Home » কল্যানপুরের রতিয়া দুর্গানগরের মানুষদের স্বপ্নের সেতুর কাজ অগ্রগতির তদার কি করলেন বিধায়ক পিনাকী।

কল্যানপুরের রতিয়া দুর্গানগরের মানুষদের স্বপ্নের সেতুর কাজ অগ্রগতির তদার কি করলেন বিধায়ক পিনাকী।

by admin

প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া। ১৪ই মার্চ। কল্যাণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রতিয়া, দুর্গানগর ও তার আশপাশ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল খোয়াই নদীতে পাকা সেতুর। রোতিয়া দুর্গানগর ও তার আশপাশ এলাকার মানুষ রা শীতকালে বাশের সাঁকো দিয়ে তেলিয়ামুড়া – কল্যাণপুর – খোয়াই সড়কে পৌঁছাতো। বর্ষাকালে জলের তোরে ভেসে যেত সেই সাঁকো। তারপর একমাত্র ভরসা ছিল নৌকা। এই বিস্তীর্ণ এলাকার আয়ের অন্যতম উৎস হলো কৃষিকাজ। স্বভাবতই কৃষকদের তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে সমস্যা হতো। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের দাবি ছিল কয় নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করার। ২০১৮ সালে কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হয়ে এলাকার মানুষদের কথা দিয়েছিলেন, জয়ী হলে পাকা সেতু নির্মাণ করে দেবেন। গণদেবতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে যাননি বর্তমান বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। প্রতিশ্রুতি মতো ইতিমধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে সেতুর। কাজও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। নির্মীয়মান সেতুর নাম দেওয়া হয়েছে সুদীন্দ্র দাশগুপ্ত স্মৃতি সেতু। আজ রতিয়া খেয়া ঘাটে সুধীন্দ্র দাসগুপ্ত স্মৃতি সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। সঙ্গে আর.ডি দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শনে যান তিনি এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। খোয়াই নদীর উপর গড়ে উঠা সেতুর দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। বিধায়ক পরিদর্শনের সময় নির্মাণাধীন ১১০ মিটার দীর্ঘ সেতুর বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করেন এবং বর্ষাকালের আগেই সেতুর প্রধান কাঠামোর কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, এই সেতু চালু হলে রতিয়া সহ দূর্গাপুর সহ আশপাশের বহু মানুষের যাতায়াত সহজ হবে এবং এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সেতু নির্মাণের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আর.ডি দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জানান, “বর্ষার আগেই সেতুর উপরের মূল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা চাই, বৃষ্টির মরসুম শুরু হওয়ার আগেই গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ শেষ হোক, যাতে বাকি কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়।” সেতুটি বহু বছর ধরে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এ প্রসঙ্গে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী জানান, “নৃপেন চক্রবর্তীর সময় থেকে শুরু করে মনিন্দ্র চন্দ্র দাসের বিধায়ক থাকাকালীন সময় পর্যন্ত এই সেতুর দাবি করা হয়েছিল, কিন্তু তখনকার বাম সরকার কর্ণপাত করেনি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় এবং নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমার বিশ্বাস, দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে এবং সেতুটি রাজ্যের জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এলাকাবাসীর জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।” পরিদর্শন শেষে বিধায়ক ও আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেতুর কাজ পরবর্তী ধাপে আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তবে তা দ্রুত সমাধানের জন্য বিধায়ক নিজে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

You may also like

Leave a Comment