
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।১৯জানুয়ারি। বন্য দাতাল হাতির লোকালয়ে প্রবেশের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। মন্ত্রী আশ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষেরা জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করেন। বন্য দাতাল হাতির আক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পেতে আজ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাধারণ মানুষ। আজ বেলা 11 টা থেকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসকের অফিসের পার্শ্ববর্তী আসাম -আগরতলা জাতীয় সড়কে অবরোধ করে কৃষ্ণপুর, ডিএম কলোনি, চাকমা ঘাট পার্শ্ববর্তী এলাকায় হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনেরা। সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই সড়ক মহকুমা শাসক অফিসে যাওয়ার পথে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা নিজে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকেদের সাথে কথা বলতে নেমে পড়েন গাড়ী থেকে । অবরুদ্ধের খবর পেয়েই ছুটে আসেন তেলিয়ামুড়া মহাকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, খোয়াই জেলা বন আধিকারিক অক্ষয় বোরদে, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, সুদাম্বিকা আর, তেলিয়ামুড়া থানার ওসি রতন দেবনাথ বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ছুটে আসেন। সড়ক অবরোধকারীদের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আশ্বাস দেন হাতিগুলিকে একে একে মুঙ্গিয়াকামি হাতি ক্যাম্পে নিয়ে আসার। এই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর অবরোধকারীরা সড়ক মুক্ত করলে আধ ঘন্টা পর চলাচল শুরু হয়। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তেলিয়ামুড়া মহাকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কয়েক দশক ধরেই বন্য দামাল হাতির পাল লোকালয়ে ঢুকে ঘরবাড়ি, জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। হাতির আক্রমণে একাধিক প্রান হানির ঘটনা যেমন ঘটেছে, তেমনি একাধিক হাতিরও মৃত্যু হয়েছে। বন্য হাতির পাল লোকালয়ে যাতে না আসে সেজন্য বনদপ্তর ও নানান ধরনের পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করেছে এবং এখনো করছে। কিন্তু কোন কিছুই যেন হাতির পাল লোকালয়ে প্রবেশে তা বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে না। প্রায় রোজই উত্তর মহারানীপুর থেকে শুরু করে নবঞ্জয় বাড়ি, কৃষ্ণপুর থেকে ডিএম কলোনি হয়ে চাকমা ঘাটের ভূমিহীন কলোনি বিশাল এলাকাতে হাতির পাল কৃষকদের জমি থেকে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। এরই প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কিছুদিন পরপরই জাতীয় সড়ক অবরোধ করছে। অবশেষে আজ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুব্ধ মানুষেরা এলাকার বিধায়ক তথা উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মাকেও অবরোধ করে। এবার দেখার বিষয় মন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও হাতির লোকালয়ে প্রবেশ বন্ধ হয় কিনা।