ধর্মনগর প্রতিনিধি।
বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পে ধর্মনগরে যে কয়েকটি বিদ্যালয় রাজ্য সরকার বেছে নিয়ে উন্নতিকরণ করেছে তার মধ্যে পদ্মপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি। দেখতে দেখতে একটি বছর কেটে গেল যারা বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পের অধীন ক্লাস ওয়ান বা ক্লাস ইলেভেনে ভর্তি হয়েছিল তারা এখন ক্লাস টু বা ক্লাস টুয়েলভে উত্তীর্ণ হয়ে এই প্রকল্পের অধীন প্লাস চালিয়ে যাচ্ছি। এই এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া উপলক্ষে পদ্ম পুরউচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক অজিত দাস বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন সমাজসেবী শ্যামল নাথ তাছাড়া বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং অভিভাবকরা। এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বলতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক অজিত দাস গর্বে আত্মহারা হচ্ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে শ্যামল নাথ বলেন একসময় সরকারি স্কুলে যাদের স্বপ্ন রয়েছে কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল তারা পড়াশোনা করত। অভিভাবকরা ভাবতো স্কুল থেকে যতটুকু পাওয়া যায় পাওয়া গেল। তাই অভিভাবকরা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি ততটুকু যত্নবান হত না কিন্তু কোন বেসরকারি স্কুলে দেখা যায় স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের লাইন। কারণ সেখানে বড় অংকের টাকা দিয়ে করাতে হয় তাই ভালো পড়াশোনা হবে। কিন্তু সরকারি স্কুল থেকেও অনেক গোবরে পদ্মফুল ফুটেছে। মাত্র বছরে ১ হাজার টাকা খরচ করে রাজ্য সরকার যে বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্প শুরু করেছে তার সীমা অনেক দূর পর্যন্ত। এখন সরকারি স্কুলের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাবে কারণ বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পে যারা পড়াশোনা করবে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এখন আর পূর্বের মতো শিক্ষা ব্যবস্থার ধরন নেই সম্পূর্ণ ধারণা পাল্টে গেছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ প্রয়োগে এখানেও শিক্ষাব্যবস্থায় বিশাল উন্নতিকরণ করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। সরকারি স্কুলে ভালো পঠন-পাঠন হবে এখন এই ধারণা মানুষের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পে পদ্মপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নতিকরণ নিয়ে বিশেষ বাৎসরিক সভা।
78