পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলে যেতে পারে বৃদ্ধির প্রকৃত হার। মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে।ওই রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি-মার্চ দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.১ শতাংশ। পরের ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) তা বেড়ে ১৩.৫ শতাংশে দাঁড়ায়। কিন্তু জুলাই-সেপ্টেম্বরে নেমে আসে ৬.৩ শতাংশে। এর পর অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে আরও কমে দাঁড়ায় ৪.৪ শতাংশ। বস্তুত, সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের পূর্বাভাসের (৪.৬ শতাংশ) চেয়েও বৃদ্ধির হার নেমে যাওয়ায় আশঙ্কার কারণ দেখছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।বস্তুত, ২০২১ সালের শেষ ত্রৈমাসিক থেকেই থেকেই বৃদ্ধির হার কমা শুরু হয়েছিল। গত বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে বৃদ্ধির হার ৮.৪ শতাংশ ছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর তা কমে দাঁড়ায় ৫.৪ শতাংশে। এর পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মূল্যবৃদ্ধি এবং চাহিদা হ্রাসের কারণেই ভারতীয় অর্থনীতির এই অধোগতি বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।গত বছরের জুন মাসে ‘বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাবনা’ (গ্লোবাল ইকনমিক প্রসপেক্টস) সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেই রিপোর্টে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। কিন্তু এর পর অক্টোবরে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি’ বিষয়ক বৈঠকে বিশ্বব্যাঙ্ক পূর্বাভাস দেয়, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে ৬.৫ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। এর পর ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ শীর্ষক রিপোর্টে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) জানায় চলতি অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৬.৮ শতাংশ হতে পারে।
ধাক্কা খেয়েছে বৃদ্ধির গতি! বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফের পূর্বাভাস মানল সরকারি রিপোর্ট
by admin
written by admin
127