প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গত ২৬শে এপ্রিল শিলাবৃষ্টি সহ প্রবল ঝড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী গোটা মহকুমায় এখন অব্দি ২৪১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুতের ত্রিশটি এইচটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে ও চল্লিশটিরও বেশি এলটি সংযোগ থাকা খুঁটি ভেঙে পড়েছে ও প্রায় ৩০টি জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায় এবং ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে।বিশাল আকৃতির গাছ বিদ্যুতের তারের উপর পড়ার ফলে গোটা কৈলাসহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় ৪৮ ঘন্টা ধরে।যার ফলে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকায় জলের অভাবে ভুগছেন নাগরিকরা।তাই আজ একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন অবরোধ কারীরা।এই পথ অবরোধ করার ফলে রাস্তার দু’পাশে আটকে পড়ে বহু যানবাহন।যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।তবে ঝড়ের প্রকোপে বৈদ্যুতিক পরিষেবা যেভাবে ব্যাহত হয়েছে সেই ক্ষেত্রে গ্ৰাহকরা সহযোগীতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করলে কিছুটা হলেও পরিষেবা এগিয়ে যেত বলে মনে করেন বুদ্ধিজীবী মহল।এই ঘটনার খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকারের নেতৃত্বে ছুটে আসেন বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী।পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।গ্রাহকদের রোষানল থেকে বিদ্যুৎ কর্মীদের বিপদমুক্ত করার পর বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা সাই কম্পিউটার্স এর আধিকারিক সহ প্রশাসনিক পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বিকেল ৩টায় কৈলাসহর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা।বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নবকুমার জমাতিয়া, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার,সাই কম্পিউটার্সের প্রজেক্ট ম্যানেজার সুরজ শ্রীবাস্তব এবং ডিজিএম হরিন্দর শর্মা ও ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের ঊনকোটি জেলার এজিএম প্রদীপ দেববর্মা সহ কৈলাসহর বাজারের ব্যবসায়ী ও অন্যান্যরা।টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন ২,৫ এবং ৬ নম্বর ফিডারের কাজ খুব শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে।পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং পানীয় জলের পরিষেবা দ্রুত প্রদান করা হবে।তার সাথে গোবিন্দপুর এলাকায় থাকা ১১ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলের সংযোগ দেওয়ার কাজ খুব শীঘ্রই শেষ হবে এবং যেকোনো গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসে ফোন করলে কল রিসিভ করা হবে এবং সমস্যা সম্পর্কে অবগত থাকবে কর্তৃপক্ষ।এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস এবং কর্মীদের থাকার গেস্ট হাউসের সুরক্ষা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনও।এছাড়াও তিনি জানান বিপর্যয় মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছে গেছে এনডিআরএফ জোয়ানরা।এখনো বহু এলাকায় বট বৃক্ষ পড়ে আছে বিদ্যুৎ সংযোগের উপর।সেগুলো সাড়াই করার জন্য আজ রাতেই সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার এবং বিভিন্ন ঠিকেদারদের দিয়ে কাজ করানো হবে।সাথে সাথে প্রশাসন আশাবাদী আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শহর এলাকা সহ গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে পারবে বিদ্যুৎ দপ্তর।
260