Home » প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ৯৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে ধর্মনগরে উন্মোচিত হলো অটল বিহারী বাজপেয়ির মর্মর প্রতিকৃতি

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ৯৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে ধর্মনগরে উন্মোচিত হলো অটল বিহারী বাজপেয়ির মর্মর প্রতিকৃতি

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রবিবার সন্ধ্যায় ধর্মনগরের বাবুর বাজার এলাকায় উন্মোচিত হলো ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপির মর্ম প্রতিকৃতি এবং নাম রাখা হলো অটল কর্নার। উন্মোচন করেন উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন উপস্থিত ছিলেন পুর পরিষদের চেয়ারপারসন প্রদ্যুৎ দেয়া সরকার সমাজসেবী শ্যামল নাথ কাউন্সিলর সুপর্ণা চৌধুরী সহ অন্যান্য পুর পরিষদের নির্বাচিত সদস্য সদস্যরা। স্থানীয় শিল্পী সুরজ এই প্রতিকৃতি নির্মাণ করেছে। উন্মোচনের পর পূর্ব থানার এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপাধক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেন বলেন সকলের দাবি মত এই রাস্তাটির নাম অটল বিহারী সরণী রাখা হবে। তিনি ধর্মনগরকে সৌন্দর্যময় করে তোলার জন্য নাগরিকদের প্রতি সমৃদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ঘর ঘর সুশাসন এই প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে ধর্মনগর পুরো পরিষদ দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে এবং রবিবার পুরো পরিষদের ভাইস চেয়ারপারসন মঞ্জ নাথ এই পুরস্কার গ্রহণ করছেন বলে জানানো হয়। তিনি বলেন ২৫ বছরের ধর্মনগরের মানুষ কাণ্ডজ্ঞানহীনতা ঘোষনা দেওয়া সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অনেক কিছু শিখেছে ।এগুলি থেকে বেরিয়ে আসতে ধর্মঘরবাসীর কিছুটা সময় আরো লেগে যাবে। বিবিআই মাঠে স্কুল প্রাঙ্গনে মুক্ত জিম বানানোর ছয় মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। তারপর পুত্র দপ্তরের সহায়তায় এগুলিকে ব্যস্ত দেওয়া হয়। ধর্মনগরে আরো তিনটি মুক্ত জিম বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাজারে প্রায়ই শোনা যায় এই সরকার চাকরি দিল না কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার চাকরি হয়েছে এবং প্রতিটি চাকরি সুনির্দিষ্ট আইন মোতাবেক হয়েছে। অর্থাৎ মামলা করলেও কোন কিছু হবে না। রাজ্যে এক লক্ষ 59000 ঘর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে এর সাথে যুক্ত প্রত্যেকে রোজগারের ব্যবস্থা হয়েছে এই সরকারের ব্যবস্থাপনা। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বলেন কংগ্রেস সিপিএমের জোট ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রয়াস চালাচ্ছে। আগরতলার এক কংগ্রেস নেতা যিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চান তার তীব্র সমালোচনা করেন। সিপিএমের সন্ত্রাসে যেসব কংগ্রেস কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে সেই সিপিএমের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে। যারা এখনো কংগ্রেস করেন এবং সিপিএমের কাছে মাথা নত করেনি তাদের সাথে তিনি রয়েছেন বলে জানান। ধর্মনগর থেকে মাফিয়া রাজ চান্দাবাজ দূর হয়ে গেছে। এখন তা কেউ পুনা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে তা কোনভাবেই করতে দেওয়া হবে না। সুনাগরিকরা যেকোনো দলেরই হোক না কেন তারা সর্বদা সমাদৃত। এবার ওনার সহযোগীদের কথায় তিনি ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী। সবাইকে বিচার বুদ্ধি করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতে আহ্বান জানান। পুরো পরিষদের চেয়ারপারসন প্রদ্যুৎ দেয়া সরকার জানান তারা আগে কাজ করে পরে মাইকে বলে। আগের সরকার মাইকে বলে কাজ না করেই মানুষকে প্রতারিত করতে চাইতো। রাস্তা থেকে শুরু করে নর্দমা প্রতিটি ক্ষেত্রে আগের সরকারের অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেন চেয়ারপারসন।

You may also like

Leave a Comment