Home » চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের দ্বারোদঘাটন

চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের দ্বারোদঘাটন

by admin

প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো। ৭৬ বছর পর ঐতিহ্যবাহী চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় পেলো আধুনিক মানের দ্বিতল বাড়ি। বুধবার বিকালে দ্বীতল বিশিষ্ট ভবনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন। এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। এছাড়া ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত , গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার স্বপন কান্তি দাস, চড়িলাম বিএসি চেয়ারম্যান জাকুলো দেববর্মা, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনিময় ভৌমিক , জেলা শিক্ষা আধিকারিক হাবুল লোধ প্রমুখ । ফিতা কেটে বিদ্যালয় ভবনের দ্বারোদঘাটন এবং ফলক উন্মোচন করেন দুই মন্ত্রী। এই স্কুলটি ১৯৪৬ সালে স্থাপিত হয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী স্কুলটি পরিকাঠামোগত অব্যাবস্থায় ধুঁকছিল। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্কুলটি পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি জরাজীর্ণ স্কুলটিকে আধুনিক মানের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আজ চড়িলাম বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়কের প্রতিশ্রুতি পূরণ হলো। শুধু আধুনিক মানের বাড়ি নয়। এই স্কুল বিদ্যাজ্যোতি স্কুল হিসাবে স্থান পেয়েছে। ২০২০ সালে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গ্রামোন্নয়ন দপ্তর এই নির্মাণ কাজ করেছে। খরচ হয়েছে ৭ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। এই স্কুলের নয়া নামকরণ হয়েছে। ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় নামাঙ্কিত নবনির্মিত ভবনে মোট শ্রেণিকক্ষ রয়েছে ২০ টি, ডাইনিং রুম একটি, টিচিং রুম দুটি, অডিডিয়াম রুম একটি, লাইব্রেরি চারটি। ভাষণে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন ২০১৮ সালে আমি যখন চড়িলামে এসেছিলাম আমাদের কার্যকর্তাসহ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা দুইটি দাবি রেখেছিলেন। একটি দাবি চড়িলামে মিনিস্ট্রিডিয়াম অপরটি হলো চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় আধুনিকমানের করা। এই দু’টি দাবি পূরণ হয়েছে। ৭৬ বছর পর পাকা বাড়ি পেয়েছে স্কুলটি । শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন এমন বিদ্যালয় আমি আর কখনো দেখিনি। এই বিদ্যালয়ে প্রবেশপথে সরস্বতীর ছবি বসানো হয়েছে। এটা প্রশংসনীয়। ৫ বছরের মধ্যে করোনা মহামারী পরিস্থিতি বাদ দিলে মাত্র আড়াই বছরে মিনি স্টেডিয়াম, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ডিএম অফিস, চড়িলামে ঘরে ঘরে জল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর, বিদ্যুৎ, রাস্তা সবই হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট নির্মাণ কাজ চলছে। চড়িলাম সেজে উঠছে। যারা দীর্ঘদিন সুযোগ পেয়ে কাজ করেনি তারা আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আপনারাই ঠিক করবেন কারা প্রকৃত উন্নয়ন করতে পারে। কারা এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে পারে। এদিন ঐতিহ্যবাহী স্কুল বাড়ির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে প্রচুর সংখ্যক নাগরিক এবং প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত নৃত্য পরিবেশন করেন।

You may also like

Leave a Comment