Home » নবান্ন সভাগৃহে বৈঠকে যোগ দিতে এসে পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব ভারতের অন্য তিন রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন অমিত।

নবান্ন সভাগৃহে বৈঠকে যোগ দিতে এসে পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব ভারতের অন্য তিন রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন অমিত।

by admin

সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব কেবলমাত্র সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র নয়। দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেও। পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে এমন বার্তাই দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার নবান্ন সভাগৃহে বৈঠকে যোগ দিতে এসে পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব ভারতের অন্য তিন রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন অমিত। সেখানেই বিএসএফ সংক্রান্ত আলোচনায় সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি। গত বছর অক্টোবর মাসে বিএসএফের এক্তিয়ারে কতটা এলাকা থাকবে, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে তীব্র বিবাদ শুরু হয়েছিল রাজ্যের। তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা না হলেও, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রেখেই যে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, তা-ও নিজের মন্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন শাহ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহ শনিবারের বৈঠকে বলেছেন, ‘‘সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা থাকবে বিএসএফের উপর, ঠিক ততটা রাজ্যের হাতেও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগের সরকারের কাজে বহু ক্ষেত্রে খামতি ছিল। আমরা তা অনেকটা পূরণ করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য এগোচ্ছি।’’ প্রসঙ্গত, সীমান্ত অনুপ্রবেশ-সহ গরু পাচারের মতো সমস্যাগুলি রুখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ক্ষেত্রে যে রাজ্যগুলির সহায়তা না পেলে কোনও ভাবেই সীমান্ত সুরক্ষা ও অপরাধ দমন সম্ভব নয়, তা জানে কেন্দ্রও। তাই বৈঠকে রাজ্যগুলিকেও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে বলেছেন বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই প্রতি বছর এই ধরনের পরিষদীয় বৈঠক বসে। 

You may also like

Leave a Comment