ধর্মনগর প্রতিনিধি।
বিকেলে ঐতিহ্যবাহী প্রত্যেক রায়ের ১৩৭তম পৌষ মেলার উদ্বোধন হল। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, প্রত্যেক রায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধাংশু নাথ, কালা ছড়া আর ডি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন টিংকু শর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কাজল দাস, সভাপতিত্ব করেন গৌরমনি নমঃ। এই মেলা চলবে পাঁচ দিন ধরে। উদ্বোধন করে বিশ্ববন্ধু সেন বলেন এই মেলা ১৩৭ বছর এবার নিয়ে হল তা আস্তে আস্তে ১৫০ বছর ২০০ বছর হবে তখন আমরা থাকবো না। এই মেলার জন্ম লগ্ন থেকে আমাদের দেখা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতাকে যেমন আমরা কেমন করে পেয়েছি তা দেখিনি তেমনি এই মেলাও কেমন করে শুরু হয়েছিল তা দেখার সৌভাগ্য আমাদের হয়নি। বৈষ্ণবী দাসী নামে একজন এই প্রত্যেকায় মেলার উদ্বোধন করেছিলেন। এই মেলার নাম কেন পৌষ সংক্রান্তি মেলা হল তা তিনি বিশ্লেষণ করেন। তীর্থ মুখ মেলা একটা ক্ষতিসম্পন্ন মেলা পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলা পৃথিবী জুড়ে সুনাম রয়েছে কিন্তু এই মেলা কে কেন সংহতি মেলা নাম দেওয়া হলো তার কোন সঠিক তাৎপর্য নেই। মাঝের ৩৫টি বছর বিভিন্নভাবে আমাদেরকে পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তিনি উত্তর ত্রিপুরায় পৌষ মেলা হিসেবে রাধা কুন্ডে স্নান করার যে ব্যবস্থা বানিয়েছেন বাগবাসা এলাকার বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ তার জন্য তিনি বিধায়ককে ধন্যবাদ জানান। কারণ উত্তর ত্রিপুরায় কোন কুন্ড ছিল না যেখানে পুর্নাথীরা স্নান করে তাদের পূর্ণতা অর্জন করতে পারে। আগামী ২২ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে রাম মন্দিরের দ্বার উদঘাটন হতে চলেছে। এই ঘটনাকে অনেকে ই ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পৃথিবীর বৃহত্তম মসজিদের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। সংযুক্ত আরব আমির সাহিতে ২২ ফেব্রুয়ারি এক স্মরণীয় মন্দির উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্য কিছু করছেন তা নয়। সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস এই মর্মে দীক্ষিত হয়ে প্রতিটি ধর্মের প্রতিটি জাতির জন্য বিশেষ বিশেষ কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কিন্তু তিনি যেভাবে প্রত্যেক ধর্ম প্রত্যেক জাতির জন্য কাজ করে চলেছেন তাকেই বলে প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা। মধ্যের ৩৫ টা বছর হিন্দু ধর্ম ের মানুষকে বঞ্চিত করে একটা বিশেষ ধর্মের মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। বঞ্চিত করা হয়েছিল হিন্দুদের। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবার বিকাশ করতে গিয়ে হিন্দু ধর্মের পাশাপাশি প্রতিটি ধর্মকে সমান মর্যাদা দিয়ে উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। উল্লেখ্য প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন স্ব সহায়ক গোষ্ঠীর স্টল গুলি তাদের পসড়া নিয়ে বসে এবং মেলার প্রথম দিন থেকেই হাজার হাজার মানুষের জনসমাগম শুরু হয়ে যায়।
ঐতিহ্যবাহী ১৩৭ তম পাঁচ দিনব্যাপী পৌষ মেলার উদ্বোধন করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।
167