প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া।১৪ই এপ্রিল।
রাজ্যের বিজেপি সরকারের অন্যতম লক্ষ সবকা সাথ সবকা বিকাশ। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে উন্নয়নের ধারাকে প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাতেও পৌঁছে দিতে, সমস্যা দির্ণ এলাকাতে গিয়ে সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য উপজাতি কল্যাণ দপ্তর। উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আজ সমতলের ন্যায় দুর্গম এলাকাতেও কি কি সমস্যা রয়েছে সে বিষয়ে স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলতে ছুটে গেলেন কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকার দুর্গম এলাকা হিসাবে পরিচিত আঠারোমুড়া ৪১ মাইল এলাকার ত্রিপুরি বস্তিতে
। মুঙ্গিয়াকামি আর ডি ব্লক এলাকার একটি অন্যতম পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর মধ্যে একটি এলাকা। মুঙ্গিয়া কামি আর ডি ব্লকের অধীন আঠারোমুড়া এ ডি সি ভিলেজের ৪১ মাইল এলাকার জাতীয় সড়ক থেকে পায়ে হেঁটে প্রায় আড়াই কিলোমিটার চড়াই উতরাই পার করে ত্রিপুরা বস্তিতে তবেই পৌঁছা যায়। এখানে ত্রিপুরি সম্প্রদায়ের প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার বসবাস করেন। মূলত জুম চাষই এখানকার গিরি বাসীদের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিটি পরিবারেরই দিন আনি তো দিন খাই অবস্থা। গরিয়া পুজো এসে গেছে। এ সময় তাদের কেমন যাচ্ছে। সেই খবর নিতে সেই এলাকায় পৌছান রাজ্যের জনজাতি কল্যান মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা । এলাকাবাসিদের সংগে কথা বলেন এবং তাদের কি কি সমস্যা রয়েছে সে সম্পর্কে অবগত হন। এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন। চৈত্রের প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে ভরদুপুরে রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী কে কাছে পেয়ে এখানকার গিরি বাশিরাও মন্ত্রীর কাছে দাবি করেন জলের সমস্যা সমাধানের. দাবি করেন বিদ্যুতের। সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, ভাবতে আশ্চর্য লাগে স্বাধীনতার এত বছর আমরা পেরিয়ে গেছি এখনো গ্রামে জলের অভাব। রাজ্যের বিজেপি সরকার রাজ্যের সব অংশের মানুষের অন্যের জন্য কাজ করে চলেছে. উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখেই অত্যন্ত দুর্গম শব্দটি আগামী দিনে মুছে দেবে. রাজ্যের জনজাতি মানুষদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। ত্রিপুরা বস্তিতে জলের সমস্যা বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে. আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি স্থানীয় জনজাতিদের আশ্বাস দেন।
দুর্গম এলাকার সমস্যার সমাধানে ছুটে গেলেন উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ।
94
previous post