প্রতিনিধি মোহনপুর:- “কৃষকদের সহায়তা করার জন্য সরকারের কোন ধরনের দুর্বলতা নেই। সরকার চাইছে প্রত্যেকটা কৃষকের আয় বৃদ্ধি হোক”। রবিবার বামুটিয়ায় সহায়ক মূল্যের ধান ক্রয় প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করে এই কথা বললেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী।
মোহনপুর মহকুমা এলাকাতে দুটি ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। একটি মোহনপুরে এবং অপরটি বামুটিয়ায়। রবিবার বামুটিয়া এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে শুরু হয়েছে ধান ক্রয়। দপ্তর বামুটিয়া কৃষি মহকুমা এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করার লক্ষ্য স্থির করেছে। তবে বামুটিয়া কৃষি মহকুমার এগ্রি সুপারিনটেন্ড রাজু রবিদাস জানান বামুটিয়া তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা চাইতে বেশি ধান দেবে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বামুটিয়ার মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস বলেন দপ্তর কৃষকদের বিভিন্নভাবে নিয়মিত সহায়তা করছে। তবে বিভিন্ন সবজি এবং ধানের বীজ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে উন্নত মানের এবং ভালো বীজ কৃষকদের সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে উদ্বোধকের ভাষণে বলাই গোস্বামী বলেন বর্তমানে কৃষকদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে সরকারের কোন ধরনের দুর্বলতা নেই। সরকার চাইছে কৃষকরা নিজের পায়ে দাঁড়াক। তার জন্য যত ধরনের সহায়তা প্রয়োজন সবকিছুই করতে প্রস্তুত সরকার। তিনি বলেন কৃষকদের সেচের সহযোগিতা করার জন্য পশ্চিম ত্রিপুরা এলাকাতে আরো ৫০০ সোলার পাম্প বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে সরকার নিয়মিত কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামুটিয়া ব্লকের বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য, কৃষি দপ্তরের সহ অধিকর্তা রঞ্জিত কুমার দাস , বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ,সহ অন্যান্যরা।
admin
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- বর্তমান যুবসমাজকে নেশার গ্রাস থেকে দূরে রাখতে এবার প্রশাসনের উদ্যোগে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এক কুইজ প্রতিযোগিতা । এই নিয়ে শনিবার সকাল ১১ টায় উদয়পুর মহকুমা শাসকের কনফারেন্স হল ঘরে এক প্রস্তুতি কমিটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । এই নিয়ে উদয়পুর মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার জানান , গোমতী জেলা, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা ও সিপাহীজলা জেলা এই তিন জেলাকে নিয়ে খাদ্য দপ্তর , পরিবহন দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে কলেজ ভিত্তিক । এই নিয়ে হয়েছে আজ প্রস্তুতি মিটিং । মহকুমা শাসক জানান , বৈঠকে ছিলেন জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, দপ্তরের ডিরেক্টর সুমিত লোধ সহ প্রমূখ । আগামী ১১ই জানুয়ারী রাজর্ষি হলে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। প্রতিটি কলেজ থেকে পাঁচজনের একটি দল তৈরি করা হবে । সর্বমোট ছয়টি দল অংশ নেবে এই প্রতিযোগিতায় । রাজ্যের খ্যাতনামা কুইজ শিক্ষকরা পরিচালনা করবেন। যুব সমাজের মধ্যে একটি বার্তা পাঠানো হবে যাতে করে কোন গ্রাহক কোন দোকানে জিনিস কেনাকাটা করার পর কোন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হয় । এছাড়া দুর্ঘটনার বিষয়ও সচেতনতা মূলক বার্তা দেওয়া হবে। একই সাথে নেশার উপর বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তাও দেওয়া হবে এদিন । এছাড়া মহকুমা শাসক বলেন , এছাড়া আগামী দিনে কুমারঘাট , ঊনকোটি, ধলাই জেলা ও উত্তর জেলা নিয়ে হবে এই ধরনের আরও একটি কর্মসূচি। অন্যদিকে পশ্চিম জেলা সাথে খোয়াইকে নিয়ে যুক্ত হবে এই সচেতনতা মূলক বার্তা কর্মসূচি । গোটা কর্মসূচ এর মধ্য দিয়ে যুবসমাজকে বার্তা দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নেশার কবল থেকে যাতে দূরে থাকে এবং এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জ্ঞান বুদ্ধি বিকাশ পাবে এটাই হচ্ছে সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানান উদয়পুর মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জনজাতি এলাকাগুলিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কেননা সিপিআইএম শাসনকালে রাজ্যের জনজাতিদের সাথে শুধু মাত্র ভোটের রাজনীতিই হতো এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে উনাদের সাথে প্রতারণা করতো সিপিএম নেতৃত্বরা। ঠিক একই রূপ ভাবে মাতাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত মালসাধু এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ৭০ বৎসর ধরে পানীয় জল সংগ্রহের কোন সুবিধা নেই এবং তৎকালীন সরকার এই এলাকায় পানীয় জল সংগ্রহের জন্য কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। যার দরুন এই এলাকার জনগণকে দূর-দূরান্ত থেকে ছড়া এবং ঝর্নার জল সংগ্রহ করে খেতে হতো। যার ফলে এই এলাকার জনগণকে প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো। আর এই অসুবিধার কথা চিন্তা করেই মালসাধু ইনোভেশন জল সরবরাহ প্রকল্প তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ মালসাধু ইনোভেশন জল সরবরাহ প্রকল্প এর ভূমি পূজন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । বিধায়ক বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে এই পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পটি তৈরি হয়ে যাবে। যার ফলে এই এলাকার জনগণকে আর পানীয় জল সংগ্রহ করতে দূর দূরান্তে যেতে হবে না। অতি অনাহাসে জল সংগ্রহ করে পান করতে পারবেন এলাকাবাসী। যার দরুন এলাকাবাসী রাজ্যে এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে মহামান্য রাজ্যপাল
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মনু নদীর অববাহিকায় সবুজ বনানীর কোলে আজ থেকে ৭৫ বছর আগে যে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আজ সেই বিদ্যালয় মহীরুহের মতো দাঁড়িয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের জীবনে শিক্ষার আলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলিত করেছে।ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষের আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে মহামান্য রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লুর হাত ধরে। বিদ্যালয়ের এই স্বর্ণজ্জ্বোল মুহূর্তে সাক্ষী ছিলেন অনেক গুণীজনেরা।মহামান্য রাজ্যপালের আগমনের সাথে সাথেই জাতীয় সংগীতের সুরে সকলেই দেশমাতৃকার প্রতি অভিবাদন জানিয়েছেন।এরপর মঙ্গল শিখা প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন এবং ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ত্রিপুরার মহামান্য রাজ্যপাল। উপস্থিত ছিলেন ফটিকরায় বিধানসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুধাংশু দাস,সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ রঞ্জন পাল।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি নীলকান্ত সিনহা।উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ফটিকরায় কালচারাল সেল ও নৃত্য পরিবেশন করেন ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর ছাত্রীবৃন্দ। ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এই বিদ্যালয়টির প্রারম্ভিক সময়ের কথা প্রসঙ্গত উল্লেখ করেছেন।এই বিদ্যালয় তৈরীর ক্ষেত্রে যিনি মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রাক্তন বিধায়ক সমাজকর্মী সংস্কৃতিমনস্ক শিক্ষানুরাগী প্রয়াত গোপেশ রঞ্জন দেব। এছাড়াও অসংখ্য শিক্ষানুরাগী গুণীজনদের ঐকান্তিক প্রয়াস ও নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে এই ফটিকায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় তার ক্রমোন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার শক্তি সঞ্চারিত করেছিল।এই বিদ্যালয় বর্তমানে শিক্ষা, সংস্কৃতি,ক্রীড়া,বিজ্ঞান, প্রযুক্তি,জ্ঞান চর্চা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই জেলা তথা রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয় কে টেক্কা দিয়ে চলছে। বিদ্যালয়ের ঝুলিতে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্তি হয়েছে।২০১৪ এবং ২০১৯ সালে ত্রিপুরা সরকার কর্তৃক বেস্ট স্কুল অফ ত্রিপুরা এওয়ার্ড ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় পেয়েছে। দুবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক সুজিত কুমার চৌধুরী ও কল্যাণ কুমার পুরকায়স্থ। যেখানে এই বিদ্যালয়টি রয়েছে সেখান থেকেই ফটিকরায় আম্বেদকর কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল তৎকালীন সময়ে। বর্তমানে বিধানসভার বিধায়ক তথা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের হাত ধরে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ত্বরান্বিত হচ্ছে। নতুনভাবে শুরু হয়েছে হেরিটেজ বিল্ডিং এর কাজ। যা কিছুদিনের মধ্যেই সমাপ্ত হয়ে এই স্কুলের সৌন্দর্যায়নকে আরো পল্লবিত করবে।মন্ত্রী সুধাংশু দাস তার বক্তব্যে বিদ্যালয়ের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং বর্তমান সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা সাথে যুক্ত হয়ে এই স্কুলের ক্রমোন্নয়ন এবং গুনগত শিক্ষা চর্চার প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করেন। মহামান্য রাজ্যপাল বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত বিধায়ক গোপেশ রঞ্জন দেবের স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি বিদ্যালয়ের পরিকাঠামগত উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ফটিক রায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় স্বমহিমায় আজ মহীরূহের মতো দাঁড়িয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে অগণিত বিদ্যার্থীদের মধ্যে। কেননা একটি স্কুলই হচ্ছে জীবন মুখরতার বিরলতর চত্বর,যেখানে মানুষ মানুষ হয়ে ওঠে মানুষের মধ্যে মানবিকতা বোধ জেগে ওঠে। মানুষের মধ্যে জীবনচর্চার সমস্ত উপাদান ভরে দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পর্ব শেষে তারপর আর্ট এক্সিবিশনের আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক উন্মোচন করেন মহামান্য রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু।
অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সন্মানিত উদ্যান বিজ্ঞানী ডাঃ রতন দাস
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ঊনকোটি এর উদ্যান বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডঃ রতন দাস দীর্ঘদিন ধরে উদ্যান বিভাগে গবেষণা,নতুন প্রযুক্তির সন্ধান,কৃষি সম্প্রসারণের উপর কাজ করে চলেছেন।ওনার প্রচেষ্টা কৃষক সমাজে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে এবং কৃষক মহলে সারা জাগিয়েছেন।ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ (আই. সি.এ.আর.) এর সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় উন্নত মানের বীজ এবং অন্যান্য সামগ্রী কৃষকদের হাতে তুলে দিতে সচেষ্ট হয়েছেন।বিজ্ঞান এবং কৃষক সমাজের প্রতি উনার অবদান এবং নিরলস চেষ্টাকে মাথায় রেখে ত্রিপুরা সরকার ২রা জানুয়ারি ২০২৫ ইং ডক্টর রতন দাসকে অদ্বৈত মল্লবর্মন স্মারক সম্মান এ্যাওয়ার্ড -২০০৫ ভূষিত করেন,যা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা ওনার হাতে তুলে দিয়েছেন।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর, মৎস্য এবং তফশিল জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস ও বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৪ জানুয়ারি।। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়ন ঘটেছে। রোগীরা পাচ্ছে চব্বিশ ঘণ্টা পরিষেবা। আউটডোর ইনডোর ইমারজেন্সি পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু করেছে বর্তমান সরকার। রয়েছে সিজারিয়ান ডেলিভারির ব্যবস্থা। মেডিসিন, চক্ষু, প্রসূতি, দন্ত, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ রয়েছে। এতে উপকৃত হচ্ছে মহকুমার নাগরিকরা। কিন্তু বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে একাংশ। শনিবার বিশালগড় মহকুমা হাসপাতলে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অরিজিৎ সিনহা বলেন একটি প্রভাতী পত্রিকায় স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং এমওআইসি ডাঃ রাজিব সরকার এর নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় বিধায়ককে জড়ানো হয়েছে। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা ও পরিচালনা নিয়ে এক অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে । হাসপাতাল আধিকারিক ও বিধায়ক সম্পর্কে টুপি পরানোর মতো নিম্নমানের ও অসম্মানজনক মন্তব্য করা হয়েছে সংবাদে। তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে কিছু অযৌক্তিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যেমন জেনেরিক কাউন্টারে ড্রোটিন নামক ট্যাবলেট নেই, হাসপাতালে এলডিসি স্টাফ নিয়ে ও ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়,হাসপাতালে এমওআইসি নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশিত হয়, এমনকি হাসপাতালে ঔষধ স্টোরের কারনে প্রতিবছর প্রচুর ঔষধ নষ্ট হচ্ছে বলে যে ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়। সেগুলো কে অপ্রাসঙ্গিক বলে সঠিক তথ্য সাংবাদিক সন্মেলনে তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন হাসপাতালে ড্রোটিন নামক ঔষধটি আসলে একটি ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ঔষধ। কোন ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ঔষধ জেনারিক কাউন্টারে থাকে না। হাসপাতালে বর্তমানে ছয় জন এলডিসি স্টাফ আছে। সংবাদে চৌদ্দ জন এলডিসি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বিনামূল্যে সব ধরনের পরিষেবা প্রদান করা হয়। এমন কি ওপিডিতে আসা রোগীদের ও প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রদান করা হয়। হাসপাতালে এক্সরে,ইউএসজি,
এফএনএসি,পিএপি, ইত্যাদি পরীক্ষা সহ একশ এর বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মীরা তাদের নিরন্তর দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন বলে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল বিগত দিনে কায়াকল্প, আয়ুষ্মান পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এই হাসপাতালের সন্মান নষ্ট করতে এবং সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি এই অসত্য সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-লোক সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে এবং কৈলাসহর পুর পরিষদের সহযোগিতায় আজ থেকে আইটিআই ময়দানে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী রাজ্য ভিত্তিক বাউল উৎসব-২০২৫। আজ সন্ধ্যা ৭টায় এই সাংস্কৃতিক আয়োজনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী টিংকু রায়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন,ত্রিপুরার সংস্কৃতির সঙ্গে বাউল সংগীতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।বাউল গান আমাদের লোকসংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংশ।এই আয়োজন রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত করবে।তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন যে এই উৎসব রাজ্যের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে।এই বাউল উৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য ত্রিপুরার লোক সংগীতের প্রচার ও প্রসার। দুদিনের এই উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বাউল শিল্পীরা তাঁদের পরিবেশন করবে।রাজ্য ভিত্তিক এই বাউল উৎসব শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক উপভোগের ক্ষেত্রেই নয়,বরং ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- ২ নং মোহনপুর মন্ডলের নতুন মণ্ডল সভাপতিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হলো মোহনপুর পুরো পরিষদের নির্বাচিত সদস্য সদস্যদের তরফে। মোহনপুর পুর পরিষদের কনফারেন্স হলে নতুন মণ্ডল সভাপতি কার্তিক আচার্যকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন নেতৃত্বরা। এই সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন উনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারম্যান শংকর দেব সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। যেদিন সংবর্ধনা প্রদানের পাশাপাশি নতুন মণ্ডল সভাপতি এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃত্বরা এলাকার উন্নয়নে মতবিনিময় করেছেন। পাশাপাশি মোহনপুর বিধানসভা এলাকায় বিজেপিকে আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দিয়ে করা হয়েছে আলোচনা।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ৪ঠা জানুয়ারি। শনিবার এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তেলিয়ামুড়া আর ডি ব্লকের অধিন দক্ষিণ পুলিনপুর ভিলেজ কমিটি অফিস গৃহের নবনির্বাচিত পাকা ভবনের দ্বারো দঘাটন হয়। শনিবার এই পাকা ভবনের উৎবোধন করেন ত্রিপুরা বিধানসভার মূখ্য সচেতক শ্রীমতী কল্যাণী সাহা রায়।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতি চেয়ারম্যান দীপা দেব। তেলিয়ামুড়া বি.এ.সি চেয়ারম্যান ওয়ান লাল রাঙ্কল । পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান নির্মল সূত্রধর।
বিশিষ্ট সমাজসেবক অচিন্ত ভট্টাচাৰ্য ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, আর.ডি. তেলিয়ামুড়া ডিভিশন। তেলিয়ামুড়া ব্লকের ভিডিও বিপ্লব আচার্জি।
আজ তেলিয়ামুড়া হদ্রাই এলাকায় দক্ষিণ_পুলিনপুর_ভিলেজ_কমিটির নবনির্মিত এই পাকা ভবনের শুভ উদ্বোধন করে মূখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় বলেন – নতুন অফিস গৃহ চালু হওয়ায় এলাকাবাসী এখন সহজেই সরকারি পরিষেবা গ্রহণে আরো বেশি সুবিধা পাবেন।
এটি এলাকার উন্নয়নের একটি মাইলফলক। এই উদ্যোগ দক্ষিণ পুলিনপুর ভিলেজ কমিটির উন্নয়নে নতুন দিশা দেখাবে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীমতি রায় আরো বলেন, রাজ্য সরকার শহর এবং গ্রাম দুটির একই সাথে উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করছে। গ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত না হলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই রাজ্য সরকার কি পাহাড় কি সমতল, কি গ্রাম প্রতিটি এলাকার উন্নয়ন কর্মসূচি নিচ্ছে। নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আজ দক্ষিণ পুলিনপুরের সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরিবেশন করে।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :মনপাথর ফাঁড়ী থানার ওসি জয়ন্ত দাস প্রতিনিয়ত নিষ্ঠার সহিত কাজকরেযাচ্ছেন। কোনোপ্রকার অন্যায়কে পশ্রয় দেননা ওসি জয়ন্ত দাস। তিনি আইনের রক্ষক হয়ে কাজকরার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত সমাজসেবা মূলক কাজকরেথাকেন। জয়ন্ত দাসের এইধরনের কাজের জন্য তিনি সকলের মনে বিশেষ জায়গাকরেনিয়েছেন। জয়ন্ত দাস মনপাথর ফাঁড়ী থানায় থাকাকালিন অপরাধের সংখ্যা অনেকটা কমেছেন। এরইমধ্যে দেখাযাচ্ছে যুবসমাজকে ধ্বংস করারলক্ষ্যে কিছু সংখ্যক লোকজন নেশার রমরমা ব্যাবসা করছে। রাজ্যসরকার চাইছে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠন করতে। রাজ্যসরকারের উদ্দ্যেশ্যকে সাফল্যমন্ডীত করতে কাজ করেযাচ্ছে ওসি জয়ন্ত দাস। উনার এলাকায় উত্তর তাকমা এলাকায় গাঁজা চাষের খবর পেয়ে বিশালবড় পুলিশ বাহিনী নিয়ে গাঁজা বাগান ধ্বংস করেন। শুক্রবার সকালবেলা এই অভিযান চালানোহয়। আজকের এই অভিযানে প্রায় ২ হাজার গাঁজা গাছ নষ্ট করাহয় বলে জানাযায়। ওসি জয়ন্ত দাসের নেতৃত্বে বিগতদিনেও এইধরনের অভিযান চালাতে দেখাযায়। জয়ন্ত দাসের এইধরনের অভিযানে খুবই খুশি স্থানীয় লোকজনের। সকলে আশাবাদী ওসি জয়ন্ত দাসের নেতৃত্ব যুব সমাজ নেশার করলগ্রাস থেকে মুক্তিপাবে । নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের সঠিক পথ দেখাচ্ছে ওসি জয়ন্ত দাস। জানাযায় ওসির এইধরনের অভিযান আগামীদিনেওজারীথাকবে।