প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর শহর লাগুয়া বিভিন্ন এলাকাগুলিতে ঘটছে প্রতিদিন চুরির ঘটনা । এবার রাধা কিশোরপুর থানার অন্তর্গত রাজার বাগ ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে গোমতী নদী লাগুয়া পাম্প মোটর ঘরে চুরি কান্ড সংগঠিত হয় । কৃষকদের জন্য দেওয়া হয়েছিল এই পাম্প মেশিন। কৃষকদের জমিতে কৃষি কাজ করার জন্য দেওয়া হয়েছিল জলের পাম্প মোটরটি। রবিবার গভীর রাতে মোটরের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল । পাম্প অপারেটর কবির মিঞা জানান , চোরের দল প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। আজ সকালে এই ঘটনা লক্ষ্য করেন পাম্প মেশিন চালু করতে এসে। তিনি জানান রাধাকিশোরপুর থানায় এই চুরির ঘটনা জানানো হয়। পুলিশের কোন ধরনের সারা শব্দ পাওয়া যায়নি । গ্রামবাসীর অভিযোগ করেন রাতে কোন ধরনের পুলিশি টহলদারি থাকছে না এলাকার মধ্যে। রাধা কিশোরপুর থানার পুলিশ একদিকে যখন থানার মধ্যে কালী পূজা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে অন্যদিকে শহরের লাগুয়া বিভিন্ন গ্রামে ঘটে চলেছে চুরির ঘটনা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উদয়পুরবাসী। অন্যদিকে রাধা কিশোরপুর থানার পুলিশ সর্বাত্মকভাবে ব্যর্থ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে। সব মিলিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা।
admin
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ৩০শে ডিসেম্বর।আজ তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীন সারদাময়ী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ে একটি আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দের হাতে বাইসাইকেল তুলে দেওয়া হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যানী সাহা রায়, তেলিয়ামুড়া পুরপরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মধুসূদন রায়, বিশিষ্ট সমাজকর্মী অচিন্ত্য ভট্টাচার্যী, তেলিয়ামুড়া ক্রিকেট এসোসিয়েশন এর সম্পাদক নন্দন রায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। এদিনের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোট ১৭ জন ছাত্রীর হাতে বাইসাইকেল তুলে দেয় উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা। অনুষ্ঠানে আলোচনা রাখতে গিয়ে বিধায়িকা বাইসাইকেল প্রদানের গূরত্ব সকলের সামনে তুলে ধরেন এবং সারদাময়ী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নতি সাধনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যের আলোচনা করে শ্রীমতি রায় আরো বলেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে গত ৬-৭ বছরে। রাজ্য সরকার সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে এগিয়ে চলেছে।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- অবৈধভাবে গড়ে তোলা গাঁজা বাগান কেঁটে ধ্বংস করে দিল লেকুঙ্গা থানার পুলিশ। সোমবার তালাবান এলাকায় চলে এই গাজা বিরোধী অভিযান। এতে প্রায় তিন হাজার গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেফুঙ্গা থানার ওসি।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি লেফুঙ্গা থানা এলাকাতেও বেশ কিছু অঞ্চল জুড়ে তৈরি হয়েছে অবৈধ গাঁজা বাগান। সোমবার এই গাঁজা বাগান গুলোতে টিএসআর এবং পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। এই অবৈধ গাঁজা বাগানে থাকা গাঁজা গাছগুলোকে কেটে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি সহদেব দাস। পাশাপাশি আগামী দিনেও এলাকার বিভিন্ন কাজা বাগান গুলো এভাবেই ধ্বংস করা হবে বলে স্পষ্ট করে দিলেন ওসি সহদেব দাস।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বাংলাদেশের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে অনুপ্রবেশের মাত্রা বেড়েই চলেছে।অবৈধভাবে ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাড় হতেই বাংলাদেশের নাগরিক সহ ভারতীয় দালাল আটক বি.এস.এফের হাতে।ঘটনা কৈলাসহর থানা এলাকায়। ঘটনা সম্পর্কে কৈলাসহর থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী জানান যে, কৈলাসহর থানার অন্তর্ভুক্ত সমরুরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত অবৈধভাবে পাড় হয়ে আসার সময় টহলরত বি.এস.এফ জওয়ানরা দুইজনকে আটক করে সমরুরপাড় বি.ও.পি-তে নিয়ে যায়।ঘটনা রবিবার গভীর রাতে।বি.এস.এফ জওয়ানরা সমরুরপাড় বি.ও.পি-তে আটক দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে,আটক দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনের নাম সুজন আলমিক(১৯) সুজন আলমিক বাংলাদেশের নাগরিক।সুজনের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমংগল থানাধীন। আটক অপর ব্যক্তির নাম মতিলাল মুন্ডা(৩৫) মতিলাল মুন্ডার বাড়ি কৈলাসহরের মনুভ্যালী এলাকায়।আটক দুই ব্যক্তিকে সমরুরপাড় বি.ও.পি-এর ১৯৯ ব্যাটেলিয়ন বি.এস.এফ জওয়ানরা সোমবার বিকেলে কৈলাসহর থানার পুলিশের হাতে তোলে দেয়।মতিলাল মুন্ডার মাধ্যমেই বাংলাদেশের নাগরিক সুজন আলমিক আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাড় হয়েছিল।মতিলাল মুন্ডা দালালের কাজ দীর্ঘদিন ধরেই করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বি.এস.এফের অভিযোগ মুলে পুলিশ কৈলাসহর থানায় একটি মামলা রেজিষ্ট্রি করেছে।মামলার নম্বর হলো KLS/PS/122/2024. বাংলাদেশের নাগরিক সুজন আলমিক সহ ভারতীয় দালাল মতিলাল মুন্ডাকে সোমবার বিকেলে কৈলাসহর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা অবৈধ কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম হলো পুলিশ।বামুুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত বেড়ীমুড়ার সূর্য চৌমুহনি এলাকা থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে এই অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বামুটিয়া ফাঁড়ির ওসি এন্থনি জমাতিয়া। সোমবার সকালে জঙ্গলে ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই কাঠ গুলো। বামুটিয়া ফাঁড়ির ওসি এন্থনি জমাতিয়া জানান উনাদের কাছে খবর আসে এই এলাকাতে রাতের আঁধারে এনে বেশ কিছু অবৈধ কাঠ রাখা হয়েছে। সেই খবর ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয় এই এলাকাতে। কাঠ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও কাঠের মালিককে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এন্থনি জমাতিয়া। তুলা বাগানে অবৈধ গাঁজা বাগান ধ্বংস করল পুলিশ
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৩০ ডিসেম্বর:- রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সিপিএম এবং কংগ্রেসের মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সোমবার রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল এবং পথসভা সংঘটিত করা হয়। এদিন বিকাল চারটায় মন্ডল কার্যালয়ের সামনে থেকে শত শত দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিশাল একটি রেলি গন্ডাছড়া বাজার সহ শহর এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা শেষে মধ্য বাজারে পথ সভায় মিলিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি ধলাই জেলা কমিটির সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং , রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি ধন্য মানিক ত্রিপুরা, কৃষাণ মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার প্রমুখ। বক্তারা ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’কে নিয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসের অপপ্রচারে তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন। নেতৃত্বরা বলেন সিপিএমের এই ধরনের অপপ্রচার দেশের উন্নয়নের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করার প্রচেষ্টা মাত্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গোটা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছে না কংগ্রেস এবং সিপিএম। তাই তারা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের খেলায় মেতে উঠেছে। এদিনের বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৮ ডিসেম্বর:- রাইমাভ্যালী মন্ডল অফিস বিয়ারারের পক্ষ থেকে শনিবার নবনিযুক্ত মন্ডল সভাপতি ধন্য মানিক ত্রিপুরাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। এদিন মণ্ডল কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ডলের সহ-সভাপতি আদিত্য সরকার, সাধারণ সম্পাদক মদন বিকার চাকমা, সম্পাদক প্রীতি কুমার চাকমা, সমীর দাস প্রমুখরা। পাশাপাশি এদিন মন্ডলের সকল অংশের নেতৃত্বদের সাথে পরিচয় পর্ব এবং সাংগঠনিক সভায় অংশ নেন। সাংগঠনির সভায় মন্ডল সভাপতি ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, মন্ডলের সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক সহ মন্ডল, মোর্চা এবং জেলার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা। সেখানে আগামী দিনের সংগঠনের বিভিন্ন রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। তাছাড়াও এদিন তিনি পার্টির প্রবীণ নেতৃত্ব তথা ২০০৮ সালে এডিসি নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী প্রেম কুমার ত্রিপুরার বাড়িতে গিয়ে উনার কাছ থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। পার্টির প্রবীণ নেতৃত্বদের প্রতি মন্ডল সভাপতির উদার মানসিকতা দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে ওনার গ্রহণযোগ্যতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে উন্নয়ন হচ্ছে মাতাবাড়ি । বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- রবিবার সকালে উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে আসেন কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণ বন্টন ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন , রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, গোমতী জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ প্রমূখ । এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রথমে মাতার বাড়িতে এসে চলে যান মায়ের মন্দিরে। মন্দিরে গিয়ে মায়ের কাছে পুজো দেন মন্ত্রী । পূজো শেষে মায়ের মন্দিরের চারদিক প্রদক্ষিণ করেন এবং মন্দিরের পাশে থাকা মহাদেব মন্দিরে পুজো দেন তিনি । পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন , মায়ের মন্দিরে এসে দেশ ও রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনা করেন এবং যে দ্রুত প্রসাদ প্রকল্পের কাজ চলছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে তাতে উন্নয়ন খুবই সুন্দরভাবে হচ্ছে মাতা বাড়িতে। পরে ঘুরে দেখেন মাতার বাড়িতে প্রসাদ প্রকল্পের কাজ। ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী পরে মায়ের মন্দিরে পূজো অর্চনা শেষ করে চন্দ্রপুর কলোনি বিদ্যালয়ের হলঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দেন । সাথে ছিলেন অর্থমন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক । মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে গোটা উদয়পুরে ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ২৯ডিসেম্বর।তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় আতঙ্ক টিউমার নামে পরিচিত হাতিটি রেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত।আগরতলা থেকে শিলচরগামী দ্রুতগতি সম্পন্ন রেলের ধাক্কায় মৃতপ্রায় দৈত্যাকৃতির বণ্য দাঁতাল হাতিটি । রেলের ধাক্কায় দৈত্যাকৃতি সেই হাতির কোমর এবং পেছনে পায়ে গুরুত্বর আঘাত লাগে, উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বণ দপ্তরের অধীন লক্ষ্মীপুর এ.ডি.সি ভিলেজের চামপ্লাই রেল রাস্তা সংলগ্ন গভীর বনাঞ্চলে।
খবরে প্রকাশ, আগরতলা থেকে শিলচরগামী দ্রুতগতি সম্পন্ন রেল তেলিয়ামুড়া রেলস্টেশন হয়ে ধর্মনগর অভিমুখে যাবার পথে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীন লক্ষ্মীপুর এ.ডি.সি ভিলেজের চামপ্লাই স্থিত রেল পারাপারের সময় একটি বণ্য দাঁতাল হাতিকে সজোড়ে ধাক্কা দেয় ওই যাত্রীবাহী রেল। এতে ওই দৈত্যাকৃতির হাতি তথা লোকমুখে যে কিনা “টিউমার”- নামে পরিচিত সে কোমরে এবং পেছনের পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এবং দীর্ঘক্ষন রাস্তার পাশে পড়ে ছটফট করতে থাকে এই বন্য হাতিটি। এ প্রসঙ্গে খোয়াই জেলা বন আধিকারিক সাংবাদিকদের প্রসঙ্গক্রমে বলতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এলাকাটি হাতির বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এখানে রেলের গতি কম হওয়ার কথা। তবে যেভাবে হাতিটি আহত হয়েছে, রেল এর গতি দ্রুত বেগে ছিল। হাতি আহত হওয়ার খবরটিও বনদপ্তরকে জানানো হয়নি। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তেলিয়ামুড়া মহকুমাতে কুড়িটি উপর হাতি রয়েছে। আহত টিউমার নামে পরিচিত হাতিটি কৃষ্ণপুর ও তার আশপাশ এলাকাতে সাধারণ মানুষের আতঙ্কের কারণ ছিল। প্রায় রোজই হাতিটি কোন না কোন এলাকাতে বাড়িঘর ভাঙচুর সহ জমির ফসল নষ্ট করে আসছিল। বনদপ্তর হাতির লোকালয়ে প্রবেশ রোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কোন কিছুতেই হাতির লোকালয়ে প্রবেশ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে আহত হাতি টিকে আজও বনদপ্তরের চিকিৎসকরা চিকিৎসা করে এসেছে। বনদপ্তরের কর্মীরা ও হাতির ধারে কাছেই রয়েছে প্রয়োজনীয় সেবা সুস্রতা দেওয়ার জন্য।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া : গরীব দুস্ত মানুষদের পাশে থেকে মানুষদের সাহায্য করার আহ্বান রাখার বার্তা দিলেন তেলিয়ামুড়া বিধানসভার বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়। রবিবার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মহানাম আশ্রমে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে। এছাড়াও এদিনের কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পুরো পরিষদের পুরো পিতা রূপক সরকার, কাউন্সিলর বিমল রক্ষিত সহ আগরতলা মহানাম অঙ্গন সম্পাদক সুদীপ কুমার রায় সহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা।
শীতের মৌরসুমে গরীব দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ালেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মহানাম আশ্রমের সদস্যরা।ঐদিন মহানাম আশ্রমে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে ১৫০ জন দুস্থ গরিব মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় সহ পুরো পিতা রূপক সরকার, কাউন্সিলর বিমল রক্ষিত সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়িকা কল্যাণী সাহারায় বলেন, গরিব দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো একজন মানুষের পরম দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কারণ গরিব দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে তবে সমাজ ব্যবস্থা আরো মজবুত হবে। তিনি আরো বলেন, মহানাম আশ্রমের উদ্যোগে আয়োজিত শীত কম্বল বিতরণ নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ প্রদান করবে। এছাড়াও এই দিনের কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পোর পিতা রূপক সরকার সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা।