প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে বাছাই করে। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, শনিবার বিকেলে সিবিআই ডিরেক্টর বাছাই করার বৈঠকে কংগ্রেস নেতা অধীর নিজের আপত্তির কথা নথিভুক্ত করেন। তিনি বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করারও আবেদন রাখেন।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তিনটি নাম চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেয়। সেই তালিকার প্রথম নাম ছিল প্রবীণ সুদের। এ ছাড়াও ছিল মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীরকুমার সাক্সেনা এবং দমকল, সিভিল ডিফেন্স এবং হোম গার্ডের ডিজি তাজ হাসানের নাম। রবিবার যে সরকারি নির্দেশনামা প্রকাশিত হয়েছে তাতে ভারত সরকার প্রবীণকেই সিবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসাবে বেছে নিয়েছে। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু’বছর।
প্রসঙ্গত, প্রবীণ বর্তমানে কর্নাটক পুলিশের প্রধান। এ বছর মার্চ মাসে তাঁর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছিলেন কর্নাটকের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার। প্রবীণকে বিজেপির হাতের পুতুল বলে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। শিবকুমারের অভিযোগ ছিল, প্রবীণ বিজেপি সরকারকে বাঁচাতে বেছে বেছে কংগ্রেস নেতা, কর্মীদের গ্রেফতার করাচ্ছেন। কর্নাটকের পুলিশ প্রধানের গ্রেফতারির দাবিও তুলেছিলেন শিবকুমার। ঘটনাচক্রে কর্নাটকে যে দিন বিজেপিকে ধরাশায়ী করে জয়ী হল কংগ্রেস, সে দিনই দিল্লিতে সিবিআই প্রধান নিয়োগের আলোচনায় সিলমোহর পড়ল প্রবীণের নামে।