প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
গত সপ্তাহে দক্ষিণ ত্রিপুরার মনুবাজার এলাকার বাসিন্দা এক মহিষ নিয়ে এসেছিলো মানসী দেওয়ার জন্য । কিন্তু তখন মহিষ হঠাৎ ছুটে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির এলাকায় তাণ্ডব জেলায় । ভাঙচুর করা হয় বহু গাড়ি ও বাড়িঘর । এক অলক্ষণের ছায়া সকলে দেখতে পেয়েছিল দর্শনার্থীরা । আর তার ঠিক সাত দিনের মাথায় অমাবস্যার মঙ্গলবার দুপুরে খোয়াই এলাকার ও বাসিন্দা সঞ্জয় তাঁতি , পেশায় গাড়ি চালক । আজ এই পূর্ণাথী মাতাবাড়িতে আসেন পূজো দেওয়ার জন্য । মাতার বাড়িতে পৌঁছে মন্দিরের অফিস কক্ষ থেকে পাঠা বলির জন্য একটি কুপন কেটে নেন তিনি । যার ক্রমিক নাম্বার ১২ । জানা গিয়েছে পাঁঠাটিকে স্নান করিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে তৈরি করে । তখন একের পর এক পুরহিত মশাই পাঠা বলি দিয়ে যাচ্ছিলেন । তখন হঠাৎ ক্রমিক নাম্বার ১২ সঞ্জয় তাতি ডাক পড়ে তার পাঁঠাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরোহিত মশাইয়ের কাছে । তখন পুরোহিত মশাই কাছে পাঁঠাটি নিয়ে পৌঁছতেই পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পূজোর জনা দেয় পাঁঠাটিকে । যখন পুরোহিত মশাই তার উপর বলি দিতে যায়। সে সময় একের পর এক বড় রামদা পাঁঠাটির মাথা থেকে উঠে আসছিল । এমন একের পর এক দেওয়ার পর ২৮ বারের কোপে গিয়ে পাঠা বলি দেওয়া হয়। সে সময় মন্দিরে থাকা অন্যান্য পূর্ণরাক্ষীরা এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতেই উলুর ধ্বনি ও মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে । এই ধরনের অনাচার থেকে যেন মা রক্ষা করে তাদের । একদিকে অমাবস্যা অন্যদিকে এই ধরনের ঘটনা মাতাবাড়িতে এক প্রকার ছমছম দিয়ে উঠেছে মাতার বাড়িতে আসা পুণ্যার্থীদের । গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় গোটা ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দির চত্বর এলাকায়