79
- প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- শনিবার ধলাই জেলার গন্ডাছড়ায় একটি পাথর বোঝাই লরি সহ সেতু ভেঙ্গে পড়ে নদীর জলে। জানা যায় এদিন দুপুর নাগাদ টি আর ০১ এ টি ১৮৬০ নাম্বারের ১৬ চাকা পাথর বোঝাই একটি লরি গন্ডাছড়া থেকে ত্রিশ কার্ডের দিকে যাচ্ছিল। লরিটি ষাট কার্ড এবং ত্রিশ কার্ড মধ্যবর্তী শর্মা নদীর লোহার সেতুর উপর উঠতেই সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে। এ সময় ষাট কার্ড এলাকার বছর পঞ্চাশের চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি দূর্ঘটনার সময় সেতুর উপর থাকায় আহত হন। এলাকাবাসীরা তাকে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার পরপরই লরির চালক কপাল গুড়ে প্রানে বেঁচে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য বিগত আট, নয় বছর আগেও অনুরূপভাবে লোহার এই সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছিল। শনিবার পুনরায় সেতু ভেঙ্গে পড়ায় গন্ডাছড়াবাসীদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। কেননা এ সেতু ধরে প্রতিদিন শত শত গাড়ি গন্ডাছড়া থেকে অমরপুর ,উদয়পুর, আগরতলা এমনকি তেলিয়ামুড়া যাতায়াত করে। পাশাপাশি গন্ডাছড়া সরকারি ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা সহ হাজারো জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় মহকুমা বাসীরা দারুন অসুবিধায় পড়ে। এদিকে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তরের এসডিও রথীন্দ্র দেববর্মা ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান এই লোহার সেতুটিতে ১০ টনের বেশি মাল বোঝাই কোন পণ্যবাহী যান চলাচলের উপর পূর্ত দপ্তর বেশ কিছুদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এমনকি সেতুর দুদিকে এই নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এদিন পূর্ত দপ্তরের এই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ১০ টনের উপর পাথর বোঝাই ১৬ চাকার লরিটি সেতুর উপর উঠতেই সেতুটি ভেঙ্গে শর্মা নদীতে পড়ে যায়। তিনি আরো জানান দপ্তরের সতর্কবার্তা গুরুত্ব দিচ্ছে না একাংশ চালক। আর তার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসডিও এলাকাবাসীদের আশ্বাস দেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গা লোহার সেতুটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে দেবেন। তিনি এও জানান লোহার ব্রীজের পাশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পাকা সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। পাকা সেতুর কাজ চলতি বছরেই শেষ করা হবে বলে জানান।