তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ–
শুখা মরসুম শুরু হতেই গ্রাম পাহাড়ে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়।পাহাড়ের পাথর চুষা কিংবা ছড়ার অপরিশ্রুত জলই একমাত্র পানীয় জলের উৎস। জল সঙ্কট দূরীকরণে ব্যার্থ এ.ডি.সি প্রশাসন। সুখা মরসুম কিংবা বর্ষাকালে ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের থেকে বঞ্চিত প্রত্যন্ত এলাকায় উপজাতি গিরিবাসিরা। পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট লেগে থাকলেও সঙ্কট দূরীকরণের নেই কোনো ব্যাবস্থা। বিশুদ্ধ পানীয় জলের সঙ্কট তেলিয়ামুড়া মহাকুমা’র মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন কাঁকড়া ছড়া এ.ডি.সি ভিলেজের হাজরা পাড়ায়।
জানা যায়, তেলিয়ামুড়া শহর থেকে চড়াই-উৎরাই পাহাড়ি মেঠো পথ পার করে যেতে হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের প্রত্যন্ত হাজরা পাড়ায়। বর্তমানে ওই এলাকায় প্রায় এক শতাধিক জনজাতি পরিবারের বসবাস। ওই এলাকার প্রত্যেকটি পরিবারে জুমচাষের মধ্য দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ১ শতাধিক পরিবারের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাবহৃত জলের একমাত্র উৎস হল পাহাড়ের বিশাল আকার পাথর থেকে চুইয়ে পড়া দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকা অপরিশ্রুত জল। ওই এলাকার জনজাতি প্রত্যেকটি পরিবারের অন্যান্য মৌলিক সমস্যা গুলির কথা না তুলে ধরলেও পানীয় জলের জন্য যে প্রতিদিন সংগ্রামে লিপ্ত থাকতে হচ্ছে, একথা তুলে ধরেন। ওই এলাকায় বসবাসকারী এলাকাবাসীদের একটাই দাবি বিশুদ্ধ পানীয় জলের।
ওই এলাকায় এক জনজাতি মহিলা জানান,, তিনি জানান তাদের পানীয় জলের একমাত্র উৎস হল পাথর চুইয়ে পড়া গর্তে জমানো জল। কারণ গাড়ির মাধ্যমে জল প্রতিনিয়ত পাওয়া যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে পূর্ব-পুরুষদের শেখানো পথ অনুসরণ করেই পানীয় জলের তৃষ্ণা মেটাতে হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবছর শুখা মরসুম শুরু হতে পানীয় জলের উৎস খোঁজার জন্য দূরদূরান্তে পাড়ি দিতে হচ্ছে সকলকে।
এই অস্বাস্থ্যকর জলের উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি পরিবারের খাবারের জল থেকে শুরু করে স্নান, বাসন মাজার জলের একমাত্র ব্যাবস্থা। আর এই অপরিশ্রুত পানীয় জল পান করে শূন্য থেকে আশির সকলেই জল বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর তরফ থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যাবস্থা করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় তিপ্রা মথা নেতাদের দ্বারস্থ হয়ে থাকলেও, পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণে এগিয়ে আসছে না কেউই। এখন দেখার বিষয়, সংবাদটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের টনক নড়ে কিনা। স্থানীয় গিরি-বাসীদের মধ্য থেকে দাবি উঠতে শুরু করে দিয়েছে এ.ডি.সি প্রশাসন যাতে অতি দ্রুত তাদের বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যাবস্থা করে দেয়।
বিশুদ্ধ পানীয় জলের সঙ্কট তেলিয়ামুড়া কাঁকড়া ছড়া এ.ডি.সি ভিলেজের হাজরা পাড়ায় ……
120