প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রাজ্যের স্বনামধন্য বিদ্যালয় উদয়পুরের রমেশ স্কুলের ৭৫ তম স্থাপনা দিবস পালন করা হয় সারম্বরে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে দুইদিন ব্যাপী এই শুভ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধান অতিথি তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা।
এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, গোমতী জেলার জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, জিতেন্দ্র মজুমদার, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা।
এরপর সমস্ত অতিথিবৃন্দরা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় রমেশ চন্দ্র দত্ত এবং পরবর্তীকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রয়াত ধীরেন্দ্র চন্দ্র দত্তের প্রতিকৃতিতে মাল্য দান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রী তার আলোচনায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, রমেশ স্কুল শুধু উদয়পুরে নয়, গোটা রাজ্যে এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও সমাদৃত। রমেশ স্কুলের ছাত্ররা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে এমনকি বিজ্ঞানী হিসেবেও কাজ করছেন। এটা শুধু উদয়পুরের গর্ব নয় সারা রাজ্যের গর্ব। তিনি বলেন, এই স্কুলের সুনামকে ধরে রাখার দায়িত্ব এই বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারের জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত প্রকল্প গুলি নিয়ে হাতে নিয়েছেন সেগুলি সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন , ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত উদয়পুরের সুপ্রসিদ্ধ রমেশ ইংরেজি মাধ্যম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গৌরবের সাথে ৭৫ বর্ষ উৎযাপন করছে। গুণগত শিক্ষার প্রসারে অগ্রনী ভূমিকা পালনকারী এই বিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী আজ দেশ বিদেশে সম্মানের সহিত কর্মরত রয়েছে। এদিকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এই বিদ্যালয়ের উন্নতি কল্পে বর্তমান সরকার যে সমস্ত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তার একটা রূপরেখা তুলে ধরেন।
রমেশ প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় কে উদয়পুর রমেশ প্রাক্তনীর আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়।
তাদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং মানপত্র দিয়ে সম্বর্ধিত করা হয়।
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষিকা এমনকি এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জয় গোবিন্দ দেবরায়ও উপস্থিত ছিলেন।
admin
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-উদয়পুর বিভাগের ব্যবসায়ী সংঘের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় লেইক সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ব্যবসায়ী সংঘের অফিস ঘরে এক আর্থিক সাহায্য তুলে দেন ব্যবসায়ী সংঘের নেতৃবৃন্দরা । এদিন উদয়পুর ব্যবসায়ী সংঘের সম্পাদক দিলীপ ভৌমিক জানান ,গত ২০২৪ সালের ৫ ই ডিসেম্বর ফটিকরায় গোকুল নগর এলাকার বাসিন্দা রঞ্জন দাসের ১৩ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়ে রূপশ্রী দাস নিজ ঘরে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে । এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয় মেয়েটি। পরবর্তী সময়ে তাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য আগরতলা জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ থাকার কারণে মেয়েটির সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরে সামাজিক মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানান রূপশ্রী দাসের অভিভাবকরা । তখন উদয়পুর ব্যবসায়ীর সংঘের সম্পাদকের চোখে পড়ে সাহায্যের আবেদনটি। পরে যোগাযোগ করা হয় রুপশ্রী পরিবারের সাথে । বৃহস্পতিবার আহত রূপশ্রী মা পূজা দেব দাস উদয়পুরে আসেন এবং তার হাতে আর্থিকভাবে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় উদয়পুর ব্যবসায়ী সংঘের উদ্যোগে। এই ধরনের সাহায্য এক প্রকারের পরিবারটিকে আর্থিকভাবে কিছুটা শক্তি জুগিয়েছে এবং মেয়েটির আরো উন্নত চিকিৎসা করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী সংঘের পক্ষ থেকে ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য , জনসংভরন ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক সহায়তায় ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধানক্রয় কেন্দ্র শুরু হয়েছে গোমতী জেলায় এই প্রথম বাগমা বাজার শেড ঘরে । মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বাগমা কেন্দ্রের বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া। এছাড়া ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, মহকুমা শাসক ত্রিদিপ সরকার , টেপানিয়া ব্লকের বিডিও দিব্যশ্রী দাশগুপ্ত , পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ঝর্না রানী দাস ও সুপ্রিয়া সাহা সহ কৃষি দপ্তরের আধিকারিক অর্পিতা দত্ত সহ প্রমূখ । এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথিরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছে। এছাড়া কৃষকদের কৃষিকাজে উন্নতির জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কৃষিজ ফসল ফলানোর জন্য সার ,বীজ সহ ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া বলেন , বিগত দিনে কৃষকদের জন্য কখনো কোন সরকার চিন্তা ভাবনা করেনি। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য সরকার কৃষকদের উন্নতি সাধনের জন্য কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি বিধায়ক অভিষেক রায় বলেন , কৃষকরা যাতে মাঠে সোনালী ফসল ফলাতে পারে তার জন্য দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি । একই সাথে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কৃষিলোন । বর্তমানে কৃষকদের কাছ থেকে সরকার সরাসরি ধান ক্রয় করছে । এর ফলে কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পারছে তার মাঝে কোন ধরনের মুনাফা অর্জন করতে পারছে না ব্যাপারীরা। এর ফলে বর্তমানে সরকার এই সকল ধানগুলি ক্রয় করে পুনরায় রেশনে চাল হিসাবে দিচ্ছে রাজ্যের জনগণকে। পরে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ধানের গাড়িকে শুভ সূচনা করেন অতিথিরা । গোটা অনুষ্ঠানে গ্রামীণ এলাকার কৃষক থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মহাশ্মশান ঘাটে বিদ্যুৎ চালিত চুল্লির কাজ শুরু হয়ে যাবে।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ২রা জানুয়ারি। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশান ঘাটের বৈদ্যুতিক চুল্লির আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে। রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর, তেলিয়ামুড়ার উন্নয়নের পালকে যুক্ত হবে নবতম আরেকটি সংযোজন।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৩ ই জানুয়ারি তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি বসানোর জন্য রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন পর্ব সম্পন্ন হয়। এরপর যথারীতি দ্রুত গতিতে কাজ চলার পর বিগত বছরে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহার হাত ধরে উদ্বোধন পর্বও সম্পন্ন হয। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা মাথায় রেখে জেনারেটরের জন্য এতদিন চালু করা যাচ্ছিল না এই ইলেকট্রিক চুল্লি চালিত তেলিয়ামুড়ার মহাশ্মশান।
এবার যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে আর কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হতে চলেছে তেলিয়ামুড়া মহা শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লি। এ বিষয় টি জানান তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার। শ্রী সরকার আরো জানান,মোট ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এই ইলেকট্রিক চুল্লি চালু হয়ে গেলে তেলিয়ামুড়া বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে এবং তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশানের এই আধুনিকীকরণের জন্য রূপক সরকার রাজ্য সরকার সহ বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার সময়কালে তেলিয়ামুড়াতে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সেই সময়ে মৃতদেহগুলিকে সৎকারের জন্য আগরতলা শ্মশানে পাঠাতে পৌর পরিষদ কর্তৃপক্ষকে এবং প্রশাসনকে যথেষ্ট ব্যাগ পেতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার থেকেই তৎকালীন পুরো পরিষদ কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের নিকট প্রস্তাব পেশ করেছিল তেলিয়ামুড়াতে চুল্লিচালিত শ্মশান ঘাট নির্মাণের। রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়া মুড়ার বিধায়িকা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি করে আসে। এর ফলে ই আজ তেলিয়ামুড়া উন্নয়নের পালকে আরো একটি পালকের যাত্রা শুরু হতে চলেছে। এদিকে, তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির পাশাপাশি শ্মশান ঘাটের চারিদিকের আনুসঙ্গিক উন্নয়নের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২ জানুয়ারি:- ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন গন্ডাছড়া প্রেস ক্লাবের হাতে নববর্ষের উপহার হিসেবে সাব ডিভিশনাল ওয়েলফেয়ার অফিসার তথা ডিসিএম দিলিপ দেববর্মা কেরাম বোর্ড তুলে দেন। এদিন এই উপলক্ষে মহকুমা শাসক অফিসে ওনার কক্ষে মহকুমা সাংবাদিকদের সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ডিসিএম দিলীপ দেববর্মা শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে গন্ডাছড়া প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে একটি বড় আকারের ক্যারাম বোর্ড তুলে দেন। সেখানে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামু দেবনাথ, রবি সিং, নারায়ন ত্রিপুরা, সমীর কপালী, চন্দন লাল রায়, অনিমেষ দাস। ট্রাভেল ওয়েলফেয়ার অফিসার দিলীপ দেববর্মা জানান খেলাধুলার মান উন্নয়নে সাব ডিভিশনাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে এসটি বয়েস হোস্টেল এবং এসটি গার্লস হোস্টেলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন। তাতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায়। তিনি আরো জানান আগামী কিছুদিনের মধ্যে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মান উন্নয়নে প্রেসক্লাবেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন আগামী দিনে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রেসক্লাব দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ্য সাব ডিভিশনাল ওয়েলফেয়ার অফিসার তথা ডিসিএম দিলীপ দেববর্মা ভাল মানসিকতা সম্পূর্ণ একজন অফিসার। তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহকুমা এলাকার বন্যা আক্রান্ত পরিবারের পাশে তৎক্ষণাৎ যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সত্যি তাহা প্রশংসার দাবি রাখে। দিলীপ বাবুর একের পর এক এহেন কাজে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- মোহনপুর মহকুমা এলাকায় বিভিন্ন অনাথ আশ্রমে এবং বিভিন্ন আবাসনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীতবস্ত্র, অর্থ এবং চাল বিতরন করল ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসার্স এসোসিয়েশনের এবং মোহনপুর মহকুমা শাসক কার্যালয়ের কর্মীরা।এতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।মোহনপুর মহকুমা এলাকার নতুননগরে জহরলাল নেহরু বালিকা নিবাস, কাতলামারায় কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলের হোস্টেল এবং বড়কাঠালে শান্তি কালে আশ্রমে হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সামগ্রিক গুলো বিতরণ করা হয়েছে। জহরলাল নেহরু বালিকা নিবাসে আবাসিকদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে ৫০ টি মশারি এবং ব্যাকশিট ও নগদ ৫ হাজার টাকা। এদিন মন্ত্রী রতন লাল নাথের হাত ধরে এই সামগ্রিক গুলো দেওয়া হয়েছে আবাসিকদের। পাশাপাশি মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন তাদের গান চর্চার জন্য একটি হারমোনিয়াম প্রদান করার। একই সাথে মোহনপুরে মহাকুমা শাসক সুভাষ দত্ত এদিন ঘোষণা দিয়েছেন জহরলাল নেহেরু বালিকা নিবাস থেকে যদি কোন আবাসিক চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তাহলে তাকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুই লক্ষ টাকা দিয়ে সহায়তা করবেন।
অন্যদিকে কাতলামারা স্থিত কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলে যে সমস্ত অনাথ আবাসিকরা রয়েছে তাদের মধ্যে ৮০ টি কম্বল এবং ১০০ কিলো চাল দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বড়কাঠালে শান্তি কালী আশ্রমের আবাসিকদের মধ্যে ১০০ টি কম্বল এবং ১০০ কিলো চাল প্রদান করেছে ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসার্স এসোসিয়েশন এবং মোহনপুর মহকুমা শাসক কার্যালয়ের কর্মীরা। এদিন অ্যাসোসিয়েশন এবং মহাকুমা শাসক কার্যালয়ের কর্মীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন মন্ত্রী রতন লালনা। নিজেদের কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি সামাজিক কাজকে প্রাধান্য দিয়ে এই ধরনের উদ্যোগ সমাজের জন্য মঙ্গলদায়ক বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
মোহনপুর পুর পরিষদে নব নিযুক্ত সাফাই কর্মীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মন্ত্রী
প্রতিনিধি মোহনপুর:- মোহনপুর পুর পরিশোধের উদ্যোগে ১৮ জন নতুন সফাই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মোহনপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতনলাল নাথ আনুষ্ঠানিকভাবে নবনিযুক্ত এই সাফাই কর্মীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন।
মোহনপুর পুর পরিষদ এলাকাকে আরো সুন্দর এবং স্বচ্ছ রাখার লক্ষ্যে নতুন করে ১৮ জন সাফাই কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মোহনপুর পুর পরিষদ প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে সাফাই কর্মীদের হাতে নিয়োগপত্র, সাফাই সামগ্রী এবং তাদের পোশাক তুলে দিয়েছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি নব যুক্ত সাফাই কর্মীদের প্রতি আহ্বান রাখেন মোহনপুর পুর পরিষদ এলাকাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রত্যেকে সঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি আগামী বছর গোটা রাজ্যের মধ্যে স্বচ্ছ শহর হিসেবে মোহনপুর পুর পরিষদকে অন্যতম জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সাফাই কর্মী এবং পুর পরিষদ এলাকার জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল হবার আহ্বান করলেন মন্ত্রী। এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুরো পরিষদের সিইও সুভাষ দত্ত, চেয়ারপারসন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারম্যান শংকরদেব সহ অন্যান্যরা।
- প্রতিনিধি , উদয়পুর :- উদয়পুর মহকুমা শাসকের অফিসে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনগণ । সোমবার দুপুরে এই ধরনের ঘটনা সাক্ষী হয়েছে মহকুমার শাসকের অফিস । দেবজ্যোতি দেবনাথ নামে এক নাগরিক অভিযোগ করে বলেন , সোম , বুধ এবং শুক্রবার এই তিন দিন ওবিসি সার্টিফিকেট করার জন্য নির্ধারিত দিন ধার্য করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে পাঁচ মিনিট দেরি হওয়ার কারণে কোন ধরনের কাগজপত্র রাখা হয়নি। কিন্তু সোমবার দেবজ্যোতি দেবনাথ ছেলেকে নিয়ে পুনরায় উদয়পুর মহকুমা শাসকের অফিসে আসেন ওবিসি সার্টিফিকেট করার জন্য। কিন্তু দেখা যায় দুপুর ১২ টা বেজে গেলেও কোন আধিকারিক আসেনি ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করার সে কক্ষে। পরবর্তী সময়ে একজন আসলেও এক খারাপ ব্যবহারে লিপ্ত হন। দিনের পর দিন যেভাবে উদয়পুর মহকুমার শাসকের অফিসে জরুরী কাগজপত্র করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনগণ । তাতে করে একপ্রকার রাজ্য সরকারকেই বদনামের জায়গায় দাঁড় করাচ্ছে একাংশ কর্মচারী। রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা ।
শান্তির বাজার প্রতিনিধি: মনু ইয়ুথ সোসাইটি প্রতিনিয়ত নানান সামাজিক কর্মসূচী করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে এই সোসাইটির উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার মহকুমার কচিকাঁচা শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠীত করাহয় শিশুমেলা। অন্যান্যবছরেরন্যায় এইবছরও মনু ইয়ুথ সোসাইটির উদ্দ্যোগে তৈকর্ম স্কুল সংলগ্ন এলাকায় শিশু মেলা ও ফুড ফেষ্টিবেলের আয়োজন করাহয়। দুইদিনব্যাপী চলবে এইমেলা। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে আজকের অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করলেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। মন্ত্রীর পাশপাশি আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, শান্তির বাজার পুর পরিষদের চেয়ারম্যান সপ্না বৈদ্য, পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশিষ ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতে গিয়ে বক্তারা মনু ইয়ুথ সোসাইটির উদ্দ্যোগে এইধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনকরাতে সকলে সাধুবাদ জানান। অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্যশেষে ক্ষুদে শিশুদেরনিয়ে বিভিন্নপ্রকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করাহয়। মনু ইয়ুথ সোসাইটির উদ্দ্যোগে আয়োজিত আজকের এই মেলায় বগাফা ব্লকের অধীনে বিভিন্ন স্ব সহায়ক দলের সদস্যরা বিভিন্ন প্রকারের পিঠাপুলি নিয়ে নিজেদের ষ্টল সাজিয়ে তুলেন। দুইদিনের এই মেলাকে কেন্দ্রকরে মহকুমার বিভিন্নপ্রান্তথেকে ব্যাপকহারে লোকসমাগমঘটে।