একদিনে জোড়া স্বস্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। উপরাজ্যপালের মনোনীত পুর সদস্যরা দিল্লির মেয়র নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই জানা গেল, ২০১৪-য় বিতর্কিত ভাষণ নিয়ে মামলাও স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভাষণের মামলাটি শুরু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এক নিম্ন আদালতে। শুক্রবার, বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নার বেঞ্চ সেই মামলা স্থগিত করে দিয়েছে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার আগামী শুনানি পর্যন্ত কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট কোনও আদালত। পাঁচ সপ্তাহ পর এই মামলার আবার শুনানি হবে।
গত ১৬ জানুয়ারি কেজরীওয়াল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিতর্কিত ভাষণ মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর দায়রা আদালতে এই মামলাটি দায়ের হয়। আদালত প্রাথমিক ভাবে কেজরীওয়ালের ভাষণে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাই কোর্টে যাওয়া হয়। হাই কোর্টও দায়রা আদালতের রায়ই বহাল রাখে। কেজরীওয়াল এই মামলা থেকে অব্যাহতিরও আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। তার পর কেজরীওয়াল দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। শুক্রবার কেজরীওয়ালের পক্ষে সওয়াল করেন কংগ্রেস নেতা তথা সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
একই দিনে দিল্লির এমসিডিতে মেয়র নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাতেও জয় পেয়েছে আপ। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা দিল্লির নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে মেয়র নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তকেই শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আপের মেয়র পদপ্রার্থী শেলি। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়।