প্রকল্পের সময়সীমা ভাঙার জন্যই যেন রাখা হচ্ছে নতুন নতুন সময়সীমা। এক বার নয়, বার বার। কবে যে কাজ শেষ হবে, তা জানা নেই প্রশাসনেরও। কর্তাব্যক্তিরা মাঝেমধ্যে হুঙ্কার ছাড়েন বটে, কিন্তু ওই পর্যন্তই। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। আর তাই কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজও বিশেষ এগোয় না। এ বার জানা গিয়েছে, কাজের যা গতি, তাতে আগামী বছরের পয়লা বৈশাখের মধ্যেও তা শেষ করা নিয়ে সংশয় আছে। পয়লা বৈশাখে প্রতি বছরই কালীঘাটে প্রবল ভিড় হয়। তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের প্রশ্ন, একটা স্কাইওয়াক তৈরি হতে আর কত দিন লাগতে পারে?
প্রথম দফায় চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যেই স্কাইওয়াকের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায়। এর পরে মুখ্যসচিব নবান্নে বৈঠক করে নির্মাণ সংস্থাকে নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। সেই সময়সীমাও অচিরেই পেরোবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে আগামী বাংলা নববর্ষেও কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে ঘোরতর সংশয় রয়েছে। নির্মাণ সংস্থার এক আধিকারিক দাবি করেন, ‘‘স্কাইওয়াক নির্মাণে দেরির পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম, পুরসভা বিল মেটাতে দেরি করছে। এর পাশাপাশি, কালীঘাটের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় মাটির নীচে থাকা ব্রিটিশ আমলের জল ও নিকাশির পাইপলাইন অক্ষত রেখে কাজ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’’ পুরসভার তরফে এক শীর্ষ আধিকারিক অবশ্য নির্মাণ সংস্থার দেরিতে টাকা পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘পুরসভা ঠিক সময়েই টাকা দিচ্ছে। আসলে ওদের কাজে ঢিলেমির জন্যই এত দেরি হচ্ছে।’’