডিও দেরকে নির্দেশ দেন। এই ২১টি গ্রাম পঞ্ছায়েতে টিবি রোগীর সংখ্যা বেশী। এইগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন জানান যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণের চেইনকে ভাঙ্গতে হবে। এই কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চিকিৎসকরা জানান, যে প্রথম ডোজ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের সংক্রমণের মাত্রা এবং ক্ষমতা কমতে থাকে। সুতরাং যে সব টিবি রোগীর চিকিৎসা চলছে তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ঠিক নয়। রোগীকে কেবলমাত্র মাস্ক পড়ে থাকলেই হবে।
সভাধিপতি দেবল দেবরায় জেলা, মহকুমা, ব্লক এবং গ্রাম স্থরের সমস্ত দপ্তরের আধিকারিক, জন প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদেরকে নিঃক্ষয় মিত্র হওয়ার জন্য আহ্বান জানান । ৬ মাসের জন্য যে কোন একজন রোগীকে পৌষ্টিক সম্পূরক খাওয়ার দেওয়াটাই হল মূল লক্ষ। গোমতী জেলায় বর্তমানে ৩৩৪ জন টিবি রোগী রয়েছে যাদের চিকিৎসা চলছে। অফিস বা বিভিন্ন কর্মস্থলে ধূমপান বা তামাকের বিরুদ্ধে কঠোর হতে পরামর্শ দেন।
উদয়পুর প্রতিনিধি : উদয়পুর জেলা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে বাবাসাহেব আম্বেদকরের সম্মান যাত্রা করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। এই দিন দুপুরে উদয়পুর জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে কংগ্রেস কর্মীরা এক সম্মান যাত্রা বের করে এদিন। এদিন সম্মান যাত্রাটি দলীয় অফিস থেকে বের হয়ে উদয়পুর শহরের নানা পথ পরিক্রমা করে । পরে মিছিলটি গোমতী জেলাশাসকের অফিসে সামনে গিয়ে এক পথ সভায় মিলিত হয় এবং গোমতী জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য্যর নিকট পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল ডেপুটেশানে মিলিত হয় জেলা কংগ্রেস সভাপতি টিটন পালের নেতৃত্বে । এদিন ডেপুটেশান শেষে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল বলেন , দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধান প্রণেতা ডঃ বি আর আম্বেদকরকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তার জন্য গোটা দেশের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী চাইতে হবে এবং অবিলম্বে যেন পদত্যাগ করা হয় সে বিষয়ে জেলাশাসকের মধ্য দিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে ডেপুটেশান পত্র পাঠানো হচ্ছে। এই দিনের ডেপুটেশানে জেলা সভাপতি ছাড়াও ছিলেন , ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলন কর সহ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত দেবনাথ ও অন্যান্য নেতৃত্বরা । এদিনের মিছিলটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উদয়পুর শহরে।
উদয়পুর প্রতিনিধি : সাত সকালে আবারো যান দুর্ঘটনার শিকার এক বাইক আরোহী । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০: ৩০ টায় উদয়পুর রাজধরনগর সড়কে পন্য বোঝায় অটো গাড়ি ও বাইকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এর ফলে TR 08 F 5061 নাম্বারের বাইকে থাকা চালক মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ে রাস্তায় । কিন্তু দুর্ঘটনার সাথে সাথে পণ্য বোঝায় গাড়ি চালক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় । পরবর্তী সময়ে পথ চলতি সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ খবর দেয় উদয়পুর দমকল বিভাগে । দমকল কর্মীরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসা করানোর জন্য । বর্তমানে আহত বাইক চালক ইমাম হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিদিন যেভাবে উদয়পুরে বাড়ছে বাইক ও গাড়ি দুর্ঘটনা তাতে করে রাস্তায় চলাচল করি নিত্য পথযাত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য দূরপাল্লার যাত্রীদের মধ্যে এর ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ।
রাত পোহালেই ২৫শে ডিসেম্বর তথা বড়দিন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি অন্যতম বিশেষ পার্বন। পুরানে কথিত রয়েছে এই দিনেই খ্রীষ্ট ধর্মের প্রবর্তক তথা যীশু খ্রীষ্ঠ জন্মগ্রহন করেছিলেন। তাই যীশুর জন্মদিন উপলক্ষে সর্বত্রই প্রতিবছর আনন্দে মাতেন খ্রীষ্ঠধর্মাবলম্বীরা। ত্রিপুরাতেও চলছে বড়দিন পালনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট দারচৈ এডিসি ভিলেজেও বড়দিনকে কেন্দ্রকরে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। শহরের বাজারে চলছে বড়দিনের কেনাবেচা। বুধবার বড়দিন তথা যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন। এই উপলক্ষে রকমারিভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে গোটা দারচৈ গ্রামকে। বড়দিনের ষ্টার এবং খ্রিষ্টমাস ট্রি সহ বাহারী আলোকসজ্জায় দারচৈ গ্রামের রাস্তাঘাট নিজেরাই সাজিয়ে তুলছেন গ্রামের বাসিন্দারা। ব্যাক্তিগতভাবে যার যার বাড়ীর সামনে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তুলেছেন তারা। এলাকার বাসিন্দা থাঙলিয়ানা দার্লং জানিয়েছেন, বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত বারোটা থেকে শুরু হবে তাদের অনুষ্ঠান যা চলবে আগামী তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত। বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় গির্জায় চলবে প্রার্থনা থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। যীশুর জন্মদিনকে ঘিরে রকমারি খাওয়া দাওয়া থেকে নতুন পোশাক পরে ঘুরাঘুরি সহ চলবে তাদের আনন্দ উৎসব। একটি বছর পর প্রভূ যিশুর জন্মদিন উদযাপন ঘিরে এলাকার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বেজায় খুশি বলে জানালেন এলাকার ঐ বাসিন্দা।
উদয়পুর প্রতিনিধি : রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত সাহা আগরতলা রবীন্দ্র ভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদয়পুরে আইতরমা পেট্রোলিয়াম এজেন্সি এর দ্বারুদ্ঘাটন করেন lউদয়পুর ছনবন এলাকায় ভারত সরকার ও এইচ পি সি এল এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই পেট্রোল পাম্প উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যাক্ষ রাম প্রসাদ পাল l এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, গোমতি জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, এইচ পি সি এল এর আঞ্চলিক ম্যানেজার রাহুল কুমার সিংহ, টি এস সি সি এফ এর চেয়ারম্যান টুটন দাস l
ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যাক্ষ রাম প্রসাদ পাল বলেন, রাজ্যে এই প্রথম সরকারি উদ্যোগে পেট্রোল পাম্প চালু হচ্ছে l রাজ্যে এরকম ২০টি পেট্রোল পাম্প গড়ে তোলা হবে l ২ বছর আগে এক চুক্তির মধ্য দিয়ে রাজ্যে এরকম পেট্রোল পাম্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয় l তিনি আরও বলেন, কপারেটিভ হল জনগণের আন্দোলন l কপারেটিভ গ্রামকে উন্নত করে l কিছুদিনের মধ্যে উদয়পুরে আরও একটি আইতরমা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গোমতী জেলায় গড়ে তোলা হবে l এদিন উদ্বোধন শেষে নিজ হাতে ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল এই পাম্পের প্রথম ক্রেতা বিপ্লব দে -কে পেট্রোল দিয়ে তার শুভ সূচনা করেন।