ধর্মনগর প্রতিনিধি। উত্তর জেলা ধর্মগরে যে হাসপাতালটি রয়েছে তার স্বাস্থ্যপরিসেবা বড়ই বেহাল। এই বেহাল অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে বুধবার রাজ্য বিধানসভার সদস্য এবং বাগ বাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ এক বিশেষ পরিদর্শন করেন হাসপাতাল এবং অতিসত্বর একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আজকে এই পরিদর্শনে জানা যায় দীর্ঘ এক বছর যাবত কোন ধরনের গ্যাসের ওষুধ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয় না এবং শ্বাসকষ্ট জনিত ইনভিউজার হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় না। কিন্তু ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে স্টোরে এগুলি এক্সপেরি হওয়ার পথে কিন্তু অবহেলার কারণে এগুলোকে রোগীর জন্য ব্যবহার করা হয় না। কোন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে নেই কি করে একটা জেলাস্তরের হাসপাতাল দিনের পর দিন চলছে তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকেই। শিশুদের কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে বহিরাজ্যে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ট্রমা সেন্টারে ওপিডি বসানো হলেও দুপুর দুইটা আর এটার পর এই ওপিডি বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ কর্তব্যে অবহেলা এখানেও চূড়ান্ত আকারে প্রকট হয়ে উঠেছে। সোনোগ্রাফি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করা হয়। সোনোগ্রাফির জন্য রোগীরা ঊনকোটি জেলা এবং কাঞ্চনপুর থেকে ধর্মনগরে আসে কিন্তু উপযুক্ত লোকের অভাবে সোনোগ্রাফির ডেট তিন থেকে চার মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়। একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক সোনোগ্রাফির লোক এই কাজে নিয়োজিত এবং আরেকজনের প্রশিক্ষণ চলছে। তাই লোকের অভাব বলে জানান জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ভাস্কর দাস। তিনি চার্জ নিলেও একটার পর একটা ব্যাপার খতিয়ে দেখছেন। এখনো বুঝে উঠতে পারেননি এবং জানতেও পারেননি, সার্বিক ব্যাপার। কর্মীসল্পতায় ভুগছে ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালটি। যার ফলস্বর ূপ পরিষেবা একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য ঠিক একমাস আগে এই বিধায়ক ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে এবং কর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আজ ধর্মনগরের বিধায়ক তথা অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের সাথে কথা বলে এই বিধায়ক ধর্মনগরের জেলা হাসপাতালটি পুনরায় পরিদর্শনে যান। যেসব ঘাটতি রয়েছে সেইসব পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে যেভাবে জেলা হাসপাতালটি চলছে এমন ভাবে কোন স্বাস্থ্য পরিষেবা সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জনপ্রতিনিধে দের বক্তব্যে প্রকট হয়ে ওঠে। তার জন্য পূর্বের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তীকে তুলোধোনা করে টানতেও কিছু পা হননি বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ। রাজ্যের একটি জেলা হাসপাতালের অবস্থা যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে পারে না তা স্বীকার করে এর ঘাটতি গুলি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ।
উত্তর জেলা হাসপাতালে বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখলেন।
68