Home » বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে প্রশাসনিক বৈঠক

বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে প্রশাসনিক বৈঠক

by admin

প্রতিনিধি কৈলাসহর:-প্রবল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক এবং সাই কম্পিউটার্সের কর্মীদের নিয়ে সম্প্রতি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় টিলাবাজারে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নবকুমার জমাতিয়া,ডিসিএম বিশ্বজিৎ দাস,ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগমের এসডিও প্লাবন দাস, সাই কম্পিউটার্স লিমিটেডের ডিজিএম হরিন্দর শর্মা,৬ নম্বর ফিডার ইনচার্জ আমন রায় ও অজয় কুমার এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব মহঃ বদরুজ্জামান এবং গিয়াস উদ্দিন আহমেদ সহ ৬ নং ফিডারের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নির্বাচিত সদস্যরা।এই বৈঠকটি মূলত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে থাকা ছয় নম্বর ফিডারের বৈদ্যুতিক সমস্যা নিয়ে হয়েছে।উল্লেখ্য,গত ১৬ই মে ৬ নম্বর ফিডারে শাটডাউন করা হলে ঘন্টা খানেকের মধ্যে পুনরায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এই সময় অব্দি অপেক্ষা না করে একাংশ যুবক কৈলাসহর বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসের গাড়ী ভাঙচুর এবং বিদ্যুৎ কর্মীকেও শারীরিক নিগৃহীত করেছে।আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা।ফের ১৮ই মে উক্ত ফিডারে কাজ করতে গেলে সেই অঞ্চলের বিদ্যুৎ কর্মীদেরকে হুমকি ধমকি দেওয়ার ফলে তাদের নিরাপত্তা জনিত বিষয় নিয়ে কাজ বন্ধ রাখেন।এই সামগ্রিক বিষয় নিয়েই সেদিন সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয় যেখানে প্রশাসনের আধিকারিক সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।সেই বৈঠকে সাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয় ১৮ই মে রাত্রি ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং জঙ্গল কাটার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করতে হবে যাতে আগামী দিনে এ ধরনের সমস্যা না হয়।পাশাপাশি কর্মীর সংখ্যা এবং যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ানোর লিখিত দাবি চাওয়া হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। যথারীতি সাই কম্পিউটার্স কর্তৃপক্ষ সেই রাতেই ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করে এবং জঙ্গল কাটার কাজও শুরু হয়েছে যা আগামী ৩০শে মে’র মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,গত ২৬শে এপ্রিল বিধ্বংসী ঝড়ে প্রায় দেড়শ টিরও বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি মাটিতে পড়ে যায়।সেগুলো দু-তিন দিনের মধ্যেই ঠিকঠাক করে পরিষেবা চালু রাখতে সক্ষম হয়েছে কৈলাসহর বিদ্যুৎ বিভাগ।এই পরিষেবা খুব কম সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক করতে পারায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। পাশাপাশি এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে দাবী তোলা হয় টিলাবাজার স্কুল সংলগ্ন ১৩২ কেভি সাবস্টেশন খুব শীঘ্রই চালু করার জন্য।তাহলে বৈদ্যুতিক সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত হবেন ওই অঞ্চলের গ্ৰাহকরা।কেননা বর্তমানে যে ছয়টি ফিডার রয়েছে কৈলাহহরে তার মধ্যে সর্ববৃহৎ ফিডার হচ্ছে ছয় নম্বর ফিডার।কারণ এই ফিডারের সাথে কম করেও দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ যুক্ত রয়েছেন।প্রায় ৭৫ কিমি এলাকা নিয়ে এই ফিডার রয়েছে।২০মে গভীর রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় এই গরমকালে অনেকটাই কষ্টে রাত্রি যাপন করেছেন উত্তরাঞ্চল এলাকার মানুষ। যদিও আজ সকাল ১১টার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে।এই বিষয়গুলো নিয়ে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড কৈলাসহর বিভাগের ডিজিএম স্বপন দেববর্মার সাথে কথা বললে তিনি জানান বর্তমানে পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। টেকনিক্যাল কোন সমস্যা যেকোনো সময় হতেই পারে। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করেনা কর্তৃপক্ষ।বিপর্যয়ের সময়ে সবার সার্বিক সহযোগিতা থাকলে খুব কম সময়ের মধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব।

You may also like

Leave a Comment