প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করা এবং গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আজ কৈলাসহর সার্কিট হাউজের কনফারেন্স হলে প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তর, মৎস দপ্তর ও তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের ঊনকোটি জেলার সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের নিয়ে আয়োজিত জেলা ভিত্তিক দ্বিতীয় পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।তার সাথে সাথে দপ্তরের আধিকারিকদের সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করার জন্যেও নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ,ডিম,দুধ,মাংস ইত্যাদির চাহিদার যোগান মেটাতেও সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পযর্ন্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে দপ্তর আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।প্রাণী সম্পদ পালনের মধ্য দিয়ে রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ত্বরাণিত হয়৷এতে গ্রামীণ এলাকার মানুষ আত্মনির্ভর হয়ে উঠেন৷ পাশাপাশি রাজ্য ডিম,দুধ এবং মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে।এজন্য সুুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার৷এই বার্তা দিলেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস৷আজকের এই প্রশাসনিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী শ্রী দাস বলেন,কম সময়ের মধ্যে রোজগারের অন্যতম ক্ষেত্র প্রাণী পালন৷প্রাণী পালনের মাধ্যমে রাজ্যে হাজার হাজার পরিবারকে রোজগারের সাথে যুক্ত করা গেছে৷মন্ত্রী শ্রীদাস বলেন,ঘরে ঘরে রোজগার দেওয়াই হচ্ছে রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য।আর সেই দিশাসেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার৷প্রাণী পালনের মাধ্যমেই ঘরে ঘরে রোজগার দেওয়া সম্ভব৷তিনি বলেন, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষকে প্রাণী পালনের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ প্রাণী পালনের মাধ্যমে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে,অন্যদিকে দুধ,ডিম,মাংস উৎপাদনে রাজ্য স্বয়ংসম্পর্ণ হবে৷তখন আর বাইরে থেকে এগুলি আমদানী করতে হবে না৷ বরং রপ্তানী করার সুুযোগ আসবে৷ আজকের এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ দপ্তরের অধিকর্তা নিরজ কুমার চঞ্চল,মৎস দপ্তরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস,ঊনকোটি জেলার সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,সহকারী সভাধিপতি শ্যামল দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পর্যালোচনা বৈঠকে মন্ত্রী
by admin
written by admin
184
previous post