Home » মনমুগ্ধকর আলোকসজ্জা ও তাক লাগানো প্যান্ডেল তৈরি করে ধর্মনগর শহরকে টেক্কা দিচ্ছে চুরাইবাড়ির বিভিন্ন ক্লাব ও কালীপূজা উদ্যোক্তারা।

মনমুগ্ধকর আলোকসজ্জা ও তাক লাগানো প্যান্ডেল তৈরি করে ধর্মনগর শহরকে টেক্কা দিচ্ছে চুরাইবাড়ির বিভিন্ন ক্লাব ও কালীপূজা উদ্যোক্তারা।

by admin

ধর্মনগর২৭ অক্টোবর :—- কালীপুজো মানেই যেনো উত্তর ত্রিপুরা জেলা। চিরন্তন নাহলেও এমনই একটি অঘোষিত প্রবাদ বাক্য রয়েছে। তাই বরাবরই প্রতিবছর ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে তাক লাগানো আলোকসজ্জা ও প্যান্ডেলের মাধ্যমে শ্যামা পূজার আয়োজন করে থাকে উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন বড় বড় ক্লাব ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে জেলা সদর ধর্মনগর শহরে বেশ কয়েকটি বনেদি ক্লাব রয়েছে, কিন্তু সেগুলোকেও টেক্কা দিতে রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়িতে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের পূজো রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম ইয়ুথ ক্লাব। বিগত প্রায় কুড়ি বছর ধরে তাদের এই শ্যামা মায়ের আরাধনার এবছর একটি কাল্পনিক প্যান্ডেল ও নবদ্বীপের আলোক শিল্পীদের নিয়ে তাক লাগানো আলোকসজ্জা সহ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মূলক অনুষ্ঠানসহ তাদের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। চলবে তিন দিন ব্যাপী।তাছাড়াও রয়েছে চুরাইবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ইউনাইটেড ক্লাব। তারাও অত্যাধিক মনমুগ্ধকর একটি কাল্পনিক প্যান্ডেল তৈরি করছে যার উচ্চতা প্রায় ৭০ ফুট। তাছাড়াও আলোকসজ্জা সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে তাদের। এদিকে পিছিয়ে নেই সেবক সংঘ ক্লাবও। তারাও শ্যামা পুজোয় গুটি গুটি পায়ে পঁচিশ বছর পূর্ণ করেছে। এ বছর তাদের প্যান্ডেলের মূল থিম রয়েছে প্রাচীন গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি। যা বিগত দিনে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে তাদের চার দিনব্যাপী। শ্যামা পূজোর দিনে আরজি কর কান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের বর্ণাট্য শোভাযাত্রা ও রেলি অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া সর্বশেষ ফ্রেন্ডস ক্লাবের বড় বাজেটের পুজো রয়েছে অসম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশেই। প্রতিবছরই ক্লাব কর্তৃপক্ষ মন মাতানো আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল ও স্থানীয় এবং বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে মন মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দর্শনার্থীদের উপহার দিয়ে থাকেন। তাছাড়াও ক্লাব কর্তৃপক্ষ দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ সহ দূরপাল্লার লরি চালকদের মধ্যে জল, মিষ্টি ও ফল বিতরণ করে থাকেন। তারাও ছয় লক্ষাধিক টাকার বাজেট নিয়ে শ্যামা পূজায় ব্রতী হয়েছে এবং চুরাইবাড়ির, কদমতলা সহ বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীদের প্যান্ডেলে টানতে মরিয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সর্বোপরি চুরাইবাড়ি আরক্ষা দপ্তর উত্তর জেলার মধ্যে তাক লাগানো পূজোর আয়োজন করে থাকে। আলোকসজ্জা সহ দু’দিনব্যাপী স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শীতবস্ত্র বিতরণ সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান করে থাকে আরক্ষা দপ্তর। সব মিলিয়ে উত্তর জেলার মধ্যে ধর্মনগর শহরকে টেক্কা দিতে একেবারে প্রস্তুত চুরাইবাড়ির বিভিন্ন ক্লাব ও পূজা উদ্যোক্তারা।

You may also like

Leave a Comment