Home » সমাজে মহিলা ও কন্যা সন্তানের উপর অপরাধ নতুন কিছু নয়। সময়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি অপরাধের ধরন ও পাল্টিয়েছে।

সমাজে মহিলা ও কন্যা সন্তানের উপর অপরাধ নতুন কিছু নয়। সময়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি অপরাধের ধরন ও পাল্টিয়েছে।

by admin

সমাজে মহিলা ও কন্যা সন্তানের উপর অপরাধ নতুন কিছু নয়। সময়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি অপরাধের ধরন ও পাল্টিয়েছে। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের জন্য রয়েছে পুলিশি ব্যবস্থা ,রয়েছে আদালত, সর্বোপরি বিচার ব্যবস্থা। কখনো কোথাও যদি মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ সংগঠিত হয় বা কোন মহিলা অথবা শিশুকন্যা নির্যাতনের শিকার হয় তখন সে নির্যাতিতা সর্বপ্রথম পুলিশের দারস্ত হয়। তথাপি এই ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ আমরা প্রথম সংবাদপত্রের মাধ্যমেই জানতে পারি কোথায় কোন মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাই এসব অপরাধ দমনে সংবাদপত্র একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি বলেন বিচার ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তারপরও সমাজের প্রতি মহিলা কমিশনের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এই ধরনের অপরাধ কিভাবে হ্রাস করা যায় তার উদ্যোগ চলছে। মঙ্গলবার খোয়াইয়ের জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত মহিলা ও কন্যা সন্তানের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত এক সচেতনতা সভায় নিজের অভিমত এইভাবেই ব্যক্ত করেন ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন বর্ণালী গোস্বামী। শুরুতেই প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন চেয়ারপারসন বর্ণালী গোস্বামী।এই দিনের সচেতনতা সভায় বর্ণালী গোস্বামী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের ভাইস চেয়ারপারসন অস্মিতা বনিক, সদস্যা ডালিয়া সিনহা, খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষচন্দ্র সাহা, খোয়াই পৌরপরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশিস নাথ শর্মা, খোয়াই জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি হরিশংকর পাল, জেলা পরিষদের সদস্য সদস্যাগন, আইসিডিএস এর সিডিপিওগন, সুপারভাইজার এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীগণ এবং খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা , জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ আধিকারিক সহ আইনজীবীগণ। এদিন আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন বর্ণালী গোস্বামী বলেন ভারতে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে 75% মহিলা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর শিকার। এবং অধিকাংশ ঘটনাই আত্মসম্মান এবং লোকলজ্জার ভয়ে চাপা পড়ে যায়। তাতে অপরাধ আরো বেড়ে যাচ্ছে। ২৫ বছর পূর্বে আমরা লক্ষ্য করতাম কোন ছাত্রী যখন স্কুলে যেত তখন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা ছাত্রীর পিছনে ধাওয়া করে কোন পুরুষ তাকে নানাহ ভাবে উত্ত্যক্ত করত। এটাও একটা নারী সংক্রান্ত অপরাধ। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অপরাধের ধরনও পাল্টিয়েছে। মোবাইলে ছবি তুলে কোন মহিলা বা কন্যা সন্তানের ছবি আপলোড করে ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা instagram এ ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সাইবার ক্রাইম এটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই ধরনের অপরাধ থেকে মহিলা এবং কন্যা সন্তানদের রক্ষা করতে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এদিনের সচেতনতা সভায় পুলিশ এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগন নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন।

You may also like

Leave a Comment