দেশে বাঘের হানায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে প্রতি সপ্তাহে বাঘের হামলায় মারা গিয়েছেন অন্তত দু’জন। বলছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান। সেই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেই দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালে বাঘের হানায় মৃত্যুর সংখ্যা দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ গুণ।
গত কয়েক বছরে বাঘের হানায় সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। দেশে বাঘের হানায় মোট যত মৃত্যু হয়েছে, তার ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশই হয়েছে পশ্চিমের এই রাজ্যে। ২০২২ সালে দেশে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে ১১২ জনের। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সেখানে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
মানুষ এবং বন্যপ্রাণের সংঘাত ক্রমে কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার কারণও জানিয়েছে মন্ত্রক। তাদের মতে, বন্য জীবজন্তুদের বাসস্থানে কোপ পড়ছে। সেই সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক খাদ্যের জোগানও কমে আসছে। মন্ত্রক এও জানিয়েছে, এই সময়পর্বে বন্যপ্রাণীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে তারা আরও বেশি করে হামলা চালিয়েছে মানুষের উপর। ২০২২ সালের ‘অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশন রিপোর্ট’ বলছে, ভারতে ওই বছর বাঘের সংখ্যা ছিল ৩,৬৮২ (ন্যূনতম ৩,১৬৭ থেকে সর্বাধিক ৩,৯২৫)। তার আগে ২০১৮ সালে দেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ২,৯৬৭ (ন্যূনতম ২,৬০৩ থেকে সর্বাধিক ৩,৯২৫)। সেই হিসেবে প্রতি বছর বাঘের সংখ্যা প্রায় ৬ শতাংশ করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে মারা গিয়েছে ১২১টি বাঘ। হিসাব মোতাবেক, প্রতি তিন দিনে একটি করে বাঘের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫৫০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। বছরে গড়ে ১১০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। ১২৮টি বাঘ স্বাভাবিক কারণে মারা গিয়েছে। ১১৪টির মৃত্যু হয়েছে চোরাশিকারিদের হাতে। ২৯০টি বাঘের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।